• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‌‘ইন্ডিয়া আউট যারা বলছে, তারাই জনগণ থেকে আউট হয়ে গেছে’
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যারা আজকে ভারতবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে, বলছে ইন্ডিয়া আউট তারা আসলে বাংলাদেশের জনগণ থেকে আউট হয়ে গেছে । তারাই পাকিস্তানপন্থী, পাকিস্তানি যে আদর্শ সেটা প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। বুধবার (২৭ মার্চ) বিআইডব্লিউটিএ ভবনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার এই মাসেও আমরা দেখছি আবারও পানিঘোলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভারত সরকার, ভারতবাসী মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদেরকে যেভাবে সহায়তা করেছে, আমরা যদি সেটা ভুলে যাই, তাহলে আমরা কী ধরনের মানুষ হলাম। এক কোটি মানুষ ভারতের শরণার্থী শিবিরে স্থান পেয়েছিল। তারা তাদের খাইয়েছে, পরিয়েছে, শিক্ষা দিয়েছে, চিকিৎসা দিয়েছে, ট্রেনিং দিয়েছে, অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। সম্মিলিত মিত্রবাহিনী হিসেবে তারা সরাসরি অপারেশনে গেছেন। তিনি বলেন, ১৭ হাজার ভারতীয় সৈন্য এ মাটিতে ঘুমিয়ে আছে। হানাদার বাহিনীর হাত থেকে আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য তারা যে অবদান রেখেছে, এটা কি আমরা ভুলে যাব! আর আজকে এই দেশ থেকে ইন্ডিয়া আউট, ভারত আউট কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে এটা খুবই দুঃখজনক। যারা ভারতবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে, ইন্ডিয়া আউট বলছে, তারা আজকে বাংলাদেশের জনগণ থেকে আউট হয়েছে। তারা পাকিস্তানপন্থী এবং পাকিস্তানের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তিনি আরও বলেন, ভারত সহযোগিতা করেছে বলেই ভারতবিরোধী স্লোগান এবং রাজনীতিতে যখনই পরাজিত হয়ে যায় এবং জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখনই ভারতবিরোধী স্লোগান শুরু করে। ভারতবিরোধী স্লোগান মানেই তো সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি। এর মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লুকিয়ে আছে। এ সাম্প্রদায়িকতার জন্য কিন্তু আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। এ সাম্প্রদায়িকতার জন্য ৩০ লাখ মানুষ জীবন দেয়নি। এ সাম্প্রদায়িকতার জন্য লাখ লাখ মা ও বোনের আত্মত্যাগ নেই। আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাই। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ থাকলে দেশে এগিয়ে যাবে বর্তমান বাস্তবতা সেটি প্রমাণ করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করলে যে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় আজকে ২০২৪ সাল সেটি প্রমাণ করছে। ভারত আউট মানেই হলো সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে আহ্বান জানানো। আমরা তো সেই জায়গায় ফিরে যেতে চাই না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে সাধারণ করতে চায়; তারা বাংলাদেশের উন্নয়নটাকে, দেশের এগিয়ে যাওয়াটাকে সহ্য করতে পারেন না। বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ সারা পৃথিবীতে কেন বিস্ময়কর একটি জায়গায় চলে গেল, কেন এটি উন্নয়নের রোল মডেল হলো, এটা তাদের বড় কষ্ট। তারা এই উন্নয়ন চায় না, তারা সবসময় প্রভুত্ববাদের বেড়াজালে আবদ্ধ থাকতে চায়। দেশের উন্নয়ন এবং স্বাবলম্বী হওয়া তারা চায় না। এ জন্য বিভিন্নভাবে বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার চেষ্টা করে। বাকশাল একটি দেশের উন্নয়ন কর্মসূচি। সেই কর্মসূচিকে রাজনীতিকরণ তারা করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর শুধু একটাই কারণ-দেশের স্বাধীনতা সুখ যেন আমরা না পাই।  তিনি বলেন, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি কমিটি গঠন করে দিলো। ১০ সদস্যের ওই কমিটিতে ৭ জন নোবেল লরিয়েট ছিলেন। ওই কমিটি বাংলাদেশের ভবিষ্যতর সম্পর্কে গবেষণা করল। তারা গবেষণা করে দেখল এই দেশের কোন ভবিষ্যৎ নেই। এই দেশকে সাহায্য সহযোগিতা করে কোন লাভ হবে না। এটা অসুস্থ একটা রোগী। এটাকে আর বাঁচানো সম্ভব না। তখন তারা বলল-বাংলাদেশের দিকে না তাকিয়ে অন্য কোনো দেশের দিকে তাকাতে। হেনরী কিসিঞ্জার বলেছিল- বাংলাদেশ একটি তলাবিহীন ঝুড়ি। তাদের এই থিওরির বিপরীতে দাঁড়িয়ে এই দেশকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। এবং যেই জায়গায় নিয়ে গেছেন, সেই জায়গাগুলো এখনও আমরা ছুঁয়ে দেখতে পারি নাই। এ কারণেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ড শুধু একটি পারিবারিক হত্যাকাণ্ড নয়। হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য, একটি দেশকে হত্যা করার জন্য। তিনি আরও বলেন, আজকে তারই রক্তের উত্তরাধিকার দেশরত্ন শেখ হাসিনা সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন। ’৭৫-এর পরে অনেক পানি গড়িয়ে গেছে। আমরা যদি ’৭৫-এর এবং মুক্তিযুদ্ধে সেই জায়গায় ফিরে যেতে চাই- হবে না। কারণ, সমাজ অনেক বিশৃঙ্খলা হয়ে গেছে। শিক্ষায় বিশৃঙ্খলা হয়েছে, অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা হয়েছে। সবকিছুতে ভেজাল ঢুকে গেছে। এই ভেজালকে পরিশুদ্ধ করা কঠিন কাজ। এর মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন। এই স্বাধীনতার জন্য অনেকেই সংগ্রাম করেছেন। কারও কথায় স্বাধীনতা আসেনি। এই বাংলার সম্পদ দিয়ে লন্ডন শহর তৈরি করা হয়েছে, এই বাংলার সম্পদ দিয়ে কলকাতা শহর তৈরি করা হয়েছে। এই বাংলার সম্পদ দিয়ে ইসলামাবাদ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এই দেশের মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি। বঙ্গবন্ধু সেটা জানতেন এবং সেই পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। আমার সম্পদ দিয়ে আমার অধিকার তিনি প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। দেশের সম্পদ যারা লুণ্ঠন করেছিলেন, এই লুণ্ঠনকারীরা এদেশকে বাংলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে দিতে চাইবে না। বঙ্গবন্ধু সেটি করেছিলেন।  তিনি বলেন, বাংলাদেশ কারও একার দেশ না। এই দেশ ১৬ কোটি মানুষের দেশ। বঙ্গবন্ধু এই দেশটিকে আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন। আমাদের দায়িত্ব হল এই দেশটিকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানো। আত্মসম্মান নিয়ে দাঁড় করানো। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ভাইস চ্যান্সেলর হলো অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ মো. শরীফ উদ্দিন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৩

২৫ মার্চ রাতে দেশব্যাপী প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’
যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে আগামী ২৫ মার্চ (সোমবার) রাত ১১টায় দেশব্যাপী প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে এক মিনিটের জন্য। কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনাগুলো অবশ্য এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। শনিবার (২৩ মার্চ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দেবেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হবে গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভা। দেশব্যাপী আয়োজন করা হবে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।   এছাড়া, স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।   ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশনগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। এছাড়া ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় বিশেষ মোনাজাত হবে দেশের সব মসজিদে। প্রার্থনা করা হবে অন্যান্য উপাসনালয়গুলোতেও। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৯

‘ভুয়া ভুয়া’ বলার পরেও স্টক আউট ডা. সাবরিনার বই!
আলোচিত-সমালোচিত ডা. সাবরিনা হুসেন মিষ্টির প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘বন্দিনী’ এবারের বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে। তিন বছর বন্দিনী জীবনের কথা নিয়ে ডা. সাবরিনা এই গ্রন্থটি প্রকাশ করেছেন। করোনাকালে ডা. সাবরিনা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের জন্য টক অব দ্য কান্ট্রি ছিলেন। এদিকে সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যায় ডা. সাবরিনা বইয়ের স্টলে অনেকটাই মন খারাপ করে বসে আছেন। আর তার চারপাশে ক্রেতারা ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার করছেন। এ সময় দর্শকদের বলতে শোনা যায়, এই সাবরিনা করোনার সময় জনগণকে ঠকিয়েছে। তার বই কেউ কিনছে না। দেখতে একটু সুন্দর তাই সবাই দেখতে ভিড় করছে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়