• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বায়ার্নকে টপকে ১২০ বছরের আক্ষেপ ঘুচালো লেভারকুসেন
জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাব লেভারকুসেন। ক্লাব প্রতিষ্ঠার শত বছর পেরোলেও জার্মান লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি দলটি। তবে সেই আক্ষেপ ঘুচিয়ে রূপকথার গল্প লিখলেন কোচ শাবি আলোন্সো। সবশেষ ম্যাচে ভেরডার ব্রেমেনকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লেভারকুসেন। এতে বায়ার্ন মিউনিখের ১১ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে জার্মান বুন্দেসলিগার নতুন চ্যাম্পিয়ন লেভারকুসেন ।  গতকালের এই জয়ের পর লেভারকুসেনের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ২৯ ম্যাচে ৭৯। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বায়ার্ন মিউনিখের পয়েন্ট সমান ম্যাচে ৬৩। দুই দলের ব্যবধান ১৬ পয়েন্ট হয়ে যাওয়ায় পরের পাঁচ ম্যাচে হারলেও শীর্ষেই থাকবেই লেভারকুসেন। ১২০ বছরের ক্লাব ইতিহাসে এটিই শীর্ষ লিগে লেভারকুসেনের প্রথম ট্রফি। এর আগে পাঁচবার রানার্সআপ হয়েছে তারা। জিতলেই ক্লাব ইতিহাসের প্রথম লিগ শিরোপা। বায়ার লেভারকুসেনের সামনে সমীকরণ ছিল ঠিক এতোটাই সরল। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরুই করেছিল তারা। ২৫ মিনিটে প্রথম গোল আসে পেনাল্টি থেকে। ভিক্টর বনিফেসের গোলের পর থেকেই উৎসবের আমেজ শুরু হয়ে যায় বে অ্যারেনায়। গ্রানিত শাকা লেভারকুসেনে এসেছিলেন একরাশ সমালোচনা নিয়ে। আর্সেনাল থেকে রীতিমত সমর্থকদের চক্ষুশূল হয়ে বিদায় নিলেন। কিন্তু লেভারকুসেনের জার্সিতে যেন নিজের ফুটবলীয় প্রতিভার সবটা দেখিয়ে দিলেন। দারুণ এক গোল দলকে নিয়ে গেলেন শিরোপার আরও কাছে।  বাকি সময়টা কেবলই ফ্লোরিয়ান ভির্টজ আর বে অ্যারেনার সমর্থকদের। পুরো মৌসুমে দাপুটে ফুটবল উপহার দেয়া লেভারকুসেন শেষ আধঘণ্টায় ছিল আরও ক্ষিপ্র। ৮৪ মিনিটে চতুর্থ গোলের পরেই সমর্থকরা নেমে পড়েন মাঠে। কয়েক মিনিট বন্ধ ছিল সে সময়। ৮৯ মিনিটে গোলের পর আর আটকানো সম্ভব হয়নি। ৫-০ গোলের জয় নিশ্চিত। সেই সঙ্গে নিশ্চিত ক্লাব ইতিহাসের প্রথম শিরোপা। সমর্থকদের আটকে রাখা তো দায়! রেফারিও তাই বাধ্য হয়ে বাজালেন বাঁশি। ওই এক বাঁশির শব্দেই শেষ হলো বুন্দেসলিগায় টানা ১১ বছরের বায়ার্ন মিউনিখের রাজত্ব। বুন্দেসলিগায় ৫ ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করলো বায়ার লেভারকুসেন।  এই মৌসুমের আগে ক্লাবের ইতিহাসের সোনালি সময় ছিল ১৯৯৬-৯৭ থেকে পরের ছয় মৌসুম। এই সময়টায় চারবার বুন্ডেসলিগায় রানার্স আপ হয় তারা। একবার রানার্স আপ হয় জার্মান কাপে। এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ফাইনালে উঠে শেষ পর্যন্ত হেরে যায় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে। ক্লাবের এই সোনালী সময়ের ইতিহাসও তাই মূলত বেদনায় গাঁথা অপ্রাপ্তির গল্প। বারবার কাছে গিয়েও চূড়ান্ত সাফল্য না পাওয়ায় কৌতূক করে তাদের নামে দেওয়া হয় ‘নেভারকুজেন’, যাদেরকে দিয়ে কখনোই সম্ভব নয়।  কিন্তু আলোন্সো আর তার দল সেই ইতিহাস পাল্টে দিল। ক্লাবকে তারা এনে দিলেন ১২০ বছরের ইতিহাসের সেরা সাফল্য। ২০২২ সালের অক্টোবরে যখন ক্লাবের হাল ধরেন শাবি, লেভারকুজেন তখন ভয়ানকভাবে ধুঁকছে। বুন্ডেসলিগার পয়েন্ট তালিকায় তাদের অবস্থান ছিল ১৭তম। শাবির জন্য সেটিই ছিল শীর্ষ পর্যায়ের কোনো ক্লাবের প্রথম দায়িত্ব। কোচিং অভিজ্ঞতা বলতে ছিল রিয়াল সোসিয়াদাদের ‘বি’ দলের হয়ে তিন বছর কাজ করা। সেই শাবির কোচিংয়েই রেলিগেশনের শঙ্কা উড়িয়ে লেভারকুসেন মৌসুম শেষ করে ষষ্ঠ স্থানে থেকে।  উত্থানের সেই গল্প নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যায় এই মৌসুমে। শাবির কোচিংয়ে লেভারকুসেন হয়ে ওঠে অজেয় ও অপ্রতিরোধ্য। একের পর এক ম্যাচ জিতে, রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে শেষ পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতেই তারা নিশ্চিত করে ফেলল শিরোপা জয়। লেভারকুসেনের ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার বুন্ডেসলিগা চ্যাম্পিয়ন।   
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৪

এবার বেঙ্গালুরুর রেকর্ড ভাঙল কলকাতা, ৬ রানের আক্ষেপ রাসেলদের
কয়েক দিন আগেই বেঙ্গালুরুর ১১ বছর আকড়ে ধরে রাখা ২৬৩ রানের রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস গড়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ২৭৭ রান করে তারা। তবে আট ম্যাচের ব্যবধানে হায়দ্রাবাদের সেই রেকর্ড ব্রেক করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল কলকাতা। মাত্র ৬ রানের জন্য ইতিহাস গড়া হলো না শাহরুখ খানের দলের।  দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২৭২ রানের বিশাল পুঁজি পেয়েছে কলকাতা; যা আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।  বুধবার ( ৩ মার্চ) দিল্লির বিশাখাপত্তনমে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব শুরু করে কলকাতার দুই ওপেনার ফিট সল্ট এবং সুনিল নারিন। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি সল্ট। ১২ বলে ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ইংলিশ ব্যাটার।  কিন্তু অপর প্রান্তে ঝড় তুলতে থাকেন নারিন। ২১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ক্যারিবিয়ান তারকা। তৃতীয় উইকেটে পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন অঙ্কক্রিস রঘুভানশি। দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারেই ১৩৫ রান তুলে নেয় কলকাতা। সেইসঙ্গে সেঞ্চুরির খুবই কাছে পৌঁছে যায় নারিন। তবে ১৫ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ৩৯ বলে ৮৫ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। নারিন সেঞ্চুরি না পেলেও ২৫ বলে ফিফটি তুলে নেন রঘুভানশি। ২৭ বলে ৫৪ রান করে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। এরপর কলকাতা শিবিরে হাল ধরেন আন্দ্রে রাসেল এবং শ্রেয়াস আইয়ার। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১৬তম ওভারেই দুইশত রানের কোটা পার করে পশ্চিমবঙ্গের দলটি। ১১ বলে ১৮ রান করে আইয়ার আউট হলে ৮ বলে ২৬ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন রিঙ্কু সিং। ২০তম ওভারে প্রথম দুই বলে দুর্দান্তভাবে রাসেল ও রামানদীপ সিংকে আউট করেন ইশান্ত। ১৯ বলে ৪১ রান করেন রাসল। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৭২ রানের  বিশাল পুঁজি পায় কলকাতা।  দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন এনরিখ নরকিয়া। এ ছাড়াও ইশান্ত শর্মা দুটি, খলিল আহমেদ এবং মিচেল মার্শ একটি করে উইকেট নেন।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২২

হতাশার সেশনে ক্যাচ ফসকানোর আক্ষেপ
চট্টগ্রাম টেস্টে জয় তুলে নিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরতে মরিয়া বাংলাদেশ। সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানে হেরে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে পিছিয়ে টাইগাররা। তাই সাগরিকায় শুধু ড্র করলেই হবে না, সিরিজ বাঁচাতে জয়ের বিকল্প নেই।  এমন সমীকরণ টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনাও পেয়েছে সফরকারীরা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশকে চেপে ধরার লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে সেই ভিতটা গড়ে নিয়েছে লঙ্কানরা। দুই ওপেনারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ২৭ ওভারে ৮৮ রান তুলে প্রথম সেশন শেষ করেছে সফরকারীরা। ব্যাট হাতে নেমে দারুণ সূচনা করেছেন দুই লঙ্কান ওপেনার। অন্যদিকে উইকেট থেকে তেমন কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না টাইগার বোলাররা। তবে প্রথম সেশনে লঙ্কানদের উইকেট না হারানোর দায় বাংলাদেশকেই দিতে হবে। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই উইকেট পেতে পারতেন অভিষিক্ত টাইগার পেসার হাসান মাহমুদ। এই পেসারের অফ স্ট্যাম্পের বাইরে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারি মাদুশকার ব্যাট ছুঁয়ে যায়। তবে স্লিপে থাকা মাহমুদুল হাসান জয় সহজ ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি। এতে ব্যক্তিগত ৯ রানে জীবন পান মাদুশকা। প্রথম ঘণ্টায় সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করার পর দ্বিতীয় ঘণ্টার শুরুতেই রান-আউটের সুযোগ এসেছিল। তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এতে বেঁচে যান করুণারত্নে। ইনিংসের ১৬তম ওভারে খালেদের প্রথম বলে পয়েন্টের দিকে ঠেলে দিয়ে প্রান্ত বদলের জন্য ছুটেন নিশান মাদুশকা। শুরুর দিকে করুণারত্নেও সাড়া দেন। তবে মাঝপথে গিয়ে আসন্ন বিপদ বুঝতে পারেন। এতে কিছুটা হালও ছেড়ে দিয়েছিলেন এই ওপেনার। কিন্তু দারুণ সুযোগ পেয়েও স্ট্যাম্প ভাঙতে পারেননি মিরাজ। এতে ১৮ রানে বেঁচে যান করুণারত্নে। এরপর ইনিংসের ২২তম ওভারে আবারও বড় সুযোগ হাতছাড়া করে টাইগার শিবির। হাসানের বলে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলেছিলেন করুণারত্নে। তবে সেখানে বল মুঠোবন্দি করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। এতে এই ওপেনারও বেঁচে যান। তবে উইকেটের ফায়দা তুলে নিয়ে ঠিকই রানের চাকা সচল রাখেন লঙ্কান দুই ওপেনার। দলীয় ৮৮ রানের সংগ্রহের পথে ইনিংসের ২৩তম ওভারেই ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পঞ্চাশ তুলে নেন মাদুশকা। ৮০ বলে ৬ চারে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন এই ওপেনার।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৮

বাবা হতে না পেরেও আক্ষেপ নেই অভিনেতা শুভাশিস মুখার্জির
ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা শুভাশিস মুখার্জি। কমেডিয়ান হিসেবে অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পর্দায় তার উপস্থিতি দর্শক সারিতে হাসির ঢেউ বয়ে যায়। রুপালি জগতের এই রঙিন মানুষের হৃদয়েও জমে আছে একরাশ বিষণ্নতা। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম টিভি নাইনকে সাক্ষাৎকার দেন শুভাশিস। এ আলাপচারিতায় বিষণ্নতা বা পূর্ণতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে নিজের দুঃখটাকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করেন এই অভিনেতা। শুভাশিস মুখার্জি বলেন, আমি সন্তানের বাবা হতে পারিনি তো কী হয়েছে! এই নিয়ে আমার কোনো দুঃখ নেই। দিব্যি আছি আমি আর ঈশিতা। শুভাশিস মনে করেন একজন আদর্শ জীবনসঙ্গী থাকা খুব দরকার। তার সেই আদর্শজীবন সঙ্গী হলেন তার স্ত্রী ঈশিতা। শুভাশিস মুখার্জি ১৯৮৬ সালে ঈশিতা মুখার্জিকে বিয়ে করেন। পরিচয় এবং প্রেমপর্ব মিলিয়ে প্রায় ৪ দশকের সম্পর্ক এ দম্পতির। প্রথম পরিচয়ের স্মৃতিচারণ করে শুভাশিস বলেন, কলকাতার ম্যাক্সমুলার ভবনে একটি নাটক করতে গিয়ে ঈশিতার সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ। তারপর বন্ধুত্ব এবং প্রেম। পরে আমরা বিয়েটাও করলাম। স্ত্রীর প্রশংসা করে শুভাশিস মুখার্জি বলেন, ওর মতো মেয়ে হয় না। আমি ওকে পেয়ে সত্যিই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। 
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:২৯

কোহলিদের ১৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচালো রেণুকা-মান্ধানারা
আইপিএলের জনপ্রিয় দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়েছে খেলেছেন গেইল-ম্যাককালামদের মতো বাঘা বাঘা ক্রিকেটাররা। এ ছাড়া দলে রয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলি। তবে গত ১৬টি আসরের মধ্যে এখনও শিরোপা জয়ের স্বাদ পায়নি দলটি।  তবে ম্যাককালাম-কোহলিদের মতো তারকা ক্রিকেটাররা যা করে দেখাতে পারেনি, নারী আইপিএলের দ্বিতীয় আসরেই তা করে দেখিয়েছে স্মৃতি মান্ধানারা। ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। রোববার (১৭ মার্চ) নারী আইপিএলের ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে বেঙ্গালুরুকে ১১৪ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় দিল্লি। জবাব দিতে নেমে তিন বল এবং আট উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বেঙ্গালুরু। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন স্মৃতি মান্ধানা। দুজনের ৪৯ রানের জুটিতে জয়ের পথ সহজ হয় দলটির জন্য। ২৭ বলে ৩২ রান করে আউট হন সোফি ডেভিন। ৩৯ বলে ৩১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। তবে রিচা ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন এলিসা পেরি। শেষ পর্যন্ত ঘোষের ১৪ বলে ১৭ রান এবং পেরির ৩৭ বলে অপরাজিত ৩৫ রানে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দিল্লির দুই ওপেনার মেগ লানিং ও শেফালি ভার্মা। তবে শেফালি ২৭ বলে ৪৪ রান এবং লানিং ২৩ বলে ২৩ রান করে আউট হলে উইকেট মিছিল শুরু করে বাকিরা। এতে ১১৩ রানে অলআউট হয় দিল্লি। প্রথম আসরেও ফাইনালে খেলেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। সেবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে শিরোপা খুইয়েছিল তারা। তাই টানান দুইবার ফাইনাল খেলেও শিরোপার স্বাদ থেকে বঞ্চিত থেকে গেল দিল্লি।
১৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:২০

উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে ৯২ বছরের আক্ষেপ ঘুচল নিউজিল্যান্ডের
কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতলো নিউজিল্যান্ড। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে প্রোটিয়াদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতলো ব্ল্যাক-ক্যাপসরা। প্রথম টেস্ট ২৮১ রানে জিতেছিল কিউইরা। ১৯৩২ সাল থেকে দ্বিপাক্ষিক টেস্ট সিরিজ খেলছে নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৭ বারের মোকাবিলায় একবারও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি নিউজিল্যান্ড। অবশেষে ৯২ বছর পর ও ১৮তম সিরিজে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়লো কিউইরা। দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি এসএ টি-টোয়েন্টির কারণে মূল খেলোয়াড়রা না থাকায় এই সিরিজে ৭ জন খেলোয়াড়ের অভিষেক করে দক্ষিণ আফ্রিকা। হ্যামিল্টন টেস্ট জিততে তৃতীয় দিন নিউজিল্যান্ডকে ২৬৭ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে দিন শেষে ১ উইকেটে ৪০ রান করে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের বাকি দু’দিনে ৯ উইকেট হাতে নিয়ে ২২৭ রান দরকার ছিল ব্ল্যাক-ক্যাপসদের। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থ দিন নিউজিল্যান্ড শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন দক্ষিণ আফ্রিকার অফ-স্পিনার ডেন পিট। ৫ চারে ৩০ রান করে পিটের দ্বিতীয় শিকার হন টম লাথাম। ৫৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে ৬৪ রানের জুটি গড়েন উইলিয়ামসন। জুটিতে ২০ রান অবদান রাখা রাচিনকে শিকার করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পিট। দলীয় ১১৭ রানে রাচিন ফেরার পর ক্রিজে উইলিয়ামসনের সঙ্গী হন উইল ইয়ং। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের বিপক্ষে অবলীলায় রানের চাকা ঘুরিয়েছেন উইলিয়ামসন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ইয়ং। এতে ৩ উইকেটে ১৭৩ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যায় নিউজিল্যান্ড। তখন ৯২ রানে অপরাজিত ছিলেন উইলিয়ামসন। বিরতির পর টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩২তম সেঞ্চুরি তুলে নেন উইলিয়ামসন। ইনিংস (১৭২) বিবেচনায় দ্রুততম ৩২তম সেঞ্চুরির নজির গড়েন উইলিয়ামসন। এতে ভেঙে যায় ১৭৪ ইনিংসে ৩২তম সেঞ্চুরি করা অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথের রেকর্ডটি। এই নিয়ে চতুর্থ ইনিংসে পঞ্চম সেঞ্চুরি করে পাকিস্তানের ইউনুস খানের রেকর্ড স্পর্শ করলেন উইলিয়ামসন। সর্বশেষ ৭ টেস্টে সপ্তম ও চলতি সিরিজে ৪ ইনিংসে তৃতীয় শতক হাঁকালেন র‌্যাংকিংয়ের এই শীর্ষ ব্যাটার। উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরির পর ইয়ংয়ের হাফ-সেঞ্চুরিতে জয় পেতে সমস্যা হয়নি নিউজিল্যান্ডের। ৩ উইকেটে ২৬৯ রান তুলে টেস্ট ও সিরিজ জিতে নেয় কিউইরা। চতুর্থ উইকেটে ইয়ংয়ের সঙ্গে ২৮৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ১৫২ রান যোগ করেন উইলিয়ামসন। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে পিট ৯৩ রানে ৩ উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে ৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা নিউজিল্যান্ডের উইলিয়াম ও’রুর্ক। তিন সেঞ্চুরিতে ৪০৩ রান করে সিরিজসেরা উইলিয়ামসন। এই জয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখলো প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড। ৪ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ হারে ৭৫ শতাংশ পয়েন্ট আছে কিউইদের।  ১০ ম্যাচে ৫৫ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে ৪ ম্যাচে ১ জয় ও ৩ হারে টেবিলের অষ্টম স্থানে নেমে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ ম্যাচে ৫০ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে আছে  বাংলাদেশ।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৪৯

হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে আক্ষেপ করে যা বললেন তার বোন পিনু
মৃত্যুর মতো স্নিগ্ধ, এত গভীর সুন্দর আর কিছু নেই। মৃত্যু অনিবার্য, তুমি যখন জন্মেছো তখন তোমাকে মরতেই হবে। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করো, গ্রহণ করো, বরণ করে নাও। তাহলেই দেখবে জীবন অনেক সুন্দর। এমনটাই বলেছিলেন আমাদের কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি। ২০১২ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে পাড়ি দেন না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুর ১২ বছর পূর্ণ হলো মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি)। ফরীদিকে হারানোর এক যুগ স্মরণ করা হচ্ছে নানা আয়োজনের মাধ্যমে, অথচ বেঁচে থাকতে তার মেধার সঠিক মূল্যায়ন হয়নি। দুঃখ প্রকাশ করে এমনটিই জানালেন হুমায়ুন ফরীদির বড় বোন পিনু ফরীদি। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যক্তিগতভাবে হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন শিশুচিত্তের। পরিবারের সঙ্গে হইচই ও আড্ডা দিতে খুবই পছন্দ করতেন। একটি সংস্কৃতিমনা পরিবারে বেড়ে উঠেছেন তিনি। ছোটবেলায় হুমায়ুন আমার বাবার কবিতা পাঠ শুনে মুগ্ধ হতেন। তখন থেকেই অভিনয় তাকে টানতো। তিনি আরও বলেন, একজন হুমায়ুন ফরীদির মতো শিল্পীর জন্ম বারবার হয় না। একজন প্রকৃত অভিনেতা হিসেবে পুরো জীবন কাটিয়েছেন। অভিনয়কেই যেন তার ভেতরে ধারণ করে গেছেন।  কানকাটা রমজান থেকে নব্বই দশকের একের পর এক ব্যবসা সফল বাণিজ্যিক সিনেমা উপহার দিয়ে গেছেন হুমায়ুন ফরীদি। খলনায়কের চরিত্রও পর্দার মূল আকর্ষণ হিসেবে স্পষ্ট ছাপ রেখে গেছেন তিনি। ১৯৫২ সালের ২৯ মে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন ফরীদি। তার বাবার নাম এ টি এম নূরুল ইসলাম ও মা বেগম ফরিদা ইসলাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ১৯৬৫ সালে পিতার চাকরির সুবাদে মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু হুমায়ুন ফরীদির। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ফরীদি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে জড়িয়ে পড়েন নাট্যাঙ্গনের সঙ্গে। ১৯৭৬ সালে নাট্যজন সেলিম আল দীনের উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় নাট্যোৎসব। আর হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন এর অন্যতম প্রধান সংগঠক। এই উৎসবে ফরীদির নিজের রচনায় এবং নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় ‘আত্মস্থ ও হিরন্ময়ীদের বৃত্তান্ত’ নামে একটি নাটক। ওই সময় নাটকটি সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। হুমায়ুন ফরীদির অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘ভণ্ড’, ‘ঘাতক’, ‘ব্যাচেলর’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘টাকার অহংকার’, ‘অধিকার চাই’, ‘সন্ত্রাস’, ‘দহন’, ‘লড়াকু’, ‘দিনমজুর’, ‘বীর পুরুষ’, ‘বিশ্ব প্রেমিক’, ‘আজকের হিটলার’, ‘দুর্জয়’, ‘শাসন’-সহ অসংখ্য সিনেমা উপহার দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে। এ ছাড়া অভিনেতার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো— ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘নিখোঁজ সংবাদ’, ‘হঠাৎ একদিন’, ‘পাথর সময়’, ‘সংশপ্তক’, ‘সমূদ্রে গাংচিল’, ‘কাছের মানুষ’, ‘মোহনা’, ‘নীল নকশাল সন্ধানে’, ‘দূরবীন দিয়ে দেখুন’, ‘ভাঙ্গনের শব্দ শুনি’।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৩

নানাকে শেষবার না দেখার আক্ষেপ নাতির
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা অমল বোস। পুরো নাম অমলেন্দু বিশ্বাস। বাংলাদেশ টেলিভিশনের যাত্রা শুরুর পর থেকেই টিভি নাটকে তিনি ছিলেন একজন পরিচিতি মুখ। পরবর্তীতে কাজ করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রেও। ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে ‘নানা-নাতি’ কৌতুক নাটিকার মধ্য দিয়ে দৈনন্দিন জীবনের নানা অসঙ্গতির চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশের দর্শকদের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নেন ‘নানা’ অমল বোস। ‘নানা-নাতি’ কৌতুক নাটিকায় নাতি চরিত্রে অভিনয় করতেন নিপু। নিপুর পুরো নাম শওকত আলী তালুকদার। পর্দার সেই সম্পর্ক পরবর্তী সময়ে নানা-নাতির মতোই ছিল। ‘নানা’র জন্য এখনও নাতি নিপুর আফসোস রয়েছে। অভিনয় থেকেই নানা অমল বোস ও নাতি নিপুর বোঝাপড়া শুরু। সম্পর্ক গড়িয়েছিল পরিবার পর্যন্ত। সময় পেলেই নিপু চলে যেতেন নানাবাড়ি। জীবনের অনেক কিছুই শিখেছেন অভিনেতা অমল বোসের কাছে। তাদের সেই জনপ্রিয় জুটি ভেঙে যায় ২০১২ সালে আজকের দিনে। অমল বোসের প্রয়াণদিবসে প্রিয় মানুষকে স্মরণ করে নিপু বলেন, দিনটির কথা কখনোই ভুলব না। এই দিনেই আমি নানাকে হারিয়ে একা হয়েছি। প্রতিটা মুহূর্তে নানাকে আমি মিস করি। যেখানেই যাই, দর্শক এখনো বলেন, ওই যে নানার নাতি যায়। দর্শকেরা মনে করতেন আমরা সত্যিকারের নানা-নাতি। তখন মনে হয়, নানা আমার সঙ্গে আছেন। একসঙ্গে অভিনয় করে এমন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আর হয়েছে কি না, আমার জানা নেই। আমি আর দাদা ছিলাম মানিকজোড়। দর্শক আমাদের নানা-নাতি হিসেবে চিনলেও আমি অমলদাকে সব সময় দাদা বলতাম। একসঙ্গে দেশের নানা প্রান্তে স্টেজ অনুষ্ঠান করতে যেতেন তারা। এই সময়টা ছিল নিপুর জন্য শিক্ষণীয়। তিনি অমল বোসের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতেন। নিপু বলেন, নানা আমাকে হাতে ধরে ধরে সব শিখিয়েছেন। তখন বুঝতাম, মানুষটা ভালো অভিনেতাই নন, ভালো একজন মানুষও। আমি তার সঙ্গে আড্ডা দিতে চাইতাম। ছুটে চলতাম দেশের আনাচকানাচে। বোঝাতেন, দর্শকেরাই শিল্পীর প্রাণ। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে বলতেন। নানা কাছে নিয়ে বলতেন, এইভাবে মাইক্রোফোন ধরবি। এইভাবে মানুষের সঙ্গে কথা বলবি। একসঙ্গে অনেক সময় কেটেছে। নানা আমাকে শিখিয়েছেন, জীবনে খুব বেশি কাজের দরকার নেই। ভালো কাজ কম হলেও দর্শক সেই কাজ দিয়েই মনে রাখবে। সে কারণে এখনো কম কাজ করি। নিপু জানান, ‘ইত্যাদি’তে অভিনয় করে আলোচিত হওয়ার পরই তারা বেশি ডাক পেতেন। দেশের নানা প্রান্তে অনুষ্ঠান করতে হতো। ভক্তরা কাছে পেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। নানা-নাতিকে ঘিরে ধরতেন। কেউ ছুঁয়ে দেখতে চাইতেন। কেউ বলতেন অভিনয় করে দেখাতে। কখনো তারা ভক্তদের সঙ্গেও জুড়ে দিতেন আড্ডা। একসঙ্গে অভিনয় ও অনুশীলন করতে গিয়ে প্রায়ই তাদের দেখা হতো। নিপু বেশির ভাগ সময় ছুটে যেতেন অমল বোসের বাড়িতে। সম্পর্কটা একসময় পরিবার–ঘনিষ্ঠ হয়। তারা দেখা হলে মন খুলে কথা বলতেন। দুটি আক্ষেপের কথা শোনালেন নিপু।  অমল বোস মারা যাওয়ার আগে মাছ খেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ মারা যাওয়ার কারণে নানাকে মাছ খাওয়াতে পারেননি। এটাই তার বড় আক্ষেপ। জানালেন, যখন যেতেন, নানার পছন্দের ফল ও অন্যান্য খাবার সঙ্গে নিয়ে যেতেন। মাছ খাওয়ানোর আক্ষেপ আর ঘোচাতে পারবেন না। নিপু বলেন, আমার এই আক্ষেপ সারা জীবন মনে থাকবে। এখনো আমাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয় মাছ খাওয়ানোর ঘটনাটা। নানা হঠাৎ মারা যান। আর সেই সময় আমি বিদেশে ছিলাম। নানাকে আমি শেষ দেখা দেখতে পারিনি, এই কষ্ট আমি আজীবন বয়ে বেড়াব। দুটি ঘটনা আমাকে খুবই কষ্ট দেয়। গুণী সেই অভিনেতাকে হারানোর এক যুগ হয়ে গেল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি)। ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকায় মারা যান তিনি। এদিন সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে অমল বোসকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয়। দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসক জানান, তিনি মারা গেছেন। ১৯৪৩ সালে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় জন্ম নেওয়া অমল বোসের অভিনয়ে প্রবেশ যাত্রা মঞ্চ দিয়ে। অভিনয় পাগল এই মানুষটি ১৯৬৬ সালে ‘রাজা সন্যাসী’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। চলচ্চিত্র, মঞ্চ এবং টেলিভিশন সব মাধ্যমেই তিনি ছিলেন জনপ্রিয় এবং ভালোবাসার মানুষ। সত্তরের দশকে পরিচালনায়ও নাম লিখিয়েছিলেন অমল বোস। তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘কেন এমন হয়’। ‘রাজা সন্ন্যাসী’ ছাড়াও ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘মহুয়া’, ‘সোনালি আকাশ’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘গুনাই বিবি’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’, ‘অবিচার’, ‘আজকের প্রতিবাদ’, ‘আমি সেই মেয়ে’, ‘তোমাকে চাই’, ‘অজান্তে’, ‘মন মানে না’, ‘কাজের মেয়ে’, ‘আমি তোমারি’, ‘তুমি শুধু তুমি’, ‘সন্তান যখন শত্রু’, ‘বিয়ের ফুল’, ‘তোমার জন্য পাগল’, ‘মিলন হবে কতো দিনে’, ‘ক্ষেপা বাসু’, ‘মন’, ‘ভালোবাসা কারে কয়’, ‘হঠাৎ বৃষ্টি’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘মায়ের সম্মান’, ‘রং নাম্বার’, ‘কুসুম কুসুম প্রেম’সহ শতাধিক সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন।  
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৮

ড. ইউনূসের কথায় আক্ষেপ আর আক্ষেপ
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস বলেছেন, শাস্তি আমাদের কপালে ছিল, জাতির কপালে ছিল। আক্ষেপ করে ড. ইউনূস বলেন, আজকে ইংরেজি বছরের প্রথম দিন। সারা দুনিয়া এটি পালন করে বছরের নতুন দিন হিসেবে। আমরা আজকে আদালতে এসেছিলাম রায় শোনার জন্য। এসে মনটা ভরে গেলো। আমার বহু বন্ধু-বান্ধব এখানে পেয়ে গেলাম। যাদের সঙ্গে আমার বহুদিন দেখা হয়নি। এরা আজকে এসেছে, এই আনন্দের দিনে যে আমার কি রায় হয়, আমার কি অবস্থা দাঁড়াল, তা দেখার জন্য যে। আমি কিন্তু খুব খুশি তাদের দেখে। মনটা ভরে গেলো। সোমবার (১ জানুয়ারি) শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলার রায় ঘোষণার পর এসব কথা বলেন তিনি। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। ড. ইউনূস বলেন, যে অপরাধ আমরা করিনি, তার শাস্তি পেলাম। যে রায় পেলাম। যে দোষ আমরা করিনি, সেই দোষের ওপরে শাস্তি পেলাম। এটা আমাদের কপালে ছিল, জাতির কপালে ছিল। আমরা সেটা গ্রহণ করলাম। এটাকে যদি ন্যায়বিচার বলতে চান, বলেন। এই দোষ কীভাবে আদালত থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা বিচার পাব। সেটা আমাদের আইনজ্ঞ এখানে আছে তিনি ব্যাখ্যা করবেন। তবে আমাদের মনে দুঃখটা রয়ে গেলো, আজকে এই আনন্দের দিনে, আমরা এই আঘাতটা পেলাম।  ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এস এম আরিফুজ্জামান মামলাটি করেন। গত ৬ জুন এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন ড. ইউনূস ও অন্যরা। আপিল বিভাগ গত ২০ আগস্ট সেই আবেদন চূড়ান্তভাবে খারিজ করে দেন। এরপর ২২ আগস্ট শ্রম আদালতে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শেষ যুক্তিতর্ক শোনার পর এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন আদালত। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা শ্রম আইন, ২০০৬ এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা, ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বাৎসরিক ছুটি দেওয়া, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেওয়া হয় না। মামলায় আরও অভিযোগ আনা হয়, গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত তহবিলে জমা দেওয়া হয় না। অভিযোগের জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে ৯ নভেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজন বিবাদী লিখিতভাবে আদালতকে বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী। কারণ, গ্রামীণ টেলিকম যেসব ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলো চুক্তিভিত্তিক। তবে গ্রামীণ টেলিকমের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে স্থায়ী কর্মীর মতো ভবিষ্য তহবিল (প্রভিডেন্ট ফান্ড), আনুতোষিক (গ্র্যাচুইটি), অর্জিত ছুটি ও অবসরকালীন ছুটি দেওয়া হয়ে থাকে। মামলায় নিয়োগ স্থায়ী না করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা প্রশাসনিক ও দেওয়ানি মামলার বিষয়। আদালতে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। এর লভ্যাংশ বিতরণযোগ্য নয়, সামাজিক উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।
০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়