• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চাঁদরাতে ফের অমির সঙ্গী হয়ে আসছেন আঁচল
এ সময়ের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী সৈয়দ অমি। চলতি বছরের শুরুতে তিনি নিয়ে আসেন দক্ষিণের আদলে ‘মাতাল’ শিরোনামের একটি মিউজিক ভিডিও। এতে তিনি হাজির হয়েছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখির সঙ্গে। গানটি প্রকাশ্যে আসতেই দর্শকদের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলে। খুব কম সময়ে দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে গানটি ছড়িয়ে যায়। প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর ভিউ। ডিজিটালের অন্য মাধ্যমেও ‘মাতাল’ গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেখানেও হয়েছে কয়েক কোটি ভিউ।  তারই ধারাবাহিকতায় অমির নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে চাঁদ রাতে আসছে নতুন আরও একটি গান-ভিডিও। শিরোনাম ‘বেবি কথা ছুইনা যাও’। পুরান ঢাকার কথার গানটির কথা ও সুর গায়কের। এবারও গানটিতে মডেল হিসেবে আছেন ‘সুলতানা বিবিয়ানা’খ্যাত চিত্রনায়িকা আঁচল। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন এ এম ফরহাদ, কোরিওগ্রাফি করেছেন হাবিবুর রহমান। মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন  শুভ্র মেহরাজ। ‘মাতাল’র সাফল্যে প্রসঙ্গে আঁচল-অমি বলেন, সবমিলিয়ে গানটি পাঁচশ মিলিয়ন মানুষ দেখেছে। তাদের এই ভালোবাসায় আমরা অভিভূত। একটি কাজ যখন মানুষের কাছে পৌঁছায় এবং তাদের পছন্দের তালিকায় যুক্ত হয় সেই অনুভূতি ব্যক্ত করা যায় না। এটি নতুন কাজের অনুপ্রেরণা দেয়। নতুন গান প্রসঙ্গে সৈয়দ অমি বলেন, এই প্রথম পুরান ঢাকার ভাষায় গান লিখেছি। গানের কথায় পুরান ঢাকার অনেক ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে গানের শুটিং আমরা পুরান ঢাকায় করিনি। কুমিল্লা ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কে শুটিং করেছি। আমার বিশ্বাস ‘মাতাল’ গানের মতো এই গানটিও জনপ্রিয়তা পাবে। জানা গেছে, ‘বেবি কথা ছুইনা যাও’ গানটিতে আঁচল হাজির হচ্ছেন কোটিপতির বাপের আদরের মেয়ের চরিত্রে। ওয়েস্টার্ন লুক, লন্ডন আমেরিকা বিভিন্ন দেশে ঘুরতে পছন্দ করেন। অন্যদিকে, সৈয়দ অমি খাঁটি পুরান ঢাকার ছেলে। এছাড়াও আসন্ন ঈদে অমির আরো কয়েকটি গান মুক্তি পাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালিত আনিসুর রহমান মিলন, সাইমন সাদিক, শবনম বুবলী ও রোশান অভিনীত ‘মায়া: দ্য লাভ’ সিনেমার ‘তুমি ছাড়া চাই না কিছু’ অন্যতম। বুধবার সন্ধ্যায় গানটি মুক্তি পেয়েছে। এই গানটি নিয়েও বেশ আশাবাদী সৈয়দ অমি।  
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫৩

ফ্ল্যাট থেকে গায়িকার লাশ উদ্ধার
ফ্ল্যাট থেকে জনপ্রিয় লোকসংগীত শিল্পী আঁচল প্যাটেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ২২। বুধবার (৬ মার্চ) ভারতের বারানসির উত্তরপ্রদেশ থেকে এই গায়িকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের শিবপুর থানা এলাকায় থাকতেন আঁচল। এদিন গায়িকার মৃত্যুর খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন তার ভাই বিকাশ।    বিকাশের দাবি— তার বোনকে স্বামী দীপক ও এক নারী মিলে খুন করেছেন। আপাতত বোনজামাই এবং সেই নারীর বিরুদ্ধে শিবপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।      ভারতীয় গণমাধমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আচলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানার জন্য তদন্তও করা হচ্ছে।      শিবপুর থানা থেকে পুলিশ জানায়, ইতোমধ্যে আঁচলের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী ও এক নারীকে আটক করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।   জানা গেছে, আঁচলের বাবার বাড়ি বারানসির ঢেলওয়ারিয়া এলাকায়। বিয়ের পর স্বামী দীপকের সঙ্গে শিবপুর থানা এলাকায় থাকতেন এই গায়িকা। মঙ্গলবার ফোনে মেয়ের মৃত্যুর খবর জানার পর সেখানে ছুটে আসে গায়িকার পরিবার। প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে দীপকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আঁচল। তাদের ফ্ল্যাটে বেশিরভাগ সময়ই বাইরের মানুষের আনাগোনা ছিল। এছাড়া দীপকও তার স্ত্রীকে নানানভাবে নির্যাতন করতেন বলে জানানো হয়েছে পুলিশকে।    সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস    
০৭ মার্চ ২০২৪, ১১:১০

সাধারণ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার সংখ্যা বেশি, কম মাদ্রাসায়
২০২৩ সালে সারাদেশে ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তাদের মধ্যে ৬০ দশমিক ২ শতাংশই নারী শিক্ষার্থী ছিল। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। অভিমান ও প্রেমের সম্পর্কের মতো আবেগজনিত কারণে আত্মহত্যার হার বেশি। প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কম আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংস্থা আঁচল ফাউন্ডেশন। সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা দেশের ১০৫টি জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকা এবং অনলাইন পোর্টাল থেকে তথ্য নিয়ে ‘২০২৩ সালে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা: পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়’ শিরোনামে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৩ সালে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার ২০২২ সালের কাছাকাছি। ২০২২ সালে দেশে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও  মাদ্রাসার ৫৩২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেন। আর ২০২৩ সালে ২০৪ জন পুরুষ শিক্ষার্থী (প্রায় ৪০ শতাংশ) এবং ৩০৯ জন নারী শিক্ষার্থী (৬০ শতাংশের বেশি) মোট ৫১৩ জন আত্মহত্যা করেছেন। তাদের মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী ২২৭ জন (মোট শিক্ষার্থীর ৪৪ শতাংশ), কলেজ শিক্ষার্থী ১৪০ জন (২৭ শতাংশ), বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ৯৮ জন (১৯ শতাংশ) এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রয়েছেন ৪৮ জন (৯ শতাংশের বেশি)। সংস্থাটি জানায়, বিভাগ হিসেবে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৪৯ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। মোট ৫১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬৭ শতাংশের বয়স ১৩ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। অভিমান ও প্রেমের সম্পর্কের মতো আবেগজনিত কারণে আত্মহত্যার হার বেশি, যা ৪৭ শতাংশ। আঁচল জানিয়েছে, ৫১৩ জনের মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা বেশি ঘটেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ জন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ জন, মেডিকেল কলেজের ৬ জন, নার্সিং ইনস্টিটিউটের ৫ জন, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ২ জন এবং অন্যান্য ১৫ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তথ্য বিশ্লেষণ সংস্থাটি জানান, এসময় যেসব আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে তার সিংহভাগ কারণ ছিল অভিমান। এ কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১৬৫ জন (যা ৩২ শতাংশের বেশি)। প্রেমঘটিত কারণে ১৫, মানসিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে প্রায় ১০, পারিবারিক কলহ থেকে ৬ , পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ১, পড়াশোনার চাপের সম্মুখীন হয়ে প্রায় ৫, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে প্রায় ৪, কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হয়ে প্রায় ২, যৌন হয়রানির শিকার হয়ে প্রায় ৩ এবং অপমান বোধ করে প্রায় ১ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আবেগ প্রকাশে আস্তার জায়গা না থাকায় এবং নারীর প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এসব ঘটনা বেশি ঘটেছে। তাই আত্মহত্যার প্রবণতা রোধে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবেগ নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা আনার ওপর জোর দিতে হবে। সেই সঙ্গে সব শিক্ষার্থীদের অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের কৌশল ও ধৈর্যশীলতার পাঠ শেখানোর বিষয়ে জোর দিতে হবে।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৭

‘মাতাল’ অমির সঙ্গী নায়িকা আঁচল
ঢাকাই সিনেমার নায়িকা আঁচল আঁখি চলচ্চিত্রে এখন অনিয়মিত। তবে সিনেমার পাশাপাশি মিউজিক ভিডিওর মডেল হিসেবে তাকে দেখা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি এবার ‘মাতাল’ শিরোনামের একটি গানে মডেল হয়েছেন।   সৈয়দ অমির গাওয়া গানটিতে ভিন্ন লুকে হাজির হয়েছেন আঁচল। সালাহউদ্দিন সাগরের কথায় গানটির সুর করেছেন অমি নিজেই এবং সঙ্গীতায়োজন করেছেন এ এন ফরহাদ। কক্সবাজার শুটকি পল্লীতে গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন শুভ্র মেহরাজ। কোরিওগ্রাফি করেছেন হাবিব রহমান। গানটিতে আরো ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা সীমান্ত। গতকাল সৈয়দ অমির ইউটিউব চ্যানেলে মিউজিক ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়।  এ প্রসঙ্গে আঁচল বলেন, দক্ষিণের আদলে মিউজিক ভিডিওটি নির্মিত হয়েছে। এই লোকেশনে প্রথমবারের মতো মিউজিক ভিডিও চিত্রায়ণ হয়েছে। এটি ভিন্ন ধাঁচের একটি মিউজিক ভিডিও। এতে দর্শক সিনেমার স্বাদ পাবে।  অমি ফোক ও আধুনিক ঘরানার গান করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। নিয়মিত সিনেমাতে প্লেব্যাক করছেন তিনি। নতুন গানটি নিয়ে অমি বলেন, এটি আমার অনেক পছন্দের একটি গান। গানের সঙ্গে মিল রেখে অসাধারণ একটি গল্প তৈরি করে ভিডিওটি নির্মিত হয়েছে। আশা করি, গানটি সবার হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়