• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শবেবরাতের ছুটিতে জমজমাট বইমেলা
শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে অমর একুশে বইমেলা । আর তিনদিন পরই পর্দা নামবে প্রাণের বইমেলার। বইপ্রেমীদের মনে বিদায়ের সুর বাজতে শুরু করেছে এরই মধ্যে। তবে শেষ সময়ে এসে লোকসমাগমে জমজমাট হয়ে উঠেছে মেলা । তার উপর শবে বরাতের ছুটি। সপ্তাহে বাড়তি একটা ছুটি পেয়ে মেলায় ছুটে আসছেন বইপ্রেমীরা। বিক্রি বাড়ায় খুশি বইয়ের দোকানিরাও। রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী অমর একুশে বইমেলা। তবে বইয়ের দোকান বেশি হওয়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশেই বেশি ভিড় হয়। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গন। ছেলে থেকে বুড়ো বিভিন্ন মানুষ আসছেন মেলায়। বেশির ভাগের হাতেই ছিল বইয়ের ব্যাগ। অন্যান্য দিনের মতো বেশি ভিড় দেখা যায় মেলার শিশু কর্নার ও স্টলগুলোতে। মিরপুর থেকে এসেছেন শাহলিনা বেগম ও জামির আহমেদ। প্রতি বছরই বইমেলায় আসেন এ দম্পতি। কিন্তু, দুজনই চাকরিজীবী হওয়ায় ঘোরাঘুরির সময়-সুযোগ বের করা কঠিন। এবারের মেলায় এটাই তাদের প্রথম আসা জানিয়ে এ দম্পতি বলেন, চাকরি-সংসার মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত থাকতে হয়। এদিকে মেলাও শেষ হয়ে যাচ্ছে। বইমেলায় আসতে না পারায় মনের মধ্যে কেমন যেন যেন হাহাকার জেগে উঠেছিল। তাই ভাবলাম, শবে বরাতের এ ছুটিই এবার শেষ সুযোগ। শেষমেশ আসা হলো।' এই প্রথম বইমেলায় এসেছেন লুবনা। মেলার গেটে যখন প্রবেশ করছিলেন বারবার সেই মুহূর্তকে নিজের মোবাইলে ধারণ করছিলেন। এ সময় কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, টিভিতে অনেক দেখেছি। পত্রিকায় বইমেলার ফিচার পড়েছি। কিন্তু আজ বাস্তবে সরাসরি এলাম। অনুভূতিটাই অন্যরকম। পুরো মেলায় ঘুরবো, বইও কিনবো। লুবনার প্রিয় লেখক কে জানতে চাইলে কোনও কিছু না ভেবেই উত্তর দিয়ে দেন, হুমায়ূন আহমেদ।  ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকে দর্শনার্থীরা আসতে শুরু করেছে। দুপুর ১২টা নাগাদ গেট খুলে দেওয়া হলে প্রবেশ করতে শুরু করেন বইপ্রেমীরা। ক্রেতা সমাগমে খুশি বই বিক্রেতারাও। শেষ দিকে একে জমে উঠেছে বেচাবিক্রি। ঘুরতে আসা বেশিরভাগ দর্শনার্থীরাই কিনছেন বই।   আগামী প্রকাশনীর স্টলে গিয়ে কথা হয় দায়িত্বরত কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, কমবেশি সবাই বই কিনছেন। প্রথমা প্রকাশনের জ্যেষ্ঠ বিক্রয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোহেলের কথাতেও বোঝা গেল শেষ দিকে এসে তুলনামূলক বেশি বই বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, যারা আসছেন, তারাই কমবেশি বই কিনছেন। বাছাই করা তালিকা ধরে বই কিনছেন অনেকে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৯

আজ অমর একুশে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
আজ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে তরুণ ছাত্র যুবকদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। বাঙালি জাতির সেই সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে রয়েছে। বাংলা আজ মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার মর্যাদা পেয়েছে। ২০০০ সাল থেকে সারা বিশ্বে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে দিবসটি শহীদ দিবস হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে আজ বুধবার ভাষা আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী শহীদ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরদের শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করা হবে। আজ দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রতিটি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে ভাষাশহীদদের। ফুলে ফুলে ভরে উঠবে দেশের প্রতিটি শহীদ মিনার। ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীবাসী ছুটে যাবেন ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ঢাকার সব অলিগলি রাজপথ থেকে খালি পায়ে ফুল হাতে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ ছুটবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হবে ভাষাশহীদদের স্মরণে লেখা গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক বাণী দিয়েছেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে হরতালের ডাক দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। আলাদা কর্মসূচি গ্রহণ করে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদও। হরতাল প্রতিহত করতে তৎকালীন সরকার ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে এক মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে। ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমতলায় ছাত্রসমাবেশের কর্মসূচি ছিল। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রনেতাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দেয়ায় ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাবি আমতলার সমাবেশে এ বিষয়ে উপস্থিত ছাত্রদের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে রাতেই অনেক ছাত্রনেতা পরের দিন ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্রদের পুলিশ ঘেরাও করে রাখে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মেডিক্যাল কলেজ এলাকায় প্রথম ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। এতে ছাত্ররা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বিকেল ৪টায় মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে নিহত হন রফিকউদ্দিন আহমদ। রাত ৮টার পরে আহতদের মধ্যে মারা যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবুল বরকত এবং গফরগাঁওয়ের আব্দুল জব্বার। আজ সরকারি ছুটি। প্রতি বছরের মতো এবারো একুশে ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোতে সঠিক নিয়মে, সঠিক রঙ ও মাপে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২০

একুশের চেতনা আজ অনুপ্রেরণার অবিরাম উৎস : রাষ্ট্রপতি
বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অমর একুশের চেতনা আজ অনুপ্রেরণার অবিরাম উৎস বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বুধবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ মন্তব্য করেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অমর একুশের চেতনা আজ অনুপ্রেরণার অবিরাম উৎস। তবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির যথাযথ চর্চা ও সংরক্ষণে আমাদের আরও যত্নবান হতে হবে। তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে আজ আমরা গ্লোবাল ভিলেজের বাসিন্দা। তাই উন্নত বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যেতে বর্তমান প্রজন্মকে বাংলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত বিভিন্ন ভাষার ওপর প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের স্বাধিকার, মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অমর একুশের অবিনাশী চেতনাই যুগিয়েছে অফুরন্ত প্রেরণা ও অসীম সাহস। ফেব্রুয়ারির রক্তঝরা পথ বেয়েই অর্জিত হয় মাতৃভাষা বাংলার স্বীকৃতি এবং সে ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে অর্জিত হয় বাঙালির চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা, যার নেতৃত্ব দিয়েছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আরও বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। স্মৃতিবিজড়িত এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি মাতৃভাষা বাংলার অধিকার আদায়ে জীবন উৎসর্গকারী ভাষা শহীদ রফিক, সালাম, বরকত, জব্বার, শফিউরসহ নাম না জানা শহীদদের। আমি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বাংলাসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাভাষী জনগণ ও জাতিগোষ্ঠীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার দাবিতে গঠিত ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ এর নেতৃত্ব প্রদানের জন্য কারাবরণ করেন। আমি আরও স্মরণ করি তৎকালীন গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তসহ সকল ভাষা সংগ্রামীকে, যাদের দূরদৃষ্টি, অসীম ত্যাগ, সাহসিকতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। বাঙালি পায় মাতৃভাষার অধিকার। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ব্রিটিশ শাসিত ভারত ভেঙে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের জন্ম হয়। হাজার কিলোমিটার দূরত্বের ব্যবধানে অবস্থিত পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পূর্ণ ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করা হলে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে। মূলত ভাষা আন্দোলন ছিল আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্ত্বা, স্বকীয়তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার আন্দোলন।  তিনি আরও বলেন, ১৯৯৯ সালে কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশীর প্রাথমিক উদ্যোগ এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহ ও ঐকান্তিক চেষ্টায় জাতিসংঘ কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এটি জাতি হিসেবে আমাদের একটি অন্যতম গৌরবময় অর্জন। মাতৃভাষা এবং নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে এ দিবসটি উদযাপন একটি অনন্য উদ্যোগ। তাই অনেক ত্যাগ ও শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলা ভাষার মান ও অধিকার সমুন্নত রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানাই।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:২৭

রাবিতে অমর একুশে গ্রন্থ উৎসব শুরু
‘তারুণ্যের ভাবনার পরিধি বাড়াই, প্রান্তিক শিশুদের পাশে দাঁড়াই’ প্রতিপাদ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে চার দিনব্যাপী ‘অমর একুশে গ্রন্থ উৎসব ২০২৪’ শুরু হয়েছে। দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহার স্মরণে এ আয়োজন করা হয়েছে।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় বইমেলা উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার; যা চলবে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।  উদ্বোধনকালে রাবি উপাচার্য এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, এমন আয়োজন প্রশংসনীয়। এ উদ্যোগে সব ধরনের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পাশে থাকবে।  এ সময় উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম (প্রশাসন) ও অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর (শিক্ষা), রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. তারিকুল হাসান, নবজাগরণ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মনিমুল হক এবং অধ্যাপক ড. ফারহাত তাসনিমসহ সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবী উপস্থিত ছিলেন। আয়োজক সূত্রে জানা যায়, চিন্তাশক্তির বিকাশ ও তরুণদের মধ্যে সাহিত্য চেতনা জাগ্রত করতে এমন বই উৎসবের আয়োজন। এই উৎসব থেকে অর্জিত মুনাফা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার জন্য ব্যয় হবে।  আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মনারুল ইসলাম বুলেট বলেন, এবারের গ্রন্থ উৎসবে প্রজন্ম পাবলিকেশন, শিকড় পাবলিকেশন, আল-হামরা প্রকাশনী, আলেয়া বুক ডিপো, ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশ, অন্বেষা প্রকাশন, বাংলাপ্রকাশ, চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন, অবসর প্রকাশনা সংস্থা, শব্দশৈলি, অনন্যা প্রকাশনী, বিদ্যাসাগর লাইব্রেরি, বুক পয়েন্ট, বিদ্যাসাগরসহ প্রায় ২৫টি প্রকাশনী থাকবে। এছাড়াও রাজশাহীর তিনটি স্বনামধন্য লাইব্রেরিও যুক্ত থাকবে বলে জানান তিনি।  প্রসঙ্গত, নবজাগরণ ফাউন্ডেশন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ২০১২ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়নে সহায়তামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে শিক্ষাক্ষেত্রে উৎসাহী করা ও যুগোপযোগী দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৫

অমর একুশে বইমেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২৪’-এর উদ্বোধন করেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন। পাশাপাশি বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগৃহীত রচনা : দ্বিতীয় খণ্ড’সহ কয়েকটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন। বাংলা একাডেমি আয়োজিত এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই, গড়ো দেশ: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। বইমেলায় ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি মাঠে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ বছর মোট ৩৭টি প্যাভিলিয়নও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছর ৬০১টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মোট ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৪

একুশের চেতনায় আজ থেকে শুরু অমর একুশে বইমেলা
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’ শুরু হচ্ছে আজ পহেলা ফেব্রুয়ারি। বিকাল ৩টায় বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।’ বইমেলার সার্বিক আয়োজনের দায়িত্ব বাংলা একাডেমির। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।  বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে বইমেলার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, একাডেমির পরিচালক (প্রশাসন) ও বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাসান কবির ও বইমেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নওবদ আলী। আয়োজকরা জানান, বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘কালেক্টেড ওয়ার্কস অব শেখ মুজিবুর রহমান : ভলিউম-২’ সহ কয়েকটি গ্রন্থ-উন্মোচন করবেন। এদিন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও প্রদান করবেন তিনি। বইয়ের এ উৎসবে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট আয়তনের মাঠে ৬৩৫ প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০ প্রতিষ্ঠান ১৭৩ ইউনিট এবং সোহরওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫ প্রতিষ্ঠান ৭৬৪ ইউনিট বরাদ্দ পেয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। গত বছরের মতো রমনা কালী মন্দির গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে শিশুচত্বর। প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশুকিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং থাকছে সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন। এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৭০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবারের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে নতুন ও পুনর্মুদ্রিত ১০০ বই। বইমেলায় অংশগ্রহণকারী সব প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। বাংলা একাডেমির ৩টি প্যাভিলিয়ন এবং শিশুকিশোর উপযোগী প্রকাশনার বিপণনের জন্য ১টি স্টল থাকবে। বইমেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। নিরাপত্তার জন্য মেলায় তিন শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা রয়েছে। বইমেলা ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩৪

বইমেলার ৮০ ভাগ কাজ শেষ
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু হবে বাঙালির প্রাণের ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’। মেলা সফল করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জোরেশোরে চলছে নির্মাণযজ্ঞ। বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, এরই মধ্যে মেলার ৮০ ভাগেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশের খুঁটি লাগানো ও বাঁশের ফ্রেমিংয়ের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। এখন বইয়ের তাক নির্মাণ ও বৃষ্টির দুর্ভোগ এড়াতে স্টলের ওপরে টিন দেওয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে তথ্যকেন্দ্র, বইমেলার মিডিয়া সেন্টার, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, কবি-সাহিত্যিকদের আড্ডাসহ বিভিন্ন নির্মাণ কাজ অধিকাংশ শেষ হয়েছে।  কাজ করা শ্রমিকরা জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অর্ধশতাধিক শ্রমিক ও মিস্ত্রি কাজ করছেন। স্টল নির্মাণ, বইয়ের তাক নির্মাণ এবং ভেতরের ডেকোরেশনের জন্য আলাদা আলাদা মিস্ত্রি কাজ করছেন। বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে ৮০ ভাগেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে। গত বছর নানা সমালোচনায় পড়ে এবার বইমেলা সম্পন্ন করতে যথাযথ পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলা একাডেমি। এবছর প্রায় ৭০টি নতুন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মেলায় স্টল বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছিল। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত ২১টি প্রকাশনাকে বাছাই করা হয়েছে। এছাড়া গত বছরেরগুলো অপরিবর্তিত থাকছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হবে স্টল। বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির মাধ্যমে কাঠামোসহ মেলার সব কাজ সম্পন্ন করা হলেও এবার পুরো মেলার কাজ বাংলা একাডেমি একাই সম্পন্ন করবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি, পুলিশ বিভাগ, মেট্রোরেল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সভা করেছে বইমেলা পরিচালনা কমিটি। এবার নতুন করে ঢাকার ২৫টি স্কুলের শিক্ষকদের তাদের শিক্ষার্থীদের বইমেলায় আনতে চিঠি দিয়েছে বাংলা একাডেমি। মেট্রোরেলও চালু থাকবে রাত পর্যন্ত। বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমি মানবসম্পদ উন্নয়ন ও পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, মেলার পূর্বপ্রস্তুতি ও পর্যবেক্ষণের জন্য সাতটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি, গত মেলায় যেসব অভিযোগ ছিল এবার থাকবে না। প্রকাশনী নিয়েও অস্থিরতা নেই। গত মার্চ থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। এবার আমরা পুস্তক সমিতি থেকে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সদস্য ও মন্ত্রণালয়সহ সবাইকে নিয়ে বইমেলার একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। তিনি বলেন, বিগত বছরের মত এবারও মেলার অবকাঠামোগত বিন্যাস অপরিবর্তিত থাকছে। একটা গলির সামনে দাঁড়ালে এর শেষ মাথা দেখা যাবে। গুচ্ছ আকারে থাকবে না। প্যাভিলিয়ন ও স্টলের লাইন আলাদা থাকবে, যাতে স্টল খুঁজে পেতে সহজ হয়।  আগামী ৩০ জানুয়ারি বেলা ১১টায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’ এর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।  উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউজ প্রাঙ্গণে বটতলায় চটের ওপর ৩২টি বই সাজিয়ে বইমেলার গোড়াপত্তন করেছিলেন চিত্তরঞ্জন সাহা। যা আজ অমর একুশে বইমেলায় পরিণত হয়েছে।
২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়