• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হারের অপেক্ষা নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ
বিশাল চাপ নিয়েই চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। নিশ্চিত পরাজয়ের শঙ্কা নিয়ে চতুর্থ দিনে শুধু রান ব্যবধান কমাচ্ছে টাইগার ব্যাটাররা। অন্যদিকে লঙ্কানদের জন্য এই ম্যাচে জয় কেবলই সময়ের ব্যাপার। এই ম্যাচে জয়ের জন্য এখনও ৩৮২ রান দরকার লাল-সবুজ শিবিরের। সোমবার (২৫ মার্চ) হারের শঙ্কা নিয়ে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নামেন দুই অপরাজিত ব্যাটার মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম। তবে সফরকারীদের ব্যাটিং তোপে দিনের তৃতীয় ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ‘নাইটওয়াচ’ ম্যান তাইজুল। কাসুন রাজিথার বলে লেগ বিফোর হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। ১৫ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৬ রান। তাইজুলের বিদায়ের পর মিরাজকে নিয়ে মুমিনুলের প্রতিরোধ বা হার বিলম্বিত করা জুটিতে পথ দেখেছে বাংলাদেশ। এই জুটিতে লজ্জার রেকর্ড থেকে রেহাই পায় লাল-সবুজ শিবির।  লঙ্কানদের বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোর ও হোম ভেন্যুতে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোরের শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। ৫১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে ৬৬ রান যোগ করে এই জুটি। এতে আর উইকেট না হারানোর স্বপ্ন বুনে বাংলাদেশ। তবে একপর্যায়ে খেই হারিয়ে ফেলেন মিরাজ। দলীয় ১১৭ রানের মাথায় রাজিথার অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে স্লিপে ধনঞ্জয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে ৬ চারে ৫০ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন মিরাজ। এতে ভাঙে তাদের ৬৬ রানের জুটি। মিরাজের বিদায়ে হারের আরও দ্বারপ্রান্তে চলে যায় বাংলাদেশ। তবে শরিফুলকে নিয়ে দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত লঙ্কানদের অপেক্ষা বাড়ান সাবেক টেস্ট দলপতি। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন শেষে ৭ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২৯ রান। ক্রিজে আছেন ৪৬ রান করা মুমিনুল ও তার সঙ্গী ৩ রান করা শরিফুল।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৫

ক্রাইস্টচার্চে শেষ রোমাঞ্চের অপেক্ষা
ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট জিততে বাকি দুদিনে অস্ট্রেলিয়ার দরকার আরও ২০২ রান। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ৬ উইকেট। ব্ল্যাক-ক্যাপসদের ছুড়ে দেওয়া ২৭৯ রানের টার্গেটে তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ৭৭ রান তুলেছে অজিরা।  সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ১৩৪ রান করেছিল কিউইরা। দিন শেষে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে ৪০ রানে এগিয়ে ছিল তারা। টম লাথাম ৬৫ এবং রাচিন রবীন্দ্র ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন। তৃতীয় দিনে মাত্র ৮ রান তুলে আউট হন লাথাম। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের শিকার হবার আগে ৮ চারে ১৬৮ বলে ৭৩ রান করেন কিউই এই ব্যাটার। লাথাম ফেরার পর শতরানের জুটি গড়ে নিউজিল্যান্ডকে লড়াইয়ে রাখেন রবীন্দ্র ও ড্যারিল মিচেল। কিন্তু মাত্র ৮ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন রবীন্দ্র ও মিচেল। দলীয় ২৭৮ রানে মিচেলকে শিকার করে জুটি ভাঙেন পেসার জশ হ্যাজেলউড। ৬ চার ও এক ছক্কায় ৫৮ রান করেন মিচেল। এরপর ১৫৩ বলে ১০ চারে ৮২ রান করা রবীন্দ্রকে বিদায় করেন কামিন্স। জোড়া আঘাতের পরপরই ৯ রানে আউট হন নিউজিল্যান্ডের উইকেটরক্ষক টম ব্ল্যান্ডেলও। এতে ২৬৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। সপ্তম উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন গ্লেন ফিলিপস ও স্কট কুগেলিজন। তবে জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরির জুটির পর তাদেরও থামতে হয়। ১৬ রান করে স্পিনার নাথানের শিকার হন ফিলিপস।  শেষ ব্যাটার হিসেবে কুগেলিজনকে আউট করে নিউজিল্যান্ডকে ৩৭২ রানে থামিয়ে দেন নাথান। এতে অস্ট্রেলিয়াকে ২৭৯ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দেয় নিউজিল্যান্ড। ৫ চার ও দুটি ছক্কায় ৪৯ বলে ৪৪ রান করেন কুগেলিজন। জবাবে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ডের দুই পেসার ম্যাট হেনরি ও বেন সিয়ার্সের তোপের মুখে পড়ে ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। স্টিভেন স্মিথকে ৯ ও উসমান খাজাকে ১১ রানে আউট করেন প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া হেনরি। এরপর মার্নাস ল্যাবুশেন ৬ ও ক্যামেরুন গ্রিনকে ৫ রানে বিদায় দেন সিয়ার্স। পঞ্চম উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার উইকেট পতন ঠেকান ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ। ৪৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিনের খেলা শেষ করেন তারা। তৃতীয় দিন শেষে হেড ১৭ ও মার্শ ২৭ রানে অপরাজিত আছেন।
১০ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪৫

টাকা ফিরে পেতে অপেক্ষা বাড়ছে ইভ্যালি গ্রাহকদের
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে লগ্নিকৃত টাকা ফিরে পেতে অপেক্ষা বাড়ছে গ্রাহকদের। কারণ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে প্রতিষ্ঠানটির টাকা ফেরত কার্যক্রম।   চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্তাধিকারী মোঃ রাসেলের টাকা ফেরত কার্যক্রম শুরুর ঘোষণায় আশা ফিরে পেয়েছিলেন হাজারো গ্রাহক। প্রথম দফায় ১৫০ জন গ্রাহক নিজেদের টাকা ফেরতও পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দ্বিতীয় দফায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচাক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামানের উপস্থিতে ফেরত দেওয়া হয়েছে ১০০ জন গ্রাহকের পাওনা। এরপরই আসে দুঃসংবাদটি।    ভোক্তা অধিকারের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে আয়োজিত পাওনা টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মহাপরিচাক জানিয়ে দেন, আজকেই হয়তো শেষবারের মতো ইভ্যালির অভিযোগ নিষ্পত্তি কিংবা টাকা ফেরত দেয়ার কার্যক্রম হচ্ছে। ইভ্যালির সব মামলা নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত হয়তো গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার এই কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলও। ভোক্তা অধিকারের ডিজি বলেন, গণমাধ্যমের নেতিবাচক খবর প্রকাশের জন্য রাসেলকে অনুষ্ঠানে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। যাদের অভিযোগ ২০ হাজার টাকার ভেতরে ধারাবাহিকভাবে তেমন ১০০ জনের টাকা আজ ফেরত দিচ্ছে ইভ্যালি।   এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরত কার্যক্রম শুরুর সময় মোহাম্মদ রাসেল জানিয়েছিলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে যারা অভিযোগ করেছেন, তারাও টাকা ফেরত পাবেন এবং যারা করেনি তারাও টাকা পাবে। কিন্তু ইভ্যালি থেকে অর্ডার করে পণ্য না পেয়ে যারা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন এমন গ্রাহকরাই দ্বিতীয়বারেরর মতো টাকা ফেরত পেয়েছেন মঙ্গলবার। অধিদপ্তরে প্রায় ৭ হাজার ৫০০টি অভিযোগ রয়েছে এখনও।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫১

‘তিস্তা চুক্তি সমাধানে ভারতের নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে’
তিস্তা চুক্তি সমাধানে ভারতের নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা বলেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, তিস্তা চুক্তির সমস্যা সমাধানে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। এখন আমরা সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করছি। সমগ্র ভারত এখন নির্বাচনমুখী। কাজেই এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা সমীচীন হবে না। ভারতের নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু দেশ। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সীমারেখা দেওয়া যাবে না। তিস্তা চুক্তির আগে অনেক বড় বড় সমস্যা দুই সরকারের সদিচ্ছার কারণে, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে সমাধান হয়েছে। তাই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি তিস্তা চুক্তি সমস্যার সমাধান হবে। জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে রাষ্ট্রপাতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকতে সম্মতি দিয়েছেন। অনুষ্ঠানে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় ১১টি অ্যাসোসিয়েশন/প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হবে বলে জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৯

সাগর-রুনি হত্যা মামলা / ‘তদন্তে ৫০ বছর লাগলেও অপেক্ষা করতে হবে’
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে ৫০ বছর লাগলেও ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।   বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাগর-রুনি হত্যা মামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে এমন মন্তব্য করেন তিনি। আইনমন্ত্রী এ সময় বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে। পুলিশ তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট না দিলে তো করার কিছু নাই। যদি তদন্ত করতে ৫০ বছর সময় লাগে তাহলে ততদিনই অপেক্ষা করতে হবে। প্রসঙ্গত, আসছে ১১ ফেব্রুয়ারিতে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের এক যুগ হতে চলেছে। এ পর্যন্ত ১০৭ বার এ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়েছেন আদালত। সর্বশেষ চলতি মাসের ২৭ তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‍্যাব)। কিন্তু এখন পর্যন্ত তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে কোনও আশা জাগানিয়া তথ্য দিতে পারেনি সংস্থাটি।     বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার রুনিকে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে তাদের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয়। পরদিন রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন। এদিকে ড. ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা নিয়ে আজ মুখ খুলেছেন আইনমন্ত্রী। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন,  ড. ইউনূসকে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যক্তিস্বার্থে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাকে হেনস্তা করতেই সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে বা শ্রমিকরা মামলা করে নাই- এইসব অভিযোগ সত্য না। মন্ত্রী এ সময় দাবি করেন, সরকার ড. ইউনূসকে হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা করে নাই। তার বিরুদ্ধে শ্রমিকরা মামলা করেছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আওয়ামী লীগ সরকারের মত কেউ বিচারহীনতায় ছিল না। আজ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই অপরাধীর বিচার হচ্ছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৭

অপেক্ষা এবার জনগণের রায়ের
শেষ হলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার পর্ব। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায় শেষ হয়েছে নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীদের প্রচারের সুযোগ। আগামী রোববার (৭ জানুয়ারি) চূড়ান্ত পরীক্ষা। ওইদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। সে পর্যন্ত ভোট চেয়ে মিছিল, গণসংযোগ কিংবা  প্রচারমূলক আর কোনও কর্মসূচী পালন করতে পারবেন না নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। এখন শুধু ভোটারদের রায় প্রয়োগের অপেক্ষা। এরই মধ্যে চলছে ভোটকেন্দ্রের প্রস্তুতি। ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জাম পৌঁছে যাচ্ছে কেন্দ্রগুলোতে। ব্যালট বাক্সও প্রস্তুত, সর্বোচ্চ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাল থেকে কেন্দ্রে পৌঁছাতে শুরু করবে ব্যালট পেপার। নির্বিঘ্ন ভোট আয়োজনে কেন্দ্র ও তার আশপাশের এলাকায় নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি তটস্থ আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মূলত ইসির নিয়মানুযায়ী ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে শেষ করতে হয় প্রচার-প্রচারণা। সেই নিয়ম মেনেই শুক্রবার সকাল ৮টায় সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব ধরনের প্রচার-প্রচারণার সমাপ্তি হয়েছে। এক্ষেত্রে কেউ আইন না মানলে ছয় মাসের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডিত হতে পারে। কমিশন চাইলে শুনানি করে কারো প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারে। গত ১৮ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল প্রচার ও জনসংযোগ। ১৮ দিনের প্রচার ও গণসংযোগে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু এলাকায় প্রতিপক্ষের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও দেশের বেশির ভাগ এলাকায় মিছিল, গণসংযোগ ও প্রচার ছিল শান্তিপূর্ণ। যার যার জায়গা থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ভোটারদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির গান শুনিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। ইশতেহার প্রকাশ করেছে প্রধান দলগুলো। এখন শুধু ভোটারদের রায় প্রয়োগের অপেক্ষা। দেশের জাতীয় সংসদে আসনসংখ্যা ৩০০ থাকলেও এবার ২৯৯ আসনে নির্বাচন হচ্ছে। গত ২৯ ডিসেম্বর নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হকের মৃত্যু হওয়ায় বিধি অনুযায়ী আসনটির ভোট স্থগিত করেছে ইসি। এর ফলে ২৯৯ আসনে ভোটাররা জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাবেন ৭ জানুয়ারি। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের, মোট ২৬৬ জন। সেইসঙ্গে জাতীয় পার্টির ২৬৫ জন, তৃণমূল বিএনপির ১৩৫ জন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬ জন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ৫৬ জনসহ ২৮টি রাজনৈতিক দলের মোট এক হাজার ৫৩৪ প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন ৭ জানুয়ারির ভোটে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৩৬ জন। নির্বাচনে ৯০ জন নারী প্রার্থী ও ৭৯ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪ হলেও অংশ নিচ্ছে না ১৬ টি দল। এর মধ্যে আছে দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপিও। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ একাধিক দাবিতে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচন বয়কট করেছে তারা। এদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ১৮৬ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিককে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাদের মধ্যে ১২৭ জন পর্যবেক্ষক আর ৫৯ জন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের কর্মী। এ ছাড়া নির্বাচন পর্যবেক্ষদের তালিকায় আছেন দেশি আরও ২০ হাজার ৭৭৩ জন পর্যবেক্ষক। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার ৫১৭ জন এবং স্থানীয়ভাবে ৮৪টি পর্যবেক্ষণ সংস্থার ২০ হাজার ২৫৬ জন ভোট পর্যবেক্ষণ করবেন। এ ছাড়া নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে ২২ সদস্যের মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই মনিটরিং সেলের নেতৃত্ব দেবেন আইডিএ প্রকল্প-২ এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, কাল ৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ৭২ ঘণ্টা পরিচালনা করা হবে এই মনিটরিং সেল। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের আদেশ অনুযায়ী গত ৩ জানুয়ারি থেকে নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্ব পালন করছে সশস্ত্র বাহিনী। ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৮ দিন মাঠে থাকবে তারা। নির্বাচন উপলক্ষে ৭২ ঘণ্টা মোটরসাইকেল ও ২৪ ঘণ্টা সর্বসাধারণের যান চলাচলের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ সময় কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসনের সদস্য ও অনুমোদিত পর্যবেক্ষক, জরুরি সেবার যানবাহন, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অভিন্ন কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র এবং সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন, দূরপাল্লার যানবাহন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের এজেন্টদের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, জাতীয় মহাসড়ক, প্রধান আন্তঃজেলা রুট, মহাসড়ক এবং প্রধান মহাসড়কের সংযোগ সড়কের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে। এ ছাড়া সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত লাইসেন্সধারীরাও আগ্নেয়াস্ত্র বহন করতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ‘অস্ত্র আইন ১৯৭৮’ এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে দেওয়া হয়েছে নির্দেশনা। সব মিলিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যয় দাঁড়াচ্ছে প্রায় ২৩শ' কোটি টাকা। এ নির্বাচনে আসনপ্রতি ৭ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিশাল এ বাজেটের দু-তৃতীয়াংশ অর্থই ব্যয় হবে ভোটের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে। এ ছাড়া নির্বাচন পরিচালনা খাতে প্রায় ১ হাজার ৫০ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। প্রসঙ্গত, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ২৯৯ আসনে মোট কেন্দ্র আছে ৪২ হাজার ২৫ কেন্দ্র, যেখানে মোট এক হাজার ৯৭০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়