• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র’
বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।  ব্রিফিংয়ে মুশফিকুল ফজল আনসারী নামে এক বাংলাদেশি সাংবাদিক মিলারের কাছে প্রশ্ন রাখেন, বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন তার বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণ এবং মানবাধিকারের প্রচারে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।  বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই বলে যে বিশ্বাস, সে ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেবে? উত্তরে মিলার বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, সে বিষয়ে পর্যালোচনা করে বলার মতো কিছু আমার হাতে এখন নেই। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের বাইরে আমরা যেটা স্পষ্ট করে বলেছি, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের পররাষ্ট্রনীতির  সর্বোচ্চ গুরুত্বের তালিকায় রয়েছে গণতন্ত্রের বিকাশ। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংলাপের সময় এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে আমরা কথা বলে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় সময়ই আমরা এ ইস্যুতে কথা বলেছি। বিষয়টা ছিলো অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে। আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।  
২৩ ঘণ্টা আগে

শৃঙ্খলায় না ফেরা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে : মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, অবৈধ ভবন ও রেস্তোরাঁয় অভিযান পরিচালনা করে যেখানে সমস্যা পাওয়া যাবে, প্রাথমিকভাবে সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। শৃঙ্খলায় না ফেরা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিলের সাউথ পয়েন্ট নগর ব্যায়ামাগার উদ্বোধন করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন বলেন, ঢাকাকে বাসযোগ্য নগর হিসেবে গড়ে তুলতে এবং ভুল সংশোধনের উদ্দেশ্যেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব ভুল শুধরে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবার আবেদন করলে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও ভবন খুলে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ঢালাওভাবে কারও ওপর দোষ না দিয়ে যারা যারা আইনের ব্যত্যয় ঘটাচ্ছেন তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বেইলি রোডের আগুনের ঘটনায় প্রথম দায় স্থপতির, দ্বিতীয়ত যারা এমন ভবনের অনুমোদন দিয়েছে। বেইলি রোডের ঘটনায় দায়সারা তদন্ত প্রতিবেদন না দিয়ে নিরপেক্ষ প্রতিবেদন দেওয়ার আহ্বান জানান মেয়র। উল্লেখ্য, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সংস্থা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তদারকি করতে অভিযান পরিচালনা করছে সংস্থাগুলো।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪১

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে : প্রধানমন্ত্রী
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বুধবার (৬ মার্চ) বেলা ১১টায় র‌্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গিবাদ দমনে র‌্যাব সাহসী ভূমিকা রেখেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের নিষ্ক্রিয় করায় মানুষের মনে শান্তি ফিরে এসেছে। কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিস্তার রোধে র‌্যাবকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।  তিনি বলেন, মানুষের অধিকার সংরক্ষণে যারা কাজ করেছে তাদের ওপর কীভাবে স্যাংশন আসে? স্যাংশন কখনও এক তরফা হয় না, দরকার হলে আমরাও স্যাংশন দিতে পারি। র‌্যাব সবসময় নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এ সময় রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ও ঈদে জাল টাকা রোধে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রমজানে র‌্যাবের নজরদারি বাড়াতে হবে। সংযমের এই মাসে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অসংযমী হয়ে ওঠে। এই অসাধু ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারপ্রধান বলেন, ঈদ এলেই জাল টাকার সরবরাহ বেড়ে যায়। সেদিকে নজরদারি বাড়াতে হবে। যদিও অভিযান চলছে, তারপরও এদিকে আরও খেয়াল রাখতে হবে। অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত এই বাহিনী ২০০৪ সালে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর প্রায় তিন সপ্তাহ পর ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) রমনা বটমূলে নিরাপত্তা দিয়ে র‌্যাব তাদের কার্যক্রম শুরু করে। একই বছরের ২১ জুন পূর্ণাঙ্গভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু বাহিনীটি।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:০০

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে : দীপু মনি  
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে, যাতে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে। সামনে রমজান আসছে, এই রমজানে যাতে মানুষ স্বস্তির মধ্যে থাকে, এ জন্য সরকারের চেষ্টার পাশাপাশি সবার  সহযোগিতা প্রয়োজন। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন যেমন কাজ করবে, তেমনি আমাদের যে ব্যবসায়ী সমিতি আছে তারাও যদি সঠিকভাবে কাজ করে তাহলে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা সম্ভব। এ ছাড়া অন্য যেসব সমস্য আছে সেগুলো নিয়ে সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, আমরা ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে ধর্মীয় পোশাকের ব্যাপারে যতটা মনোযোগী, আমরা যদি ধর্মীয় আচরণের ব্যাপারে আরেকটু মনোযোগী হই, তাহলে কিন্তু এই মজুতদারী থাকে না এবং অতিরিক্ত মুনাফার বিষয়টিও থাকে না। বিশেষ করে রমজান মাসে। রমজান সংযমের সময়। আমরা যেন সব ক্ষেত্রে অর্থাৎ ব্যবসায়ী, ক্রেতাসহ সকলেই যেন সংযম করি।  দীপু মনি বলেন, ধর্ম হচ্ছে চর্চার বিষয়। আমি শুধু বাহিরে পোষাকে দেখালাম, কিন্তু ধর্মের যে মূল মূল্যবোধ তার যদি চর্চা না করি, তাহলে আমরা খুব ভালো করতে পারব না। ধর্মীয় এই চর্চা যদি অব্যাহত রাখি তাহলে শুধুমাত্র রোজার সময় নয়, সারা বছরও কিছু লোক মানুষকে কষ্ট দেয়, সেটি আর করতে পারবে না। সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন এবং সবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে। শুধুমাত্র সরকার একা কোনো কিছু করতে পারে না। চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১২

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই দেশে উন্নয়ন হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকে দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে। এটাই প্রমাণিত সত্য যে ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক সরকার থাকলে উন্নয়ন সম্ভব। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘দক্ষিণ এশিয়ার একবিংশ শতাব্দীর সাংবিধানিক আদালত, ভারত-বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার আগে জুডিশিয়ারিতে কোনো নারী অংশগ্রহণ করতে পারত না। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করেন। সুপ্রিম কোর্টে যাতে বিচার প্রার্থীরা ন্যায়বিচার পায়, সেটা নিশ্চিত করেন। কিন্তু ক্ষমতালোভীরা তাকে হত্যা করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ক্ষমতা ক্যান্টনমেন্টেই বন্দি করে রাখে। ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসি এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করি। কিন্তু উচ্চ আদালতের ক্ষমতা আবার ২০০১ সালে বিএনপি কেড়ে নেয়। এরপর ২০০৯ সালে আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম দেশের মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবো। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এ দেশ থেকে চিরতরে দূর করবো। আমরা সেই কথা রাখতে পেরেছি। শেখ হাসিনা বলেন, এখন বিচার ব্যবস্থা অনেক ফাস্ট হয়েছে। মামলা জট কমেছে। মানুষ দ্রুত বিচার পাচ্ছে। ডিজিটাল থেকে বিচার বিভাগকে আমরা স্মার্ট করার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, আমি চাই দেশের মানুষ ন্যায়বিচার পাবে, কেউ যেনো পনেরোই আগস্ট স্বজনহারা আমাদের মতো বিচারহীনতায় না ভোগে। সংবিধানে বিচার পাওয়ার অধিকার সবার আছে। ১৫ আগস্ট আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি, তাদের ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নিভৃতে কেঁদেছে। ন্যায়বিচার পেতে আমাকেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৭৫-এ আমার ছোট বোন আর আমি বিদেশে ছিলাম। তখন ভারতই আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। যারা গুলি খেয়ে বেঁচে গিয়েছিল, যারা স্বজন হারা ছিল, যাদের জীবন ছিল অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ তারাও কিন্তু ওই ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। কাজেই ’৭৫-এর পরে আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছিল-সেটা আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কী চেয়েছিলেন? চেয়েছিলেন একটি শোষণমুক্ত সমাজ গঠন করতে। বাঙালি জাতিকে ক্ষুধা-দারিদ্র থেকে মুক্তি দিয়ে একটু উন্নত জীবন দিতে। এই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই তিনি আজীবন সংগ্রাম করেন, জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেন। তারই নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি। 
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৭

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের মধ্যেই বেলুচিস্তানে বিক্ষোভ অব্যাহত
ছয় দিন অবরোধের পর জাতীয় মহাসড়ক খুলে দেওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে প্রাদেশিক রাজধানী কোয়েটাসহ বেলুচিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ অবস্থান ও সমাবেশ অব্যাহত ছিল।  একটি বিক্ষোভকারী দলের নেতা বলছিলেন, এখন কোনও রাস্তা অবরোধ করা হয়নি। নির্বাচনে কারচুপির বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ অবস্থান অব্যাহত থাকবে। তবে জনগণ যে অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছে তা বিবেচনা করে আমরা মহাসড়কগুলি খুলে দিয়েছি। ডন পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, জামহুরি ওয়াতান পার্টির কর্মী এবং সমর্থকরা সন্ধ্যার দিকে কোয়েটা-জ্যাকোবাবাদ মহাসড়ক অবরোধ করে রাস্তায় ব্যারিকেড এবং সীমানা স্থাপন করে। ১৫ ফেব্রুয়ারি কোয়েটায় চারটি জাতীয়তাবাদী দল - পশতুনখোয়া মিল্লি আওয়ামী পার্টি, হাজারা ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টি-মেঙ্গাল এবং ন্যাশনাল পার্টির নেতৃত্বে একটি যৌথ প্রতিবাদ সমাবেশ ফলাফল পরিবর্তনের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রার্থীদের তাদের বিজয় থেকে বঞ্চিত করার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। কোয়েটার রাস্তায় মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা দলীয় প্রতীক, প্ল্যাকার্ড এবং ব্যানার প্রদর্শন করে তাদের দাবী জানায়। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। অভিযোগ করে যে, নির্বাচনের আগে কারচুপির পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছিল। জোটের নেতারা ঘোষণা করেছিলেন যে, নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রকৃত ফলাফল পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তাদের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। পরবর্তী পর্যায়ে ধর্মঘট এবং অন্যান্য ধরণের বিক্ষোভের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। পিকেএমএপির কর্মী এবং নেতারা প্রাদেশিক নির্বাচন কমিশন অফিসের বাইরে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে, জারঘুন সড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। ডেরা মুরাদ জামালি, তুরবত, পাঞ্জগুর এবং গোয়াদারেও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। যদিও মাকরানের উপকূলীয় এবং সিপিইসি মহাসড়কগুলি পুনরায় খোলা হয়েছিল, যা গোয়াদার এবং করাচির মধ্যে চলাচল সহজতর করেছিল। বেলুচিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক তথ্যমন্ত্রী জান আচাকজাই সাম্প্রতিক নির্বাচনে ব্যর্থ প্রার্থী ও দলগুলোর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আচাকজাই জোর দিয়ে বলেছেন যে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং রাস্তা অবরোধ করা বিদ্যমান সমস্যার সমাধান নয়। তিনি এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে তাদের হতাশা ঢাকতে ‘প্রত্যাখ্যাত ব্যক্তিদের’ প্রচেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।  
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৩

মাসব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে বালতিস্তানের আন্দোলনকারীদের
গিলগিট-বালতিস্তানের জনগণের আর্থিক ও রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসনসহ বিভিন্ন অধিকার আদায়ের দাবিতে টানা ৩২ দিন ধরে বিক্ষোভ অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে। বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এবং সরকারের কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছে, গমের ভর্তুকি মূল্য বৃদ্ধি না করার জন্য। রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দলগুলোর জোট গিলগিট-বালতিস্তান (জিবি) আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির (এএসি) ডাকা অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ, ধর্মঘট ও অবস্থান ধর্মঘটের পর জিবি সরকার সম্প্রতি ভর্তুকিযুক্ত গমের দাম প্রতি কেজি ৩৬ টাকা থেকে ২০ টাকায় ফিরিয়ে আনার জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। জিবি মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি সমাধানের জন্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলার জন্য ছয় সদস্যের একটি মন্ত্রীসভা কমিটিও গঠন করেছিলেন। তবে প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি রাজনৈতিক ও আর্থিক স্বায়ত্তশাসন, এনএফসি রোয়েদাদে জিবির অংশীদারিত্ব এবং জিবি অ্যাসেম্বলির ক্ষমতায়নসহ সনদের ১৫টি দাবির সবগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়। এএসি ভর্তুকিযুক্ত গমের দাম পুনরুদ্ধার, অর্থ আইন ২০২২ স্থগিত, বিভিন্ন কর প্রত্যাহার, এনএফসি পুরষ্কারে জিবির অংশ নিশ্চিত করা এবং স্থানীয়দের জমির মালিকানার অধিকারের বিধান করার দাবি জানিয়েছে। খনিজ অনুসন্ধানের জন্য বহিরাগতদের দেওয়া সমস্ত ইজারা বাতিল করা, নিট জলবিদ্যুৎ লাভের আওতায় দিয়ামার-ভাসা বাঁধের ৮০ শতাংশ রয়্যালটি জিবি জনগণকে দেওয়া, অনুর্বর জমির মালিকানা স্থানীয় জনগণের কাছে দেওয়া, জিবি বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা, ২২ ঘণ্টার বিদ্যুৎ বিভ্রাট বন্ধ করা, এই অঞ্চলে মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন করা এবং জিবিতে ঐতিহ্যবাহী রুটগুলি পুনরুদ্ধার করার দাবি তুলেছে আওয়ামী একশন কমিটি। এএসি জানিয়েছে, স্কার্দু ও অন্যান্য এলাকায় বিক্ষোভ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে গিলগিটের ইতিহাদ চক এলাকায় বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন সাধারণ মানুষ। রবিবারও গিলগিটের ইতিহাদ চক এলাকায় বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত ছিল। সেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। নোমাল, নলতার, রহিমাবাদ এবং সুলতানাবাদের মতো নিকটবর্তী এলাকা থেকে প্রতিবাদ মিছিল অবস্থান ধর্মঘটে যোগ দেয়। বিক্ষোভকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে ও তাদের দাবির পক্ষে স্লোগান দেয় এবং তাদের মৌলিক দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার শপথ নেয়। তারা বলেন, শূন্য তাপমাত্রার মধ্যেও জনগণ তাদের সাংবিধানিক ও আইনগত দাবির জন্য আন্দোলন করছে এবং দাবি পূরণ করে তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবে। আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির প্রধান সংগঠক এহসান আলী এডভোকেট বলেন, জিবি সরকার বিষয়গুলো সমাধানে আন্তরিক নয়।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৯

পাকিস্তানের দাবি আদায়ে বিলম্বের প্রতিবাদে গিলগিটে অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত
পাকিস্তানের গিলগিট বালতিস্তানে দাবি বাস্তবায়নে বিলম্বকে কেন্দ্র করে আওয়ামী সংগ্রাম কমিটির বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি আরও তীব্র হয়েছে। পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি কেটু জানিয়েছে, বুধবার হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন। হায়দারপুরা ইয়ুথ, দিনিয়ুর ইয়ুথ, মাজিনি মহল্লা ইয়ুথ, কাশরুত ইয়ুথ সহ গিলগিট সিটির বিভিন্ন পাড়া বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল। অবস্থান কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক এহসান আলী বলেন, আমরা সরকারে যাব না। তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে দাবির একটি সুস্পষ্ট সনদ জারি করেছি, যা সমঝোতার পরিবর্তে বাস্তবায়ন করা উচিত। মানুষ বেরিয়ে এসেছে তাদের মৌলিক মানবাধিকারের দাবিতে, দান নিতে নয়। অবস্থান ধর্মঘটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পরিষদের সদস্য নওয়াজ খান নাজি বলেন, আমরা কোনো কৃতিত্ব নিতে আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির অবস্থান কর্মসূচিতে আসিনি। তবে আমরা আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির সমর্থন ও পাশে এসেছি এবং এই ঐক্য ও সচেতনতার কৃতিত্ব আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির। সম্প্রতি আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি গমে ভর্তুকি নিয়ে চলমান প্রজ্ঞাপনকে অস্পষ্ট বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি কেটু জানিয়েছে, আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এহসান আলী এডভোকেট বলেন, আলোচনা এক দফায় নয়, পনেরো দফায় হবে এবং আমরা সরকারের কাছে এই কৌশলের ব্যবহার বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। মঙ্গলবার, ইশকোমান থেকে জনগণের একটি বিশাল মিছিল সমাবেশে অংশ নিয়েছিল। একইভাবে, অ্যাস্টর এবং ডায়ামারের জনগণও অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেবে এবং নগরের জনগণও অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেবে। আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির সমন্বয়ক ফিদা হোসেন বলেন, আওয়ামী অ্যাকশন কমিটির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে যারা সুবিধার্থী ছিলেন তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে এবং এই সুবিধার্থীদের সাথে আমাদের কোনও সংযোগ নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী অ্যাকশন কমিটি অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৭

অব্যাহত রয়েছে শৈত্যপ্রবাহ, পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা বেড়ে ৯.৩ 
তাপমাত্রার বাড়লেও পঞ্চগড়ে এখনও অব্যাহত রয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। সূর্যের দেখা মিললেও শীতের দাপট কমেনি এ জনপদে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। তিনি জানান, আজ ভোরে এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মঙ্গলবারের তুলনায় ১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সেদিন একই সময়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি আরও জানান, তাপমাত্রা বাড়লেও এ অঞ্চলে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এ অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত ২৩ জানুয়ারি থেকেই এ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এর মধ্যে গত ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত এ জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।  বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লাগাতার শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় অভাব-অনটনে দিন কাটছে তাদের। এ দিকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান বন্ধ থাকলেও সকাল থেকেই স্কুল, কোচিং, প্রাইভেটে যেতে দেখা গেছে কোমলমতি শিশু-শিক্ষার্থীদের।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৯

অব্যাহত থাকবে শৈত্যপ্রবাহ, কমছে না শীত
শীতে কাঁপছে রাজধানীসহ সারাদেশ। তীব্র শীতে দেশের জনজীবন থমকে গেছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তাদের এই শীতের মধ্যেই কাজের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে। এছাড়া পথ মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করছে। হাড় কাঁপানো শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ। এদিকে দেশের দুই বিভাগ এবং ৬টি জেলার ওপর দিয়ে চলমান শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে, একইসঙ্গে কয়েক দিন বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রোববার রাতের তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের পাশাপাশি গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে চলমান শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এছাড়া ৩১ জানুয়ারি থেকে কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে প্রচণ্ড শীতের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে নৌযান, বিমান ও ট্রেন চলাচল। এ অবস্থায় বৃষ্টি হলে বিপাকে পড়বেন চাষিরাও। তারা বলছেন, বেশি বৃষ্টি হলে, চাষের জমিতে পানি জমে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, ৩১ জানুয়ারি দেশের বেশিরভাগ স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে, যা ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলতে পারে। তবে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আরও কয়েক দিন বৃষ্টি হতে পারে। এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে। গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে। সারাদেশে রাতের সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা পর্যালোচনায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, উপ-মহাদশেীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ৯টা থেকে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক ছিল। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ ছিল- যা অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে শনিবার ভোর ৬টায় পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর ৩ ঘণ্টা পর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা আরও কমে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়, যা শনিবার সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়