• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ধনবাড়ীতে মেলাকে কেন্দ্র করে চলছে অশ্লীল নৃত্য
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী নওয়াব ইনস্টিটিউশন মাঠে শুরু হয়েছে জাঁকজমকপূর্ণভাবে গ্রামীণ মেলা। আর এ মেলার নামে প্রকাশ্যে চলছে অশ্লীল নৃত্য আর বিকট শব্দের গান। এসব অশ্লীল নৃত্য দেখে বিপথগামী হচ্ছে শিক্ষার্থী, যুবক ও উঠতি বয়সের ছেলেরা। অশালীন কর্মকাণ্ড দ্রুত বন্ধের দাবি জানিয়েছে সচেতন মহল। অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন দপ্তর মেনেজ করেই এ কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে।  অভিযোগে জানা যায়, মেলায় জাদু খেলার নামে প্যান্ডেলের ভেতরে চলে অশ্লীল নৃত্য। নৃত্যের জন্য আনা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উঠতি বয়সী নারী। বিকেল থেকে শুরু হওয়া নৃত্য চলে পুরো রাতজুড়ে। একশ টাকার টিকিটে লাইন ধরে ঢোকানো হয় দর্শনার্থীদের। দর্শনার্থীর তালিকার বড় একটি জায়গায় রয়েছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বয়সী যুবকেরা। মেলায় দোকান নিয়ে আসা রহিম মিয়া, আব্বাস উদ্দিন, সিদ্দিক হোসেন ও শরাফত আলী বলেন, ধনবাড়ীর মেলার ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগে দোকানীরা আসতো সামগ্রী নিয়ে। এখন আসে না। মেলায় দোকান বসালেই ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা, জায়গা যেমন ঝুড়ির দোকানে বেশী জায়গা নিলে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেয় কমিটির লোকেরা। এই টাকা তো সরকারের ঘরে জমা হয় না। মেলার নামে চলছে এখন অশ্লীল নৃত্য। ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ মেলাটি ধনবাড়ীর ঐতিহ্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এগুলো বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জানা গেছে, ধনবাড়ীর নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী ব্রিটিশ সরকারের নিকট বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি ১ম উত্থাপন করে ছিলেন। বাংলার প্রতি অঘাত ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ ১৯২১ সালে বাংলা নববর্ষে ১ বৈশাখে ধনবাড়ীর বৈশাখী মেলার সূচনা করেন। মেলাকে প্রসারিত করতে ১ বৈশাখে বিভিন্ন হস্ত, কুটিরশিল্প ও পালাগানের উৎসব চালু করেন। সেই থেকেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে গ্রামীণ মেলা।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:০৭

রমজানেও চলছে অশ্লীল সিনেমা  
চলছে পবিত্র মাহে রমজান। সিয়াম সাধনার এ মাসেও দিনে-দুপুরে অশ্লীল সিনেমা চলছে রাজধানীর এক প্রেক্ষাগৃহে। শুধু অশ্লীল সিনেমাই নয়; খবর আছে, প্রেক্ষাগৃহটিতে অবাধে চলছে মাদক সেবন ও দেহ ব্যবসাও।    সূত্রের তথ্য ধরে, রমজানের এক বিকেলে ঢুঁ মারা হয় পুরান ঢাকার আজাদ সিনেমা হলে। ভবনের সামনে যেতেই চোখে পড়ে দেওয়ালে সাঁটানো অশ্লীল সিনেমার পোস্টার। তাতে শোভা পাওয়া ছোট পোশাক পরিহিত চিত্রনায়িকা পলির অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি যেনো সাক্ষী দিচ্ছে বাংলা সিনেমার কালো অধ্যায়ের। পোস্টারে নায়িকার খোলামেলা স্থিরচিত্রে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছেন পথচারী ও হলে প্রবেশে উন্মুখ দর্শকরাও। টানা দুদিনের অনুসন্ধানে এলাকাবাসীর কাছ থেকে পাওয়া যায় বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। অশ্লীল সিনেমার পাশাপাশি হলটিতে অবাধে চলছে মাদক সেবন আর দেহ ব্যাবসাও। বিষয়টি নিয়ে ভয়ে কথা বলতে চাননি অনেকেই, তবে অনেক চেষ্টার পর মুখ খোলেন কেউ কেউ।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রায়সাহেব বাজারের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এই হলের ভিতর দেহ ব্যবসা হয়। টাকার বিনিময়ে মেয়ে নিয়ে অনেকে ঢুকে, এরপর খারাপ কাজ করে। অন্য একজন জানান, মাদকসেবীরা সারাদিনই নেশায় বুঁদ হয়ে বসে থাকে হলের ভিতর। অথচ প্রশ্ন করা হলে অনৈতিক কার্যকলাপের কথা ধুয়ে অস্বীকার করেন প্রেক্ষাগৃহের কর্মকর্তারা। বলেন, এই হলে না কি কেউ সিগারেট পর্যন্ত খায় না! তবে অশ্লীল সিনেমা চালানোর ব্যাপারটি এড়িয়ে যেতে পারেন না তারা। সাফাই গেয়ে বলেন, নতুন সিনেমা নাই, তাই এসব চালান তারা। আর রগরগে পোস্টার দেখলে হলে লোক হয় ভালো। প্রসঙ্গত, ঢাকার প্রথম আধুনিক প্রেক্ষাগৃহ বলে খ্যাত এই আজাদ সিনেমা হল। তবে, ‘বি গ্রেড’ সিনেমার রমরমা আর রুচিহীন কর্মকাণ্ডে বহু আগেই এই হল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীরা। বর্তমানে অনেকটাই জরাজীর্ণ অবস্থা ঐতিহ্যবাহী প্রেক্ষাগৃহটির। হলের ভিতরের পরিবেশ এতটাই গুমোট যে পরিত্যাক্ত ভুতুরে বাড়িও হয়তো এর চেয়ে কম ভয়ঙ্কর। দেওয়ালগুলো তাদের যৌবন হারিয়েছে অনেক আগেই। খসে পড়ছে ইট-সুরকি-সিমেন্ট। হলের ওপরে টিনের চালা, বেশিরভাগ ফ্যানই চলেনা এখন আর।  চলচ্চিত্রের সোনালি যুগের অবসানের পর নব্বই দশকের শেষের দিকে ঢাকাই চলচ্চিত্রে শুরু হয় কাটপিস সিনেমার আগ্রাসন। ২০০০ সালের দিকে বাংলাদেশের সিনেমায় বিচরণ শুরু হয় মুনমুন, ময়ূরী, পলি, ঝুমকাদের। ব্যাপকভাবে অশ্লীল দৃশ্যে অভিনয়ের অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। কাটপিসের দৌরাত্ম্যে হলবিমুখ হতে শুরু করেন সিনেমাপ্রেমী মানুষ। এরপর ব্যাপক আন্দোলনের মাধ্যমে সোনালী যুগ না ফিরলেও এখন একটি সুস্থ ধারা বইছে দেশের চলচ্চিত্রে। কিন্তু এর মাঝে কাটপিসের উঁকিঝুঁকি অশনি সংকেত দিচ্ছে চলচ্চিত্র শিল্পে। অশ্লীল সিনেমার প্রদর্শনী  ও অসামাজিক কর্মকান্ডের ফলে নিজের শেষ অস্তিত্বটুকু হারিয়ে ফেলতে বসেছে প্রায় শত বছর পুরোনোআজাদ সিনেমা হল।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৮

প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ছবি-ভিডিও ধারণ করতেন তারা!
প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ব্যাপারে আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান খান এ তথ্য জানান। আটকরা হলেন- রাজবাড়ী শহরের বিনোদপর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. মাসুদুর রহমান (৪৫), সদর উপজেলার বাগমারা গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে মোছা. রিমা খাতুন (২৬), ভবানীপুর গ্রামের মৃত বানু মোল্লার ছেলে মো. ফজলুল হক (৫৩), লক্ষীনারায়নপুর গ্রামের মৃত ক্বারী আনোয়ার উল্লাহর ছেলে মো. এমদাদ হোসেন (৫৯) ও কালুখালী উপজেলার মদাপুর গ্রামের আবুল সরদারের ছেলে জামাল সরদার (৫২)। মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, রিমা খাতুন ফেসবুকের মাধ্যমে মাহফুজ নামে এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কথা বলার জন্য মাসুদুর রহমানের বাসায় ডেকে আনেন। সেখানে মাসুদুর রহমান, জামাল সরদার ও ফজলুল হক রিমা ও মাহফুজকে উলঙ্গ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তারা মাহফুজের পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা আদায় করে। পরে তারা এমদাদ হোসেনের মাধ্যমে বিয়ের ভুয়া কাবিননামা এবং নোটারি পাবলিকের হলফনামা তৈরি করে মাহফুজের পরিবারের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করে। এ ঘটনা মাহফুজের বাবা শাহজাহান খান রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়। বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশর একটি দল রাজবাড়ী সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রটিকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফির প্রমাণসহ দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, পাঁচটি মেমোরি কার্ড, ভুয়া কাবিননামার কপি ও বিয়ের হলফনামার কপিসহ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৩:০৪

প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা
দিনাজপুরের ধর্ষণ মামলার আসামি রাহমাতুর রাফসান অর্ণব রাজধানী ঢাকায় নতুন করে প্রতারণায় মেতে উঠেছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পরে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অর্ণবের প্রেমের ফাঁদে পড়ে উঠতি বয়সী অনেক তরুণী সর্বস্ব হারিয়েন। এসব ঘটনায় দিনাজপুর ও ঢাকায় তার নামে একাধিক মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা, চাকরি দেওয়া ও বিদেশ লোক পাঠানোর নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অর্ণবের বিরুদ্ধে। মামলার নথি ও পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশের ডিআইজির ছেলের ভুয়া পরিচয় দিয়ে পুলিশের ভ্যান ব্যবহার ও ডিএমপির স্টিকার লাগিয়ে, হুডার ব্যবহার করে অর্ণব কক্সবাজার থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য নিয়ে এসে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়। সেই সাথে পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন মানুষকে হুমকিও দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন শিল্পপতি ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে সেসব ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এসব বিষয়ে জানার জন্য তার বাবা পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অভিযুক্ত অর্ণবের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনেই তিনি আর কথা বলতে ইচ্ছুক নয় বলে ফোন কেটে দেন। প্রসঙ্গত, এর আগে দিনাজপুর শহরে লিগেসি নামের একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টের আড়ালে তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় ও ধর্ষণ মামলায় জেল খেটেছেন অর্ণব।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২২:০৮

অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় রোনালদো
ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারে ৭৫০তম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রোনালদো। এরপরই সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল শাবাব সমর্থকদের সামনে অশোভন অঙ্গভঙ্গিতে উদযাপন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই আল নাসরের তারকা ফুটবলার। ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় শুরু হয়েছে তদন্ত। নিষেধাজ্ঞার শঙ্কায় রয়েছেন এই পর্তুগিজ পোস্টারবয়। গত রোববার সৌদি প্রো লিগে রিয়াদ ডার্বিতে ৩-২ গোলের ব্যবধানে জয় পায় আল নাসর। এই ম্যাচে গোল করেন রোনালদো। এরপরই আল শাবাব সমর্থকদের ‘মেসি মেসি’ স্লোগানের প্রতিক্রিয়ায় অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন রোনালদো। মুহূর্তে সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছেন এই তারকা ফুটবলার। দেশটির গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, এবার অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির কারণে সৌদি ফুটবল ফেডারেশনের শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন রোনালদো। দৃষ্টিকটু আচরণের জন্য দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি জরিমানাও গুণতে হতে পারে রোনালদোকে। মরুর দেশটিতে পাড়ি জমানোর পর বেশ কয়েকবার এমন অশোভন অঙ্গভঙ্গির কারণে তোপের মুখে পড়েছিলেন রোনালদো। গেল বছরের এপ্রিলে এক ম্যাচ শেষে রোনালদোর এমন অশালীন আচরণ সৌদি আরবের ফুটবলে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিয়েছিল।  বিশেষ করে সৌদির মতো রক্ষণশীল দেশে তার এমন নোংরা আচরণ অনেকেই মানতে পারছিলেন না। এমনকি দেশটির সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে 'সমর্থকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারকারীকে বের করে দাও স্লোগান ছিল ট্রেন্ডিং। যদিও ক্লাব আল নাসরকে সেসময় পাশে পায় রোনালদো। সেই সময় ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, রোনালদোর কুঁচকিতে চোট রয়েছে। সেই কারণে ওই জায়গায় হাত দিয়েছিলেন তিনি। রোনালদো কোনো সমর্থককে অপমান করার জন্য এমন অঙ্গভঙ্গি করেননি বলেও দাবি করে আল নাসর। অশোভন আচরণের জন্য কোনো শাস্তিই পেতে হয়নি রোনালদোকে। এ ছাড়াও গত ৯ ফেব্রুয়ারি আল-হিলালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ হারের পর মেসি মেসি স্লোগানের প্রতিক্রিয়ায় বাজে অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন রোনালদো। ওইদিন এক সমর্থকের ছুড়ে মারা স্কার্ফ নিজের শর্টসের ভেতর ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৪

টি-শার্টে অশ্লীল বাক্য, জুতা পায়ে নাচানাচি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সংবর্ত-৩৬ ব্যাচের আয়োজনে ‘ব্যাচ ডে’ পালিত হয়েছে। যেখানে ব্যাচটির শিক্ষার্থীরা টি-শার্টে বিভিন্ন অশ্লীল বাক্য লিখে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি মৃত্যঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে জুতা পায়ে নাচানাচি করে। এ বিষয়ে ফেসবুকে নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।  বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। এতে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সরজমিনে দেখা যায়, অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা একে অপরের সাদা টি-শার্টে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বাক্য লিখে উদযাপন করছে। কেউ কেউ শিক্ষকদের নিয়েও বিভিন্ন অশ্লীল বাক্য লিখেছে নিজেদের টি-শার্টে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে জুতা পায়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের ওপর নাচানাচি করতে দেখা যায়।  এ ব্যাচ ডে’ অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান বলেন, যেটা হয়েছে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। আমরা নতুন হওয়ায় অনেক কিছু বুঝে উঠতে পারিনি।  টি-শার্টে অশ্লীল বাক্যের বিষয়ে তিনি বলেন, কে বা কারা করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।  বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাচ ডে নামক যে অপসংস্কৃতি দেশে চালু আছে যেখানে টি-শার্টে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ বাক্য লেখা। শিক্ষার্থীরা এক সঙ্গে আনন্দ করবে তাই বলে তারা কুরুচিপূর্ণ আচরণ করবে এটা মানানসই নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে একজন শিক্ষার্থীর কাছে এমন আচরণ প্রত্যাশা করা যায় না।  তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের আদর্শের জায়গা। তার প্রতিকৃতিতে জুতা পায়ে নাচানাচি করা অবশ্যই জাতির জন্য অসম্মানজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিষয়টি নজরে রাখা উচিত।  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, আচরণবিধির বিষয়ে দিকনির্দেশনা সাপেক্ষে তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। আমরা বিষয়গুলো দেখেছি এবং আগামী শনিবার প্রক্টর অফিসে তাদেরকে ডেকেছি। সার্বিক বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখব। এ নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এটার আয়োজক কারা বা কেন করেছে তা আমি জানি না। তবে যদি এমন কুরুচিপূর্ণ বাক্য কেউ ব্যবহার করে তাহলে অবশ্যই সেটি একটি নিন্দনীয় কাজ। আমি বিষয়টা খোঁজ খবর নিয়ে দেখব।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়