• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবি পরিচয়ে ৩৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিন-দুপুরে ডিবি পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীর ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে শহরের পাইকপাড়ায় সিলেট রোডে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিকেলে তিনি থানায় জানালে বিষয়টি জানাজানি হয়।  ছিনতাইয়ের শিকার ফজলুল হক জেলার নবীনগর উপজেলার বাঘাউড়া গ্রামের আবদুল আহাদের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি ট্রাভল এজেন্সির ব্যবসা করেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পাইকপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। ফজলুল হক বলেন, সম্প্রতি আমি ও আমার স্ত্রীর ভাই জমি বিক্রয় করেছি। জমি বিক্রির টাকা কয়েক দিন আমার বাসায় ছিল। আজ জমি বিক্রির ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে রিকশায় করে ব্যাংকে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে পাইকপাড়ায় সিলেট রোডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মাইক্রোবাসের কয়েকজন ডিবি পরিচয়ে আমার গতিরোধ করেন। এর মধ্যে একজন পুলিশের পোশাক পরা ছিল, একজন সিভিল ড্রেসে কোমরে পিস্তলের মতো ছিল আর ড্রাইভার ছিল। তারা বলে আমার কাছে অবৈধ মাল আছে এবং ডিবি অফিসে নিয়ে যাবে। একপর্যায়ে তাদেরকে সন্দেহ হলে চিৎকার শুরু করি। এ অবস্থায় আমার রিকশার পাশে অনেক মানুষ জড়ো হয় কিন্তু কেউ রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। তারা ধস্তাধস্তি করে আমাকে গাড়িতে তুলে নেয়। গাড়িতে নিয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে পুলিশ লাইনের উত্তর দিকে নিয়ে টাকা রেখে আমাকে ফেলে দেয়। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত জড়িতদের আটক করা যাবে।
১৭ ঘণ্টা আগে

অচল গার্মেন্টসকে সচল দেখিয়ে ২ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ
অচল গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানকে সচল দেখিয়ে ঋণ দেওয়ার নামে প্রায় ২ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক সুবেল আহমেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে বুধবার (২৭ মার্চ) জানিয়েছে সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র। মামলায় যে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ তোলার অভিযোগ, তার মালিককেও আসামি করা হয়েছে।    সূত্রমতে, মামলার আসামিরা হলেন মেসার্স সার্ক গার্মেন্টস এক্সসেসরিজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক এস এম কবির, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মির্জা তৈয়বুর রহমান, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ছাইদুর রহমান, সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আফতাব উদ্দিন আহমেদ, কে এম মইন উদ্দিন, মো. নুরুল ইসলাম, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. হারুন উর রশিদ খান ও ইউনিক সার্ভে সার্ভিস ব্যুরোর সার্ভেয়ার মো. মোশাররফ হোসেন দোলন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ৭ জন ব্যাংক কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অচল গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানকে সচল দেখিয়ে ও ১৪ শতক বন্ধকীকৃত জমির অতিমূল্যায়ন করে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সিসি ঋণের লিমিট বৃদ্ধি করে এবং প্রতিষ্ঠান চালু না থাকা সত্ত্বেও চালু দেখিয়ে ওই কর্মকর্তারা অচল গার্মেন্টস মালিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিভিন্ন সময়ে ধাপে ধাপে ব্যাংকের মোট এক কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানকারীরা দেখতে পেয়েছেন যে, মেসার্স সার্ক গার্মেন্টস এক্সেসরিজের নামীয় প্রতিষ্ঠানটি চারতলা রেডিমেইড গার্মেন্টসের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ পণ্য ইন্টারলাইনিং উৎপাদন করার জন্য ঋণের নাটক সাজিয়ে ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের আশুগঞ্জ শাখা থেকে এক কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা ঋণ উত্তোলন করে।  
১৬ ঘণ্টা আগে

এন্ডোস্কপি করাতে গিয়ে মৃত্যু, ফের অভিযোগ ল্যাবএইডের বিরুদ্ধে
ফের চিকিৎসায় অবহেলা ও গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে ল্যাবএইড হাসপাতাল ও চিকিৎসক ডা. স্বপ্নীলের বিরুদ্ধে।এবার ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দারস্থ হয়েছেন খায়রুল বাশার নামে এক ব্যক্তি। জানা গেছে, ভাইয়ের মৃত্যুর সাড়ে ৪ মাস পর রোববার (২৪ মার্চ) স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগে ‘চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, অবহেলা ও গাফিলতির’ কারণে তার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন খাইরুল। লিখিত অভিযোগে খায়রুল বাশার উল্লেখ করেন, তার ভাই ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর ধানমন্ডির ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের কাছে চিকিৎসা নিতে যান। ডা. স্বপ্নীল তাকে দেখে ব্যবস্থাপত্র দেন এবং অ্যান্ডোস্কপি, কোলনস্কপিসহ কয়েকটি পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। চারদিন পর ৯ নভেম্বর সকালে পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে যান। সেখানে তাকে জানানো হয় বিকাল ৪টায় অ্যান্ডোস্কপি করা হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সকালে শুরু করা হলেও পরীক্ষাটি করা হয় রাত ৮টায়।  তিনি লিখেছেন, ডা. স্বপ্নীল এসে রোগীর শারীরিক অবস্থার কোনো পর্যবেক্ষণ না করে, কোনো ধরনের প্রি-ইভাল্যুয়েশন ছাড়াই অ্যানেস্থিশিয়া প্রয়োগের নির্দেশ দেন। এরপর তিনি টেস্ট করানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন। টেস্ট করানোর এক পর্যায়ে আমার ভাইকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। কারণ জিজ্ঞেস করলে বলা ভাইয়ের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। তাই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হচ্ছে। সেদিন রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে হাসপাতাল থেকে আমাদের জানানো হয় আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও লিখেছেন, তার ভাই সুস্থ্য অবস্থায় ওই পরীক্ষাটি করাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু সময়ের ব্যবধানে লাশ হয়ে ফিরেছেন। এ ঘটনা তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তি দাবি করেন মারা যাওয়া আফসার আহমেদের ভাই। অভিযোগের বিষয়ে খাইরুল বাসার গণমাধ্যমকে বলেন, ভেবেছিলাম অভিযোগ করব না কিন্তু ডা. স্বপ্নীলের হাতে আরেকজন রোগী মারা গেল। এ কারণে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টিও সামনে আনা উচিত। নইলে ওই চিকিৎসকের সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে না। অভিযোগের বিষয়ে কিছু বলতে চাননি ডা. স্বপ্নীল। এ বিষয়ে ল্যাবএইড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ এম শামীম বলেন, এই কাজগুলো ওই পেশেন্টের (রাহিব রেজা) লোকজন করাচ্ছে। পুরোনো রোগী খুঁজে বের করে। যারা মারা যায় তাদের স্বজনদের ইনসিস্ট করে আমাদের বিরুদ্ধে কমপ্লেইন করার জন্য, যেন তাদের পাল্লাটা ভারী হয়। তাদের ভিত্তিটাকে মজবুত করার জন্য পুরোনো রোগী খুঁজে বের করে। সবাইকে অ্যাপ্রোচ করে, দুয়েকজন হয়তো তাদের কথায় রাজি হয়ে যায়। খাইরুলের অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল গণমাধ্যমকে বলেন, একটি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। আমি বিষয়টি তদন্ত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ডা. স্বপ্নীলের তত্ত্বাবধানে ধানমন্ডির ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে এন্ডোস্কপি করাতে এসে মারা যান রাহিব রেজা নামে এক যুবক। এরপর রাহিবের পরিবারের তিন সদস্য চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। তাদের অভিযোগ, এন্ডোস্কপি করার পরপরই অ্যানেস্থেসিয়ার কারণে রাহিবের ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ হয়। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।  এদিকে রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই ঘটনার বিশদ অনুসন্ধান করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে স্বাধীন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। 
২৬ মার্চ ২০২৪, ১১:২৭

চাঁদপুরে অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
চাঁদপুর শহরের আল-মানার হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক ডা. তাবেন্দা আক্তারের দায়িত্ব অবহেলার কারণে সিজারে জন্ম নেওয়া দুই দিন বয়সী নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে চিকিৎসক তার দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে শহরের মিশন রোডস্থ হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলায় ২০৫ নম্বর কক্ষে ওই নবজাতকের মৃত্যু হয়। তবে ওই নবজাতকের মা সুমি আক্তার (২৭) সুস্থ আছেন। তিনি জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বিশকাটালি গ্রামের কাজী বাড়ীর মিজানুর রহমানের স্ত্রী। মিজান ময়মনসিংহে দিন মজুরের কাজ করেন। সুমি আক্তারের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মৃত নবজাতকের ফুফু লুৎফুর নাহার বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত নেয়ার জন্য ২১ মার্চ এই হাসপাতালে সুমি আক্তার ভর্তি হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাম অনুযায়ি তার সন্তান জন্মের তারিখ ছিল আগামী ২৬ এপ্রিল। কিন্তু আল্ট্রাসনোগ্রাফি চিকিৎসক সাহিদা সুলতানা দ্বিতীয় সিজার হিসেবে ১০ এপ্রিল তারিখ দেন। ওই তারিখ আসার পূর্বেই প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই গাইনী চিকিৎসক তাবেন্দা আক্তার সিজার করেন।  তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক পরিবারের লোকদের সঙ্গে পরামর্শ করেননি। আমাদের আত্মীয়ের মধ্যেও চিকিৎসক আছেন। তিনি কেন অতি ঝুকিঁপূর্ণ হওয়া রোগীর সিজার করলেন। আমি নিজে আসার পূর্বেই সিজার সম্পন্ন হয়। তারা তাড়াহুড়া করে কেন ১ মাস পূর্বে অপরিপক্ক নবজাতকের সিজার করলেন। তখনই আমি বলেছি অপরিপক্ক বাচ্চা বাঁচানো যায় না। এই ধরণের চিকিৎসকের বিচার হওয়া উচিত। অভিযুক্ত চিকিৎসক তাবেন্দা আক্তার বলেন, সিজারের পর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। অপারেশন থিয়েটারে নবজাতকের মৃত্যু হয়নি। দুইদিন পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারাগেলে এখানে চিকিৎসকের কিছু করার নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জবাব দিবে। আল-মানার হাসপাতালের পরিচালক অহিদুর রহমান বলেন, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তার কাছে তারা যেতে পারেন। শিশুর অবস্থার অবনতি হলে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেই। কিন্তু তারা না নিয়ে হাসপাতালে থেকে যায়। খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইসমাইল হোসেন ও ফেরদৌস নুর হাসপাতালে আসেন। উভয় পুলিশ কর্মকর্তা রোগী ও হাসপাতাল পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫০

বিএসএমএমইউয়ের বিদায়ী ভিসির সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষের মুহূর্তে তার ব্যক্তিগত সহকারীসহ কয়েকজনকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৩ মার্চ) অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন আওয়ামীপন্থী স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সংগঠনের শিক্ষকরা। এতে আরও অংশগ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নার্সরা। এ সময় শরফুদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী ডাক্তার রাসেল আহমেদকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে উপাচার্যে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড শাখা থেকেও একজনকে মারধর করে বের করে দেওয়ার খবর পাওয়া যায়। এ বিষয়ে উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, তারা কয়েকজনকে মারধর করেছে, আমি বিষয়টা শুনেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলব। ২৮ মার্চ উপাচার্য শরফুদ্দিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরই মধ্যে গত ১১ মার্চ বিএসএমএমইউর উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক দীন মো. নূরুল হক। মেয়াদ শেষের আগে উপাচার্য শরফুদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘শতাধিক’ শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার বিদায়ের মুহূর্তে বিক্ষোভ করছেন স্বাচিপের বিএসএমএমইউ ইউনিটের নেতারা। সংগঠনটির চিকিৎসকদের অভিযোগ, আগের নিয়োগগুলোতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। বিদায়ের মুহূর্তে আরো শতাধিক শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারী অ্যাডহকের মাধ্যমে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নিয়োগ বাণিজ্যের এই অভিযোগ তুলে গত মঙ্গলবার থেকে স্বাচিপের নেতারা বিক্ষোভ করছেন। বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা স্বাচিপের বিএসএমএমইউ শাখার সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো বলেন, “বেশ কিছুদিন আগে ভিসি হিসেবে নতুন ভিসি দীন স্যারের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে ভিসি আসার কারণে একটি অংশ বিরোধীতা করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমরা যারা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, কেন্দ্রীয় ও বিএসএমএমইউয়ের স্বাচিপের নেতৃত্ব দিচ্ছি, এ সকল স্বাচিপ কর্মীদের সবার কথা একটাই- নেত্রী যাকে নিয়োগ দিয়েছেন তাকেই আমরা ভিসি হিসেবে মন থেকে মেনে নিয়েছি, স্বাগত জানিয়েছি। তিনি বলেন, সাধারণত ভিসি নিয়োগ পাওয়ার পর আগের ভিসি শুধুমাত্র দৈনন্দিন রুটিন কাজ করেন, যা ইতোপূর্বেও হয়েছে। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য শতাধিক ডাক্তার, কর্মচারী ও প্রায় ৩০ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। সবাই মনে করছে এই নিয়োগের পেছনে অর্থের লেনদেন আছে। তিনি আরও বলেন, আমরা কোনোক্রমেই সিন্ডিকেট বসতে দিব না, যার কারণে সমবেত হয়ে প্রতিবাদ করছি। বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠানে কোনো দুর্নীতি করতে দেওয়া হবে না। আগামী ভিসি স্যার সুন্দরভাবে দুর্নীতি মুক্ত পরিবেশ তৈরি করে ক্যম্পাস পরিচালনা করবেন বলে আমরা আশা করছি। উনার প্রতি আস্থা আছে। নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, নিয়োগের বিষয়টি আগেই ফয়সালা হয়েছে, এখন সিন্ডিকেট বসার সিদ্ধান্তটাও আগেই নেওয়া হয়েছে। এখন যারা বিরোধীতা করছে তারা কেউ আমার কাছে আসে নাই। সবকিছু স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই হয়েছে।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৫

প্রবাসী স্বামীকে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী আটক
নোয়াখালীর চাটখিলে অণ্ডকোষ টিপে ওমান প্রবাসী স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।     নিহত ইলিয়াছ হোসেন (৩৫) উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রামদেবপুর গ্রামের ঘাসি বাড়ির মোহাম্মদ উল্যার ছেলে এবং তিনি ২ সন্তানের জনক ছিলেন।   শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার উত্তর রামদেবপুর গ্রামের ঘাসি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  আটক ফাতেমা আক্তার সোনিয়া (২৫) ফেনী জেলার ছাগলনাইয়ার পাঠান নগর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পাঠানগড় গ্রামের ইভু ভেন্ডার বাড়ির আহসান উল্যার মেয়ে এবং নিহত ইলিয়াছ হোসেনের স্ত্রী।   পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওমান থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি দেশে আসেন ইলিয়াছ। ছুটি শেষে রোজার ঈদের পরে পুনরায় তার ওমান চলে যাওয়ার কথা ছিল। সাত বছর আগে পারিবারিকভাবে সোনিয়ার সঙ্গে ইলিয়াছের বিয়ে হয়। স্ত্রীর কারণে তিনি ভাইদের সঙ্গে তেমন কথাবার্তা বলতে পারতেন না ভাইদের কাছে এমন অভিযোগ করতেন ইলিয়াছ। শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ে তিনি বড় ভাই আব্দুল মতিনের সঙ্গে বাড়িতে ফিরেন। এ নিয়ে ঘরে ঢুকলে স্ত্রীর সঙ্গে প্রথমে ইলিয়াছের বাগবিতন্ডা হয়। পরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে স্ত্রী সোনিয়া স্বামীর অণ্ডকোষ টিপে ধরলে ইলিয়াছ অজ্ঞান হয়ে যান। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যার দিকে গৃহবধূ সোনিয়াকে শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।      চাটিখল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগ স্ত্রী সোনিয়া তার স্বামীকে অণ্ডকোষ চেপে ধরলে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।  ওসি এমদাদুল হক আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আব্দুল মতিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। শনিবার সকালে ওই মামলায় আটক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।      
২২ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৭

দুলাভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ শ্যালকদের বিরুদ্ধে 
ফরিদপুরের মধুখালীতে নিজাম উদ্দিন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার শ্যালকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাত ১টায় উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের হাটঘাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিজাম উদ্দিন ওই গ্রামের মানিক শেখের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের হাটঘাটা গ্রামের নিজামউদ্দিন বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের দিঘলিয়া গ্রামের মৃত জাহিদুল শেখের মেয়ে জামেলা খাতুনকে। বিয়ের পর শ্যালিকা জলি খাতুনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নিজাম উদ্দিন। সম্প্রতি জলি খাতুনেরও বিয়ে ঠিক হয়। স্থানীয়রা আরও জানান, গত বুধবার নিজামউদ্দিন তার শ্যালিকা জলি খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে আসেন। সেখান থেকে জলিকে সঙ্গে নিয়ে নিজাম উদ্দিন তার বাড়িতে যান। শ্বশুর বাড়ি থেকে শ্যালিকাকে ফিরিয়ে দিতে বললেও নিজামউদ্দিন শ্যালিকাকে তার কাছে রেখে দেন। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিজামউদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায় শ্যালক আশুারুল, ইলিয়াস, মামুন, হারুনসহ বেশ কয়েকজন। এ সময় নিজামউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায় এবং জলিকে তারা নিয়ে যায়।   এ ব্যাপারে নিজাম উদ্দিনের ছোটভাই আজিম উদ্দিন বলেন, আমার বড় ভাইকে তার শ্যালক আশারুল, ইলিয়াস, মামুন, হারুনসহ বেশ কয়েকজন মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। মধুখালী থানার এসআই তোফাজ্জেল হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে শুক্রবার সকালে মধুখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহত নিজামউদ্দিন দুটি বিয়ে করেন। একটি বিয়ে করেন কুমিল্লায়, অপরটি দিঘলিয়া গ্রামে। শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে নিজামউদ্দিনের নামে ডাকাতি, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে মধুখালী থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৯

ইমরানকে হটাতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন ডোনাল্ড লু
প্রথমবারের মতো ২০২২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের হাউস ফরেন রিলেশনস কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন শীর্ষ এ মার্কিন কর্মকর্তা। কমিটির চেয়ারম্যান প্রতিনিধি জো উইলসনের প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড লু বলেছেন, এই অভিযোগ, এই ষড়যন্ত্র তত্ত্ব মিথ্যা। এটি একটি ডাহা মিথ্যা অভিযোগ।  প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এরপর থেকেই ইমরান তার এই পরিণতির জন্য বিদেশি ষড়যন্ত্রের কথা বলছিলেন। যেখানে একটা সময় ডোনাল্ড লুর নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন তিনি।    গণমাধ্যমে ইমরান দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক ডোনাল্ড লু-ই সেই ব্যক্তি, যিনি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল। এরপর নিজ দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকেও একই অভিযোগ তোলেন ইমরান খান।  ইমরানের দাবি করেছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতকালে তার রাশিয়া সফর করার কারণে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ইসলামাবাদকে হুমকির বার্তা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। ইমরানের ভাষ্য, ২০২২ সালের ৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ডোনাল্ড লু। সেখানে তিনি আসাদ মজিদকে সতর্ক করে বলেছিলেন, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবে ইমরান টিকে গেলে তার প্রভাব দেখা যেতে পারে। এ সংক্রান্ত একটি তারবার্তা আসাদ মজিদ পাঠিয়েছিলেন ইমরান খানকে। গত আগস্টে ওই সাইফারের কথিত বয়ান প্রকাশ করেছিল আমেরিকার এক সংবাদ সংস্থা ‘দ্য ইন্টারসেপ্ট’।  এদিকে বুধবারের শুনানিতে লু বলছিলেন, আমরা পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একমাত্র পাকিস্তানি জনগণই তাদের নিজস্ব নেতা নির্বাচন করবে। এ সময় উপস্থিত কেউ কেউ তাকে মিথ্যাবাদী বলে উঠে দাঁড়ান। এতে শুনানি কার্যক্রম বেশ কয়েকবার থেমে যায়। পরে সেখান থেকে উত্তেজিত কয়েকজনকে সরিয়ে নেয় ক্যাপিটাল পুলিশ। কমিটির সামনে এদিন ডোনাল্ড লু এমনও দাবি করেন যে, খানকে অপসারণের পর থেকে তিনি বেশ কয়েকটি হত্যার হুমকি পেয়েছেন। এমনকি তার পরিবারকেও ভিত্তিহীন এ অভিযোগে হুমকি দেওয়া হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যতই ষড়যন্ত্রের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করুক, বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার গত বছর স্বীকার করেছিলেন যে, ইমরান খানের রাশিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ায় অসন্তুষ্ট ছিল বাইডেন প্রশাসন। ম্যাথিউ মিলার তখন বলেছিলেন, আমরা পাকিস্তান সরকারের কাছে ব্যক্তিগতভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম। কারণ, আমরা ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের দিনেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মস্কো সফর নিয়ে প্রকাশ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলাম। আমরা সেই উদ্বেগটি বেশ পরিষ্কার করে দিয়েছিলাম। 
২২ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫০

পান খাওয়াকে কেন্দ্র করে নারীকে মারধরের অভিযোগ
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বড়কুল ইউনিয়নে রমজান মাসে পান খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিভা রানীকে (৬৪) মারধর করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে নাটেহারা গ্রামের গাজী বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নুরুল আমিন ওই গ্রামের মো. কলিম উদ্দিন গাজীর ছেলে। মারধরের শিকার প্রতিভা রানী একই গ্রামের হরিদাস বেপারী বাড়ীর সুকুমার চন্দ্র দাসের স্ত্রী। বুধবার (২০ মার্চ) এই ঘটনায় প্রতিভা রানীর ছেলে বিষু চন্দ্র দাস নুরুল আমিনকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ঘটনার দিন আসামির বাড়ীর কাছে পাতা কুড়াতে যায় প্রতিভা রানী। তখন নুরুল আমিনের স্ত্রী তার ঘরের কাজ করার জন্য বলে। এতে প্রতিভা রানী সম্মত হন এবং তাকে পান দিতে বলেন। প্রতিভা রানীর পান খাওয়া অবস্থায় নুরুল আমিন দেখে তাকে গাল মন্দ করে এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং গলায় পাড়া দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলার বাদী বিষু চন্দ্র দাস বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে আসামি নুরুল আমিন আমাদের পরিবারকে আইনি ব্যবস্থা না নেয়ার জন্য হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। আমাদেরকে ভারতে পাঠিয়ে দিবে নাটেহারা থাকতে দিবে না মর্মে হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এদিকে প্রতিভা রানীকে দেখতে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে উপস্থিত হন চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু তমাল কুমার ঘোষসহ পরিষদের অন্যান্য নেতারা। তারা প্রতিভা রাণীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং এই ঘটনার নিন্দা জানান। হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতিভা রানীর মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে আসামি এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৬

জাবিতে বেড়াতে যাওয়া চার কিশোরকে আটকে টাকা আদায়ের অভিযোগ 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বেড়াতে যাওয়া চার কিশোরকে আটকে টাকা আদায় ও ক্যামেরা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।  বুধবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তাদের নাম উৎপল সরকার, সোহাগ বিশ্বাস, দুর্জয় সরকার ও কৃষ্ণ বলে জানা গেছে। তারা সাভারের ফোটনগর এলাকার বাসিন্দা এবং এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থী হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫১তম ব্যাচের (দ্বিতীয় বর্ষ) শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, পরিসংখ্যান ও উপাত্তবিজ্ঞান বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান নাজিজ এবং একই বিভাগের এহসানুর রহমান ওরফে রাফি।  লিখিত অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে ওই চার কিশোর দুটি মোটরসাইকেলে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে আসে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী গিয়ে তাদের পরিচয় জানতে চান। বহিরাগত জানতে পেরে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন তিনি। এরই মধ্যে আরও দুই শিক্ষার্থী এসে ওই চার কিশোরকে ক্যাম্পাসের একটি মাঠে ডেকে নিয়ে যান এবং মারধর করেন। সেখানে তাদের আটকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই তিন শিক্ষার্থী। এ সময় টাকা না দিলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় তাদেরকে। কিন্তু ওই পরিমাণ টাকা না থাকায় বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করে ভুক্তভোগীরা। পরে তাদের কাছে থেকে ১৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ওই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী গেরুয়া এলাকার একটি দোকান থেকে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো টাকা উঠিয়ে নেন। এদিকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান। তিনি বলেছেন, বহিরাগত কয়েকটি ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বাজেভাবে বাইক চালাচ্ছিল। তারা অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পাসে ভিডিও করছিল। এ সময় তাদের ডেকে কথা বললে তারা তাদের পরিবারকে না জানানোর অনুরোধ করে এবং টাকা দিতে চায়। পরে একপ্রকার জোর করে টাকা ও ক্যামেরা দিয়ে চলে যায়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমরা ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগীদের বাইকে থাকা জিপিএস ট্র্যাক করি এবং বিকাশের দোকান খুঁজে বের করি। এরপর দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করি। লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে ভুক্তভোগীদের হারানো জিনিসপত্র বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ স্বীকার করেননি। তবে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। না হলে তারা টাকা ফেরত দিতেন না। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলমগীর কবির বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা টাকা ও ক্যামেরা ফেরত দিয়েছে। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
২১ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়