• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহ আন্তর্জাতিক অনেক কোম্পানির
বঙ্গোপসাগরে অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দরপত্রে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন বড় বড় কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক অনেক কোম্পানি।  সোমবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ‘বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪’ উপলক্ষে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে নসরুল হামিদ বলেন, এবারের উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। ইতোমধ্যে অনেক কোম্পানি বিডিংয়ে অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে।  তিনি বলেন, চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দরপত্র জমার সময় দেয়া হয়েছে। এরপর বাছ-বিচার করে দেখা হবে, কোন কোম্পানিকে কাজ দেওয়া যায়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী প্রমুখ।  প্রসঙ্গত, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দুটি ব্লকে কাজ করছে ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি। বাকি ২৪টি ব্লকের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)। এজন্য ৫৫টি আন্তর্জাতিক কোম্পানিকে আহ্বান জানানো হয়েছে। আহ্বানে সাড়া দেওয়া কোম্পানিগুলো দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য ছয় মাস সময় পাবে। একই দিনে দূতাবাসগুলোতে চিঠি দিয়ে দরপত্রের বিষয়ে জানানোর কথা রয়েছে পেট্রোবাংলার। রোববার (১০ মার্চ) দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এই দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা।   
১১ মার্চ ২০২৪, ২০:১৬

বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান
বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দুটি ব্লকে কাজ করছে ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি। বাকি ২৪টি ব্লকের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন (পেট্রোবাংলা)। আর এ জন্য ৫৫টি আন্তর্জাতিক কোম্পানিকে আহ্বান জানানো হয়েছে। আহ্বানে সাড়া দেওয়া কোম্পানিগুলো দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য ছয় মাস সময় পাবে। একই দিনেই দূতাবাসগুলোতে চিঠি দিয়ে দরপত্রের বিষয়ে জানানোর কথা রয়েছে পেট্রোবাংলার। রোববার (১০ মার্চ) দেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে এই দরপত্র আহ্বান করেছে রাষ্ট্রীয় কোম্পানিটি। জানা গেছে,  ২০১২ ও ২০১৪ সালে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হয় বাংলাদেশের। সমুদ্রে মোট ২৬টি ব্লক আছে, যার মধ্যে গভীর সমুদ্রে ১৫টি ও অগভীর সমুদ্রে ১১টি। এসব ব্লকে ২০১০ সালে গভীর সাগরে ডিএস-১০ ও ডিএস-১১ ব্লকে কাজের আগ্রহ দেখায় কনোকো ফিলিপস। কোম্পানিটি ২ডি জরিপ শেষে গ্যাসের দাম বাড়ানোর দাবি করে, সেই দাবি না মানায় কাজ ছেড়ে চলে যায় কোম্পানিটি। অস্ট্রেলিয়ার স্যান্তোস ও দক্ষিণ কোরিয়ার পস্কো দাইয়ুও চুক্তির পর কাজ ছেড়ে চলে যায়। বর্তমানে সমুদ্রের ২টি ব্লকে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ভারতের কোম্পানি ওএনজিসি। তাই এ দুটি বাদ দিয়ে ২৪টি ব্লকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সন মবিল ও শেভরনও এই বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করেছিল পেট্রোবাংলা। এরপর ২০১৯ সালে নতুন উৎপাদন অংশীদারি চুক্তি (পিএসসি) করা হলেও দরপত্র ডাকা হয়নি। গত বছরের জুলাইয়ে নতুন পিএসসি চূড়ান্ত অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। যেখানে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে আকর্ষণে আগের চেয়ে সুবিধা বাড়ানো হয়। অবশেষে সেই দরপত্র আহ্বান করলো পেট্রোবাংলা।  এবারের অংশীদারি চুক্তিতে (পিএসসি) বিদেশি কোম্পানিগুলোকে আগ্রহী করতে নীতিমালায় বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এবার আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিলিয়ে দাম ঠিক করা হবে। গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে বাংলাদেশের শেয়ারের অনুপাত বাড়তে থাকবে। গভীর সমুদ্রে ৩৫ থেকে ৬০ শতাংশ এবং অগভীর সমুদ্রে বাংলাদেশের শেয়ার ৪০ থেকে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত ওঠানামা করবে। কোম্পানি যদি গ্যাস বিক্রি করতে চায়, তাহলে প্রথমে পেট্রোবাংলাকে প্রস্তাব দিতে হবে, পেট্রোবাংলা নিতে না চাইলে তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির সুযোগ পাবে বিদেশি কোম্পানি। এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার বলেছেন, ডাটার জন্য আলাদা ৮টি প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে। যেগুলো কিনে আমাদের ব্লকগুলো সম্পর্কে তথ্য পাবে আগ্রহী কোম্পানিগুলো।  
১০ মার্চ ২০২৪, ১৪:১০

আগুনের কারণ অনুসন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের কমিটি
রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে লাগা আগুনে রাত ৩টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে ফায়ার সার্ভিস।  ভয়াবহ এই অগ্নিকান্ডের কারণ, ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণসহ হতাহত বেশি হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন তিনি বলেন, পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির সভাপতি : পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, কমিটির সদস্য সচিব ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন, সদস্য করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জোনের ডিএডি, সিনিয়র স্টেশন অফিসার এবং ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টরকে। সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
০১ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৪

বরই খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা, অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞ দল
তিন দিনের ব্যবধানে বমি ও জ্বর হয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর কারণ জানতে রাজশাহীতে পৌঁছেছে আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞ দল। রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের রিপোর্ট বলছে তারা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। ফলে কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে কি না, তা যাচাই বাছাই ও নমুনা সংগ্রহের জন্য আইইডিসিআরের একটি দল রাজশাহীতে গেছে। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম আহমেদ। রামেক পরিচালক বলেছেন, রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আইইডিসিআরের একটি বিশেষজ্ঞ দল রাজশাহীতে এসেছে। এরই মধ্যে দলটি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা মৃত দুই শিশুর বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) তারা আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য চারঘাটে যাবেন। সেগুলো বিশ্লেষণের পর জানা যাবে কীসের কারণে তারা মারা গেছেন।  পরিচালক আরও জানান, মৃত শিশুর দুই বাবা-মা হাসপাতালে সুস্থ আছেন। তাদের অন্য কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি। ওই দুই শিশুর বাবা মঞ্জুর হোসেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক। তারা ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারেই ছিলেন। ছোট মেয়ের মৃত্যুর পর গ্রামে ফিরে গিয়েছিলেন। তাদের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ছোট মেয়ে মারিশার জ্বর আসে। বিকেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মাইক্রোবাসে মারা যায়। মৃত্যুর পর মা-বাবা লক্ষ্য করেন, মারিশার গায়ে কালো ছোপ ছোপ দাগ উঠেছে। ওই দিন রাতেই তাকে দাফন করা হয়। এক দিন পর শুক্রবার বড় মেয়ে মাসিয়ার একই লক্ষণসহ জ্বর আসে। সে-ও ছোট বোনের মতো বমি করছিল আর ঘন ঘন পানি খাচ্ছিল। লক্ষণ বুঝতে পেরে মা-বাবা দেরি করেননি। রাজশাহীর সিএমএইচে ভর্তি করেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়