• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
জালিয়াতির অভিযোগে ব্রাজিলিয়ান তারকার দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা
ডোপ টেস্টে জালিয়াতির অভিযোগে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ফ্ল্যামেঙ্গোর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল বারবোসা। সোমবার ব্রাজিলের এক ক্রীড়া আদালত এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানিয়েছেন। ঘটনাটি মূলত গত বছরের ৮ এপ্রিলের। রিও ডি জেনিরোতে হঠাৎই তার ডোপ পরীক্ষা করা হয়। সে সময়ে ডোপ পরীক্ষার সময় অসহযোগিতা করেন ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ব্রাজিলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ডোপ পরীক্ষার সূচি মানেননি বারবোসা। একই সঙ্গে ডোপিং কর্মকর্তাদের যথাযথ সম্মান দেখাননি তিনি। সংবাদ সংস্থা এএফপিকে পাঠানো বিবৃতিতে ব্রাজিলের সেই ক্রীড়া আদালত জানিয়েছেন, ‘উল্লেখিত ক্রীড়াবিদের (গ্যাব্রিয়েল বারবোসা) আজ অ্যান্টি-ডোপিং স্পোর্টস কোর্ট অফ জাস্টিসে (TJD-AD) বিচার করা হয়েছিল এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার প্রতারণামূলক চেষ্টায় অ্যান্টি-ডোপিং নিয়মের লঙ্ঘন ঘটেছে।’ এদিকে এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন গাবিগোল নামে পরিচিত এই ফুটবলার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। টুইটে বারবোসার ভাষ্য, আমি কখনোই কোনো পরীক্ষায় প্রতারণা করতে চাইনি। আমার বিশ্বাস উচ্চ আদালতে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হবো। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আমি খেলার সব নিয়ম অনুসরণ করে এসেছি এবং কখনোই নিষিদ্ধ দ্রব্য গ্রহণ করিনি। আমি ডজনখানেক টেস্টের সম্মুখীন হয়েছি। সবখানেই নেতিবাচক ফল এসেছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ফ্ল্যামেঙ্গোতে যোগ দেন বারবোসা। এর আগে, ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলানের জার্সিতে এক বছর খেলেছেন তিনি। ২০১৬ সালে ব্রাজিলের জার্সিতে অভিষিক্ত বারবোসা এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে ১৮ ম্যাচ খেলেছেন। করেছেন ৫ গোল।
২৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৪

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক এমপি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা 
বগুড়া-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু ও তার স্ত্রী মোছা. বিউটি খাতুনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে এ দম্পতির বিরুদ্ধে।  সোমবার (২৫ মার্চ) দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুই মামলার একটিতে রেজাউল করিম বাবলুর বিরুদ্ধে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে। এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে সাবেক এমপি বাবলু স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ১ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৬০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে আয় ও ব্যয় মিলিয়ে ৭৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৮ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি, যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য। অপর মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রেজাউল করিম বাবলুর স্ত্রী মোছা. বিউটি খাতুন একজন গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও তার বিরদ্ধে ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। তার সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে মোট স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় ১ কোটি ৪২ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ টাকার। অর্জিত সম্পদের বিপরীতে তার দায়-দেনার পরিমাণ পাওয়া যায় ১৫ লাখ টাকা। যা বাদ দিলে নিট সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় ১ কোটি ২৭ লাখ ৬ হাজার ২৯৩ টাকা। এ সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার নিট আয় পাওয়া যায় ২১ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। বাকি ১ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ২৯৩ টাকার সম্পদ অবৈধ বলে বেরিয়ে এসেছে দুদকের অনুসন্ধানে। গত ২০ মার্চ এ বিষয়ে পৃথক দুটি মামলার অনুমোদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। রেজাউল করিম বাবলু একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। বগুড়া-৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।  
২৫ মার্চ ২০২৪, ২০:১০

ভাই হত্যার অভিযোগে ট্রান্সকমের সিইও’র বিরুদ্ধে বোনের মামলা
নিজের ভাইকে হত্যার অভিযোগে এবার ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তারই ছোট বোন শাযরেহ হক।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দিনগত রাত ১২টা ৫ মিনিটে গুলশান থানায় মামলাটি করেন তিনি।  মামলায় সিমিন রহমানের ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেনসহ আরও ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।  মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া (৬০), মো. কামরুল হাসান (৬১), সেলিনা সুলতানা (৪৫), কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন (৫০), ডা. মুরাদ (৫০), ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম (৫৫), মো. জাহিদ হোসেন (৫৫), রফিক (৫৫) ও মিরাজুল (৪০)। বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, শাযরেহ হকের অভিযোগ তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমান অসুস্থ ছিলেন না। আসামিরা চক্রান্ত করে তাকে হত্যা করেছেন। এর আগে, কোম্পানির সম্পত্তি ও শেয়ার-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত ফেব্রুয়ারিতে বড় বোন, মা এবং ট্রান্সকমের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন শাযরেহ হক। পরে ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৯:২১

আর্জেন্টিনায় নারী সাংবাদিককে ধর্ষণের অভিযোগে চার ফুটবলার আটক
নারী সাংবাদিককে ধর্ষণের অভিযোগে আর্জেন্টিনার প্রিমিয়ার ডিভিশনের ক্লাব ভেলেজ সার্সফিল্ডের ৪ ফুটবলারকে আটক করেছে পুলিশ। চলতি মাসের শুরুর দিকে ২৪ বছর বয়সী এক ক্রীড়া সাংবাদিককে হোটেল কক্ষে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এই তথ্য নিশ্চিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আর্জেন্টিনার গণমাধ্যমগুলো। প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চার ফুটবলার হলেন উরুগুয়ের ৩৭ বছর বয়সী গোলকিপার সেবাস্টিয়ান সোসা। প্যারাগুয়ের ২৭ বছরের মিডফিল্ডার হোসে ফ্লোরেনটিন। আর্জেন্টিনার ২৭ বছরের ডিফেন্ডার ব্রাইয়ান কুফরে এবং ২১ বছরের স্ট্রাইকার আবিয়েল ওসোরিয়ো। সোমবার (১৮ মার্চ) তাদের চারজনকে পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত তাদের ৪৮ ঘণ্টার জন্য আটক করা হয়েছে। এরপর তাদের আদালতে পেশ করা হবে। বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন, তাদের গ্রেপ্তার করা হবে কি না। গোটা ঘটনাটি নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগকারী নারী সাংবাদিক পুলিশকে জানিয়েছেন, ২ মার্চ উত্তর আর্জেন্টিনায় ভেলেজের সঙ্গে অ্যাটলেটিকো টুকুমেনের একটি খেলা ছিল। গোলশূন্য সেই খেলা শেষের পর সোসা তাঁকে নিজের ঘরে ডাকেন।  সেখানে বাকি তিন ফুটবলারও অপেক্ষা করছিলেন বলে অভিযোগ। এসময় তারা সবাই মিলে মদ্যপান করেন। সাংবাদিক পান করে সামান্য অপ্রকৃতিস্থ হয়ে খাটে শুয়ে পড়েন। তখন বাকিরা তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রকাশ হলে ক্লাবটি ওই চার ফুটবলারকেই সাসপেন্ড করেছে। তবে গোলকিপার সোসা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।  নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত ৮ মার্চ তিনি লিখেছেন, যে কোনো মানুষের শরীর এবং যৌনতার অধিকারকে আমি শ্রদ্ধা করি। কখনোই কারো ওপর বলপ্রয়োগ করিনি। আশা করি আমি নিরপেক্ষ বিচার পাব।
১৯ মার্চ ২০২৪, ২০:০৯

শিক্ষকের বিরুদ্ধে সেই ছাত্রীর অভিযোগে যা বললেন ডিবিপ্রধান
শিক্ষকের বিরুদ্ধে করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফারজানা মীমের অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। হারুন বলেন, মীমের করা অভিযোগটি নিয়ে আমাদের সাইবারের একটি টিম কাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে জবি ভিসির সঙ্গেও কথা হয়েছে। অভিযোগের অনেক কিছুই আমাদের হাতে নেই। তিনি বলেন, মীমকে কেন বারবার ফেল করানো হচ্ছে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখবে। তবে তাকে আটকে রাখা বা হুমকি দেওয়ার বিষয়গুলো আমরা তদন্ত করছি। এর আগে, সোমবার বিকেলে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ দেওয়ার পর ফারজানা মীম সাংবাদিকদের বলেন, ২০২১ সালে আমার বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন আমাকে যৌন হেনস্তা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে বিভাগের চেয়ারম্যান ও অভিযুক্ত শিক্ষক আমাকে সেটি তুলে নিতে নানাভাবে চাপ দিতে থাকে। এতে আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমকে হাত-পা কেটে হত্যা করাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। আমাকে এক ঘরে করে দেওয়া হয়। আমাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় শূন্য নম্বর দিয়ে ফেল করানো হয়। অনার্সের ফাইনালের ভাইভায় আমাকে ফেল করানো হয়। তিনি আরও বলেন, আমি স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারছি না, আমাকে একঘরে করা হয়েছে। কখন আমাকে মেরে ফেলা হয় সেটা জানি না। শুধু আমি না, আমার পরিবারকেও নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে এবং হেনস্তা করছে। বর্তমান এ অবস্থা থেকে বাঁচতে ডিবি কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:১১

যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত 'স্কুইড গেম' অভিনেতা
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন ৭৯ বছর বয়সী ‘স্কুইড গেম’ অভিনেতা ও ইয়াং সু। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি জনপ্রিয় সিরিজ হলো ‘স্কুইড গেম’। এই সিরিজেই একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যায় ইয়াং সু-কে। ২০১৭ সালে তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার (১৫ মার্চ) সিউলের সেওংনাম আদালত ও ইয়াং সু-কে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছেন। অভিনেতাকে ৮ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সঙ্গে যৌন হয়রানির বিষয়ে ৪০ ঘণ্টার বিশেষ ক্লাসে অংশ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রবীণ এ অভিনেতাকে। তবে আদালতের রায়ে দোষী প্রমাণিত হলেও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ও ইয়াং-সু। উচ্চ আদালতে আপিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। ২০১৭ সালে ও ইয়াং সু’র বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন এক অভিনেত্রী। তার অভিযোগ ছিল, ও ইয়াং-সু তাকে জোর করে জড়িয়ে ধরেন, তার হাত ধরেন ও গালে চুমু খান। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে নেটফ্লিক্সে প্রচারিত ‘স্কুইড গেম’ সিরিজে ও ইল-নাম চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান ও ইয়াং-সু। এই সিরিজের জন্য ২০২২ সালে সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসাবে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন ৭৯ বছর বয়সী এই অভিনেতা। প্রায় তিন বছর পর ‘স্কুইড গেম’ সিরিজের দ্বিতীয় সিজন আসতে চলেছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৬

চাঁদপুরে জাটকা ধরার অভিযোগে ১০ জেলে আটক 
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা ধরার দায়ে ১০ জেলেকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। এর মধ্যে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা, ১ জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকার। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ৮টায় এসব তথ্য জানান চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান। আটকরা হলেন- মো. আরিফ সৈয়াল (২০), ইয়াসিন সৈয়াল (২৮), এমবি রাজু সৈয়াল (৩৫), হাসান বেপারী (২৫), মো. নজরুল বেপারী (১৫), মো. আবু সুফিয়ান (২০), মো. জিসান (১৬), মো.নবীন হোসেন (১৮), মামুন হোসেন আলী (৩৫) ও মো. শাজালাল (২৪)। এদের বাড়ী চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়। নৌ থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ১৪ মার্চ সন্ধ্যা হতে ১৫ মার্চ সন্ধ্যা পর্যন্ত নৌ পুলিশ মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা রক্ষায় অভিযান পরিচালনা করে। ১৫ মার্চ মধ্য রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকারের নেতৃত্বে পদ্মা-মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় হাতেনাতে এসব জেলেদের আটক করা হয়। আসামিদের কাছ থেকে ৪০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ৩টি ইঞ্জিন চালিত পুরাতন কাঠের তৈরি জেলে নৌকা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত আলামত নৌ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৮:১২

অশ্লীলতার অভিযোগে ১৮টি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ
অশ্লীলতার অভিযোগে ভারতের ১৮টি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। টাইমস অব ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, ১৮টি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ১৯টি ওয়েবসাইট, ১০টি অ্যাপ, ৫৭টি সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ব্লক করা হয়েছে। ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুসারে গত ১২ মার্চ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। দেশটির ইউনিয়ন মিনিস্টার অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘আমরা একাধিকবার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করেছি। কিন্তু তারা তা মানেনি। অশ্লীল কনটেন্টের জন্য আমরা ১৮টি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দিয়েছি।’ ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এসব প্ল্যাটফর্মে যেসব কনটেন্ট পাওয়া গেছে, সেসবের অধিকাংশ অশ্লীল এবং নারীদের অবমাননাকরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। যেমন— এসব কনটেন্টে ছাত্রী-শিক্ষকের মাঝে সম্পর্ক দেখানো হচ্ছে। 
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৪

যৌন হয়রানির অভিযোগে এক শিক্ষক স্থায়ী, আরেকজন সাময়িক বরখাস্ত
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির ঘটনায় দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িত মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহাকে স্থায়ী বরখাস্ত এবং প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪তম সিন্ডিকেট সভা শেষে রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সম্প্রতি মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগে যৌন হয়রানির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গতকাল ১৩ মার্চ এই দুই শিক্ষককে অনির্দিষ্টকালের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের এই আদেশে নাখোশ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের গতি বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসসিক ভবনসহ সকল বিভাগে এবং ব্যাংকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে আন্দোলনকারিরা এই দুই শিক্ষককে স্থায়ী বহিস্কার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল আটকে দেয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (উপাচার্য) প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ থেকে সরে যায় শিক্ষার্থীরা।         এই অবস্থায় মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসনে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ১৪ মার্চ সকালে ৮৪তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে যৌন হয়রানির ঘটনায় এই সিদ্ধাস্ত নেওয়া হয়। এ সময় আন্দোলনকারিরা ঘোষিত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেয়। এ সময় ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া, ভিসি প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ন কবীরসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেওয়া ও থিসিস পেপার আটকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠে মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ’র বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে গত ৪ মার্চ আন্দোলন শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে ওই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।   এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রেজারার ড. আতাউর রহমানকে প্রধান করে ৫ মার্চ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই তদন্ত কমিটি গঠনের একদিন পর ৬ মার্চ আন্দোলনকারিরা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় তারা ওই বিভাগের শিক্ষকদের নেমপ্লেটসহ ভাঙচুর করে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে দাবি মেনে তদন্ত কমিটি পুর্নগঠন করে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকেও তদন্তের আওতায় নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা।    
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:১২

ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 
নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর শিল্পকলা একাডেমি এলাকার দারুল আজহার মডেল মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে (১০) বলাৎকারের অভিযোগে ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. ইলিয়াছের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে।  অভিযুক্ত শিক্ষক মো. ইলিয়াছ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের গাংচিল গ্রামের হাজী মুরশিদুর রহমানের ছেলে। সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি।  গতকাল রোববার দুপুরে এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশুর মা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মামলা এ মামলা দায়ের করেন।  এর আগে গত ৬ মার্চ বিকেলে মাদরাসার ওই শিক্ষকের রুমে বলাৎকারের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিশুর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ভিকটিম দারুল আজহার মডেল মাদরাসার ছাত্র ছিল। মাদরাসার হুজুর মাওলানা আবদুর জলিলের ইউনিটে থেকে পড়ালেখা করছিল ভিকটিম। গত এক মাস পূর্ব থেকে ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. ইলিয়াছ ভিকটিমকে বিভিন্ন অজুহাতে নিজ রুমে ডেকে নিয়ে একাধিকবার জোরপূর্বক বলাৎকার করে এবং বিষয়টি কাউকে জানালে মারধরের হুমকি দেয়। সর্বশেষ গত ৬ মার্চ বিকেলে পুনরায় শিক্ষক মো. ইলিয়াছ ভিকটিমকে তার রুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। এতে শিশুটির পায়ুপথে রক্তক্ষরণ দেখা দিলে ব্যথার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বিষয়টি মুঠোফোনে তার মাকে অবহিত করে। পরে ভিকটিমের মা মাদরাসায় গিয়ে ঘটনাটির বিচার চাইলে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি কোনো বিচার না করে উল্টো অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে তার কাছ থেকে একটি মুচলেকা নিয়ে তাকে মাদরাসা ছেড়ে যেতে সহযোগিতা করে। মুচলেকায় ওই শিক্ষক ভিকটিমসহ আরও একাধিক ছাত্রের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকার করেন। দারুল আজহার মডেল মাদরাসার পরিচালক আবু সালমান বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমরা ওই শিক্ষকের পরিবারকে ডেকে তাদের উপস্থিতিতে বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। পরবর্তীতে তিনি বলাৎকার ছাড়া ওই ছাত্রের সঙ্গে অন্যান্য খারাপ আচরণের কথা স্বীকার করেন এবং মুচলেকায় উল্লেখ করে স্বাক্ষর করেন। তার বিরুদ্ধে যেকোন আইনি প্রক্রিয়ায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করবেন বলেও জানান এ পরিচালক। এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, মামলার বিষয়টি জানতে পেরে আসামি গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।  
১১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়