• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘স্বাস্থ্যের কালো বিড়াল’ আবজাল দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুদকের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম আদালতে এই অভিযোগপত্র দায়ের করেন। ২০১২ সালে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানার ভেতরে আটক হয় তখনকার রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়ি। ওই ঘটনার পর রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। তিনি ‘রেলের কালো বিড়াল’ খুঁজে বের করতে চেয়েছিলেন। এরপর ২০১৯ সালে ‘স্বাস্থ্যের কালো বিড়াল’ ধরা পড়ে। এই বিড়াল একজন কেরানি, নাম আবজাল। চাকরিকালে সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি অর্থ লুটেছেন, হয়েছেন টাকার কুমির। নিজের অস্বাভাবিক কাজের জবাবদিহি থেকে রক্ষা পেতে অর্ধাঙ্গিনী রুবিনার নামে অর্থের সম্পদ রেখেছেন। তার স্ত্রীর নামে থাকা সম্পদ আবজালের সম্পদকেও ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৯ সালের জুন মাসে স্বাস্থ্যখাতের আলোচিত এই কেরানি দম্পতি আবজাল-রুবিনার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সেই মামলার প্রায় চার বছর পর এবার তাদের সম্পদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা ১১৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ দম্পতি ৮৯ কোট ৮৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯০৮ টাকার সম্পদ দেশে গোপন করেছে। এ ছাড়া দেশে বিভিন্ন ব্যাংকের ৬৩ হিসাবে লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ৩২৫ কোটি ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামিরা মালয়েশিয়ার ৫টি ব্যাংক হিসেবে ২২ লাখ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ার ২২টি ব্যাংক ও ৩ প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ১৮ অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডায় ২ ব্যাংকে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাচার করেছেন। পাশাপাশি কানাডা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ৮ লাখ ৪৪ হাজার ডলার পাচার করেছেন। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আবজাল মালয়েশিয়ায় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬৭০ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৭ অজি ডলার এবং কানাডায় কানাডিয়ান ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫৫ ডলার পাচার করেন। আর তার স্ত্রী রুবিনা মালয়েশিয়ায় ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫২০ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ায় ৬১ লাখ ৪৯ হাজার ৭১৮ অজি ডলার এবং কানাডায় ৪ লাখ ৬১ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাচার করেন। দেশে আবজালের ৬ কোটি ৬৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকে তার অবৈধ লেনদেন ১৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। রুবিনার দেশে ১০৬ কোটি টাকার সম্পদ এবং ব্যাংকে অবৈধ লেনদেন ৩০৭ কোটি পাওয়া গেছে। তাদের ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত লেনদেন তদন্ত করে এইসব তথ্য পাওয়া যায়। আবজাল-রুবিনা দম্পতির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ দুটি মামলা করেন সংস্থাটির উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৭

গায়ক নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল ডিবির
টাকা নিয়ে অনুষ্ঠানে না গিয়ে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এবার সেই মামলায় এই গায়ককে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।  বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মতিঝিল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নোবেলের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালতের সূত্র অনুযায়ী, গত ৩০ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে নোবেলকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন লালবাগ থানার মামলার তদন্তকারী ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর হুমায়ুন কবির। আদালত অভিযোগপত্রটি ‘দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করে বিচারের জন্য বদলির আদেশ দিয়েছেন।  অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি নোবেল বাদীর কাছ থেকে চুক্তির এক লাখ ৭২ হাজার টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়ে কনসার্টে না গিয়ে ওই টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেন। তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামি নোবেলের বিরুদ্ধে বাদীর আনা অভিযোগটি দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারার অপরাধ হিসেবে প্রাথমিকভাবে সত্য বলে প্রমাণিত হয়। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। জানা গেছে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে না গিয়ে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগে গেল বছর ১৬ মে রাজধানীর মতিঝিল থানায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।   ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মাইনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে মোট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়। অগ্রিম হিসেবে নগদ ১৫ হাজার টাকা এই গায়ককে দেওয়া হয়। পরে নোবেলকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্টেসহ সর্বমোট এক লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তবে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণা করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন তিনি।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৩

অর্থ আত্মসাৎ মামলা / ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন দুদকের সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন) মো. আমিনুল ইসলাম। এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয় দুদক। দুদক সূত্র জানায়, ড. ইউনূস ছাড়া অভিযোগপত্রে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম এবং এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম এবং জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক মো. কামরুল হাসানের নাম রয়েছে। অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে কামরুল হাসানের নাম তদন্তের পর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বাকি ব্যক্তিদের নাম এজাহারে ছিল। আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ মামলায় অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জন জামিন নেননি। জামিনে আছেন কেবল পারভীন মাহমুদ। ড. ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এ মামলায় আজ বৃহস্পতিবার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আজই নথিপত্র আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হবে। গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ। এর আগে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ-সংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠিয়েছিল কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।  দীর্ঘ অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলা করে দুদক। সেই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার অনুমোদন পাওয়া গেছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়