• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধশত গ্রামে পালিত হচ্ছে ঈদ 
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, আনোয়ারাসহ ৬০ গ্রামে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা।  সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা দীর্ঘ ২০০ বছর ধরে রুইয়াতিল হেলাল বিষয়ক ফতোয়ার ভিত্তিতে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর এবং চন্দ্রোদয় নির্ভর ইসলামী সব ইবাদত ও অনুশাসন পালন করে আসছেন।   এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টায় চন্দনাইশ কাঞ্চননগর জাঁহাগিরিয়া শাহ সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ ময়দানে দরবার শরীফের পীর সাহেব হযরত মাওলানা শাহ সূফি মুহাম্মদ আলী শাহ্ এর ইমামতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।  এর আগে বিভিন্ন বয়সী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মসজিদ অভিমুখে ছুটে যান। মসজিদের ইমাম নামাজের আগে পবিত্র ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য তুলে ধরে খুতবা পাঠ করেন। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।  এ সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৫

চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে বুধবার পালিত হবে ঈদ
মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামে বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী ও সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসার দরবারের পীর মাওলানা আরিফ বিল্লাহ চৌধুরী। জানা যায়, বিশ্বের যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা যাওয়ার ভিত্তিতে চাঁদপুরের ৫ উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদ উদযাপিত হবে। বুধবার হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এই ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন বর্তমান পীর মুফতি আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী। এ ছাড়া হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ সংলগ্ন সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় আরেকটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন সাদ্রা দরবারের পীর মাওলানা আরিফ বিল্লাহ চৌধুরী। সাদ্রা দরবার শরিফের পীরজাদা ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ নিশ্চিত হওয়ার ভিত্তিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হয়ে থাকে। বুধবার মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। আমরাও বুধবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করব। এ ছাড়াও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, জাকনী, প্রতাপপুর, বাসারা। ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুরের মুসল্লিরা কাল আগাম ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। এ ছাড়া মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাঁচানী, দেওয়ানকান্দি পাঁচানী, সাতানী, লতুরদী, মোহাম্মদপুর, মোহনপুর, এখলাশপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মুসল্লিরা একই দিন ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামের সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মাওলানা জাকারিয়া চৌধুরী মাদানী জানান, ১৯২৮ সাল থেকে তার বাবা সাদ্রা গ্রামের পীর মাওলানা ইসহাক বিশ্বের যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখার ভিত্তিতে এই রীতি চালু করেন। এরপর থেকে তার অনুসারীরা চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায় এ রীতি পালন করে আসছেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গ্রামের অনেক মুসল্লি একদিন আগে ঈদ পালন শুরু করেন। তবে এসব গ্রামের অনেকে এখনও দেশের সরকারি নিয়মের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করছেন। 
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৯

দাঁড়িয়ে থাকা বগিতে ইঞ্জিনের ধাক্কা, আহত অর্ধশত যাত্রী
লালমনিরহাট স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ইঞ্জিনের সজোরে ধাক্কায় অন্তত ৫০ যাত্রী আহত হয়েছেন। শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় চারজনকে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাকিরা রেলওয়ের হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। গুরুতর আহতরা হলেন শেফালী আক্তার (৪০), সামিনা খাতুন (৬২), নবিজুল ইসলাম (৬০) ও জাহেদুল ইসলাম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুড়িমারী থেকে পার্বতীপুর গামী ৪৫৬/৪৬১ নম্বর লোকাল ট্রেনটি লালমনিরহাট স্টেশনে এলে অন্য একটি ইঞ্জিন বদলের জন্য বগিগুলোর সঙ্গে সংযোগের উদ্দেশ্যে লোকোশেড থেকে এগিয়ে আসতে থাকে। এ সময় রেলওয়ের লোকো মাস্টার রাজ গোবিন্দ ইঞ্জিনটি চালাচ্ছিলেন। বগির কাছাকাছি আসার সময় ইঞ্জিনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুত গতিতে বগিগুলোকে ধাক্কা দিলে বিকট শব্দ হয়। এতে বগির অভ্যন্তরে থাকা অর্ধশত যাত্রী ছিটকে পড়ে গিয়ে আহত হয়ে আতঙ্কে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন। আহতদের মধ্যে চারজনকে পাশেই থাকা রেলওেয়ের বিভাগীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। বাকিরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন। দুর্ঘটনায় আহত শেফালি আক্তার বলেন, আমি ভেবেছিলাম ইঞ্জিন বদলের সময় তেমন জোরে ধাক্কা দেয় না। কিন্তু কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই ইঞ্জিন প্রবল বেগে ধাক্কা দিলে আমি মাটিতে পড়ে যাই। আমার মাথায় দুইটি শেলাই পড়েছে। লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মাহফুজ বলেন, আমাদের এখানে জরুরি বিভাগে গুরুতর চারজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে লোকো মাস্টার রাজ গোবিন্দ দাস বলেন, ইঞ্জিনের ব্রেক লাগাতে দেরি হওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইঞ্জিনের গতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় দশ কিলোমিটার ছিল বলে তিনি দাবি করেন। লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নূরনবী বলেন, একটা ইঞ্জিন বদল হয়ে আরেকটা ইঞ্জিন সংযোগ নেয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জোরে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনাটা ঘটে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ওই ইঞ্জিনের লোকো মাস্টার রাজ গোবিন্দ সেই ট্রেন নিয়ে ইতিমধ্যে রওনা করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেনেছেন, তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। জানতে চাইলে রেলওয়ের লালমনিরহাট ডিভিশনাল ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (লোকো) শাহিনুল হক অপু বলেন, আমরা অভিযুক্ত লোকো মাস্টারকে আপাতত আর কোনো ট্রেনের দায়িত্ব দেবো না। ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন জমা দিলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
৩০ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৮

রাজধানীর অর্ধশত রেস্তোরাঁয় অভিযান, আটক ৩৫
রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট, মিরপুর, বসুন্ধরা ও উত্তরার প্রায় অর্ধশত রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। অভিযানে এসব রেস্তোরাঁ–ভবনে জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে কি না তা ঘুরে দেখেছে তারা। এ সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ভয়াবহ অনিয়ম নজরে আসায় কয়েকটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক ও কর্মীসহ অন্তত ৩৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব খাবারের দোকানে অভিযান চালানো হয়। পুলিশ বলছে, নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে এসব রেস্তোরাঁ–ভবনে জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে কি না, তা দেখতেই এই অভিযান চালিয়েছেন তারা। এ সময় জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি না থাকা, সিঁড়ি আটকে রান্নাঘর বসানো ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন দোকানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, রোববার রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে ৩৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপকও রয়েছেন। এছাড়া যেসব রেস্তোরাঁয় ছোটখাট অনিয়ম পাওয়া গেছে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে সতর্ক করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম ধরা পড়েছে ধানমন্ডি এলাকায়। রোববার রাতে এখানকার ১৯টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম। তিনি জানিয়েছেন, অভিযানকালে কয়েকটি খাবারের দোকানের ম্যানেজারসহ ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া কয়েকজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর গুলশান এলাকায় ১০টির মতো খাবারের দোকানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ ব্যাপারে গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা দেখার চেষ্টা করেছি, খাবারের দোকান থাকা ভবনের জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি রয়েছে কি না। সিঁড়িতে বিপজ্জনক কোনও কিছু রাখা হয়েছে কি না, সেটাও দেখছি। দু–একটি ছাড়া সব কটির পরিবেশ সুন্দর ছিল। তাদের ব্যবস্থাপনা দেখে আমরা সন্তুষ্ট।’ উত্তরা এলাকার অন্তত ২০টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করার কথা জানিয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক পার্থ প্রতীম। নগরবাসীর নিরাপত্তা রক্ষায় তাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া বসুন্ধরা এলাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান পরিচালনা করেছে ভাটারা থানা পুলিশ। এ বিষয়ে ভাটারা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, অভিযানে খোঁজার চেষ্টা করেছি রেস্টুরেন্টে অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে কি না এবং যথাযথ অনুমতি আছে কি না। এর মধ্যে ফুটপাত দখল করে বিভিন্নভাবে রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করার দায়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে ফুটপাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খাবারের দোকানগুলোতে জলন্ত চুলা ও গ্যাস সিলিন্ডার উচ্ছেদ করে পুলিশ। এসময় আটক করা হয় ৮ জনকে।  নিউমার্কেট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ফুটপাত, মার্কেটের রাস্তা কিংবা সরুপথে অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে যারা বিভিন্ন ভাজাপোড়া তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। কেননা এই এলাকাটি অত্যন্ত জনবহুল এবং জনগুরুত্বপূর্ণ। এখানে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন কাজে আসেন। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আইন মোতাবেক আমরা এখানে কাজ করছি। অভিযানে মানুষের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে এমন ৮ জনকে আমরা আটক করেছি এবং সড়কের মালামাল অপসারণ করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গত বৃহস্প‌তিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এখনও। তবে তারা কেউই শঙ্কামুক্ত নন। আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে। গ্রিন কোজি কটেজ নামে ৭ তলা ওই ভবনের একটি তলা ছাড়া বাকি সবকটি তলায় ছিল রেস্তোরাঁ। একে ভবনটিতে ছিল না জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি, তার উপর ভবনের মূল সিঁড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা ছিল গ্যাসের সিলিন্ডার। ফলে আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভয়াবহ আকার ধারণ করে তা। আর মর্মান্তিক এক ঘটনার সাক্ষী হয় দেশবাসী।   এ ঘটনার পরই রেস্তোরাঁ ও ভবনে অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি আবার সামনে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা নিশ্চিতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৭

অর্ধশত ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানী ও এর আশপাশ থেকে ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ ৫০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে র‍্যাব। এরা টপবাজ গ্রুপ, গ্যাংস্টার প্যারাডাইস গ্রুপ, বয়েস হাই ভোল্টেজ গ্রুপ, দে-দৌড় গ্রুপ, হ্যাঁচকা টান গ্রুপ ও বুস্টারসহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  র‍্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১১টি লাঠি, ১৭টি চাকু, ৬টি ছুরি, ১টি সুইচ গিয়ার চাকু, ১টি চাপাতি, ১টি চায়নিজ কুড়াল ও ১টি ইলেকট্রিক শক দেওয়ার মেশিন উদ্ধার করা হয়। র‍্যাব-১০ এর কর্মকর্তারা বলেন, তারা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টা, পাড়া–মহল্লায় আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক, অস্ত্র, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গত এক বছরে র‌্যাবের অভিযানে বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের ৩৪৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। কিশোর গ্যাং নির্মূলে র‌্যাবের অভিযান ও গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৪

২২ ঘণ্টা ধরে চলে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, অর্ধশত বাড়িঘর ভাঙচুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’গ্রুপের পূর্ব বিরোধের জেরে ২২ ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।  শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা থেকে রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে। আহতদের মধ্যে মামুন (৩৮), সম্রাট (১৬), মনির (৪০), রামিম (২০), সাকিব (২০), বাছির মিয়া (৫১), সোহেল (৪০),  তাজিম (১০), সাগর (২৪), আশিক (৩২), রোকসানা (৫০) ও আলম (৩৪) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের খানিবাড়ি গোষ্ঠী ও সিরাজ আলী বাড়ির গোষ্ঠী একটি গ্রুপে এবং দোলা বাড়ি গোষ্ঠীর আরেকটি গ্রুপ এ সংঘর্ষে জড়ায়। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা পরিষদ সদস্য বাবুল মিয়া ও আরেকটি গ্রুপকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউপি আরজু মিয়া। এ দুগ্রুপের সঙ্গে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানরাও রয়েছেন। তাদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে শুক্রবার রাতে একটি তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা থেকে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এ সময় প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এ ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৩০

সড়কের মাঝে অর্ধশত বিদ্যুতের খুঁটি, প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা
নোয়াখালীর সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়কের সোনাইমুড়ী অংশে দীঘিরজান বাজার থেকে বজরা বাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কে বিদ্যুতের প্রায় অর্ধশতাধিক খুঁটি রেখেই কার্পেটিং করেছে সড়ক বিভাগ। গত ৪ থেকে ৫ মাসের বেশি সময় ধরে সড়কের মাঝখানের মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে খুঁটিগুলো। ফলে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সিএনজি, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলগুলো প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। চলতি শীত মৌসুমে কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা কয়েকগুণ বেড়েছে। এ পর্যন্ত দুর্ঘটনায় প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। বিকল হয়েছে ৮০টির বেশি যানবাহন।  সড়ক বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুৎকে এ সমস্যার জন্য দায়ী করছেন স্থানীয়রা। তাদের দাবি, খুঁটি বসানো ও কার্পেটিংয়ের সময় একাধিকবার বলার পরও তাদের কাজ আটকানো যায়নি। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ খুঁটিগুলো অনত্রে অপসারণ করে সড়কটিতে যেন মানুষ চলাচলের জন্য স্বাভাবিক করা হয়। সড়ক বিভাগ বলছে, কাজ শুরু করার আগে খুঁটিগুলো সরানোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে প্রয়োজনীয় বিল পরিশোধ করা হয়েছিলো, আর বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে খুঁটিগুলো সরানো হবে। বিদ্যুতের খুঁটির সাথে নিজের অটোরিকশার দুর্ঘটনার কথা বলছিলেন মো. শাহজাহান (৫০)। সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। গত ২০ বছর ধরে নিজের এলাকায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। গত ৪ মাস আগে দীঘিরজান বাজার থেকে অটোরিকশা নিয়ে বজরা যাচ্ছিলেন শাহজাহান। পথে খালেক হাজির ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা দুটি অটোরিকশাকে সাইড দিতে গিয়ে সড়কের মাঝে থাকা বিদ্যুতের খুঁটির সাথে সংঘর্ষ হয় তার অটোরিকশাটির। দুর্ঘটনার পর কয়েক ঘণ্টা অচেতন ছিলেন তিনি। হাত, পা, বুক’সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় দুর্ঘটনার পর থেকে অটোরিকশা চালানো বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। সঠিক সময়ে খুঁটি না সরানোয় কাজে বেগ পাওয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সড়কের নির্বাহী প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদার। তিন বলেন, সেনবাগ থেকে সোনাইমুড়ি বজরা বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে ৬ কিলোমিটার সড়কে বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণে প্রায় ৭০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে। কিন্তু দীঘিরজান থেকে বজরা বজার পর্যন্ত সড়কে খুঁটিগুলো সরায়নি তারা। ফলে খুঁটি রেখেই বাধ্য হয়ে কার্পেটিং করতে হয়েছে সড়ক বিভাগকে।  নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. জাকির হোসেন বলেছেন, ইতোমধ্যে খুঁটি সরাতে সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, চলতি মাসেই সরানো হবে সড়কের মাঝে থাকা ৩৯টি খুঁটি। স্থানীয়রা বলছেন, বর্তমান শীতের সময় হওয়ায় সড়টিতে দিনের তুলনায় রাতে কুয়াশার মধ্যে দুর্ঘটনার পরিমাণ বেড়েছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে খুঁটিগুলো সরানো না হলে শুধু দুর্ঘটনা বা আহত নয়, প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়