• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
কালিয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
নড়াইলের কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।  শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কালিয়া উপজেলাবাসীর আয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা খান লুৎফর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান, কালিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র আসলাম ভূঁইয়া, বাবর আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সেক্রেটারি ইয়াসিন জনিসহ অনেকে। বক্তারা বলেন, ডাক্তার শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ কালিয়ায় যোগদানের পর নারী কেলেঙ্কারি, সরকারি টাকা আত্মসাত, রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নীতি-নৈতিকতা বিরোধী কাজ করে যাচ্ছেন। এমনকি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সঙ্গতকারণে ডাক্তার শশাঙ্ককে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন বক্তারা। মানববন্ধন শেষে ডাক্তারের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এ ব্যাপারে ডাক্তার শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট কালিয়ায় যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষাসমূহ চালু করাসহ সেবার মান বৃদ্ধিতে একটি মহল আমার ওপর ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। এদিকে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতি এবং ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি, রোগী কল্যাণ সমিতির ওষুধের বদলে টাকা গ্রহণ সংক্রান্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন ডাক্তার শশাঙ্ক। কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় সংশ্লিষ্টরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন বলে জানান তিনি। তবে ডাক্তার শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষের আগের কর্মস্থল মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় থাকাকালীন নানা অনিয়মের ব্যাপারে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। 
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৮

মহাসড়কে হাটবাজার অপসারণ ও অবৈধ যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ দেশের সব মহাসড়ক থেকে হাটবাজার অপসারণ ও অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর বিআরটি প্রকল্প শেষ হতে কেন এত সময় লাগছে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ দেশের সব মহাসড়ক থেকে হাটবাজার অপসারণ ও অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর বিআরটি প্রকল্প শেষ হতে কেন এত সময় লাগছে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আরও পড়ুন : লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর   মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সারাদেশের মহাসড়কে থাকা স্থাপনা, হাটবাজার, ভটভটি, নসিমন-করিমন জাতীয় যানবাহন অপসারণে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), হাইওয়ে পুলিশের প্রধানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে রোববার এ বিষয়ে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনারি নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া। আরও পড়ুন : ‘নির্বাচন শেষ হলেও দেশবিরোধীদের চক্রান্ত শেষ হয়নি’   এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে সারা দেশের মহাসড়ক-সড়কে থাকা অবৈধ স্থাপনা, হাটবাজার, ভটভটি, নসিমন-করিমন জাতীয় যানবাহন অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। আইনজীবী এস এম বদরুল ইসলাম এ রিট করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে এবার রুল জারি করলেন হাইকোর্ট। আইনে মহাসড়কের সংরক্ষণ রেখার মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করার কথা বলা হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, “সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত, মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ রেখার মধ্যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ, হাটবাজার বসানো বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে মহাসড়কের কোনো অংশ ব্যবহার করা যাবে না।” আইনের ভাষ্য অনুযায়ী, মহাসড়কের উভয় পাশের ভূমির প্রান্তসীমা থেকে ১০ মিটার অথবা সরকার কর্তৃক গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্ধারিত রেখাকে “সংরক্ষণ রেখা” হিসাবে ধরা হয়। আইনে “সংরক্ষণ রেখা” বজায় রাখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ এই আইনের তোয়াক্কা না করেই মহাসড়কে চলছে হাটবাজার। ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রের বরাতে মহাসড়কের হাটবাজার নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম যুগান্তর। সেখানে বলা হয়, সারাদেশের ৮,৮৮৭টি জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ছোট-বড় ১০,০০০ এর বেশি দোকান নিয়ে অন্তত ২৭৫টি স্থায়ী, অস্থায়ী এবং অবৈধ হাটবাজার গড়ে উঠেছে। এসব হাটবাজার ঘিরে পণ্য পরিবহন, থ্রি-হুইলারের চলাচল, বাস-ট্রাকস্ট্যান্ড ও মানুষের চলাফেরা কমাচ্ছে সড়কের গতি। যত্রতত্র মানুষের রাস্তা পারাপারে ঘটছে দুর্ঘটনা, মরছে মানুষ। আরও পড়ুন : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী শহর দখলের দাবি আরাকান আর্মির   বিভিন্ন সময় মহাসড়কসংলগ্ন দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলেও কিছুদিন পরই বিভিন্ন পক্ষের সমঝোতায় তা আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এবার এসব হাটবাজার অপসারণে হাইকোর্ট রুল জারি করলেন।     
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৯

নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানার অপসারণ করছে ডিএনসিসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ায় প্রার্থীদের প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টার-ব্যানার অপসারণ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সোমবার (৭ জানুয়ারি) রাত থেকেই ডিএনসিসির আওতাধীন প্রতিটি অঞ্চলে এ কাজ করছে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন অপসারণ করে শহরের পরিবেশ রক্ষা করা জন্য ডিএনসিসির বর্জ্য বিভাগকে নির্দেশ দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।  তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা তাদের প্রচারণায় পোস্টার-ব্যানার ব্যাবহার করেছে। আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব অপসারণ করার জন্য। আমরা এই শহরকে নোংরা দেখতে চাই না। আমরা দৃশ্য দূষণ চাই না। আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা চিত্রকর্মের মাধ্যমে পিলারগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দিচ্ছি। নির্দিষ্ট জায়গায় পোস্টার লাগানোর জন্য পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কিছু বোর্ডও বসানো হয়েছে। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর একটি শহর গড়ে তুলতে চাই। ঢাকার সব উড়াল সড়কের পিলারগুলো চিত্রকর্মের মাধ্যমে নান্দনিকভাবে সাজিয়ে তোলা হবে। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ২৯৯টি আসনের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের বেসরকারি ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৫টি আসনে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র ৬১টি এবং জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২২

নির্বাচনী পোস্টার-ব্যানার অপসারণ শুরু
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল রোববার। ঘোষণা হয়ে গেছে ফলাফলও। এরই মধ্যে আজ (৮ জানুয়ারি) ভোর থেকে নির্বাচনী পোস্টার, ব্যানার অপসারণ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।  আরও পড়ুন : জয়ের পর শেখ হাসিনাকে ভারতের অভিনন্দন   সোমবার ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের রাস্তায় কাজ করতে দেখা যায় সকাল থেকে। সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুর ১০, কাফরুল, গুলশান-১, গুলশান-২, বনানী, মহাখালী এলাকায় রাস্তার ওপর ঝুলে থাকা ব্যানার-পোস্টার অপসারণ করছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কের ওপর থেকে ব্যানার-পোস্টারগুলো অপসারণ করতে কিছুটা বেগ পেতে হয় তাদের। সড়কে যান চলাচল বেড়ে যাওয়ায় ঠিকমতো কাজ করতে পারছিলেন না তারা। এরমধ্যে যেসব সড়কে ব্যানার, পোস্টার খোলা হয়েছে, সেগুলো ভ্যানে করে এসটিএসে নিয়ে যাচ্ছিলেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। আরও পড়ুন : ‘নড়াইলের উন্নয়নের জন্য শতভাগ চেষ্টা করব’   মিরপুর ১০ এলাকায় ঢাকা-১১ আসনের প্রার্থীদের ব্যানার পোস্টার পরিষ্কারে কাজ করছিলেন কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, বেশির ভাগ এলাকা পরিষ্কার হয়ে গেছে। দিনের মধ্যে বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে। 
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়