• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ব্যাংক কর্মকর্তা অপহরণ : যত টাকা মুক্তিপণ দাবি 
বান্দরবানে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাকে মুক্তি দিতে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) অপহৃত সোনালী ব্যাংক রুমা শাখার ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনের পরিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  নেজাম উদ্দিনের পরিবারের এক সদস্য বলেন, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নেজাম উদ্দিনের সঙ্গে তার স্ত্রী মাইছূরা ইসফাতের ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। অপহরণকারীরা তার মুক্তির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। পরে পরিবার বিষয়টি সোনালী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে নেজামকে উদ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। পরিবার ও ব্যাংকের পক্ষ থেকে মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। প্রশাসনও আশ্বস্ত করেছে যে, নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধারে তাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।  সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম (বান্দরবান) মো. ওসমান গণি গণমাধ্যমকে বলেন, নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধারে সব ধরনের প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি। প্রশাসন খুবই তৎপর। তবে মুক্তিপণ ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।  উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫২

সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, ম্যানেজারকে অপহরণ
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে লুট করেছে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র, মোবাইল, ব্যাংকের ভোল্টের সব টাকাসহ ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে সশস্ত্র বাহিনীরা।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টায় একদল সশস্ত্র ডাকাত হামলা চালিয়ে ব্যাংকটির গ্রিল ভেঙে লকারে থাকা টাকা, নিরাপত্তায় ব্যবহৃত ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট করে। এ সময় তারা ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বর্তমানে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ব্যাংকটি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ব্যাংকটিতে ডাকাতির ঘটনায় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট করা হয়েছে। ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে ঠিক কী পরিমাণ টাকা লুট হয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেননি তিনি। রুমার ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা বলেন, ডাকাত দল সোনালী ব্যাংক লুট করেছে বলে শুনেছি। পুলিশ আনসারের অস্ত্রও লুট করেছে। রুমায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৯

শিশু অপহরণ করে বিক্রি করতো চক্রটি
গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, রাজধানীতে শিশু অপহরণ বেড়েছে। বোরকা পরে পরিচয় গোপন রেখে শিশু চুরি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। জানা গেছে, রাজধানীতে অপহরণের এক সপ্তাহ পর বুধবার (২৭ মার্চ) আড়াই বছরের শিশু তাওসীনকে কুমিল্লা থেকে উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। একই সঙ্গে অপহরণকারী সুলতানা আক্তার ওরফে নেহা (২২), তার স্বামী সাইফুল ইসলাম (২৭) এবং ক্রেতা মো. শাহজাহানকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়। হারুন অর রশীদ জানান, বিভিন্ন এলাকা ঘুরে চাহিদামতো শিশুদের খুঁজতো সুলতানা আক্তার ওরফে নেহা। টার্গেট করা শিশুদের চকলেট, চিপস কিনে দিতো। নানা প্রলোভন দেখিয়ে কোলে নিয়ে সটকে পড়তো। পরে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে মোটা অংকের টাকায় ওই শিশুদের বিক্রি করতো। তিনি জানান, গত ২১ মার্চ বিকেলে রাজধানীর হাজারিবাগের ভাড়া বাসার সামনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল শিশু তাওসীন। হঠাৎ অপরিচিত এক নারী চকলেট-চিপসের লোভ দেখিয়ে তাকে দোকানে নিয়ে যান। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ওই নারী। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাওসীনকে না পাওয়ায় তার বাবা আইনরক্ষাকারী বাহিনীর শরাণাপন্ন হন। তিনি আরও জানান, শিশুটির বাবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি কুমিল্লা থেকে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।  গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে ডিবি প্রধান জানান, অর্ধ লাখ টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন বোরকা পরা ওই নারী। পরে ওই শিশুকে উদ্ধারসহ বিক্রয়ের ২৩ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, শিশু পাচারকারীর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কি না এ ব্যাপারে আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:০৮

টেকনাফে ৫ কৃষক অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি 
কক্সবাজারের টেকনাফের পাহাড় থেকে স্থানীয় পাঁচ কৃষককে অপহরণ করেছে পাহাড়ি অস্ত্রধারীরা। ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানিয়েছে অপহৃতের পরিবার। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যায় অপরহরণকারীরা। অপহৃতরা হলেন-হ্নীলা ৪নং ওয়ার্ডের পানখালী এলাকার ফকির মোহাম্মদের ছেলে মো. রফিক (২২), শাহাজানের ছেলে জিহান (১৩), ছৈয়দ উল্লাহর ছেলে শাওন (১৫), আব্দুর রহিমের ছেলে মো. নুর (১৮) ও নুরুল আমিনের ছেলে আব্দু রহমান (১৫)। জানা গেছে, তারা প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতে ফসলের খেত পাহারা দেওয়ার জন্য পাহাড়ে যান তারা। কিন্তু সেহরি খেতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজখবর নিতে শুরু করে অপহৃতদের পরিবার। পরে জানতে পারে তারা অপহরণের শিকার হয়েছেন। তাদের মুক্তি পেতে প্রয়োজন ৩০ লাখ টাকা। অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, অপহরণের খবরটি শুনেছি। অপহৃতদের উদ্ধারের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ। এদিকে মুক্তিপণ চেয়ে অপহৃত রফিকের বড় ভাই মো. শফিকের কাছে মুঠোফোনে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছে অপহরণকারীরা। এ বিষয়ে শফিক বলেন, রফিক প্রতিদিনের মতো জুম চাষে পাহাড়ে যায়। কিন্তু আজকে সেহরি খেতে না আসায় তাকে খুঁজতে বের হই। পরে জানতে পারি তাদের পাঁচজনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফোনে মুক্তিপণ চেয়ে ৩০ লাখ টাকা দাবি করে অস্ত্রধারীরা।  অপহৃত মো. নুরের মা খোরশিদা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে অস্ত্রধারীরা ধরে নিয়ে গেছে। তবে কে বা কারা নিয়ে গেছে এখনও জানা যায়নি। মোবাইলে একটি নম্বর থেকে ফোন করে ছেলের মুক্তির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। আমরা খুব গরিব মানুষ, এত টাকা কীভাবে জোগাড় করবো। ছেলেকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চাই। এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, অপহরণে বিষয়টি আমাকে কেউ এখনও জানায়নি। এরপরও আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। এর আগে গত ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে মাদরাসা পড়ুয়া ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে (৬) অপহরণ করে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। ১২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও তাকে উদ্ধার করা যায়নি।  এদিকে সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, গত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক ১০৩টি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ৫২ জন স্থানীয় এবং ৫১ জন রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে যারা ফিরে এসেছে তাদের বেশির ভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরতে হয়েছে।
২১ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৬

জাহাজ অপহরণের ভিডিও দেখে যা জানাল ‘অ্যামব্রে’
ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ ‌‘এমভি আবদুল্লাহ’ অপহরণের আগে জলদস্যুরা কীভাবে জাহাজে উঠেছিল তার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করেছে সমুদ্রপথে নিরাপত্তা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘অ্যামব্রে’।  সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) হোসাইন তারেক নামে এক ব্যক্তি ভিডিওটি প্রকাশ করেন। এরপর ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে অ্যামব্রে জানায়, সে সময় সাগর ছিল শান্ত। জাহাজ চলছিল। পাশেই একটি ছোট বোট এগোচ্ছিল। সেটি থেকে সশস্ত্র ব্যক্তি বেয়ে জাহাজে ওঠে। জাহাজে তখন কোনো সশস্ত্র প্রহরী দৃশ্যমান ছিল না। এর আগে, গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ নিয়ন্ত্রণে নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। সে সময়ে জাহাজটি সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৭০০ মাইল দূরে ছিল। জাহাজে থাকা ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু বর্তমানে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি। জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার গারাকাদ উপকূলে দস্যুদের আস্তানায় নোঙর করা হয়েছে। জিম্মি নাবিকদের সেহরি এবং ইফতারের সুযোগ দিচ্ছে দস্যুরা। সূত্র: স্প্ল্যাশ 
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:৫৬

৫০ নারীকে একসঙ্গে অপহরণ করেছে আইএস!
নাইজেরিয়ার এক অঞ্চলে অন্তত ৪৭ জন মহিলাকে অপহরণ করা হয়েছে। অভিযোগের তীর জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের দিকে। প্রাথমিকভাবে ইসলামিক স্টেট ৫০ জন নারীকে অপহরণ করেছিল। ৩ নারী পালাতে সক্ষম হয়েছেন। তাদের কাছ থেকেই বাকিদের এবং অপহরণকারীদের বিবরণ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সংবাদ মাধ্যম ডয়েচ ভেলে একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। এই অঞ্চলে বোকো হারাম এবং ইসলামিক স্টেটের শক্ত ঘাঁটি আছে। কিন্তু নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বের এই অঞ্চল প্রযুক্তির দিক থেকে এতটাই পিছিয়ে যে, সেখান থেকে খবর আসতেও অনেকদিন সময় লেগেছে। ঘটনার কথা গতকল বুধবার জানাজানি হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকাটি মধ্য আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুন এবং চাদের সীমান্ত। সেখানে নারীরা জঙ্গলের কাঠ নিতে এসেছিল। সে সময়েই তাদের ঘিরে ধরে সন্ত্রাসীরা। তারা এমনভাবে গুলি চালাতে শুরু করে যে নারীরা বাধ্য হয় চাদের দিকে হাঁটতে। সে সময়েই ৩ জন কোনরকমে পালিয়ে বাঁচেন। তবে স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, ৫০ জনেরও বেশি নারীকে অপহরণ করা হয়েছে। এই বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:২২

‘যুগে যুগে ইবলিশের অনুসারী খারাপ জ্বীনেরা মানুষকে অপহরণ করেছে’
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘আরারাত’। দর্শকদের বেশ প্রশংসা পাচ্ছে কাজটি। রোমান্টিক থ্রিলার ঘরানার এ কনটেন্ট নির্মাণ করেছেন ভিকি জাহেদ। এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ওয়েব সিরিজটির প্রচারণা চালাচ্ছেন মেহজাবীন। নিজের ফেসবুকে ‘আরারাত’র একটি ক্লিপ প্রকাশ করেছেন মেহজাবীন। সঙ্গে লিখেছেন, যুগে যুগে ইবলিশের অনুসারী খারাপ জ্বীনেরা মানুষকে অপহরণ করেছে; মুসলিম জাহানের খলিফা ওমরের শাসনকালে এক ব্যক্তির উল্লেখ আছে যাকে খারাপ জ্বীন অপহরণ করেছিল। যে কাজ সৃষ্টিকর্তা সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করে সেটাই ইবলিশ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০৫

বিয়ে করতে টিভি উপস্থাপককে অপহরণ তরুণীর
বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না মিউজিক চ্যানেলের টিভি উপস্থাপক প্রণব সিস্টলা। এর জেরে তাকে অপহরণ করেছেন এক তরুণী। এই অভিযোগে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই নারীকে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হায়দরাবাদে। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ৩১ বছরের নারী ভোগীরেড্ডি তৃষ্ণা। টিভি উপস্থাপক প্রণবকে অপহরণ এবং মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। সূত্র জানায়, বছর দুয়েক আগে একটি বিয়ে সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে চৈতন্য রেড্ডি নামের এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তৃষ্ণার। পরে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামেও কথা-বার্তা হয় দুজনের মধ্যে।  ওই যুবতীকে তার সঙ্গে একটি ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে বলে চৈতন্য। তাই যুবকের ওপর ভরসা করে ব্যবসা করার উদ্দেশে ৪০ লক্ষ রুপি বিনিয়োগ করেন তৃষ্ণা। কিন্তু ওই অর্থ হাতিয়ে গা ঢাকা দেন চৈতন্য।     এরপর থেকে আর কোনোভাবেই চৈতন্যর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তৃষ্ণা। পরে তিনি জানতে পারেন, বিয়ের ওই ওয়েবসাইটে যে প্রোফাইল থেকে তার সঙ্গে  চৈতন্য কথা বলতেন, সেটা আসলে প্রণবের নামে তৈরি। আর সেখানে তারই ফোন নম্বর দেওয়া। ঠিক তখনই তৃষ্ণা সিদ্ধান্ত নেন— প্রণবকে বিয়ে করেই অর্থসহ যাবতীয় জটিলতা মেটাবেন তিনি। এই চিন্তাভাবনা থেকেই প্রণবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তৃষ্ণা।  চৈতন্যর বিষয়টি তাকে জানান। কিন্তু সব শুনে তৃষার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করেন প্রণব। মূলত এ কারণেই তৃষ্ণা ক্ষুব্ধ হয়ে ঠিক করেন— প্রণবকে অপহরণ করবেন। নিজের অফিসের এক কর্মীকে ৫০ হাজার রুপি দিয়ে এই অপরাধে শামিল করেন তৃষ্ণা। পরে  প্রণবের গাড়িতে ট্র্যাকিং ডিভাইস বসিয়ে প্রতি মুহূর্তে তাকে ফলো করতে থাকেন তৃষ্ণা। প্ল্যান মোতাবেক প্রণবকে অপহরণ করে মারধর করেন তৃষ্ণা। এই চক্রান্ত থেকে বের হতে তৃষার দাবি মেনে নেন প্রণব। সেই শর্তেই তাদের হাত থেকে রেহাই পান প্রণব। তবে বেরিয়ে এসেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  সূত্র : এনডিটিভি   
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:০২

ফেসবুকে প্রেম, প্রেমিককে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাইলেন প্রেমিকা
বাগেরহাটে জন্মদিন পালনের কথা বলে প্রেমিকা এক কলেজছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ভিকটিম প্রেমিক কলেজছাত্রকেও উদ্ধার করা হয়েছে।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাট সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান। আটককৃতরা হলেন বাগেরহাটে চিতলমারী উপজেলার কুনিয়া গ্রামের সৈয়দ আল রোকিবের ছেলে সৈয়দ আল হারুন (২০), কাদের মীরের ছেলে সেলিম ওরফে ছলিম মীর (৫৫), পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মাঠিভাঙ্গা গ্রামের মাসুদ হোসেনের ছেলে তামিম হোসেন (২৩), আবুল বাসার শেখের ছেলে সুজন শেখ (২৫), বাবর আলী ফরাজীর ছেলে ডালিম ফরাজী (২০) এবং গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাশবাড়িয়া গ্রামের ইবাদত শেখের ছেলে সুজন শেখ। পুলিশ জানায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের মাসুদ শেখের ছেলে সরকারি পিসি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রবিউল শেখ স্বাধীনের সঙ্গে ফেসবুকে শারমিন আক্তার শিলা নামের এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুক্রবার রাতে ওই তরুণী ফোন করে বলে এ দিন তার জন্মদিন, তাই তার কাছে গিফট নিতে আসছে। স্বাধীন তার কথিত প্রেমিকাকে তার বাড়ির ঠিকানা বলে দিলে ওই তরুণী স্বাধীনের বাড়ির সামনে এসে স্বাধীনকে মেসেঞ্জারে কল দেন। স্বাধীন সেসময় তার বাড়ির সামনে একটি মাইক্রোবাস দেখতে পায়। এ সময় কথিত প্রেমিকা তাকে গাড়িতে উঠতে বলে। গাড়িতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অপহরণকারীরা স্বাধীনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে তারা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ঘুরে অজ্ঞাত স্থানে গিয়ে ভিকটিমের মোবাইল দিয়ে তার বাবাকে কল করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি ভিকটিমের বাবা পুলিশকে জানালে পুলিশ চিতলমারীর শৈলদাহ গুচ্ছগ্রাম থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। আর এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার জন্য পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর এলাকা থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  ভুক্তভোগী রবিউল শেখ স্বাধীন জানান, ফেসবুকে ওই তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুক্রবার তার জন্মদিন এ কথা বলে তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে অপহরণ করা হয়।  বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) রাসেলুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।  সতর্ক না হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের শিকার যে কেউ হতে পারে  বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৯

অপহরণ মামলায় জেল, বিয়ে দিলেন আদালত
ভালোবাসা দিবসে আদালতে বিয়ে হলো বর ও কনের। ঝিনাইদহের আদালত চত্বরের ক্যান্টিনে আইনজীবী, পুলিশ ও আদালতের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়েছে মহেশপুর উপজেলার স্কুলছাত্রী জেসমিন খাতুন আর গোপালপুর গ্রামের জুবায়ের হোসেনের। এ সময় বর পুলিশের হেফাজতে ছিলেন আর বাইরে অপেক্ষা করছিল কনের পরিবার। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এমন ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের আদালত চত্ত্বরে। বিয়ের পর সেখানে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। জানা যায়, জেসমিনকে অপহরণের দায়ে জুবায়েরের জামিন আবেদনে আদালতে এমন রায় দিয়েছেন। আদালত জানায়, মহেশপুর উপজেলার জুকা গ্রামে আত্মীয়র বাড়িতে আসা-যাওয়ার সূত্র ধরে ওই গ্রামের স্কুলছাত্রী জেসমিন খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পার্শ্ববর্তী গোপালপুর গ্রামের যুবক জুবায়ের হোসেনের। কয়েক মাস তাদের মোবাইলে প্রেম চলে। বিষয়টি জানাজানি হলে তদের পরিবারের লোকেরা মেনে নেয় না। ফলে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জেসমিনকে পালিয়ে বিয়ে করেন জুবায়ের। এ ঘটনায় ২৪ ডিসেম্বর জেসমিনের বাবা বাদি হয়ে মহেশপুর থানায় জুবায়েরসহ আরও ৪ জনের নামে অপহরণ মামলা করলে গ্রেপ্তার হন জুবায়ের। পরে বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবার মীমাংসা করে বিয়েতে রাজি হয়ে বুধবার আদালতে জুবায়েরের জামিন আবেদন করেন। ঝিনাইদহের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদৌলা শর্ত দেন ‘৫ লাখ টাকা কাবিনে জেসমিনকে বিয়ে করলে জুবায়ের জামিন দেওয়া হবে’। এই শর্তে রাজি হয়ে আদালতে বিয়ে হয় জুবায়ের ও জেসমিনের। বর জুবায়ের হোসেন বলেন, ভালোবাসা দিবসে আমার প্রিয় মানুষটাকে পেয়েছি এতেই আমি খুব খুশি। ২ মাস জেল খাটার পর তাকে পেলাম। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. ইশারত হোসেন খোকন বলেন, আদালতের নির্দেশে ৫ লাখ টাকা কাবিনে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়েছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়