• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
অস্বস্তি নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ
সিলেট টেস্টের প্রথমদিনে শ্রীলঙ্কাকে ২৮০ রানে গুঁটিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর প্রথম দিনের শেষ ঘণ্টায় নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২ রান করে টাইগাররা। ফলে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ২৪৮ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে লাল-সবুজেরা।তবে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন খুব একটা ভালো কাটেনি শান্ত-লিটনদের। দলীয় শতরান পার হওয়ার আগেই ৫ উইকেট হারায় টাইগাররা। এতে অস্বস্তি নিয়েই মধ্যাহ্নবিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগে ৬ উইকেটে টাইগারদের সংগ্রহ ১৩২ রান, লঙ্কানদের থেকে এখনও ১৪৮ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। প্রথম দিনে ৩ উইকেট হারানোর পর ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গী হয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। এই জুটিই শুরু করেছিলেন দ্বিতীয় দিনের খেলা। তবে ক্রিজে থিতু হতে পারেননি জয়। স্কোরবোর্ডে ২১ রান যোগ হতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই ওপেনার। কুমারার বলে ডি সিলভার মুঠোবন্দী হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন এই ওপেনার। ফেরার আগে ৪৬ বলে খেলেন ১২ রানের এক ইনিংস। জয় ফেরার পর তাইজুলের সঙ্গী হন শাহাদাত হোসেন দিপু। চাপের মুখে দিপুও দলীয় আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৮ রানে বিদায় নেওয়ার আগে তাইজুলের সঙ্গে গড়েন ৩০ রানে জুটি। দিপুর পর দ্রুত ফেরেন লিটনও। যদিও ক্রিজে এসে ভালোই শুরু করেছিলেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার। কুমারার দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে তাইজুলের সঙ্গে গড়েন ৪১ রানের জুটি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও একপ্রান্ত আগলে রেখে ৭১ বলে ৪১ রানে অপরাজিত আছেন তাইজুল। এর আগে, শুক্রবার (২২ মার্চ) টস জিতে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৮০ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। এরপর জবাব দিতে নেমে দিনের শেষ ঘণ্টায় ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানদের বোলিং তোপে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ৮ বলে ৯ রানে লেগ-বিফোরে কাঁটা পড়েন ওপেনার জাকির হাসান। ১০ বলে ৫ রানে ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার হন শান্ত। জাকিরের মতোই লেগ-বিফোরের শিকার হন টাইগার এই অধিনায়ক। এরপর ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি মুমিনুল হকও। ৭ বলে ৫ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৫

সবজি বাদে প্রায় সব পণ্যেই অস্বস্তি
রমজানের ১০ দিনের মাথায় এসে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে বাজারে। সবজিসহ কয়েকটি পণ্যের দাম অনেকটাই কমেছে। তবে চাল, ডাল, চিনিসহ আবশ্যক পণ্যগুলোর দাম এখনও চড়া থাকায় ভাটা পড়েছে এ স্বস্তিতে।  শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শাক-সবজি ছাড়াও পড়তির দিকে পেঁয়াজ-রসুন আর ডিমের দাম। দাম কিছুটা কমেছে মুরগিরও।  তবে সবজির মধ্যে ভেলকি দেখিয়েছে আলু। সপ্তাহের ব্যবধানে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন সবজিটির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৫ টাকা। সেইসঙ্গে উত্তাপ ছড়াচ্ছে মাছ, মাংস আর মসলার বাজার। আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল ও চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো। এবার ভরা মৌসুমেও কম দামে সবজি কিনতে পারেননি ক্রেতা। প্রতিটি সবজির দাম ছিল অস্বাভাবিক। রোজার শুরুতেও কয়েকটির দর ছিল চড়া। তবে এখন কিছুটা সুবাতাস বইছে সবজির বাজারে। যদিও গত শুক্রবার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেঁধে দেওয়া দর বাজারে বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার শুরুতে যে বেগুনের কেজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। যে শসার কেজি রোজার শুরুতে ছিল ১০০ টাকারও ওপরে, এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে। একইভাবে লাউ, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়াসহ ঝিঙা, করলার মতো সবজিগুলোর দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। বাজারে দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। পাইকারিতে বর্তমানে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়, আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি খিরাই ৩০-৪০ টাকা, গাজর ২০-২৫ টাকা, টমেটো ৩৫-৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, শালগম ২৫ টাকা ও পেঁয়াজের কলি ৩০ টাকায়  বিক্রি হতে দেখা গেছে শুক্রবার। আকারভেদে প্রতিপিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা, ব্রকলি ৫০ টাকা ও প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।  এতসব সবজির ভিড়ে দাম বেড়েছে আলুর। সপ্তাহান্তে ৪০-৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি ভোগ্য এই সবজিটি। এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরেই নিম্নমুখী পেঁয়াজের বাজার। ৭ দিন আগেও যে দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, তার দাম এখন প্রায় অর্ধেক বা কাছাকাছি চলে এসেছে। বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, ফরিদপুরে হালি পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তার উপর ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে এমন খবরেও বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। পেঁয়াজের সঙ্গে দাম কমেছে রসুনেরও। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতি কেজি দেশি রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। তবে আমদানিকৃত রসুনের দাম এখনও ২০০ টাকা কেজি। এছাড়া আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা; দাম ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। এছাড়া মাংসের বাজারে সুসংবাদ দিচ্ছে মুরগি। রোজার শুরুতে বেড়ে সর্বোচ্চ ২৩৫ টাকা ছুঁয়েছিল ব্রয়লার মুরগির দর। তবে, শুক্রবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০ থেকে ২১৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ১০-২০ টাকা কমেছে অন্যান্য জাতের মুরগির দামও। মুরগির সঙ্গে কমেছে ডিমের দামও। ফার্মের ডিমের ডজন এখন ১২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, রমজানে ডিমের চাহিদা কমে যায়। তবে ক্রেতার কপালে ঘাম ছুটছে মুদি দোকানে গিয়ে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতিটি ৫০ কেজির চালের বস্তার দাম মানভেদে বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আর খুচরায় কেজিতে বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডাল, চিনি, মসলা। এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৫০-১০০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। তবে বাড়েনি খাসির মাংসের দাম। বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকায়। মাংস বিক্রেতারা বলছেন, গরুর মাংসের দাম খুব শিগগিরই কমার সম্ভাবনা নেই। গরুর দাম বাড়ায় বাড়ছে মাংসের দামও। যারা কম দামে মাংস বিক্রি করেছে এতদিন, তারাও এখন দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৭:২৯

রোজার শুরুতে বাজারে অস্বস্তি 
প্রথম রোজা পালন করছে বাংলাদেশের মুসলমানরা। কয়েক দিন ধরেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তি ছিল। দাম কমানোর জন্য সরকার নানা উদ্যোগের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পণ্যের শুল্ক কমালেও এর কোনো প্রভাব নেই বাজারে। বরং  দাম বেড়েছে বেগুন, শষা ও লেবুর। সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর-৬ নম্বর সেকশন কাঁচাবাজার, পশ্চিম আগারগাঁওয়ের কাঁচাবাজার, মালিবাগ, মগবাজার, রামপুরা কাঁচাবাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা বড় আকারের এক হালি লেবুর দর হাঁকছেন ৮০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস লেবু ২০ টাকা। আকারে ছোট লেবুর পিস কেনা যাচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, গত দুদিনের ব্যবধানে প্রতি হালি লেবু ২০-৩০ টাকা, বেগুন ও শসা কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়েছে। ইফতারে ব্যবহার হয় এমন অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে গত দুদিনে। রমজানে বেশি ব্যবহার হয় এমন বেশির ভাগ কাঁচা পণ্যের দাম বাড়তির দিকে। এদিকে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ১১০ টাকা। গত বছর রোজার আগে একই পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪০ টাকার মধ্যে। এবার রোজায় দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। এ ছাড়া মসুর ডাল, অ্যাংকর ডাল, মুগডাল, ছোলা, চিনি, সোনালি মুরগি, গরুর মাংস, বিভিন্ন ধরনের মাছ, বেগুনসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি, ধনেপাতা ও ফলের দাম। কমেছে শুধু সয়াবিন তেলের দাম।  বাজারঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতিকেজি বেগুনের দাম ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। শসার কেজি ১০০ টাকা। ক্রেতারা বলছেন, অন্যান্য দেশে রোজা এলে পণ্যের দাম কমানো হয়। বাংলাদেশে বাড়ে। এদিকে নতুন করে ছোলার দাম কেজিতে বেড়েছে ৭ টাকা। ভারতীয় মসুর ডাল কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়েছে। বাড়তি দরের তালিকায় আছে চিনিও। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে দেড় শ টাকার ওপরে। বেড়েছে খেজুরের দাম। টিসিবির হিসাবে, সাধারণ মানের খেজুরের সর্বনিম্ন দর এখন ২৮০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ২৫০ টাকা ছিল। আবার ইফতারে অনেকেই খেজুরের পাশাপাশি মাল্টা, আপেল, পেয়ারা, আনারস, তরমুজ ইত্যাদি রাখার চেষ্টা করেন। ফলের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। যেমন এক কেজি মাল্টা ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা।
১২ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়