• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিনের সদস্য নিহত
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাইপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। অভিযানে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আইএসপিআর জানায়, বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম মুনলাই পাড়া এলাকায় সোমবার অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানে কেএনএফের এক সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। এ সময় অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এর আগে সোমবার বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৩ নারী সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন, লাল নুন পুই বম (১৮), লাল রুয়াত ফেল বম (২০) ও লাল এং কল বম (২৬)। জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই রুমার ইডেন পাড়ার বাসিন্দা। বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট, অপহরণ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তার তিন নারীকে আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বিচারক মো. নুরুল হক আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির মামলায় ৭১ জনকে গ্রেপ্তার করল যৌথবাহিনী।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৮

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৬
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোর ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের হেফাজত থেকে ৩৫১ পিস ইয়াবা, ২৯ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ১৪৮ গ্রাম হেরোইন, ১০০ বোতল ফেনসিডিল ও ১৫৩টি ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা করা হয়েছে।  
২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫০

ঘোড়াঘাটে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ২০ 
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মাদকবিরোধী অভিযানে ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তিরা মাদকের কারবার, মাদক সেবন এবং জুয়া খেলাসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু করে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ বিশেষ অভিযান চালায় থানা পুলিশের পৃথক কয়েকটি আভিযানিক দল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ।  অভিযানে আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন মাদক বেচাকেনা এবং ৪ জন জুয়া খেলার সময় হাতেনাতে আটক হয়েছেন। চারজন জুয়ারিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেছেন মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়াও মাদকের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় আটক হয়েছে আরও ৪ জন। আটককৃত আসামিরা হলেন, নওশাদ হোসেন (৩৯), রঞ্জিত বর্মণ (৩৮), মোনায়েম খান (৫০), সুবাশ চন্দ্র (৪৫), ময়নুল ইসলাম (৪০), জাহিদুল ইসলাম (৩৫), আলহাজ চৌধুরী (২৬),  শাকিল মিয়া (২৬),  রজ্জব আলী (৪৫), সবুর মোল্লা (৪৩), কাদির মোল্লা (৩৯), আফজাল হোসেন (২৭), মিনহাজুল ইসলাম (২৮), ছোঁয়ার হোসেন সৌরভ (৪৫) , গোলাম রব্বানী (২৫), শামিম রেজা (৩৭), শরিফুল ইসলাম (৩৫), বাবু মিয়া (৩০) এবং শাহিন (৪০)। ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ঘোড়াঘাট উপজেলাকে মাদকমুক্ত করতে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদের নির্দেশনায় এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ঘোড়াঘাট ছোট্ট একটি উপজেলা। তবে সীমান্তবর্তী হওয়ায় এখানে মাদকের প্রভাব লক্ষণীয়। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্সনীতি বাস্তবায়নের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করছি। এ বিষয়ে আমাদের রেঞ্জ ডিআইজি এবং পুলিশ সুপার সার্বিক নির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। 
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২২

সেনা অভিযানে কেএনএফের ৮ সদস্য আটক, অস্ত্র উদ্ধার 
বান্দরবানের দোপানিছড়াপাড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৮ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বেশ কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বান্দরবান রিজিয়নের ১৬ ইস্ট বেঙ্গলের ধুপানিছড়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সুংসাং পাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীব। সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের গোপন খবর পেয়ে এলাকাটি ঘেরাও করে সেনা সদস্যরা। পরে আটজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন ও ২টি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।  এর আগে, গত ২ এপ্রিল রাতে তারাবিহ নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।  এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে আটটি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, দুটি এসএমজি, চারটি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। এর পরদিন থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।  এর রেশ কাটতে না কাটতেই ওইদিন মধ্যরাতে আলীকদমের ২৬ মাইল ডিম পাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর চেক পোস্টে হামলা হয়। সবগুলো ঘটনার সঙ্গেই কেএনএফ জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কেএনএফের সঙ্গে শান্তি সংলাপ চলাকালে সমঝোতা স্মারকের শর্ত অমান্য করে সংগঠনটির সামরিক শাখার সদস্যরা ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করায় সরকার ও কেএনএনফের সঙ্গে আলোচনা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি’। এই সন্ত্রাসী তৎপরতা প্রতিরোধে সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৮

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ডিএমপি জানায়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ১৯৭ পিস ইয়াবা, ৬০০ গ্রাম গাঁজা ও ৫৩ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১০টি মামলা রুজু হয়েছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০২

রাজধানীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৯
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ডিএমপি জানায়, নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৫৯০ পিস ইয়াবা, ৩ কেজি গাঁজা, ১০৫ গ্রাম হেরোইন, ১৫৫ বোতল ফেন্সিডিল ও ১০ ক্যান বিয়ার জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৮টি মামলা রুজু হয়েছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১১

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ৯৫ পিস ইয়াবা, ৬৭ কেজি ৪০০ গ্রাম গাঁজা, ৫৩ গ্রাম হেরোইন, ৩৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৩০ বোতল দেশি মদ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১২টি মামলা রুজু হয়েছে।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৬

‘বান্দরবানে অভিযানে কয়েকজন সন্ত্রাসী আটক, অস্ত্র উদ্ধার’
বান্দরবানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কয়েকজন সন্ত্রাসী আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।  রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আপনারা হয়তো জেনেছেন শনিবার (৬ এপ্রিল) রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বাহিনী সম্মিলিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময় মতো পাবেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই, আমার কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিস্কার। বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হবো বলে দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করছি। সেনাপ্রধান বলেন, শুরুতে আমরা তাদের (কেএনএফ) বিশ্বাস করেছিলাম যে শান্তি আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরে আসবে। তারা দেখতে পারবে যে সন্ত্রাসীদের কোনো জায়গা বাংলাদেশে নাই। বাংলাদেশ সেনা বাহিনী সম্পূর্ণভাবে সক্ষম এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য। এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে বান্দরবানের রুমায় নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা ও ১৪টি অস্ত্র লুট করেছে বলে খবর পাওয়া যায়। সোনালী ব্যাংক বান্দরবান অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক মোহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, সোনালী ব্যাংক রুমা শাখায় ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিয়ে গেছে বলে শোনা যাচ্ছে। রুমা শাখায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা থাকার কথা। সেগুলো ভল্ট ভেঙে নিয়ে গেছে। এই ঘটনার পর এ অঞ্চলের ব্যাংকের সব শাখায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩২

ভারতে পুলিশের অভিযানে ১৩ মাওবাদী বিদ্রোহী নিহত
লোকসভা নির্বাচন শুরু হতে বাকি মাত্র কয়েক সপ্তাহ৷ এমন সময়ে ছত্তিশগঢ়ে পুলিশের এক অভিযানে মারা গেছে ১৩জন মাওবাদী বিদ্রোহী৷ ভারতে নির্বাচনের প্রচার এখন তুঙ্গে৷ তার মধ্যেই ছত্তিশগঢ়ে মাওবাদী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ৷ ১৪ ঘণ্টা ধরে চলে অভিযান৷ এই অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় চলতি বছর পুলিশের অভিযানে মোট ৫০জন মাওবাদী নিহত হলো৷ পুলিশের দাবি, ছত্তিশগঢ়ের বিজাপুর জেলায় মঙ্গলবার নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়৷ বার্তা সংস্থা এএফপিকে স্থানীয় পুলিশ প্রধান পি সুন্দারা বলেন, নিহত মাওবাদীদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি৷ নিহতদের মধ্যে তিনজন নারীও ছিলেন৷ এই অভিযানের পর পুলিশ বেশ কিছু রাইফেল, মেশিন গান, গ্রেনেড লঞ্চার ও গোলাগুলি বাজেয়াপ্ত করে৷ মাওবাদী বিদ্রোহী বা নকশালপন্থিরা দাবি করেন যে, তারা ভারতের প্রান্তিক গরিব মানুষের অধিকারের জন্য লড়েন৷ এই গোষ্ঠীর উত্থান পশ্চিমবঙ্গের নকশালবাড়ি গ্রাম থেকে৷ ১৯৬৭ সালে সেখানেই শুরু হয়েছিল মাওবাদীদের সরকারবিরোধী আন্দোলন৷ সেই থেকে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী নানা ধরনের গেরিলা হামলা চালিয়ে আসছে বলেই ভারত সরকার তাদের নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসাবে চিহ্নিত করে৷ ভারত সরকারের মতে, এমন বিদ্রোহীরা ২০২৩ সালে দেশের ৪৫টি জেলায় সক্রিয় ছিল৷ ২০১০ সালে মাওবাদী বিদ্রোহীদের সক্রিয়তা লক্ষণীয় ছিল ৯৬টি জেলায়৷ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারতের পূর্ব, দক্ষিণ ও মধ্য অঞ্চলের মাওবাদী-অধ্যুষিত রেড করিডোর-এ হাজার হাজার সামরিক বাহিনী সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে৷ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন অংশে সব মিলিয়ে সাতটি দফায় ভোট গ্রহণ চলবে ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত৷ 
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়