• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রাঙ্গামাটিতে অর্ধদিবস অবরোধ ডাকল ইউপিডিএফ
রাঙ্গামাটিতে অর্ধদিবস অবরোধের ডাক দিয়েছে প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ অবরোধ করবেন তারা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের দায়িত্বরত নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অবরোধের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। বিবৃতিতে বলা হয়, বান্দরবানে কেএনএফবিরোধী যৌথ অভিযানে গণগ্রেপ্তার, হয়রানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ের ওপর বাধা-নিষেধের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি জেলায় অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালন করবে ইউপিডিএফ। ওই দিন ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে রাঙ্গামাটি জেলাব্যাপী এই অবরোধ পালিত হবে। অবরোধ পালনকালে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পানি-বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান ও মেরামতের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, জরুরি ওষুধ, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক পরিবহনকারী যান অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৪

বেরোবি শিক্ষার্থীর টাকা ছিনতাই, মহাসড়ক অবরোধ
অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) আনোয়ার হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীকে রংপুর শহরের অলিগলি ঘুরিয়ে ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী। পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে পরে এ অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।         শনিবার (৩০ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় লালবাগ থেকে অটো গাড়িতে করে পার্ক মোড়ে আসার পথে কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে অস্ত্রের মুখে জিম্মি হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ১৫তম ব্যাচর শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন।  ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, লালবাগ থেকে গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় অটোতে উঠি পার্ক মোড়ে যাওয়ার জন্য। অটোতে চালকসহ আরও চারজন ছিল। একটু সামনে যাওয়ার পর দুই পাশে দুইজন চেপে ধরে কোমরে ছুড়ি ধরে চুপ থাকতে বলে। তখন অটো ঘুরিয়ে রংপুর মুলাটোল এলাকায় এনে আমার কাছে যা টাকা পয়সা ছিল কেড়ে নেয় এবং বন্ধুবান্ধব যারা আছে তাদের ফোন করতে বলে। কয়েক জায়গায় ফোন দিয়ে ১৫ হাজারের মতো টাকা জোগাড় হয় সেটা নিয়ে অমাকে ছেড়ে দেয়। আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। আমি অপরাধীদের শাস্থি চাই। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা জানায়, বন্ধুকে ছিনতাইয়ের খবর শোনার পর শিক্ষক ও ডিপার্টমেন্টের বড় ভাইদের জানাই। ভাইয়েরা আসলে বিচারের দাবিতে রাতেই মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। পরে পুলিশ এসে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের আটকের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে বেরোবি পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান খান মারুফ বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনায় শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা রাতেই অভিযান চালিয়েছি। একজন ছিনতাইকারীর নাম শনাক্ত করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীদের আটক করা হবে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৪

গাবতলীতে পিকআপের ধাক্কায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিহত, সড়ক অবরোধ
রাজধানীর গাবতলীতে একটি পিকআপের ধাক্কায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একজন নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রায় চার ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন নিহতের সহকর্মীরা। গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোর পৌনে ৬টার দিকে গাবতলী-দ্বীপনগর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত পরিচ্ছন্নতাকর্মী আমেনা বেগমের (৪৫) বাড়ি রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডা এলাকায়।  ডিএমপির মিরপুর বিভাগের দারুস সালাম জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মফিজুর রহমান পলাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকাল পৌনে ৬টার দিকে গাবতলী বাস টার্মিনালের প্রায় ১৫০ মিটার দক্ষিণে গাবতলী-দ্বীপনগর সড়কে বেপরোয়া গতির একটি পিকআপের ধাক্কায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এক নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পরপরই সিটি করপোরেশনের শত শত পরিচ্ছন্নতাকর্মী ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রাস্তার উভয়পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের মিরপুর বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে এ সময় আন্দোলনরত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঝুঁকিভাতাসহ তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার দাবি জানান। তারা জানান, এমন ঘোষণা না পেলে তারা অবরোধ চালিয়ে যাবেন। পরে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। সকাল পৌনে ১০টার দিকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সড়ক ছেড়ে গেলে যান চলাচল শুরু হয়। তিনি আরও জানান, পিকআপটি জব্দ করে চালক মো. নাজমুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৫১

উপাচার্যের আশ্বাসে জাবিতে অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম তিন কার্য দিবসের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়ায় পাঁচ দফা দাবিতে চলমান অনির্দিষ্টকালের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান আন্দোলনকারীরা। এর আগে বুধবার সকাল ৯টায় পূর্বঘোষণা অনুযায়ী অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে আন্দোলনকারীরা। পূর্বের দিনের মতো এদিনও প্রশাসনিক ভবনে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এছাড়া আসেননি উপাচার্যও। ফলে প্রশাসনিক ভবন গত তিন দিন ধরে কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে প্রশাসনিক ভবনের সামনেই সমস্যা সমাধানে আলোচনায় বসেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে ডিনদের মধ্যস্থতায় বিকেল তিনটায় আলোচনায় বসে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আন্দোলনকারীরা। সংবাদ সম্মেলনে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের পক্ষে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সাথে আলোচনায় বসেছিল। সেখানে আগামী ১৮ তারিখ দুপুর পর্যন্ত প্রক্টর ও প্রভোস্টের অব্যাহতির বিষয়ে সময় চেয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে মধ্যে প্রক্টর ও প্রভোস্ট স্বেছায় পদত্যাগ করবে। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট অনুসারে উপাচার্য তাদের অপসারণ করবেন। এছাড়া অছাত্রদের তালিকা তৈরি ও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে কি আলোচনা হয়েছে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পারভীন জলী বলেন, উপাচার্য বলেছেন অছাত্রদের তালিকা ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে। ১৮ তারিখের পরে তিনি আমাদের হাতে তালিকা হস্তান্তর করবেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন এবং মাদক নিয়ন্ত্রণে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবেন বলে জানিয়েছেন। যদি ১৮ তারিখের মধ্যে আমাদের দেয়া আশ্বাস বাস্তবায়ন না করেন তাহলে আমরা আমাদের কর্মসূচি পরবর্তীতে পুনরায় অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখবো। ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি আলিফ মাহমুদ বলেন, তিনদিনের অবরোধের পর ভিসি আমাদের সঙ্গে মিটিং করেন আজ। তিনি আমাদেরকে কথা দিয়েছেন ১৮ তারিখ দুপুরের আগেই আমাদের দাবির ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিবেন। প্রভোস্ট এবং প্রক্টরকে সড়িয়ে দিবেন। যদি তা না করেন তাহলে আমাদেরকে আবার অবরোধ করতে বলেছেন। তাই আমরা তার প্রতি আস্থা ও সম্মান রেখে আন্দোলন আপাতত মুলতবি রাখছি। যদি তিনি তার কথা না রাখেন তাহলে আন্দোলন আরো কঠোর হবে এবং এর সকল দায়ভার প্রশাসনকে বহন করতে হবে।  এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রববানী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম, নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য-সচিব মাহফুজুল ইসলাম মেঘ প্রমুখ।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৮:০০

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ
অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কাজী নাহিদ রসুলকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শহরের ডিবি রোডের নাট্য সংস্থার সামনে “গাইবান্ধা সচেতন নাগরিক ও সুশীল সমাজ” এর ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। আন্দোলনকারীরা গাইবান্ধা শহরের ব্যস্ততম ডিবি রোডের গানাসাস মার্কেটের সামনে কিছু সময়ের জন্য সড়ক অবরোধ করেও রাখেন। এ সময় উভয় পাশে সাময়িকভাবে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ কর্মসূচিতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সচেতন নাগরিক ও বিভিন্ন সংগঠনের দুশতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন চলাকালে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সাংবাদিক সিদ্দিক আলম দয়াল। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, জাতীয় শ্রমিক জোটের গাইবান্ধা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ বাবু, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন, আইনজীবী সালাউদ্দিন কাশেম, মানবাধিকার কর্মী দিবা বেগম, সাংবাদিক সৈয়দ নুরুল আলম জাহাঙ্গীর, শামীম আল সাম্য, কায়ছার প্লাবন, ওমর ফারুক রনি, বিপ্লব ইসলাম, জাভেদ হোসেন, ডিপটি প্রধান, মিলন মণ্ডল, ফারহান শেখ, মানিক সাহা।  বক্তারা বলেন, ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই গাইবান্ধায় যোগদানের পর থেকে জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল স্থানীয় সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে আসছেন। তিনি জনগণের সেবক না হয়ে শাসক হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। নানা প্রশাসনিক কাজে তার কক্ষে দেখা করতে গেলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সপ্তাহে একদিন গণশুনানি করা বাধ্যতামূলক। তিনি যোগদানের পর থেকে নিয়মিত গণশুনানি হচ্ছে না।  মানববন্ধন থেকে দাবি করা হয় আগামি সাতদিনের মধ্যে জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে হরতালসহ বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের নির্বাচনী তথ্য প্রদানে অসহযোগিতা করেছেন। সম্প্রতি তিনি প্রেসক্লাব সভাপতিকে তার সম্মেলন কক্ষ থেকে বের করে দেন। এ সব ঘটনায় গতবছরের ৩১ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলকে বদলির দাবি জানিয়ে দেশের প্রথম সারির জাতীয় পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল, স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন মিডিয়ার ২১ জন সাংবাদিক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর আবেদন জানান। যা প্রতিবেদন আকারে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া একই দাবিতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী, ১১ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং জনপ্রশাসন সচিব বরাবার মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সচেতন নাগরিক ও বিভিন্ন সংগঠনের ৪২ নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র পাঠানো হয়। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। মানববন্ধন থেকে সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসকের সংবাদ প্রচার না করার ঘোষণা দেন। তারা বলেন, জেলা প্রশাসকের বদলি না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৪

খুবির ৩ ছাত্রকে মারধর, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ৩ শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় প্রায় দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে তারা।  এ ঘটনায় পুলিশ ২ পরিবহন শ্রমিককে আটক করেছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়ায় শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। শিক্ষার্থীরা জানায়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র নব্য সকালে তার অসুস্থ মাকে নিয়ে পাইকগাছা থেকে বাসে খুলনায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাসের হেলপার ও সুপারভাইজার তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। বিষয়টি তিনি অন্য শিক্ষার্থীদের জানালে তারা জিরো পয়েন্ট এলাকায় আসে। তখন পরিবহন শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে শিক্ষার্থী নব্য, আসিফ মাহমুদ ও অলোকেশকে মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ১০টায় জিরো পয়েন্ট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ২ পরিবহন শ্রমিককে আটক করে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয় পুলিশ কর্মকর্তারা। বেলা ১২টায় শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। আহত তিন শিক্ষার্থী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু নাসের গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই পরিবহন শ্রমিককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত করেছেন, ওই দুজনই তাদের মারধর করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযোগ দিলে আটক দুজনের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩৩

জাবিতে তৃতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সম্প্রতি বহিরাগত এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক ও তার সহায়তাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, অছাত্রদের আবাসিক হল থেকে বের করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ ও মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে ফটকের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  এ সময় দুই ঘণ্টা প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে রাখেন তারা। সকালে অফিসে যোগদান করতে আসা কর্মকতার্তা-কর্মচারীদের এ সময় ভবনের বাইরে অপেক্ষা করে থাকতে দেখা যায়। পরে বেলা ১১টায় অবরোধ তুলে নেন তারা। আন্দোলনকারীদের অন্য দাবিগুলো হলো- ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমানের বিচার নিষ্পত্তি করাসহ ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময়ে নানাবিধ অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা, নিপীড়কদের সহায়তাকারী প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপরাধ তদন্ত করা এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের তদন্ত চলাকালে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা; মাদকের সিন্ডিকেট চিহ্নিত করে জড়িত ব্যক্তিদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ সময় ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঁচটি দাবি উত্থাপন করছি। কিন্তু এর সন্তোষজনক ও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে পাইনি। প্রশাসনের এ নির্লিপ্ততা চোখে আঙুল দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার জন্যই আমাদের এই অবরোধ কর্মসূচি ও মৌন প্রতিবাদ। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিবেকবান মানুষদের বিবেক জাগ্রত হবে। এ সমস্যা সমাধান না হলে আমরা আশংকা করছি, ভর্তি পরীক্ষা হয়তো ঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। প্রশাসন অনতিবিলম্বে এর সমাধান না করলে আমরা ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব।’ জানার্লিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা ইসলাম বলেন, চলমান আন্দোলনের আজ ১২তম দিনে আমরা মুখে কালো কাপড় ধারণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষেণা কার্যক্রম চলমান রেখেই আমরা আমাদের দাবি আদায় করতে চাই। আমি প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই আগামী সপ্তাহে ভর্তি পরীক্ষার জনসমাগমে হাজার হাজার মানুষের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত আছে কিনা; প্রক্টর ও প্রশাসনিক টিম প্রস্তুত আছেন কিনা। আমরা ধর্ষণের ঘটনার সর্বোচ্চ বিচার ও পদক্ষেপ আশা করছি। প্রশাসন যদি আমাদের সহযোগিতা চায় তাদের সহযগিতায় আমরা এগিয়ে আসব। এই প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, আমরা প্রধানমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, প্রশাসনের কারণে যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান দেশবাসীর কাছে ক্ষুন্ন হয়েছে, প্রশাসনে থাকা দায়িত্বশীল ও জড়িত সেই শিক্ষকদের অপসারণের মাধ্যমে সেই সম্মান ফিরিয়ে আনতে হবে। অছাত্রদের বের না করে বরং প্রশাসন নিয়মিত শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছে। সিন্ডিকেটের গৃহীত সিদ্ধান্ত না মেনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের অবমাননা করেছেন। আমরা আজ কালো কাপড় মুখে বেধে প্রতিবাদ করছি। দাবি না মানলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবো। নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব মাহফুজুল ইসলাম মেঘ বলেন, প্রশাসন জরুরি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। আইওয়াশের জন্য তারা যেসব কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তা বাস্তবায়িত না হলে আমাদের আন্দোলন চলবে।  আজকে মৌন মিছিল পরবর্তী আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি জানিয়ে দেয়া হবে।   এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. এনামউল্ল্যা, গণিত বিভাগের অধ্যাপক মুহম্মদ নজরুল ইসলাম, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু, প্রাণরসান ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ প্রমুখ।  এর আগে, বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি হিসাবে ৫ দফা দাবিতে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, মৌন মিছিল এবং মোমবাতি প্রজ্বলন করেছে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ। মোমবাতি প্রজ্বলন শেষে নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষন, শিক্ষকের নিপীড়ন, যৌন নিপীড়ন এবং অছাত্রদের হলে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করছি। আজকে আমাদের প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ছিল চলচিত্র প্রদর্শন, মোমবাতি প্রজ্বলন। আমরা দেখতে পাচ্ছি এই প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো মানতেছে না, তারা যেরকম স্বেচ্ছাচারী আচরণ করতেছে তাতে মনে হচ্ছে তারা স্বৈরাচারী হয়ে উঠছে দিনকে দিন। আজ এই সুত্রে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে আমরা বলতে চাই আজকে যে বিশেষ দিন রয়েছে স্বৈরাচার বিরোধী দিবস সেই দিবসের সঙ্গে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রব্বানি বলেন ও অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী প্রমুখ।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৪

শ্রীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার, প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ করে চেয়ারম্যান সমর্থকেরা।  বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবগত রাত পৌণে ১১টার দিকে নির্মাণ কাজে বাধা ও ভয়ভীতিসহ টাকা দাবি করার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকন উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংগারদিঘী গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে। তিনি মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান জানান, রাজধানীর ভাটারা থানা এলাকার জামাল হাওলাদারের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩১)। তিনি মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া (মেডিকেল মোড়) এলাকার ফরচুন ক্যাবলস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) পদে কর্মরত। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় আসামী ও তার সহযোগীরা কারখানার সীমানা প্রাচীর (বাউন্ডারী ওয়াল) নির্মাণ কাজে বাধা ও ভয়ভীতিসহ ২০ লাখ টাকা দাবি করে। এ ঘটনায় বুধবার থানায় মামলা দায়ের করেন ওই ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম। ওই মামলায় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে প্রধান আসামী করে আরও দুই সহযোগীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামী করা হয়। পুলিশ ওইদিন রাত পৌণে ১১টার দিকে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।   মামলার অপর আসামীরা হলেন সিংগারদিঘী গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে বায়েজিদ (৩০), মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে তাজউদ্দিন (৫০)।   চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদে রাতেই তার সমর্থকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে।     জাহাঙ্গীর আলমের খোকনের ছেলে মিজানুর রহমান রায়হান অভিযোগ করে বলেন, আমার বাবাকে মিথ্যা সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি চক্রান্তের শিকার। মামলার বাদী জহিরুল ইসলাম এজাহারে উল্লেখ করেন ঘটনার দিন আসামীরা তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এক পর্যায়ে আসামীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। আসামীরা তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং তার দুই পা ধরে টেনে নিয়ে তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারে উঠিয়ে মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের ভিতরে নিয়ে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১১

জাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করা এবং র‌্যাগিং সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে প্রশাসন ভবন অবরোধ করেছে ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো পাঁচ দফা দাবি নিয়ে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা ১১টার দিকে বুধবার পুনরায় প্রতীকি অবরোধের ঘোষণা দিয়ে আজকের অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। অবরোধ কর্মসূচিতে হাসিব জামানের সঞ্চালনায় সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট বলেছিল ৫ কর্মদিবসের মধ্যে অছাত্রদের বের করে দিবে কিন্তু প্রশাসন তা পারেনি। রাজনৈতিক যে রুমগুলো আছে সেখানে তারা যাচ্ছে না। রাষ্ট্রে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে তার ছোঁয়া এখানেও পড়েছে। হলের যারা প্রশাসন আছে তারা অনেকেই ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন তাহলে তো হলে অরাজকতা সৃষ্টি হবেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে ৫ দফা দাবি করেছে সেই দাবি গুলো যৌক্তিক। যদি দাবি মানা না হয় এই আন্দোলন চলতেই থাকবে। ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, সন্ত্রাস ও মাদক কারবারের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। অছাত্রদের বের করে দেয়ার জন্য সিন্ডকেটে নেওয়া সিদ্ধান্তের পাঁচ কর্মদিবস পার হয়ে গেলেও আমরা কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখিনি। অছাত্রদের বের না করে বরং প্রশাসন নিয়মিত শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছে। নিপীড়ক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনির বিচার নিশ্চিতসহ তাকে সহায়তাকারী প্রক্টরের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনে যাবো। প্রশাসন দায় এড়িয়ে যেতে পারবেনা। নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের নাটক ও নাটকতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায় বলেন, একজন বৈধ শিক্ষার্থী হলে সিট পায়না, চেয়ার টেবিল পায় না, পড়াশোনার ভালো পরিবেশ পাচ্ছে না। অন্যদিকে কিছু অবৈধ শিক্ষার্থী ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে তাদের সঙ্গে লেজুড়বৃত্তি করে হলে থাকছে, যার ফলে বৈধ শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের ব্যবসা, চোরাচালান, মাদক সেবন কীভাবে ছড়িয়ে গেছে তা সামনে এসেছে। র‌্যাবের ব্রিফিং থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনের পর দিন যে পাশবিক ঘটনাগুলো ঘটছিল, তা এই অছাত্ররা করছিল। প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে, তারা এসব ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। এ সময় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমেনা ইসলাম, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নূরুল ইসলাম প্রমুখ।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:০৫

ধর্ষণ ও মাদককাণ্ডে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সম্প্রতি স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত ও অছাত্রদের হল থেকে বের করে গণরুম বিলুপ্তপূর্বক নিয়মিত শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিতসহ ৫ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের ব্যানারে সকাল পৌনে ৯টায় প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে প্রতীকি অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অবরোধ কর্মসূচিতে আ র ক রাসেলের সঞ্চালনায় নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ ইসলাম মেঘ বলেন, আমরা নায্য দাবি আদায়ের জন্য এখানে এসে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি। এই প্রশাসন আমাদেরকে দাঁড়াতে বাধ্য করেছে। আমরা বিশ্বাস করি আজকে যারা এখানে দাঁড়িয়েছি শুধু তারাই আন্দোলনকারী নয়। বরং প্রত্যেকটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির হয়েছি আমরা। ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ বলেন, সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের কোনো বাস্তবায়ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করতে পারেনি। অছাত্রদেরকে বের তো দূরে থাক বরং প্রশাসন তাদেরকে নিয়ে ভাগবাটোয়ারার মিটিং করছে প্রতিনিয়ত। আমরা প্রথমিকভাবে প্রতিকী অবরোধ করছি। প্রশাসন আমাদের ন্যায্য দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে, প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচিতে যাবো। ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক পারভীন জলী বলেন, উপাচার্য গতকাল বলেছেন আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি অছাত্রদের বের করার। তিনি যদি আপ্রাণ চেষ্টা করেই থাকেন তাহলে এই পাঁচ দিনে অন্তত পাঁচ শ সাবেক শিক্ষার্থী হল থেকে বের করার কথা। যদি সেটা না পারেন তাহলে তিনি কোন নৈতিকতার বলে তিনি তার পদে আছেন সেই প্রশ্নটি করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গত কয়েক বছর ধরে ঘুরে ঘুরে পদে আসছেন। আমরা জানিনা তার মধ্যে বিশেষ কী গুণ রয়েছে, কোনো বিশেষ গুণ তো দেখতে পাই না। তিনি নিজেও নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত, অসংখ্য নিপীড়নের ঘটনাকে তিনি উসকে দিচ্ছেন। তাকে বারবার ক্ষমতায় বসিয়ে কি বোঝাতে চান আমরা বুঝি না। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়