• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করল ভারতীয় দুটি বন্যহাতি
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা সীমান্তে দুটি বন্যহাতি অনুপ্রবেশ করেছে।  মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাংলাবান্ধা এলাকায় ভারত সীমান্তসংলগ্ন দক্ষিণ কাশিমগঞ্জ গ্রামের লোকজন হাতি দুটিকে দেখতে পায়।  এলাকাবাসীর ধারণা, খাদ্যের জন্য গভীর রাতে মহানন্দা নদী পার হয়ে ওই এলাকায় চলে আসে হাতি দুটি। তবে হাতি দুটি এখনো কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা কোনো তাণ্ডব চালায়নি। সীমান্তের ভুট্টাখেতের পাশে অবস্থান করছে।  এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থানীয় জনসাধারণকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও উপজেলা প্রানীসম্পদ অফিসের সহযোগিতায় হাতি দুটিকে উদ্ধার কার্যক্রম চলমান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফজলে রাব্বি জানান, খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ, বন বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৪০

গুলিবিদ্ধ নারীসহ পাঁচ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ
মিয়ানমারের রাখাইন থেকে গুলিবিদ্ধ নারীসহ পাঁচ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছেন। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় একটি মাছ ধরার ছোট ডিঙি নৌকায় নাফ নদী পার হয়ে তারা কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে এসে পৌঁছান। জেটিঘাটের ঝুপড়ি দোকানদার মো. সেলিম জানান, মিয়ানমারের একটি ডিঙি নৌকা শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটে এসে পৌঁছায়। তাতে একজন গুলিবিদ্ধ নারীসহ পাঁচ জন রোহিঙ্গা রয়েছেন। নৌকায় ওই রোহিঙ্গা নারীর শরীরে স্যালাইন চলছিল। এ বিষয়ে শাহপরীর দ্বীপের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, বিকেলে একটি ডিঙি নৌকায় মিয়ানমার থেকে পাঁচ রোহিঙ্গা এসে আমাদের জেটি ঘাটে পৌঁছেন। শুনেছি, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। টেকনাফ থানার পরিদর্শক ওসমান গণি বলেন, মিয়ানমারের ওপার থেকে ছোট ডিঙি নৌকায় করে নাফ নদী পার হয়ে ৫ জন রোহিঙ্গা শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে  চলে এসেছে। এর মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ নারীও রয়েছেন শুনেছি। তবে এ বিষয়ে টেকনাফ বর্ডার গার্ড-বিজিবির পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী কয়েক মাস গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিতে থাকে। এর আগেও বিভিন্ন সময় বাংলাদেশে আসে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। সবমিলিয়ে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে। এসব রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে সরকার নানানভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৪৪

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকালো বিজিবি
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার সময় এক রোহিঙ্গা পরিবারের পাঁচ সদস্যকে আটকে দিয়েছে বিজিবি। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া পয়েন্টে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন। পরে তাদের পুশব্যাক করে বিজিবি। অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী মিয়ানমারের নাগরিকরা হলেন, মংডু জেলার ভৌগনী গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে মো. রহমত উল্লাহ (৩০), তার স্ত্রী সাজেদা (২৫), ছেলে হায়াতুন নূর (৫), জোনাইদ (৩) ও মেয়ে আমাতনুর (দেড় বছর)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ। তিনি বলেন, হোয়াইক্যং উলুবনিয়া পয়েন্ট দিয়ে এক রোহিঙ্গা পরিবার অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পরে বিজিবি তাদের পুশব্যাক করে। সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০১

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিশেষভাবে নজর রাখছে বাংলাদেশ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি শাখার মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন জানিয়েছেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘাতে নতুন করে যেন কোনো অনুপ্রবেশ না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে বাংলাদেশ?- প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে সংঘাতে বাংলাদেশ বা বাংলাদেশিরা যেন কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং নতুন কোনো অনুপ্রবেশ না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশটিতে আমাদের দুটি কূটনৈতিক মিশন রয়েছে। মিশন দুটির কর্মকর্তারা সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন। একই সঙ্গে প্রয়োজনে দেশটির সরকারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি এবং সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে মন্ত্রণালয় সরকারের সব কর্তৃপক্ষ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাসের সঙ্গে নিবিড় ও তড়িৎ যোগাযোগ রক্ষা করছে। সেই সঙ্গে আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৪৬

থমথমে রাখাইন / রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক বিজিবি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে নতুন করে আর কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত। তবে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সেখানে। দুদিনের তুমুল লড়াইয়ের পর আতঙ্কগ্রস্ত সাধারণ রোহিঙ্গারা রাজ্য ছাড়ার চেষ্টা করছে জীবন বাঁচাতে। ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গারা যাতে নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ না করে, সে জন্য সীমান্তে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বিজিবিও। গত শুক্রবার রাখাইনের বুচিডং ও ফুমালি এলাকায় জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। দুইপক্ষের লড়াইয়ে প্রাণ যায় অনেক রোহিঙ্গার, আহত হয় অনেকে। এতে আবারও নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে রাখাইনের রোহিঙ্গাদের মধ্যে। রাখাইন ও কক্সবাজারের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকালও রোহিঙ্গারা প্রাণ বাঁচাতে এদিক-সেদিক যাওয়ার চেষ্টা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, রাখাইনে চলমান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গারা বিচ্ছিন্নভাবে দু-এক দিন ধরে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে। তবে সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার হওয়ায় তারা পুনরায় তাদের আদিনিবাসে ফিরে গেছে। এ ছাড়াও রেডিও ফ্রি এশিয়ার এক প্রতিবেদন বলছে, আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর লড়াইয়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে রাখাইনের কয়েক হাজার অধিবাসী রাজ্য ছেড়ে চলে গেছেন। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র হতে পারে—এমন আশঙ্কায় লোকজন এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকরা নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা নিয়ে প্রশ্ন রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সামনে। জবাবে তিনি বলেন, ‘মানবতার কারণে রোহিঙ্গাদের তখন স্থান দিয়েছিলাম। যেসব রোহিঙ্গা আমাদের দেশে এসেছে, তাদের কারণে এখানে নিরাপত্তা ও পরিবেশগত সমস্যা তৈরি হয়েছে। শিবিরগুলো উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিস্তারের উর্বর ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো রোহিঙ্গা শিবির থেকে তাদের সদস্য নিয়োগ করার চেষ্টা করে।’ আর একজন রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি, সেটি আজকে হঠাৎ করে হয়নি। বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে। আমাদের সীমান্তরক্ষীরা অনেক আগে থেকেই সেখানে সতর্ক রয়েছেন। জানা গেছে, রাখাইনে দুই পক্ষের তুমুল লড়াইয়ের প্রেক্ষিতে বান্দরবান সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবির একটি অংশকে কক্সবাজার জেলার মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।  এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সীমান্তে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কোনো ধরনের সুযোগ নেই।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়