• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শ্রীপুরে আকস্মিক পাখি মৃত্যু, তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন
গাজীপরে শ্রীপুরে আকস্মিক পাখি মৃত্যুর ঘটনায় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। এ সময় তারা সেখান থেকে কয়েকটি মারা যাওয়া পাখির নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করে ময়নাতদন্তের জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠায়। ময়নাতদন্তের পর পাখি মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।  বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সিটাপাড়া গ্রামের পাখি মৃত্যুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা ওইদিন (বুধবার) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তথ্য সংগ্রহ করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বায়োডাইভার্সিটি কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বায়োডাইভার্সিটি কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সিটপাড়া গ্রামে অর্ধশতাধিক পাখি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। পাখি মারা যাওয়ার ঘটনাস্থল সিট পাড়া গ্রামের গার্ডেনিয়া ওয়্যার লিমিটেড (পোশাক কারখানা) সামনে কয়েকটি গাছ এবং স্থানীয় কৃষকদের শস্যখেত রয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, সরেজমিনে ঘটনাস্থলের আশপাশের লোকজনদের সঙ্গে পাখি মারা যাওয়ার বিষয়ে কথা বলি ও মৃত পাখি সংগ্রহ করি। এ সময় জানতে পারি ওইদিন স্থানীয় গার্ডেনিয়া ওয়্যার লিমিটেড কারখানা শ্রমিক চা বিরতির সময় (সকাল ১০টায়) কারখানা থেকে বাহিরে বের হলে দেখতে পান কয়েকজন নারী ও শিশু মারা যাওয়া পাখিগুলো ওই কারখানার সামনে এনে এক জায়গায় জড়ো করে রাখছে। পরে সে মারা যাওয়া পাখিগুলোর ছবি ভিডিও করে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে (ফেসবুকে) পোস্ট করে। ফেসবুকে পোস্টে তথ্য প্রচার দেন কৃষকের খেতের ফসল প্রায় নষ্ট করে ফেলায় ক্ষেতে দেয়া বিষ বা বিষ মিশ্রিত পানি খেয়ে অর্ধশতাধিক পাখি মারা গেছে। বাস্তবে মৃত পাখির সংখ্যা আরও কম। বুধবার আমরা ঘটনাস্থল থেকে ১২টি মৃত পাখির তথ্য জানতে পেরেছি। এদের মধ্যে ২টি ছিল তিলা ঘুঘু এবং বাকি ১০টি ছিল বনছাতারে পাখি (অঞ্চলিক নাম খেই খেই পাখি)। এগুলোর মধ্যে ১০টি মৃত পাখি ঢাকায় আই আর ডিসি আর ল্যাবে ময়নাতদন্তের জন্য নমুনা হিসেবে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আকস্মিক পাখি মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তিনি বলেন, আশপাশে সবজিখেত রয়েছে। আগের দিন হয়তো কেউ সেখানে কীটনাশক স্প্রে/প্রয়োগ করেছে। ওই বিষ কিংবা কীটনাশক খাওয়া কোনো পোকামাকড় খেয়ে বিষক্রিয়া হওয়ার কারণেই এরকম ঘটনা ঘটে থাকতে পরে বলে মনে করেন তদন্ত দলের সদস্যরা। সকাল বেলা খালি পেটে পাখির ফিডিং টাইমে ওই পোকামাকড় খাওয়ার পরে হয়তো পাখি মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বিষ প্রয়োগ করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বা ইচ্ছাকৃতভাবে পাখি মারার জন্য কেউ বিষ প্রয়োগ করার কোনো তথ্য আমরা পাইনি। এটা ছিল বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা। তবে ঢাকার রোগ অনুসন্ধান ও গবেষণাগারে স্যাম্পল ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই পাখি মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের চিকিৎসক ভেটেরিনারি সর্জিন মোস্তাফিজুর রহমানও জানালেন একই তথ্য। বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বায়োডাইভার্সিটি অফিসার রুবিয়া ইসলাম ছাড়াও তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকার খামারবাড়িতে কর্মরত প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে কর্মরত ভেটেরিনারি সার্জন ফয়সাল আতিক, গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের চিকিৎসক ভেটেরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান, বন বিভাগের ভাওয়াল রেঞ্জ অফিসার কাজী নাজমুল হোসেন, চারজন ভেটেরিনারি সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৩

শ্রীপুরে আকস্মিক অর্ধশতাধিক পাখির মৃত্যু
গাজীপুরের শ্রীপুরে হঠাৎ অর্ধশতাধিক পাখির মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া পাখির মধ্যে বেশির ভাগই ঘুঘু। এ ছাড়া শালিকসহ বিভিন্ন জাতের পাখি রয়েছে।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সিটপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, এত পাখি একসঙ্গে মারা যাওয়ার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুকে) ছড়িয়ে পড়েছে। সকাল থেকে সিটপাড়া ও আশপাশের এলাকা থেকে বিভিন্ন বয়সের লোকজন পাখি দেখতে ওই গ্রামে ভিড় করছেন। গত কয়েকদিন এলাকায় কোনও কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়নি, তাহলে পাখিগুলো কেন মারা গেছে? এ প্রশ্ন তাদের। বরমী ইউনিয়নের সিটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আসাদ মিয়া বলেন, আমি সকালে কর্মস্থলে (কারখানায়) চলে যাই। দুই ঘণ্টা পর চা বিরতির সময় কারখানা থেকে বাইরে বের হলে দেখতে পাই, কয়েকজন নারী ও শিশু মারা যাওয়া পাখিগুলো এনে এক জায়গায় স্তূপ করে রাখছে। পরে সেগুলোর ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুকে) পোস্ট করেছি। সিটপাড়া গ্রামের শিশু তাওহিদ (৮) বলে, আমি সকাল ৯টার দিকে এদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ ওপর থেকে একটা পাখি আমার সামনে এসে পড়ছে। সঙ্গে সঙ্গেই গজারি গাছ থেকে আরও পাখি নিচে পড়ে যায়। গজারি গাছের পাশের আরেকটা গাছ থেকেও পাখি পড়েছে। আমগাছ থেকে পড়েছে আরও দুটি। পাখিগুলো কুড়িয়ে এনে একটা জায়গায় রেখেছি। কয়েকটা পাখির মুখ দিয়ে পানি ঝরতে দেখেছি। গাজীপুর পরিবেশ আন্দোলন সভাপতি ফেডরিক মুকুল বিশ্বাস বলেন, পাখি মারা যাওয়ার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবো। বিষয়টি বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে জানাতে হবে। নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সাঈদ চৌধুরী জানান, এরকম লক্ষণ সাধারণত বিষক্রিয়ায় হয়ে থাকে। যেমন কোনও জমির আগাছা ও ঘাস মারার জন্য অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করলে অথবা আশপাশের কোনও জমানো পানিতে কীটনাশক ব্যবহার করে থাকলে তা খেয়ে পাখিগুলো মারা যেতে পারে। তা ছাড়া আশপাশে কোনও স্থানে যদি কোনও কারখানা থাকে, সেখান থেকে নির্গত পানির সঙ্গে অতিরিক্ত কেমিক্যাল খেয়েও পাখিগুলো মারা যেতে পারে। বরমী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য স্থানীয় বাসিন্দা হারুন-অর রশিদ খন্দকার বলেন, সিটপাড়া গ্রামে গার্ডেনিয়া ওয়্যারস লিমিটেড (পোশাক তৈরি কারখানা) রয়েছে। ওই কারখানার পাশেই পাখিগুলো মারা গেছে। কেন এত পাখি মারা গেছে জানার চেষ্টা করছি। ঢাকা বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বলেন, কারখানার কোনও প্রভাবে পাখি মরছে কিনা তা দেখতে হবে। আমি খোঁজ নিচ্ছি।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:২৮

কারাগারে পুতিনবিরোধী নেতার আকস্মিক মৃত্যু
রাশিয়ার আলোচিত বিরোধী দলীয় নেতা ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টোর সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনি মারা গেছেন। কারাগারে বন্দি অবস্থায় আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে তার। রুশ সরকারি বার্তা সংস্থা তাস এ খবর নিশ্চিত করেছে। ইতোমধ্যে নাভালনির মৃত্যুর বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অবহিত করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ খুঁজে করতে তদন্ত হচ্ছে। গত বছরের শেষের দিকে রাশিয়ার আর্কটিক অঞ্চলের একটি কারাগারে পাঠানো হয় নাভালনিকে। এই কারাগারটিকে রাশিয়ার সবচেয়ে কঠিন কারাগার বলে মনে করা হয়। মাত্র ৪৭ বছর বয়সে নাভালনির আকস্মিক এই মৃত্যুর কারণ জানা নেই বলে জানিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন। তবে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাঁটার সময় হঠাৎ করে পড়ে যান নাভালনি।  গত জানুয়ারিতে ভিডিও কলের মাধ্যমে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন নাভালনি। তখন তার মাথা ন্যাড়া ছিল। এ ছাড়া তার শারীরিক অবস্থাও বেশ খারাপ দেখাচ্ছিল সে সময়। এর আগে গত ডিসেম্বরে হঠাৎ করে কারাগার থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ছয় সপ্তাহ কোনো খোঁজখবর ছিল না তার। প্রসঙ্গত, সন্ত্রাসবাদ এবং জালিয়াতির অভিযোগে নাভালনিকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০১০ সাল থেকেই তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন। পুতিন প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় নাভালনির মুক্তি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। সেই পুতিনের শাসনের অবসান দেখার সুযোগ আর তার হলো না। ২০১১-১২ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। ওই বিক্ষোভ আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন নাভালনি। রাশিয়ার সরকারের দুর্নীতির বিভিন্ন তথ্য সামনে এনেছিলেন তিনি। এ ছাড়া পুতিনের কাছের লোকদের বিভিন্ন গোপন তথ্যসংবলিত ভিডিও প্রকাশ করতেন তিনি। যা লাখ লাখ মানুষ দেখতেন। এরপর ২০১৩ সালে রাশিয়ার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে ওঠেন নাভালনি। সেই বছর মস্কোর মেয়র নির্বাচনে তিনি ২৭ শতাংশ ভোট পান। রাশিয়ার বেশিরভাগ মানুষের বিশ্বাস ছিল মস্কোর মেয়র নির্বাচন স্বচ্ছ ছিল না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি এত ভোট পেয়েছিলেন। রাশিয়ায় নাভালনিকেই একমাত্র বিরোধী নেতা বলে মনে করা হতো, যিনি সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিতে রাশিয়াজুড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষকে একত্রিত করতে সক্ষম ছিলেন। ২০২০ সালে তাকে সাইবেরিয়ায় বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। তবে সে যাত্রায় অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। সে সময় পশ্চিমা দেশগুলো জানায় যে, তার ওপর স্নায়ুবিক এজেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছিল।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৭

রেললাইনে আকস্মিক ফাটল, ট্রেন চলাচলে ধীরগতি
চুয়াডাঙ্গার উথলীতে রেললাইনে আকস্মিক ফাটল দেখা দিয়েছে। ঘটনাস্থল দিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে ট্রেন।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে জীবনগর উপজেলার উথলী গ্রামের এক ব্যক্তি রেললাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ রেললাইনে ফাটল দেখতে পান। চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমান জানান, ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস উথলী রেলস্টেশন অতিক্রম করার পর উথলী-দর্শনা রেলপথের তেঁতুলতলা-ঘোড়ামারা রেলগেটের মাঝামাঝি স্থানে রেললাইনে ফাটল দেখতে পেয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি বিষয়টি রেলপথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের জানান। পরে আনসার সদস্যরা রেললাইনের ওপর লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দর্শনা অভিমুখী একটি মালগাড়ি, খুলনা অভিমুখী ১৬ ডাউন মহানন্দ মেইল এবং পার্বতীপুর অভিমুখী ২৩ আপ রকেট মেইলকে ধীরগতিতে ঘটনাস্থল অতিক্রম করান। এ বিষয়ে উথলী রেলস্টেশনের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার আবু সাঈদ জানান, খবর পেয়ে রেললাইন মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়