• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন
মিশরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণসহ ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান। অনুমোদন হওয়া প্রকল্পগুলো হলো, মিশরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ২০টি মিটারগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটারগেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (১ম সংশোধিত), কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘী বর্ডার (এন-০৬) জাতীয় মহাসড়ক যথাযথমান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (নবাবগঞ্জ অংশ), বিদ্যমান সরকারি মৎস্য খামারগুলোর সক্ষমতা ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম পর্যায়), ইমপ্রুভমেন্ট অব ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টার অব বাংলাদেশ ফিশারজি ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন ইন কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট প্রকল্প, বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোর পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ (৩য় পর্যায়),  ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং কিডনি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ (১ম সংশোধিত) ইত্যাদি। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৯

সিঙ্গাপুর থেকে স্বল্পমেয়াদে এলএনজি সরবরাহে নীতিগত অনুমোদন দিল সরকার 
সিঙ্গাপুরের গানভোর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড কর্তৃক স্বল্পমেয়াদে এলএনজি সরবরাহের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধনী-২০২১)-এর আওতায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান। এ সময় তিনি জানান, দুই বছরের জন্য এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই নীতিগত অনুমোদনের পরে প্রস্তাবটি ক্রয়কমিটিতে পাঠানো হয়। তখন টাকার অঙ্ক জানা যায়। অপর এক প্রস্তাবে একই আইনের আওতায় কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৬০০ এমএমসিএফডি রি-গ্যাসিফিকেশন ক্ষমতাসম্পন্ন প্রস্তাবিত দেশের তৃতীয় এফএসআরইউ স্থাপনে সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের (এসওএসসিএল) সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।  চুক্তিটি সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের (এসওএসসিএল) পরিবর্তে সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোং লিমিটেডের সঙ্গে করা হয়েছে। এটি সামিটেরেই আরেকটি কোম্পানি; শুধু নামটা পরিবর্তন হয়েছে। 
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৭

অনুমোদন পেল ৩৪৩৪ কোটি টাকার ১৪ প্রস্তাব
টিসিবির কর্মসূচীর জন্য ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল, ১০ মেট্রিক টন চিনি কেনাসহ ১৪টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হবে মোট ৩ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা।  বুধবার (২০ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে কমিটির বৈঠকে প্রস্তাবগুলো অনুমোদন হয়েছে। বৈঠক শেষে প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান। তিনি জানান, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন থেকে ১৬০ কোটি টাকায় ১০ হাজার মেট্রিক টন চিনি কিনবে সরকার। বিদেশ থেকে চিনি আমদানি করতে আরও সময় লাগছে। তাই সাময়িক চাহিদা পূরণে সরকার টু সরকার পদ্ধতিতে ১৬০ টাকা কেজি দরে সরকারি মিলে উৎপাদিত এই চিনি কেনা হচ্ছে। এছাড়া টিসিবির জন্য আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ডাল কেনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ভারতের চেন্নাইভিত্তিক অ্যাগ্রিগো ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড ডাল সরবরাহের অনুমোদন পেয়েছে। প্রতি কেজি ডালের দাম পড়বে ১০০ টাকা ৮০ পয়সা। সরকার চলতি অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন ডাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত কেনা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫শ মেট্রিক টন। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল প্রায় ৬৩ কোটি টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রতি কেজি ডালের দাম পড়ছে ১০৪ টাকা ৯০ পয়সা।  সেইসঙ্গে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট ও ফসফরিক এসিড কেনা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৫ হাজার টন রক ফসফেট ও ৩০ হাজার টন ফসফরিক অ্যাসিড রয়েছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২৮৫ কোটি। বৈঠকে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের হাউজিং কলোনি ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ সংক্রান্ত পূর্ত কাজের প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১২৫ কোটি টাকা।  খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা মজুত সুসংহত করতে প্রতি মেট্রিক টন গম কেনা হবে ২৭৯.৯৫ মার্কিন ডলারে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১৫৪ কোটি টাকা। প্রতি কেজি গমের মূল্য ৩০ টাকা ৭৯ পয়সা। এছাড়া, মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন স্থাপনা ও যন্ত্রপাতি কেনার একটি এবং ব্রহ্মপুত্র নদ ড্রেজিংয়ের তিনটিসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের চারটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এসব প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। পাশাপাশি রাজধানীর আজিমপুরে একটি বহুতল মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বুধবারের এ বৈঠকে। 
২১ মার্চ ২০২৪, ০৩:০৮

ইউরোপীয় সংসদে এআই আইন চূড়ান্ত অনুমোদন পেল
ইউরোপীয় সংসদের সদস্যরা এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার জন্য যুগান্তকারী একটি আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন৷ আইনের পক্ষে ৫২৩টি ও বিপক্ষে ৪৬টি ভোট পড়ে৷ বুধবার (১৩ মার্চ) ইউরোপীয় সংসদে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া এআই নিয়ন্ত্রণকারী আইনটি এ বছরের শেষ দিকে কার্যকর হবে৷ দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন এ আইনটি বিশ্বব্যাপী অন্যান্য সরকারের জন্যও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের রক্ষা করা ও একই সাথে উদ্ভাবনকে সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এই আইনটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে৷ আইনটি ঝুঁকি অনুযায়ী বিপজ্জনক বলে বিবেচিত বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আলাদা আলাদা সাজাবে যেন সেগুলো ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে৷ বেশিরভাগ এআই সিস্টেম কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ যেমন স্প্যাম সনাক্তের জন্য ব্যবহৃত মডেল৷ তবে চিকিৎসা, বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোতে এআই-এর উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহার আরও বেশি পরীক্ষা করা হবে৷ এই মডেলগুলো তৈরি করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্ভাব্য ঝুঁকির মূল্যায়ন করতে হবে ও ব্যবহারকারীদের কাছে স্পষ্ট তথ্য সরবরাহ করতে হবে৷ জনসাধারণের কাছে প্রকাশের আগে সে মডেলগুলো আইন মেনে চলছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে৷ জনপরিসরে রিয়েল-টাইম ফেসিয়াল রিকগনিশন নিষিদ্ধ করা কথা রয়েছে৷ যদিও এ আইন প্রয়োগের জন্য কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে৷ কোনো সংস্থা আইন অমান্য করলে তাদের ৭৫ লাখ ইউরো থেকে তিন কোটি ৫০ লাখ ইউরো পর্যন্ত জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে৷  এআই আইনটি পৃথকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে৷ এপ্রিল মাসের মধ্যেই এই অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ তবে আইনটি এ বছরের শেষের দিকে কার্যকর হবে৷ চ্যাটজিপিটি-র মতো জেনারেটিভ এআই মডেলগুলো আইনটি কার্যকর হওয়ার ১২ মাস পর চালু হবে৷ তবে সংস্থাগুলোকে অবশ্যই দুই বছরের মধ্যে অন্যান্য নিয়মের ব্যাপারেও একমত হতে হবে৷ নতুন পাস হওয়া আইনটি কার্যকরের ছয় মাস পর বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত এআই সিস্টেমগুলি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হবে৷
১৩ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৫

বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিল ভারত
বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এই পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে।  সোমবার (৪ মার্চ) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তরের (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ১৪ হাজার ৪০০ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা ডিজিএফটি। বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি বলেছে, ভোক্তা বিষয়ক বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে পেঁয়াজ রপ্তানির রূপরেখা তৈরি করবে এনসিইএল। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও দেশটির সরকার কিছু বন্ধু রাষ্ট্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।  প্রসঙ্গত, বিশ্ব বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক ভারত। স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত বছরের ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দফায় মার্চের শেষ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় দেশটি। রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে দেশটির সরকার প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। তারপরও আশানুরূপ ফল না মেলায় পেঁয়াজের রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে ভারত। ওই সময় বলা হয়, পেঁয়াজ রপ্তানির এই নিষেধাজ্ঞা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। গত বছরের অক্টোবরে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে খুচরা বাজারে ভর্তুকি দিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ রূপিতে বিক্রির লক্ষ্যে মজুত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার। বিশ্বে ভারতের পেঁয়াজের শীর্ষ তিন ক্রেতা বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৪ আগস্টের মাঝে ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয় দেশটি থেকে। 
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৮:১৮

১৭৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকার সয়াবিন তেল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন
স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমতি দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এই তেল কিনতে মোট খরচ পড়বে ১৭৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সেই হিসেবে প্রতি লিটারে খরচ পড়বে ১৫৮ দশমিক ৭৯ টাকা। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুযারি) এটি ছাড়াও মোট ১২টি প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১৬৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৩০৩ দশমিক ১৯ মার্কিন ডলার। সেইসঙ্গে ৮ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল আমদানি করা হবে, যার মোট দাম পড়বে ৮৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। এছাড়া জিটুজি পদ্ধতিতে ২৫৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করা হবে সৌদি আরব থেকে। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৫৭৬ ডলার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জানান, ১৪ হাজার ২৫০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য ওষুধ কেনা হবে, যার দাম পড়বে ১৪৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণে ১৮৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকার একটি প্রকল্পও অনুমোদন পেয়েছে আজকের সভায়। এছাড়া, এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।  
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫১

খতনা করতে গিয়ে মৃত্যু : অনুমোদন ছিল না জেএস হাসপাতালের
রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর রেশ না কাটতেই মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে আহনাফ তাহমিন আয়হাম (১০) নামের আরেক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আহনাফের স্বজনদের অভিযোগ, মালিবাগের জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে অর্থোপেডিক ও ট্রমা সার্জন ডা. এস এম মুক্তাদিরের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার রাতে সন্তানকে সুন্নতে খতনা করাতে আসেন শিশু আয়হামের বাবা ফখরুল আলম ও মা খায়কুন নাহার চুমকি। রাত ৮টার দিকে খতনা করানোর জন্য অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়ার পর আর ঘুম ভাঙেনি আয়হামের। এর ঘণ্টাখানেক পর হাসপাতালটির পক্ষ থেকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শিশু আহনাফের মৃত্যু হওয়া জে এস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের লাইসেন্স থাকলেও হাসপাতাল পরিচালনার কোনো অনুমতি ছিল না। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আবু হোসেন মো. মইনুল আহসান বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের শুধু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমোদন থাকলেও হাসপাতাল পরিচালনার অনুমোদন ছিল না। আমরা তাদের সব কার্যক্রম বাতিল করেছি। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্সও বাতিল করা হচ্ছে। এমন কাজের সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘আহনাফের মৃত্যুর কারণ কী ছিল?’- প্রশ্নের জবাবে ওই পরিচালক বলেন, আমরা প্রতিষ্ঠানে যেয়ে কাউকে পাইনি, এ জন্য শিশুটির মৃত্যুর কারণ জানতে পারিনি। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এদিকে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক বিশেষ বিবৃতিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘এই ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত। কিছুদিন আগেও এমন একটি ঘটনা আমরা লক্ষ্য করেছি। সে ঘটনায় আমরা উপযুক্ত ব্যবস্থাও নিয়েছি। তবে সেই ঘটনার পরও যারা সতর্ক হতে পারে নি, এ রকম আর কারও কোনোরকম দায়িত্বে অবহেলা বা গাফিলতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। দোষী প্রমাণিত হলে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির বিরুদ্ধে শুধু কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াই হবে না, ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলাকারী দোষীদেরও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে পরবর্তীতে আর কোনো প্রতিষ্ঠান এ রকম গুরুদায়িত্বে অবহেলা করতে সাহস না পায়। চিকিৎসায় অবহেলা পাওয়া গেলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’  
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:০৮

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২৬৩ জন সাংবাদিকের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন 
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২৬৩ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে বিতরণের জন্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বিতীয় পর্যায়ে এ কল্যাণ অনুদান অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এ সংক্রান্ত অনুমোদনের নথিতে স্বাক্ষর করেন। শিগগিরই সাংবাদিকদের এ কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণ করা হবে। এর আগে চলতি অর্থবছরে প্রথম পর্যায়ে ২৩৬ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, গণমাধ্যমবান্ধব ও সাংবাদিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের কল্যাণে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে দুস্থ, অস্বচ্ছল, দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের এবং মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের অনুকূলে আর্থিক সহায়তা/কল্যাণ অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত ট্রাস্ট থেকে ৩ হাজার ৯৩২ জন সাংবাদিক ও সাংবাদিক পরিবারের অনুকূলে ৩৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:২১

আরও ৩ পণ্য পেল জিআই অনুমোদন
বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন পেল আরও ৩ পণ্য। নতুন তিনটি পণ্য হচ্ছে- যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা। এতে দেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা বেড়ে ৩১ হলো। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি)  শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়েছে, আরও ৩টি পণ্যকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে অনুমোদন দিয়ে জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে অনুমোদিত জিআই পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াল ৩১টি।   সবশেষ গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর আতর ও মুক্তাগাছার মন্ডাকে জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়। এর একদিন আগে টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃতসাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার জিআই অনুমোদনের কপি ও জার্নাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।  ২০১৬ সালে জামদানি শাড়িকে বাংলাদেশে প্রথম জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর স্বীকৃতি পায় আরও ২০টি পণ্য। পণ্যগুলো হলো- বাংলাদেশের ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম, বিজয়পুরের সাদা মাটি, দিনাজপুর কাটারিভোগ, বাংলাদেশের কালিজিরা, রংপুরের শতরঞ্জি, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম, বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি, বাংলাদেশের শীতলপাটি, বগুড়ার দই, শেরপুরের তুলশীমালা ধান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম, আশ্বিনা আম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই ও কুষ্টিয়ার তিলের খাজা। আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডিপিডিটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি ও সনদ দিয়ে থাকে।  
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৪২

নতুন সরকারের প্রথম একনেক সভায় ৯ প্রকল্পের অনুমোদন
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত নতুন সরকারের প্রথম একনেক সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ৭ম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। ৯টি প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন থেকে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা।  মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাজধানীর শের-ই বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবে ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার মেইন স্ট্রিমিং প্রজেক্ট ও ঢাকা জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হলো–পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ইন্টিগ্রেটিং ক্লাইমেট চেঞ্জ এডাপশন ইনটু সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট পাথওয়েস অব বাংলাদেশ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দেশের ৪৮ জেলায় শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএইউ) অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন (২য় সংশোধিত), পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের পিডিবিএফের কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রকল্প ২য় পর্যায়। বিদ্যুৎ বিভাগের ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (ওজোপাডিকো) এলাকার জন্য স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারিং (২য় পর্যায়), দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রস্তাবিত দুদকের খুলনা, রংপুর, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ এবং ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ এবং পরিকল্পনা বিভাগের আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি): প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেশন অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিট (পিসিএমইউ) (৪র্থ সংশোধিত) প্রকল্প। এ ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের চলমান সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ) (৩য় সংশোধিত) প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৩২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়