• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) কাতারের বিনিয়োগকারীদের প্রতি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, খাদ্য সরবরাহের চেইনগুলো উৎপাদন থেকে ব্যবহার পর্যন্ত যেমন-কৃষি-উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ, খাদ্য প্যাকেজিং, স্মার্ট এগ্রিকালচার, সার উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে ও বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গভবনে ঢাকায় সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান তিনি। উপসাগরীয় অঞ্চলে কাতারকে বাংলাদেশের একটি মূল্যবান উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সাহাবুদ্দিন বলেন, আমিরের সফর এবং দু’দেশের মধ্যে সম্পাদিত ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) আগামী দিনে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও সম্প্রসারিত ও গভীরতর করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ১০০টি অর্থনৈতিক বিশেষ অঞ্চল স্থাপন করেছে। কাতারের বিনিয়োগকারীরা পেট্রো-কেমিক্যাল, জ্বালানি, মেশিনারিজ, তথ্য-প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স, সিরামিক, কৃষি-ব্যবসা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মতো কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রণোদনা পেতে এবং সহায়তা করতে পারে। রাষ্ট্রপ্রধান প্রায় ৩ দশমিক ৭৫ লাখ বাংলাদেশিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার জন্য কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এই জনবল কাতার এবং বাংলাদেশ উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রতিনিয়তই অবদান রাখছেন। কাতারের আমিরকে আরও তরুণ, দক্ষ ও আধা-দক্ষ জনশক্তি, আইটি বিশেষজ্ঞ, পেশাদার প্রযুক্তিবিদ নিয়োগের আহ্বান জানান সাহাবুদ্দিন।  এ সময় বাংলাদেশকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) দেওয়ার জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি কাতারের কাছে দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সহায়তা চেয়েছেন। তিনি বলেন, বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উভয় পক্ষকে আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। রাষ্ট্রপতি চলমান ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনার সুবিধার্থে কাতারের (মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে) প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন। কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি আশ্বাস দেন যে, সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। কাতারের আমির আরও বলেন, কাতার এবং বাংলাদেশ স্বাক্ষরিত বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকসমূহ দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও কার্যকরি ভূমিকা রাখবে। সাক্ষাৎকালে উভয় নেতা তাদের মধ্যে কুশল বিনিময় করেন এবং আনন্দ প্রকাশ করেন যে, এই সফর বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বহুমুখী অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার উপায় নির্ধারণ করবে। সূত্র : বাসস
১৯ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে আইএমএফ
চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি বলছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে ২০২৫ সালে তা কিছুটা বেড়ে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে। আর ২০২৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৭ শতাংশে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বৈশ্বিক ঋণদাতাটি তাদের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনের সাম্প্রতিকতম সংস্করণ প্রকাশ করেছে। আইএমএফের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে ক্রমাগত উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব, নিম্ন রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং শিল্প বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা হ্রাসসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক ও স্থানীয় চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি। গত বছরের অক্টোবরে দেওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সাড়ে ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করেছে। বাংলাদেশের আরেক বড় উন্নয়ন সহযোগী এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক চলতি এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের অর্থনীতির ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়। এডিবির মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হবে রপ্তানি খাতের প্রবৃদ্ধির হাত ধরে। এডিবি আরও বলে, মূল্যস্ফীতি কমার সঙ্গে সঙ্গে বেসরকারি ভোগ চাহিদা বাড়বে, একইসময়ে সরকারি ভোগ চাহিদায় মাঝারি প্রবৃদ্ধি হতে পারে। চলতি মাসের শুরুর দিকে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বেসরকারি ভোগ কমে যাওয়ায় নিম্ন প্রবৃদ্ধির মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩১

‘আর্থিক খাতের দুর্বলতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করছে’
বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি, ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি এবং আর্থিক খাতের দুর্বলতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করছে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। তবে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে বলছে সংস্থাটি। এর মধ্যে রয়েছে, জ্বালানির মূল্য সমন্বয়, রপ্তানি ভর্তুকি কমানো এবং মনিটারি পলিসি টাইট করা হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গত অক্টোবরেও একই পূর্বাভাস দিয়েছিল সংস্থাটি। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীতে নিজেদের কার্যালয়ে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ রণজিৎ ঘোষ। এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক। বিশ্বব্যাংক বলেছে, আগামী ২০২৪-২৫ সালে প্রবৃদ্ধি কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হতে পরে। যদিও গত অক্টোবরে এটা ৫.৮ হওয়ার কথা বলেছিল ব্যাংকটি। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি আরো বেড়ে ৫ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু যথাযথ সংস্কার পদক্ষেপ না নিলে অর্থনৈতিক দুর্বলতা আরো প্রকট হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুল্লায়ে সেক বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক পরিবার ভোগান্তিতে পড়েছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হতে পারে। ব্যাংকে ঋণখেলাপির পরিমাণ অনেক বেশি। এ খাতে সংস্কার আনতে সহায়তা করতে প্রস্তুত বিশ্বব্যাংক। ব্যাংক মার্জার করার ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করা উচিত। বাজারভিত্তিক বিনিময় হার করা উচিত। সব মিলিয়ে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, দক্ষিণ এশিয়ায় ২০২৩-২৪ সালের আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ শতাংশ। আর ২০২৪-২৫ সালে তা ৬.১ শতাংশ হবে। ভারত, বাংলাদেশ এতে মূল ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার অবস্থাও উন্নতি হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। পাকিস্তানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হবে ১.২ শতাংশ। এছাড়া ভুটানে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, নেপালে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ২ দশমিক ২ শতাংশ, মালদ্বীপে ৪.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। 
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৮

অর্থনীতির সংকট কাটতে শুরু করেছে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং করোনার ভয়াবহ ছোবলে বিশ্ব স্থবির হয়ে যাওয়ার কারণে বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকটের কালমেঘ ছেয়ে গিয়েছিল, সেই মেঘ ক্রমশ কাটতে শুরু করেছে। পরপর কিছু আশাব্যঞ্জক খবরের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আশান্বিত হওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। পরিস্থিতির কারণে সরকারের মধ্যেও স্বস্তি দেখা দিয়েছে। একাধিক কারণে সরকার মনে করছে, বড় ধরনের অর্থনৈতিক চাপের মুখে আপাতত নেই। রেমিট্যান্স আয় ও রপ্তারি বৃদ্ধির কারণে ডলার সংকট অনেকটা কেটে গেছে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। সংকট কেটে যাওয়া খোলাবাজারে ডলারের দর ১২৫ থেকে কমে ১১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর এতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেটে গেছে। এদিকে, চলতি ব্ছরের মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১৯৯ কো‌টি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে যার পরিমাণ ২১ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ ডলার এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এ ছাড়া রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, শেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৭ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮১ লাখ ১০ হাজার ডলার।  এ পরিস্থিতিতে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রতিনিধি এসেছিল। তারা বলেছে, আমরা অপেক্ষা করছি প্রপোজালের জন্য। বাংলাদেশ আগে প্রপোজাল দিক, তারা টাকা দেবে। কাজেই এরকম একটা নিশ্চয়তা পাওয়ার পর আর বড় ধরনের সন্দেহ নেই। কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই।  অর্থমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দেশ চলছে। দেশের মানুষের যেসব আইটেম দরকার সেগুলো সবই আসছে। যারা ভেবেছিল বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, তাদের ধারণাও ভুল প্রমাণ হয়েছে।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৬

অর্থনৈতিক সংকট কেটে গেছে : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণে ডলার সংকট অনেকটা কেটেছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব কেটে গেছে। যারা দেশকে শ্রীলঙ্কা হবে ভেবেছিল, তাদের ধারণাও ভুল প্রমাণ হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) সচিবালয়ে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক বাজেট বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই কথা বলেন। বৈঠকে ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লা মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বেশ কিছু বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন। প্রস্তাবগুলো বিবেচনার আশ্বাস দেন তিনি। এ সময় আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংকের (এআইআইবি) প্রতিনিধি এসেছিল। তারা বলেছে, আমরা অপেক্ষা করছি তোমাদের প্রপোজালের জন্য। তোমরা আগে প্রপোজাল দাও, টাকা আমরা দেবো, টাকার কোনো অভাব নেই। কাজেই এরকম একটা নিশ্চয়তা পাওয়ার পর আর তো কোনো সন্দেহ নেই। কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ (বিএনপি) বলেছিল আর এই তো হয়ে গেল, শ্রীলংকা হলো বলে। শ্রীলঙ্কা হয়েছে? হয় নাই তো। আমরা টিকে আছি এবং আগামী বাজেট প্রণয়নের কাজ চলছে। আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, দেশ তো চলছে। দেশের মানুষের যেসব আইটেম দরকার সেগুলো সবই আসছে। সেগুলো পাওয়া যাচ্ছে। হ্যাঁ, দামটা নিয়ে একটু ইয়ে আছে কোনোটা বাড়ছে, কোনোটা কমছে। সেগুলো তো আছে। মুক্ত বাজার অর্থনীতি যেভাবে চলে সেভাবে চলছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৮

কুড়িগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট ভুটানের রাজা
কুড়িগ্রাম সফরে এসে জিটুজিভিত্তিক প্রস্তাবিত ‘ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’-এর জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর দেড়টায় কুড়িগ্রাম জেলা সদরের ধরলা নদীর পূর্বদিকে মাধবরাম এলাকায় প্রায় ২০০ একর জমির ওপর অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রশাসন ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ রাজাকে বিস্তারিত তুলে ধরেন। রাজা ওয়াংচুক সন্তুষ্ট হয়ে এ এলাকায় শিল্প কলকারখানাসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ তিনটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন তিনি। এ সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী এম, এ আরাফাত, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা হামিদুল হক খন্দকার, বিপ্লব হাসান পলাশ এমপি, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান সাবেক সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন সাংবাদিকদের বলেন, ভুটানের রাজা প্রস্তাবিত এলাকায় শিল্প স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি দুই দেশের যৌথ সমীক্ষা শেষে দ্রুত এ কাজ শুরু করার কথা জানান। তিনি আরও বলেন, ভুটানের রাজা শিগগিরই একটি টেকনিক্যাল টিম কুড়িগ্রামে প্রেরণ করবেন। অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শুরু হলে তিনি আবারও এ জেলায় আসার ইচ্ছা পোষণ করেন। আজ ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর, এরপর সড়কপথে কুড়িগ্রামে আসেন তিনি। অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে সোনাহাট স্থলবন্দরে বিজিবির পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় তাকে। এরপর ভারতের আসাম রাজ্যের গোলকগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন তিনি।
২৮ মার্চ ২০২৪, ২২:২৭

সম্পর্ক জোরদারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক। বৈঠকে দুদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্ব দিয়েছেন তারা। বুধবার (২০ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনু‌ষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অর্থনৈতিক কূটনীতির বিষয়াদি, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি, কোরিয়া পরিচালিত প্রকল্প, চুক্তি, প্রযুক্তি বিনিময় নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা হয়। এ সময় প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশি পণ্যকে অগ্রাধিকারমূলক বাজারে প্রবেশের অনুমতি ও দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশকে সাতটি বিলাসবহুল গাড়ি দেওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেইসঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে বর্ণনা করে দেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও বিনিয়োগকে স্বাগত জানান তিনি। ড. হাছান বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির (ইপিএ) মতো দ্বিপাক্ষিক উপকরণকে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ‘এলডিসি’ থেকে উত্তরণের পর ধারাবাহিকভাবে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য নতুন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ও এর গুরুত্ব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা কোইকাকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল দ্রুত সরবরাহের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন মন্ত্রী। পাশাপাশি কোরিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে আলোচনায় কোরিয়ার এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম (ইপিএস) স্কিমের অধীনে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য কোটা বাড়ানোয় ধন্যবাদ জানান তিনি। এ সময় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, ভাষা শেখার সমস্যার কারণে বাংলাদেশ গত বছর ১০ হাজার ২০০ জনের কোটা পূরণ করতে পারেনি। তবে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিষয়টির সমাধানকল্পে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে দুটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) মনোনীত করেছে, যেখানে কোরিয়ার প্রশিক্ষকরা ভাষা ও প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন। পাশাপাশি ম্যান-মেইড ফাইবার, দক্ষতা, প্রযুক্তি বিনিময়, দ্বৈত কর পরিহার, বিমান পরিষেবা চুক্তির সংশোধন, উচ্চ-পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক সফর এবং সরাসরি ও যৌথ  বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পখাত বিশেষ করে তৈরি পোশাকশিল্পের আরও আধুনিকায়নের মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত।   
২০ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৩

২০৩২ সাল পর্যন্ত জিএসপি সুবিধা পেতে আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
এলডিসি উত্তরণ পরবর্তীকালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা সুসংহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধা উত্তরণের মেয়াদ ২০২৯ সালের পরিবর্তে ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী সাইমন কভেনির নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের আইরিশ প্রতিনিধিদল সোমবার (১৮ মার্চ) গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জানান, প্রধানমন্ত্রী এজন্য আয়ারল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছেন যাতে ইইউ বাংলাদেশের জন্য ২০৩২ সাল পর্যন্ত বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা, বিশেষ করে জেনারেলাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্স (জিএসপি) বৃদ্ধি করে। আয়ারল্যান্ডকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও অংশীদার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ইইউ সদস্য দেশটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে। তিনি ইইউ প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের স্বার্থের বিষয়ে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে আয়ারল্যান্ডের প্রতি অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করার জন্য আইরিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিন থেকে চার বিলিয়ন ভোক্তার বাংলাদেশকে একটি সম্ভাব্য বড় মার্কেটিং হাব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের আইসিটি, ফার্মাসিউটিক্যালস ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের মতো বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রুতিশীল খাতে আয়ারল্যান্ডের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের বিশাল সুযোগ রয়েছে। শ্রম ইস্যু প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শ্রম ইস্যু নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়। শেখ হাসিনা আরও বলেন, ইইউভুক্ত দেশগুলো এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করলে এ বিষয়ে কোনো ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ থাকবে না। এ সময় আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট খোলার জন্য তিনি এখানে এসেছেন উল্লেখ করে আইরিস মন্ত্রী বলেন, এই কার্যালয়টি দু’দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সহায়ক হবে। সাইমন কভেনি বলেন, আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশের প্রযুক্তি ও খাদ্য শিল্পে (কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প) প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে চায়। তিনি বলেন, আয়ারল্যান্ড জাতিসংঘ ও ইইউ ফোরামে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। বর্তমানে আয়ারল্যান্ডে প্রচুর বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে উল্লেখ করে সফররত মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, তারা বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে স্বাগত জানাবে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আয়ারল্যান্ড তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখবে। তবে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে নিরাপত্তা জোরদার, তাদের উপার্জনশীল কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করার ও বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী ও আরও উন্নত ঘরের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা শিবিরের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তবে হত্যা ও অন্যান্য অপরাধ কখনও কখনও দেখা যায়, কারণ সেখানে অনেক অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী রয়েছে- যারা এখানে দীর্ঘদিন অবস্থানের কারণে ইতোমধ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বে শরণার্থীদের জন্য স্থায়ী ঘর নির্মাণের নজির নেই, তবে ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য বাংলাদেশ মানসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা সেখানে যেতে চাইলে আমরা ভাসানচরে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গার জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কিছু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বেসরকারি সংস্থা ও দেশের বিরোধিতার কারণে ভাসানচরে আবাসন প্রকল্পটি সফল হচ্ছে না। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ভারতে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কেভিন কেলি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের অনারারি কনসাল মাসুদ জামিল খান উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস
১৮ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৬

বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট
দেশের অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কোষাগার থেকে কোনো বেতন নেবেন না বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি।  মঙ্গলবার (১২ মার্চ) প্রেসিডেন্টের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় খাজানার ওপর চাপ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্য তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রাপ্য বেতন গ্রহণ করবেন না। পাকিস্তানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে গত ৯ মার্চ শপথ নিয়েছেন ৬৮ বছর বয়সী জারদারি। জাতীয় কোষাগারের বোঝা না চাপিয়ে তিনি বিচক্ষণ আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে উৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তার দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জানিয়েছে।
১২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪০

সংশোধিত এডিপি অনুমোদন / বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) সংশোধনী হয়েছে আজ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় সংশোধিত এই এডিপি (আরএডিপি) অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সংশোধিত এডিপিতে সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৮২ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে। টাকার অঙ্কে যা ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এরপরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। যা টাকার অঙ্কে ৩৭ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা।  প্রতিবারের মতো এবারও মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ পাওয়া অর্থ ব্যয় করতে না পারায় কাটছাঁট করতে হয় সংশোধিত এডিপি। এতে আরএডিপির আকার দাঁড়ালো ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। সার্বিকভাবে এডিপির আকার কমেছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশন এ ব্যাপারে জানায়, সব মন্ত্রণালয় সময় মতো বরাদ্দ করা অর্থ খরচ করতে পারছে না। ফলে এডিপির বাস্তবায়নে প্রত্যেকবারই ব্যয় কমানো হচ্ছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়ন কমছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। এডিপিতে নিজস্ব অর্থায়ন ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। যা কমে হচ্ছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিদেশি সহায়তা থেকে বরাদ্দ কমছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। এতে সংশোধিত এডিপিতে বিদেশি সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াবে ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।   
১২ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়