• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ১৩০ কোটি ডলারের অস্ত্র কিনছে ইসরায়েল
গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। এরই মধ্যে নতুন করে ইরানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে মার্কিন মদদপুষ্ট রাষ্ট্রটি। সব মিলিয়ে এই মূহুর্তে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে; সর্বাত্মক যুদ্ধের দামামা অঞ্চলটিতে। সবশেষ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতেও ইরানের ইস্পাহান শহরে পারমাণবিক স্থাপনার কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।  এরই মধ্যে সংঘাতময় মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে দিতে ইসরালের প্রতি সমর্থন প্রদর্শনের আরেকটি স্বাক্ষর রাখলো বাইডেন প্রশাসন। জাতিসংঘ ও শান্তিকামী বিশ্বের সব আহ্বানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইসরায়েলের কাছে আরও ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের ভারী সমরাস্ত্র বিক্রি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মার্কিন কংগ্রেসের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিশেষ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের সঙ্গে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের নতুন আরেকটি অস্ত্র চুক্তি করার কথা বিবেচনা করছে। এই চুক্তির আওতায় অস্ত্র সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ট্যাংকের গোলা, ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক যান ও ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মর্টারের গোলা পাবে ইসরায়েল।  ইতোমধ্যে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের কাছে এসব সমরাস্ত্র বিক্রির জন্য একটি প্রস্তাব কংগ্রেসনাল কমিটির সামনে এনেছে। এর আগে ইসরায়েলকে সহায়তায় ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আরেকটি প্রস্তাব আনা হয় ওই কমিটির সামনে। এদিকে সিএনএনের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব তোলে পরিষদের অস্থায়ী সদস্যদেশ আলজেরিয়া। কিন্তু ভেটো ক্ষমতার প্রয়োগ করে প্রস্তাবটি নস্যাৎ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।  যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের আরেকটি প্রতিবেদন অনুসারে, মধ্যপ্রাচ্যে শক্তি প্রদর্শনের জন্য ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র। অঞ্চলটির বিষফোঁড়া হয়ে ওঠা দখলদার রাষ্ট্রটি তার মোট অস্ত্র সহায়তার ৬৮ শতাংশই পায় তাদের মার্কিন মিত্রের কাছ থেকে। মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে শুধু অস্ত্রই নয়, আর্থিক ও নৈতিক সব ধরনের সমর্থনই তারা মূলত পেয়ে থাকে মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকেই।  ইসরায়েলকে সমর্থনের ক্ষেত্রে এরপরের স্থানটিই জার্মানির। মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক শক্তি চর্চার জন্য ইসরায়েলের মোট চাহিদার আনুমানিক ৩০ শতাংশ অস্ত্রই সরবরাহ করা হয় জার্মানির পক্ষ থেকে। বাদবাকি মাত্র দুই শতাংশ অস্ত্র তারা পায় ব্রিটেন, ইতালি এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোর কাছ থেকে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী পেনি ওং অবশ্য সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে তার দেশ অস্ত্র সরবরাহ করেনি ইসরায়েলকে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৮

ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রাশিয়ার অস্ত্র
রাশিয়ার অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনপিপি স্টার্টের আমন্ত্রণে মার্চ মাসে মস্কো সফর করেছিল ইরানের একটি প্রতিনিধিদল। অস্ত্র তৈরির কারখানা থেকে দরকারি সরঞ্জাম কেনাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ এ সফরের উদ্দেশ্য। সফরের শেষ দিন প্রতিনিধিদল যান অস্ত্র কারখানায়। এসব অস্ত্রের জন্যই দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় ছিল ইরান। এর মধ্যে রাশিয়ার উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ছিল অন্যতম, যা শত্রু যুদ্ধবিমানকে শনাক্তের পাশাপাশি উড়িয়ে দিতে পারে। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের। রাশিয়ার ইয়েকাতেরিনবার্গের ওই অস্ত্র কারখানায় মোবাইল লঞ্চার, বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র ছাড়াও রাশিয়ার উন্নত এস–৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তৈরি করা হয়। রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম মার্কিন ও ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান শনাক্ত ও তা ধ্বংস করার উপযোগী রুশ এই আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এমনটাই মূল্যায়ন করেছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে হ্যাকার গ্রুপের ফাঁস করা রুশ নথি ও ইরানের কিছু ই–মেইল অনুযায়ী, ইরানি কর্মকর্তাদের মার্চ মাসের রাশিয়া সফরের উদ্দেশ্য ছিল বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইরানকে কতটা উৎপাদন সক্ষম করে তোলা সম্ভব, তা খতিয়ে দেখা। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সফরের পর রাশিয়ার কাছ থেকে ইরান সরাসরি কোনো অস্ত্র কিনেছে কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি।  গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, এ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারত্ব গভীর হয়েছে। ইসরায়েলে গত শনিবার ইরানের হামলার পর সম্ভাব্য পাল্টা হামলার আগে রাশিয়া-ইরান জোট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। রাশিয়া গোয়েন্দা সক্ষমতার কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে ইরানকে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে রাশিয়ার সবচেয়ে উন্নত এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান ইরানকে দেওয়া হয়েছে কি না, তার এখনো কোনো প্রমাণ নেই বলেও প্রতিবেদনে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক এই সংবাদ মাধ্যমটি। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মস্কোকে সহায়তা করার জন্য ইরান ২০২২ সালে হাজারো ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে সম্মত হয়ে রাশিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের নতুন অধ্যায় খুলেছে। তাদের মধ্যে সম্পর্কের এই গভীরতা মস্কো ও তেহরানের মধ্যে চুক্তি শক্ত করতে সহায়তা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করে বলেছেন, রাশিয়া তার মিত্রকে উন্নত যুদ্ধবিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দিয়ে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এতে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য যেকোনো বিমান হামলায় প্রতিরক্ষা মজবুত করতে পারবে তেহরান। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মস্কোর পক্ষ থেকে কতগুলো আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে বা কতগুলো ইরানে বসানো হয়েছে, তা জানা যায়নি। তবে রাশিয়ার প্রযুক্তি ইরানকে আরও শক্তিশালী ইসরায়েলি প্রতিপক্ষ তৈরি করতে পারে। এ অস্ত্র চুক্তি দুই দেশের জন্যই এখন সুফল বয়ে আনছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়া এখন তাদের গোপন চুক্তিকে উন্নত যুদ্ধবিমান সরবরাহের পর্যায়ে উন্নীত করছে। এ ছাড়া গোয়েন্দা সক্ষমতার কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে ইরানকে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের চাওয়া পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর সুরক্ষায় রাশিয়ার বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। তেহরান রাশিয়া এস-৩০০ কেনার চুক্তি করেছিল ২০০৭ সালে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর চাপে তা দিতে পারেনি রাশিয়া। ২০১৬ সাল থেকে সে বাধা দূর হয়ে গেলে ইরান ২০১৯ সাল থেকে এস-৩০০ ব্যবহার শুরু করে। এরপর এস-৪০০ নিতে উৎসাহী হয় ইরান। রাশিয়া এগুলো তেহরানকে দিয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করেন, সরাসরি এস-৪০০ না দিলেও এর নকশা বা প্রযুক্তি ইরানের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। যদি ইরান এ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পেয়ে থাকে, তবে ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরও সুরক্ষিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হাডসন ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ ফেলো কান কাসাপগলো বলেন, রাশিয়ার এসব অস্ত্রে ইরানের আকাশ আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। এদিকে সম্প্রতি মস্কো ও তেহরান যৌথভাবে নতুন ধরনের চালকবিহীন ড্রোন (ইউএভি) তৈরি শুরু করেছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও ফাঁস হওয়া নথিতে এসব তথ্য সামনে এসেছে। এসব নথি অবশ্য যাচাই করতে পারেনি ওয়াশিংটন পোস্ট। তবে বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা এসব নথির যথার্থতা যাচাই করছেন। রাশিয়া ও ইরান অবশ্য এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৩

সেনা অভিযানে কেএনএফের ৮ সদস্য আটক, অস্ত্র উদ্ধার 
বান্দরবানের দোপানিছড়াপাড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৮ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বেশ কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বান্দরবান রিজিয়নের ১৬ ইস্ট বেঙ্গলের ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সুংসাং পাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীব। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের গোপন খবর পেয়ে এলাকাটি ঘেরাও করে সেনা সদস্যরা। পরে আটজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন ও ২টি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।  এর আগে, গত ২ এপ্রিল রাতে তারাবিহ নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।  এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে আটটি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, দুটি এসএমজি, চারটি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। এর পরদিন থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।  এর রেশ কাটতে না কাটতেই ওইদিন মধ্যরাতে আলীকদমের ২৬ মাইল ডিম পাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর চেক পোস্টে হামলা হয়। সবগুলো ঘটনার সঙ্গেই কেএনএফ জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কেএনএফের সঙ্গে শান্তি সংলাপ চলাকালে সমঝোতা স্মারকের শর্ত অমান্য করে সংগঠনটির সামরিক শাখার সদস্যরা ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করায় সরকার ও কেএনএনফের সঙ্গে আলোচনা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি’। এই সন্ত্রাসী তৎপরতা প্রতিরোধে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৮

ইসরায়েলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রি বন্ধ চায় নিকারাগুয়া
ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে এবং ইউএনআরডাব্লিউএ-র সহায়তা স্থগিতের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে জার্মানিকে নির্দেশ দিতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত আইসিজেকে অনুরোধ করেছে নিকারাগুয়া৷ নিকারাগুয়ার কূটনীতিক কার্লোস খোসে আর্গুয়েলিও গোমেজ বলেন, গাজায় গণহত্যার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে৷ ইসরায়েলকে সমর্থন করে জার্মানি জেনোসাইড কনভেনশন লঙ্ঘন করছে বলে ১ মার্চ আইসিজেতে অভিযোগ করেছিল নিকারাগুয়া৷ এরপর সোম ও মঙ্গলবার শুনানির দিন নির্ধারণ করে আইসিজে৷ এর অংশ হিসেবে সোমবার নিজেদের যুক্তি উপস্থাপন করেন নিকারাগুয়ার কূটনীতিক গোমেজ৷ মঙ্গলবার নিজেদের যুক্তি তুলে ধরবে জার্মানি৷ এর কয়েক সপ্তাহ পর আদালত রায় দিতে পারে৷ অবশ্য আইসিজে কাউকে তার রায় মানতে বাধ্য করতে পারে না৷ তবে সরকারের উপর রাজনৈতিক ও নাগরিকদের পক্ষ থেকে চাপ তৈরি করতে পারে এই আদালতের রায়৷ এর আগে জানুয়ারিতে দেওয়া এক রায়ে আইসিজে বলেছিল, গাজায় হামলার সময় ইসরায়েল জেনোসাইড কনভেনশনে নিশ্চিত করা কিছু অধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে সাউথ আফ্রিকা যে অভিযোগ এনেছে, তা বিশ্বাসযোগ্য৷ হলোকস্টের সময় ৬০ লাখ ইহুদি হত্যার পর এমন ঘটনা যেন আর কোনো দেশে না ঘটে সেজন্য ১৯৪৮ সালে জেনোসাইড কনভেনশন তৈরি করেছিল জাতিসংঘ৷ সুইডেনের স্টকহোমের আন্তর্জাতিক শান্তি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপ্রির হিসেব বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইসরায়েলকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করা দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই আছে জার্মানি৷ ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের সন্ত্রাসী হামলার পর জার্মানি ইসরায়েলকে অতিরিক্ত অস্ত্র সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে৷ এদিকে, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ৷ জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাধারণ নাগরিকদের উপর নির্বিচারে হামলা চালানোর অভিযোগ এনেছে৷ ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সমর্থক বলে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে, গাজায় সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি৷
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৯

কেএনএফকে অস্ত্র ছাড়ার আহ্বান
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের ওপর চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান। একের পর এক সন্ত্রাসীরা আটক হচ্ছে। সঙ্গে উদ্ধার করা হচ্ছে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র। এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা ভেঙ্গে দিয়ে অস্ত্র সমর্পনে আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে কমিটির আহ্বায়ক, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা, কমিটির সদস্যসচিব লালজার লম বম স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে তারা কেএনএফ এর সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে বলেছে।  ওই বিবৃতিতে বলা হয়, কেএনএফের দাবি অনুযায়ী বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সমন্বয়ে এ পর্যন্ত বম জনগোষ্ঠীর জন্য রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলার ৯৬৮টি বম পরিবারের মধ্যে ১৩৪ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, নগদ অর্থ, শীতবস্ত্র, চিকিৎসা সহায়তাসহ তাদের কারান্তরীণ দুজন সদস্যকে জামিনে মুক্তি লাভে সহায়তা করা হয়। অবশিষ্ট কারান্তরীণ সদস্যদের মুক্তির বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত বম জনগোষ্ঠীদের সহায়তায় খাদ্যশস্য এরইমধ্যে এলাকায় পৌঁছানো হয়েছে। তাদের দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জানানো হয়েছে। তারপরও রুমায় অতর্কিতভাবে সশস্ত্র অবস্থায় বর্বরোচিত হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি করে হামলা, অর্থ লুটের উদ্দেশে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নেওয়া এবং থানচিতে স্থানীয়দের জিম্মি করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও দুটি ব্যাংক লুটের মতো জঘন্যতম ঘটনায় জাতি স্তম্ভিত ও মর্মাহত হয়েছে। এসব ঘটনা সমঝোতা চুক্তির শর্তাবলী লঙ্ঘন উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অপহরণের শিকার ব্যাংক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা গেলেও পুলিশ এবং আনসার বাহিনীর লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন বিবৃতিদাতারা। এদিকে, দেশের পার্বত্য অঞ্চলের ত্রাস হয়ে ওঠা গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে নেমেছে প্রতিরক্ষা বাহিনী; শনিবার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রুমা সফরে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ধারণা হচ্ছে যে কেএনএফের সন্ত্রাসীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থ সংগ্রহ করা। তাদের দমনে যা যা করা দরকার তার সবই করবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী। তবে এবার কেএনএফই নিজেদের সাম্প্রতিক তৎপরতার কারণ স্পষ্ট করেছে, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে অর্থ নয়, বরং পার্বত্য অঞ্চল দখলই মূল উদ্দেশ্য তাদের। শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে পাহাড়ের শান্তির জন্য হুমকি হয়ে ওঠা সংগঠনটি। রাত ১২টার কাছাকাছি সময়ে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে সামনে এসেছে এমনই দাবি সংবলিত একটি পোস্ট। দেশের বিজ্ঞ মহল, বিশ্লেষক ও সাংবাদিকগণের জ্ঞাতার্থে এবং টকশোর আলোচনায় বিশেষ সুবিধার্থে পোস্টটি করা হয়েছে দাবি করে তাতে বলা হয়, আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে নয়টি উপজেলা নিয়ে নিজেদের পৃথক রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে এলেও এখন সাতটি উপজেলা নিয়ে ‘স্বশাসিত পরিষদ’ চায় কেএনএফ, যার নাম হবে ‘কুকি-চিন টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল’ (কেটিসি)। ছয় দফা দাবি সংবলিত পোস্টটিতে বলা হয়, দাবিকৃত অঞ্চলে শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সেখানকার ভূমি ও পর্যটন বিষয়ক সংক্রান্ত সব কর্মকাণ্ডের সর্বময় ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে কেটিসিকে দিতে হবে সরকারের। এছাড়া দাবি অনুযায়ী, কেটিসি’র অঞ্চলে পুলিশ বাহিনীর নিয়োগ প্রদানসহ সব ক্ষমতা কেএনএফেরই থাকবে। কেএনএফের অতীতের সব হামলা ও অন্যান্য আইন লঙ্ঘনকারী কর্মকাণ্ডকে আন্দোলন দাবি করে আরেকটি দফায় এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে। পরবর্তী দফায় দাবি করা হয়েছে, যেন বিভিন্ন সময়ে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল তথা ভারতের মিজোরামে পালিয়ে যাওয়া বম জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারের পালেতুয়া এলাকায় পালিয়ে যাওয়া খুমি ও ম্রো জনগোষ্ঠীর লোকজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসনের সুযোগ ও সুব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আর পোস্টের সবশেষ দফায় নিজেদের সশস্ত্র বাহিনী গঠনের সুযোগ দাবি করা হয়েছে কেএনএফের পক্ষ থেকে, যার নাম হবে কুকি-চিন আর্মড ব্যাটেলিয়ন (কেএবি)। ফেসবুক পোস্টটি থেকে জানা যায়, বান্দরবানে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী এ সশস্ত্র সংগঠনটির সঙ্গে দুই দফায় মুখোমুখি সংলাপ হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির। ঈদের পর এপ্রিলের মাঝামাঝি আরেক দফায় উভয়পক্ষের সংলাপে বসার কথা থাকলেও হঠাৎ গত মঙ্গলবার বান্দরবানের রুমায় ও বুধবার থানচিতে দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা চালায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। তিন ব্যাংকে লুটপাট চালানোর পর অপহরণ করে নিয়ে যায় সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ম্যানেজারকে। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‍্যাবের মধ্যস্থতায় রুমা বাজারে নেজাম উদ্দিন নামে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলেও ওইদিনই রাতে দুই দফায় থানচি ও আলীকদমে সংগঠনটির পৃথক দুটি গ্রুপ চড়াও হয় পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের ওপর। এ পর্যন্ত কেএনএফের আকস্মিক এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পেছনে তাদের অর্থাভাবের বিষয়টিকেই মূল কারণ হিসেবে ধারণা করা হলেও নিজেদের ফেসবুক পেইজ থেকে শেষ পর্যন্ত ভিন্ন ইঙ্গিত দিলো পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটি।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৮

‘বান্দরবানে অভিযানে কয়েকজন সন্ত্রাসী আটক, অস্ত্র উদ্ধার’
বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কয়েকজন সন্ত্রাসী আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।  রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আপনারা হয়তো জেনেছেন শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বাহিনী সম্মিলিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময় মতো পাবেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই, আমার কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিস্কার। বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হবো বলে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করছি। সেনাপ্রধান বলেন, শুরুতে আমরা তাদের (কেএনএফ) বিশ্বাস করেছিলাম যে শান্তি আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে। তারা দেখতে পারবে যে সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা বাংলাদেশে নাই। বাংলাদেশ সেনা বাহিনী সম্পূর্ণভাবে সক্ষম এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য। এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বান্দরবানের রুমায় নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা ও ১৪টি অস্ত্র লুট করেছে বলে খবর পাওয়া যায়। সোনালী ব্যাংক বান্দরবান অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, সোনালী ব্যাংক রুমা শাখায় ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিয়ে গেছে বলে শোনা যাচ্ছে। রুমা শাখায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা থাকার কথা। সেগুলো ভল্ট ভেঙে নিয়ে গেছে। এই ঘটনার পর এ অঞ্চলের ব্যাংকের সব শাখায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩২

‘পাশের দেশের সন্ত্রাসীদের অস্ত্র কেএনএফের হাতে’
পাশের দেশে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল তাদের অস্ত্র কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেন এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কেএনএফের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এদিকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে সকালে বান্দরবান গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা মনে করছি তাদের (কেএনএফের সন্ত্রাসীদল) মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থ সংগ্রহ করা।  তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যা যা করা দরকার সব করবে। আমরা এ ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে যাবো। কোনোক্রমেই আর আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে দেবো না। এই শান্তিপ্রিয় এলাকায় অশান্তি হোক এটা আমরা চাই না।  উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে থানচি এলাকায়। এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এরপর শুক্রবার সকালে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৯

বাংলাদেশসহ ২৮ দেশের ভোটে ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের প্রস্তাব পাস
ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষ থেকে উত্থাপিত এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ৪৭ সদস্যদেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশ। শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) পাস হওয়া এই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনের গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বানও জানানো হয়েছে। জানা গেছে, ওআইসি পক্ষে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাবটি তুলেছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশের ভোটে পাস হয় প্রস্তাবটি। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ ৬টি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ভারত ও ফ্রান্সসহ ১৩টি দেশ। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ৬ মাস ধরে হামাস নির্মূলের নামে গাজায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। দখলদার রাষ্ট্রটির সেনাবাহিনীর অব্যাহত অভিযান ও হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে অবরুদ্ধ উপত্যকাটি। এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও তা মানছেনই না বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার মন্ত্রিপরিষদ।   এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার বৈঠকে বসে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। এ সময় গাজায় সম্ভব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরায়েলের জবাবদিহি চাওয়া হয়। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করারও দাবি জানায় সংস্থাটি। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংশ্লিষ্ট মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, গাজায় ৭ অক্টোবর থেকে অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন চলছে। ছয় মাস ধরে নজিরবিহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রস্তাব পাস হলেও এই সিদ্ধান্ত মানার ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে, প্রতীকি অর্থে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবারই প্রথমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই অবস্থান নিয়েছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরেই মানবাধিকার পরিষদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে আসছে তেল আবিব। অন্যদিকে, গাজায় আগ্রাসন চালানোর ক্ষেত্রে বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহায়তা পাচ্ছে ইসরায়েল। এ অবস্থায় গত ফেব্রুয়ারিতে তেল আবিবে অস্ত্র রপ্তানি অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানায় জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। এরপরও ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অন্যান্য মিত্ররা। প্রস্তাবের পক্ষে এবং ইসরায়েলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যেসব দেশ: বাংলাদেশ, আলজেরিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, বুরুন্ডি, চিলি, চীন, আইভরি কোস্ট, কিউবা, ইরিত্রিয়া, ফিনল্যান্ড, গাম্বিয়া, ঘানা, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখস্তান, কুয়েত, কিরগিজস্তান, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মরক্কো, কাতার, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভিয়েতনাম। প্রস্তাবের বিপক্ষে ও ইসরায়েলের পক্ষে ভোটদানকারী ছয় দেশ:  আর্জেন্টিনা, বুলগেরিয়া, জার্মানি, মালাউই, প্যারাগুয়ে ও যুক্তরাষ্ট্র। ভোটদানে বিরত থাকা ১৩ দেশ:  আলবেনিয়া, বুলগেরিয়া, ক্যামেরুন, কোস্টারিকা, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ফ্রান্স, জর্জিয়া, ভারত, জাপান, লিথুয়ানিয়া, মন্টিনিগ্রো, নেদারল্যান্ডস ও রোমানিয়া।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৬

‘আমার কাছে দেশের সবচেয়ে দামি অস্ত্র আছে’
দেশব্যাপী আলোচিত রাজধানীর শাহজাহানপুরের মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। যেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, তার কাছে দেশের সবচেয়ে দামি অস্ত্র রয়েছে। যা এমপি-মন্ত্রীদের কাছেও নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রোববার (২৪ মার্চ) রাতে খলিলের সেই ফোনালাপ ব্যাপক ভাইরাল হয়। জানা গেছে, রাজধানীর আলমগীর নামে এক মাংস ব্যবসায়ীর সঙ্গে টেলিফোনে কথাগুলো বলেছিলেন খলিল। ভাইরাল অডিওতে খলিলকে বলতে শোনা যায়, ‘বাংলাদেশে একটা মাংস ব্যবসায়ী যেটা হলো খলিল। আমার যে আর্মস-গান, বাংলাদেশের তিনটা ব্যক্তির কাছে আছে। যেটা সবচেয়ে দামি আর্মস। একে-৪৭ মন্ত্রী-এমপির কাছেও নেই। আমার দোকানের একটা স্টাফ দুই কোটি টাকার মালিক। মাংস ব্যবসায়ীরা অনেক শক্তিশালী। তারা অনেক টাকার মালিক। আমার যদি কিছু না থাকত ওরা যে কত দিক দিয়ে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করতাছে। কত দোষ খোঁজার চেষ্টা করতাছে, পাইতাছে না। তারা জানে, আমার সামনে এলে একটাও বাইচ্চা থাকতে পারবে না।’  তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্টাফ অনেক। আমি ১৫ দিন পর পর আমার ফার্নিচার দোকানের ছাদে কাচ্চি, তেহারি- যা মন চায় তাগোরে খাওয়াই। আমি তো তাদের দিয়েই কামাইছি। আমার গোস্ত দোকানে একটা লোক আছে ২৫ বছর ধইরা। ৮টা লোক আছে ২০ বছর ধইরা। আর বাকিগুলো ১২-১৩ বছর ধইরা আছে। একটাও আমারে ছাইড়া যায় না।’ এদিকে ফোনালাপের বিষয়ে জানতে চাইলে খলিলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এক মাংস ব্যবসায়ীকে ভয় দেখানোর জন্য আমি এসব বলেছি। ২০২১ সালে আমি অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছি। তবে আমার কাছে যে অস্ত্র আছে তা খুবই সাধারণ। একে-৪৭ আমার কাছে নেই। তিনি বলেন, যে মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য এতকিছু করলাম, তারা কেউ আমার পাশে নেই। সরকারও আর আমার সঙ্গে নেই। এর ফলে আমি আর মাংস ব্যবসা করবো না। ২০ রমজানের পর আর খলিল মাংস বিতান থাকবে না।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৩

রাজধানীতে বাথরুম থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
রাজধানীর ভাটারা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২৪ মার্চ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। শনিবার ভাটারার খাপাড়ার এক পাকা বাথরুম থেকে এই অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রকিব হোসেন মুন্না (৩২), রাশেদুজ্জামান খান রাজু (৩৫), মো. শারিকুল ইসলাম খান (৪৫), মো. আজিম পাটোয়ারী (৩৪), মো. মাহবুব খান (৩৫), মৃত আক্কাস খানের ছেলে শরীফ খান (৩৩) ও মো. সোহরাব খান (৩৩)। বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ ভাটারার জোয়ারসাহারার খাপাড়া এলাকায় ডিওএইচএস সোসাইটির রিক্সার নম্বর প্লেটকে কেন্দ্র কথা কাটাকাটি হয়। এই ঘটনার জের ধরে আসামিরা মোন রুবেল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে দেশি ও বিদেশি অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এই সময় আসামি মো. রাশেদুজ্জামান খান রাজু প্রকাশ্যে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। অপর অস্ত্রধারী আসামি রকিব হোসেন মুন্না হত্যার উদ্দেশ্যে মো. রুবেল হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি করলে তার ডান পায়ের উরুতে লেগে গুরুতর জখম হয়। পরে অস্ত্রধারী তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।  এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় ঢাকা মহানগরসহ গাজীপুর জেলা, মাদারীপুর জেলা ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থনে অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খাপাড়ায় একটি পারিবারিক কবরস্থানের বিপরীতে লোহার গেটের ভেতর পাকা বাথরুমের তালা ভেঙে তল্লাশি করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় সেখান থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ১টি বিদেশি রিভলভার, ১টি বিদেশি শর্টগান, ১টি পুরাতন রিভলবার যাহার যন্ত্রাংশ খোলা ও ভাঙা, ১টি ৯এমএম পিস্তল; যা পুরাতন ও ভাঙা, ৭৫ রাউন্ড গুলি, ২ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ, ২১০ রাউন্ড গুলির খোসা, ৫টি পুরাতন ম্যাগাজিন, ৪০গ্রাম বারুদ সদৃশ পদার্থ, ৬০ পিস বিভিন্ন অস্ত্রের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়