• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
হিজাব-নিকাব পরায় হেনস্থা, অভিযুক্ত রাবি শিক্ষককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা 
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমানকে ছাত্রীদের হিজাব-নিকাব খুলতে বাধ্য ও কটাক্ষ করার অভিযোগে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া এদিন দুপুরে বিভাগের একাডেমিক কমিটির এক সভায় ড. হাফিজুর রহমানকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আশরাফ-উজ-জামান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভাগের একাডেমিক কমিটির একটি সভা করা হয়েছে। সভায় অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে অভিযুক্ত শিক্ষককে বিভাগের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ থেকেই অব্যাহতি কার্যকর হবে। তিনি অভিযোগ স্বীকার করায় কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। এর আগে মানববন্ধনে স্টপ সারকাজম অ্যাবাউট হিজাব, শিক্ষক যদি এমন হয়, আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? বাবার মতো শিক্ষকের এ কেমন আচরণ! মাই হিজাব, মাই রাইট, ‘নিকাব নিয়ে হয়রানি, মানছি না, মানব না’, শেখ হাসিনার বাংলায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী ঠাঁই নাই, হিজাব আমার অধিকার, হিজাব আমার অহংকারসহ বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। মানববন্ধনে ভুক্তভোগীদের মধ্যে ফাতেমাতুস সানিহা নামে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষকদের কাজ হচ্ছে সাহায্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আগলে রাখা। অথচ সেই শিক্ষক (ড. হাফিজ) ক্লাসের প্রথম দিনেই একটা কাগজ দিয়ে বাতাস করায় আমাকে দাড় করান। তিনি বলেন, পা থেকে মাথা পর্যন্ত এভাবে প্যাকেটের মতো করে এসেছো কেন? তোমার গরম তোমার কাছে রাখো। তিনি আমার সম্মানিত পোশাককে প্যাকেটের সঙ্গে তুলনা করেছেন। আমার ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি সংবিধানেরও অবমাননা করেছেন। সংবিধানের ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সকল নাগরিকের ধর্মীয় অধিকার এবং প্রত্যেকের পোশাকের স্বাধীনতা রয়েছে। ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, তিনি শুধু আমাকেই এমন কথা বলেননি, আমার বান্ধবীদেরও বলেছেন। আমার এক বান্ধবীর নিকাবকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ‘হোয়াট ইজ দিস? এ রকম লম্বা এটা কি ঝুলিয়ে এসেছো?’ এভাবে তিনি আমাদের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে হেনস্তা করেছেন। আমি চাই না, আমাদের এই শান্তিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো বোন এভাবে হেনস্তার শিকার হোক। আমি চাই না, আর কোনো বোন বুলিংয়ের শিকার হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ুক। ড. হাফিজুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের থেকে আমরা এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা কখনোই আশা করি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষক রয়েছেন, যারা বহির্বিশ্বে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান উজ্জ্বল করেছেন। কিন্তু ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ড. হাফিজুর রহমানের মতো কিছু শিক্ষক আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষুন্ন করেছেন। তিনি বলেন, স্পষ্টতই এখানে ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। তিনি মেসেঞ্জারে বিভিন্ন ছাত্রীদের ফ্লার্টিং মেসেজ করেছেন। মেসেজগুলো খুবই অরুচিপূর্ণ। এক শিক্ষকের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে এ ধরনের মেসেজ মানানসই নয়। তিনি ক্লাসের মধ্যে ছাত্রীর হিজাব খুলতে বাধ্য করেছেন। এটা যৌন নিপীড়নের পাশাপাশি ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপও। ড. হাফিজুর রহমানকে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।  একপর্যায়ে মানববন্ধনের স্থানে আসেন রাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক এবং কয়েকজন সহকারী প্রক্টর। এ সময় উপ-উপাচার্য আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা বিষয়টা অবগত আছি। একটা জরুরি মিটিং ডেকেছি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে। মিটিংয়ের পরে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কী করা যায়। প্রয়োজনে আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করব। প্রসঙ্গত, সোমবার (১১ মার্চ) সকালে ফেসবুকে ইসলামিক স্টাডিজ পরিবার (রাবি) নামে একটি গ্রুপে সিদরাতুল মুনতাহা নামে একটি আইডি থেকে পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে হিজাব-নিকাব পরে যাওয়ায় কটাক্ষ ও হেনস্থা করার অভিযোগ করা হয়। পরবর্তীতে মেসেঞ্জারে ছাত্রীদের সঙ্গে করা আপত্তিকর কিছু কথোপকথনের স্কিনশটও পোস্ট করা হয় ওই গ্রুপটিতে। এরপর বিকেলে ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধন করে বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী।  
১২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪৬

জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা 
কর্মীদের খোঁজ-খবর না রাখা, জমি দখলসহ একাধিক অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।  এর আগে দুপুর দেড়টায় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পরিবহন চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনের রাস্তা প্রদক্ষিণ করে পরিবহন চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, শাখা ছাত্রলীগের ছয়টি হলের নেতাকর্মীরা সম্মিলিত হয়ে সাধারণ সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। তারা ইতঃপূর্বে তারই অনুসারী ছিল।  বিশ্ববিদ্যালয়ের আলবেরুনী হল, মীর মশাররফ হোসেন হল, শহীদ সালাম বরকত হল, শহীদ রফিক জব্বার হল, আ ফ ম কামালউদ্দিন হল ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের নেতাকর্মীরা এ বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন। এ সময় নেতাকর্মীরা হাবিবুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও প্রত্যেকটি হলে কর্মীসভা করে হল কমিটি না দেওয়া, কমিটির দুই বছর অতিক্রম হওয়ার পরেও রাজনীতির সমন্বয় না করা, রাজনীতির বিকেন্দ্রীকরণ না করে নিজ হল কেন্দ্রিক চিন্তা-চেতনা পোষণ করা, কর্মীদের খোঁজ-খবর না রাখা, কমিটির বিষয়ে কথা বলতে চাইলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করা ও ব্যস্ততার অজুহাত দেখানো, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ্বর্বর্তী এলাকার জমি দখলসহ ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকার অভিযোগ আনেন। এছাড়া ছয় হলের নেতাকর্মীদের পক্ষে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও শহীদ রফিক জব্বার হলের ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ শোয়াইব চৌধুরী একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।  লিখিত বক্তব্যে তিনি হাবিবুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ এনে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাজ্জাদ শোয়াইব চৌধুরী, ফয়সাল খান রকি ও জাহিদুজ্জামান শাকিল, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক লেনিন মাহবুব ও আরাফাতুল ইসলাম বিজয়, সাংগঠনিক সম্পাদক চিন্ময় সরকার এবং অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল আলম তাকিদ নেতৃত্ব দেন। এছাড়া মিছিলে ছয়টি হলের দুই শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী অংশ নেয়। অভিযোগের বিষয়ে জানতে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন গণমাধ্যমকে বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী আকতারুজ্জামান সোহেলকে সভাপতি ও দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান লিটনকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য জাবি শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি ঘোষণার পর থেকে একাধিকবার নেতাকর্মীদের হল কমিটি করার প্রতিশ্রম্নতি দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
৭ ঘণ্টা আগে

বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করায় কেন্দ্রীয় নেতাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সুপারিশ ছাড়াই বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে নেতাকর্মীরা। এ বহিষ্কারের জন্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমকে দায়ী করে তাকে বেলকুচিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে বেলকুচি চালা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। বিক্ষোভ ও সমাবেশ শেষে বেলকুচি উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আব্দুর রাজ্জাককে বহিষ্কারাদেশের তীব্র প্রতিবাদ জানান নেতারা।   উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল, যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান, সদস্য রেজাউল করিম, সদস্য মোশারফ হোসেন, মজনু শিকদার, আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।   সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, জেলা বিএনপির সুপারিশ ছাড়াই মিথ্যা অভিযোগে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম প্রভাব খাটিয়ে চলমান আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেওয়া জনপ্রিয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলকে দল থেকে গঠনতন্ত্রর নিয়ম বহির্ভূতভাবে বহিষ্কার করিয়েছেন। উল্লেখ্য, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে গত ৩১ ডিসেম্বর আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডলসহ বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলার পাঁচ বিএনপি নেতাকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় কমিটি।  
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়