• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
চাকরির নিয়ম পরিপন্থি কাজে বাধা, চিকিৎসকের অসদাচরণ
অফিস চলাকালে হাসপাতালে বসে অর্থের বিনিময়ে রোগী দেখেন চিকিৎসক। বিষয়টি নজরে এলে বাধা দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অভিযুক্ত ডাক্তার শেখ মাহমুদের সঙ্গে।   শনিবার (১৩ জানুয়ারি) ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এই বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার সৌমেন সাহা। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুম ইফতেখার বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম গঠন করেন। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সময় বেধে দেন।  লিখিত অভিযোগে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, শনিবার সকালে প্রতিদিনির মতো হাসপাতালে বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় আবাসিক মেডিকেল অফিসারের চেম্বারে প্রবেশ করে ব্যক্তিগত প্যাডে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিতে দেখেন। বিষয়টি চাকরির নিয়ম পরিপন্থি বলে তাকে এই কাজ না করার জন্য অনুরোধ করেন। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবাসিক মেডিকেল অফিসার শেখ মাহমুদ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে যান। এ সময় হাসপাতালের রোগীসহ স্বজনরা জড়ো হন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সৌমেন সাহা জানান, হাসপাতালে বসে প্রাইভেট রোগী দেখার বিষয়ে এর আগে অনেকে বিভিন্নভাবে তাকে অভিযোগ দিয়েছেন।  তিনি একাধিকবার মৌখিকভাবে সতর্ক করেছেন, তাতে কোনো লাভ হয়নি। ঘটনার দিন হঠাৎ আবাসিক মেডিকেল অফিসারের চেম্বারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় চেম্বারে বসে প্রাইভেট রোগী দেখার বিষয়ে বাধা দিলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার শেখ মাহমুদ জানান, রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। তবে চেম্বারে রোগী দেখার বিষয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।  এই ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুম ইফতেখার বলেন, হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সৌমেন সাহার একটি লেখিত অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম ও বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সালেহ আহমেদ সোহেলকে দিয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা দুই দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবিদেন দিবেন। এরপর আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়