• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
নিম্নআয়ের শুধু নয় মধ্যবিত্তরাও চরম অসহায় হয়ে পড়েছে : রিজভী
বাজারের নিয়ন্ত্রকরাই এখন সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি সরকার লোক দেখানো হাঁকডাক দিলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। প্রতিটি পণ্যের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এ অবস্থায় নিম্নআয়ের শুধু নয় মধ্যবিত্তরাও চরমভাবে অসহায় হয়ে পড়েছে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছে না।    শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি। রুহুল কবির রিজভী বলেন, সিন্ডিকেট সরকার উদ্ভট কথাবার্তা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। সম্পূর্ণভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার এখন দামের ঊর্ধ্বগতির দায় চাপাচ্ছে বিএনপির ওপর। গতকাল (শুক্রবার) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেছেন- ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে সরকার উৎখাতে আন্দোলনকারীদের তাদেরও কিছু কারসাজি আছে।’ তার এ ধরনের কথা বলার অর্থ তার স্বেচ্ছাতন্ত্র পচে গলে বিকৃত হয়ে গেছে। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন দ্রব্যমূল্য বেড়েছে সীমাহীন। নিজেদের ব্যর্থতা, লুটপাট, চুরি-চামারী ও অপকর্মের দায় নির্লজ্জের মতো বিএনপির ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার অভ্যাস পুরানো বলে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এই বৈশিষ্ট্য পাড়া—মহল্লার বখাটেদের মতো। বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে বন্দি। এরপরও বিএনপি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করেছে? জুজু’র ভয় দেখিয়ে দেশকে পার্শ্ববর্তী দেশের ওপর নির্ভরশীল করার চক্রান্ত বলে দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, এই প্রথমবারের মতো কচুর মুখি ও নারিকেল আমদানি করল বাংলাদেশ। চাঁদাবাজির কারণে দেশীয় পণ্যের দাম বাড়ছে। ভারতের এসব পণ্যের গুণগত মান কম। চাঁদাবাজি নেই বলে দাম কম। সিন্ডিকেটের কারণে বাংলাদেশি এসব কৃষিপণ্যের দাম কিছুটা বেশি। এভাবে চলতে থাকলে কৃষকরা উৎপাদনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। আর এই সুযোগে বাংলাদেশের ওপর পার্শ্ববর্তী দেশের কর্তৃত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে। রিজভী বলেন, পবিত্র রমজান আসন্ন, অথচ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন সরকারি পদক্ষেপ অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে কোনো কাজে আসছে না। তিনি আরও বলেন, বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ঢাকার জন্য গতকাল শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা পেঁয়াজ পচিয়ে পানিতে ফেলে দিচ্ছে। তাদেরকে গণধোলাই দেওয়া উচিত। জনগণকে আইন হাতে তুলে নিতে প্ররোচিত করে আপনি শেখ হাসিনা নিজের ব্যর্থতা আড়াল করতে পারবেন না। আপনার বক্তব্য ফৌজদারি অপরাধের সমতুল্য। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মামুন, অধ্যাপক ড. সাহিদা রফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল আলম তেনজিং, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক ইমতিয়াজ বকুল ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সহসভাপতি অধ্যাপক আবেদ রাজা।  
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৮

অসহায় পরীমণি
রাস্তার ফল খেয়ে অসুস্থ হয়ে ছেলে রাজ্যকে নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পরীমণি। কিন্তু এখনও অসুস্থ রাজ্য। শারীরিকভাবে সুস্থ নন পরীমণি নিজেও। অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গেছেন পরীমণি। তবে সেখানে গিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন এই নায়িকা।    চিকিৎসার জন্য রাজ্যকে নিয়ে কলকাতায় যাওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিশ্চিত করেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।   বর্তমানে রাজ্যকে নিয়ে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পরীমণি। তবে কলকাতায় পৌঁছে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। যা ঘিরে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তার ভক্তদের কপালে।  ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন— ‘জীবনে আগে কখনও এতোটা অসহায় অনুভব করিনি। আল্লাহ সহায়।’    পরীমণির এমন পোস্টে ভক্তদের আর বুঝতে বাকি নেই, প্রিয় নায়িকা সত্যিই বড় বিপদে আছেন। পোস্টটি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৪৫ হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছে নেটিজেনদের। রীতিমতো মন্তব্যের ঝড় উঠেছে পরীমণির কমেন্টসবক্সে। অনেকেই কমেন্ট করে দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন রাজ্যর। জানা গেছে, গেল সপ্তাহে ছেলে রাজ্যকে সঙ্গে নিয়ে নানার বাড়ি ঘুরতে গিয়েছিলেন পরীমণি। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পথে রাস্তায় ফল কিনে খান রাজ্য, পরীমণি, পরিবারের সদস্যরাসহ চিত্রনায়িকার গাড়ি চালক। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। ফলগুলো খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা। পরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তারা। অসুস্থ হওয়ার খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেই জানিয়েছিলেন পরীমণি। পাশাপাশি রাস্তার ফল কিনে খাওয়ার ব্যাপারে সবাইকে সাবধানও করেন এই নায়িকা। গত ১১ জানুয়ারি থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এ নায়িকা। ফেসবুকের স্ট্যাটাসে পরীমণি লিখেছিলেন, ‘শীতকালে সবাই খাবার-দাবার বুঝে খাবেন। বিশেষ করে বাইরের খাবার। এতো ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস শীতের সময় এসব থেকে সেফ থাকা মুশকিল। বরিশাল থেকে ফেরার পথে একটা ফলের দোকান থেকে কিছু ফল কিনেছিলাম। বাসায় ফল খাওয়ার আগে রেগুলার যেভাবে ক্লিন করা হয় সেভাবে না করেই শুধু মিনারেল ওয়াটার দিয়ে ধুয়ে খেয়েছিলাম। বাবু খুবই অল্প পরিমাণ মানে দুই একটা বাইট নিয়েছিল। ব্যাস! বাচ্চা, আমি, আমার গাড়ি চালকসহ আমার বাসার মোট পাঁচ জন ফুড পয়জনিং নিয়ে ১১ তারিখ রাত থেকে হাসপাতালে।’ প্রসঙ্গত, স্বামী রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর পরীমণির দুনিয়া এখন রাজ্য। বলা যায়, রাজ্যকে ঘিরেই তার সব। কাজের বাইরে পুরো সময়টা ছেলেকেই দেন এই নায়িকা। রাজ্যর বাবা-মা বলতে এখন পরীমণিই। সংসার ভাঙার পর থেকে ছেলের দেখাশুনা একাই করছেন তিনি।  
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়