• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে রাবিতে অনশন
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে অনশন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত 'ফেন্ডস অব প্যালেস্টাইন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়'র ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। কর্মসূচিতে 'স্টপ জেনোসাইড ইন গাজা', 'ফ্রি প্যালেস্টাইন' লিখা সংবলিত ব্যানার হাতে অনশনে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান, আরবী বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ, অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোকাররম হোসাইন, তৌফিকুল ইসলাম, একই বিভাগের ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী গোলাম শাহরিয়ার মেহেদিসহ আরও অনেকে। কর্মসূচির বিষয়ে অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, গাজায় গণহত্যার ফলে সেখানে খাবারের সংকট এবং চিকিৎসার অভাবে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে এবং সেখানে যে দুর্বিক্ষ নেমে এসেছে তাতে আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা চাই, দ্রুত এই ইজরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হোক এবং খাবারের যে বাধ্যবাধকতা অর্থাৎ বাহির থেকে খাবার আসতে না দেওয়া, তা যেন বন্ধ হয়। বাংলাদেশে থেকে আমাদের তেমন কিছুই করার নেই তবুও আমরা মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতি ও ইজরায়েলের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি। অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, সারাবিশ্বের মানবতাবাদী মানুষেরা ইজরায়েলি জায়ান্টবাদি নীতি প্রত্যাখ্যান করছে, তবুও ফিলিস্তিনে ইজরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হচ্ছে না। প্রতি বছরই রোজা আসলে তাদের আক্রমণাত্বক ভঙ্গি বেড়ে যায়। আমরা এখান থেকে কিছুই করতে পারবোনা কিন্তু আমাদের হৃদয়ের তারনা থেকে মানবতাবিরোধী এই অপকর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান করছি। আন্তর্জাতিক কূট রাজনৈতিক কারণে কিছু রাষ্ট্র ইজরায়েলের পক্ষ নিলেও অধিকাংশ রাষ্ট্র ইজরায়েলের অপকর্মের নিন্দা জানাচ্ছে। ইজরায়েলের এই নিকৃষ্ট কর্মকাণ্ডকে সরাসরি সমর্থন করে এমন রাষ্ট্র কমই পাওয়া যাবে। যারা এই কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে তা কোনো রাষ্ট্রই হতে পারে না, যতই গণতন্ত্রের কথা বলুক না কেন প্রকৃতপক্ষে তারা মানবতা বিরধী। অর্থনীতি বিভাগের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মনিমুল হক বলেন, জায়ান্টবাদি নীতির নামে ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা চালানো হচ্ছে তা আমরা কখনোই সমর্থন করি না। আমরা এই জায়ান্টবাদিদের বিরুদ্ধে, তাদের এই নিকৃষ্ট অপকর্মের বিরুদ্ধে।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৪

স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে পুলিশের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অনশন
স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের তুষভাণ্ডার ইউনিয়নে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে পাঁচদিন ধরে এক কলেজছাত্রী অনশন করছেন। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘনেশ্যাম এলাকার পুলিশ সদস্য রাব্বি আল মামুনের বাড়িতে অনশন করছেন তিনি। পুলিশ সদস্য ওই এলাকার আল আমিনের ছেলে। সে ডিএমপির রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে এমটি শাখায় পিওএমএ পদে কর্মরত কনস্টেবল।  মঙ্গলবার বিকেলে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রো পলিটনের পল্টন থানায় কয়েকজন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে পুলিশ সদস্য রাব্বির সঙ্গে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে এক সপ্তাহ তারা পল্টন থানার পাশে একটি আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপন করে। পরে বাসা ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকবে এমন আশ্বাসে সে তার বাবা-মা ও তরুণীর বাবার সঙ্গে কথা বলে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি আসার পর দুই তিন মাস সে মুঠোফোনে কথা বলে সুসম্পর্ক বজায় রাখে এবং স্ত্রী হিসেবে ভরণপোষণ দেয়। এ সময় আবারও আশ্বাস দিয়ে বলে, কয়েক দিনের মধ্যে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসবে। কিন্তু ছয় মাস পর সে মোবাইল ফোন নম্বর পরিবর্তন করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে ওই তরুণী রাব্বির অফিসে গিয়ে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। তখন সে আবারও কৌশলে নানা আশ্বাস দিয়ে বুঝিয়ে রংপুরে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে এক বছর যেতে না যেতেই আবারও সব সম্পর্ক ছিন্ন করে। তখন ওই তরুণীর কাছে সংরক্ষিত ডকুমেন্ট পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থাপন করলে তারা তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে তোলার জন্য বলে। কিন্তু সে আজকাল করে ওই তরুণীকে বাড়িতে নিচ্ছে না এবং স্ত্রীর মর্যাদাও দিচ্ছে না। অবশেষে সে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে পুলিশ সদস্য রাব্বির বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়। তুষভাণ্ডার ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রাকিবুল ইসলাম পলাশ জানান, স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে গত রোববার বিকেলে রংপুরের একটি মেয়ে পুলিশ কনস্টেবল রাব্বির বাড়িতে আসলে বাড়ির লোকজন দরজা বন্ধ করে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ সময় মেয়েটি বাড়ির দরজার সামনে অবস্থান নেয়। তিনি আরও জানান, মেয়েটির নিরাপত্তার জন্য আমি পুলিশকে জানিয়ে ওই রাতে গ্রাম্য পুলিশ দিয়ে পাহারা রেখেছি। যাতে মেয়েটির কোনো ক্ষতি না হয়। এ বিষয়ে পুলিশ সদস্য রাব্বি আল মামুন ওরফে ইশতিয়াক বুলবুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই মেয়ের সঙ্গে ঢাকায় আমার যা হয়েছে সেগুলো সমাধান হয়েছে। আমি তার সঙ্গে যা করেছি তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাকে শাস্তিও দিয়েছেন। ওই মেয়েকে আমি বাড়িতে উঠতে দেব না বলে তিনি ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। কেউ যদি অভিযোগ করেন তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জহির ইমাম বলেন, বিষয়টি জেনেছি। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি দেখতে বলেছি।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:১৩

৮০ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন জাবি ছাত্রলীগের ২ নেতা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি মুছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কনের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বসার আশি ঘণ্টা পর উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক এনাম ও রিয়াজুল ইসলাম। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত নয়টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার পাদদেশে উপস্থিত হয়ে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে ডাবের পানি পান করার মধ্য দিয়ে অনশন ভাঙ্গেন ছাত্রলীগ নেতা এনাম ও রিয়াজুল। এসময় উপাচার্য আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। দাবিগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবমাননাকারীদের অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা, বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় আইনে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, আট দিন পার হলেও জড়িতদের ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা বিষয়ে তদন্ত করা। এ সময় অনশনে থাকা ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক এনাম বলেন, আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি বঙ্গবন্ধুকে অবমাননাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং একটা পরিষ্কার বার্তা যেন আসে বঙ্গবন্ধুকে অমান্য করে কেউ পার পাবে না। আমি একটা দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চাই। উপাচার্য আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট সভায় বিষয়টি উত্থাপন করবেন এবং তাদের শাস্তি নিশ্চিত করবেন। তবে যদি দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা দেখতে না পাই আমি আবার অনশনে বসবো। শুধু আমি না, ছাত্রলীগ সভাপতি নিজে বলেছেন, আরো কঠিন পদক্ষেপে যাবেন। অপরাধীদের শাস্তির বিষয়ে তিনি বলেন, আমি চাই তাদেরকে যেন অন্তত সাময়িক বহিষ্কার করে বা যেভাবেই হোক দৃশ্যমান একটা পদক্ষেপ যেন নেওয়া হয়। সেটাই আমার চাওয়া, বাকি সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেট নেবে। উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেটে সভায় বঙ্গবন্ধুর দেয়ালচিত্র মুছে দেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করে ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে অনশনকারীরা। যদিও সেটা তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার ওপর নির্ভর করছে। তবুও আশা করছি, আগামী সিন্ডিকেট সভায় এই বিষয়টি উত্থাপন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবো। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর একটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার পাদদেশে অবস্থান নিয়ে আমরন অনশন শুরু করেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম। পরে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে তার সাথে যোগ দেন শাখা ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম। প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের দেয়ালে পূর্বে আঁকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি মুছে একটি গ্রাফিতি অঙ্কন করে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের একাংশের নেতাকর্মীরা। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে এ গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। গ্রাফিতিতে একটি নারীর অবয়ব, ছয়টি মাথার খুলিসহ একটি পতাকা আঁকা হয়। এর পাশেই লিখা হয় ‘ধর্ষণ ও স্বৈরাচার থেকে আজাদী’। এছাড়া গ্রাফিতির নিচে ছাত্র ইউনিয়নের নাম লিখা হয়। নারীর অবয়বের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পূর্বের প্রতিকৃতি মুছে ফেলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করা হয়েছে দাবি করে অনশনে বসেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম। তবে এ ঘটনায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:০৭

জাবি ছাত্রলীগ নেতার আমরণ অনশন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি মুছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কনের প্রতিবাদে ও জড়িতদের শাস্তিসহ তিন দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের বেদিতে আমরণ অনশন শুরু করেন তিনি। অনশনরত ছাত্রলীগ নেতার নাম এনামুল হক এনাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের ৪৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। অনশনরত ছাত্রলীগ নেতার উত্থাপিত তিন দফা দাবিগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবমাননাকারীদের অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় আইনে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, ৮ দিন পার হলেও জড়িতদের ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা তদন্ত করতে হবে।  অনশনের বিষয়ে জানতে চাইলে এনাম বলেন, ঘটনার ৮ দিন হয়ে গেলেও এটার সঙ্গে জড়িতদের ওপর কোনো ব্যবস্থা নেয় নি প্রশাসন। আমাদের চাপাচাপির পর তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এখানে যে দল গ্রাফিতি এঁকেছে তারা অহংকারবোধ থেকে আবার বিবৃতিও দিয়েছে, তাদের পেইজ থেকে প্রচারও করেছে। তাহলে তদন্ত কমিটি কিসের জন্য। এখানে নাটক করা হচ্ছে, অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে।  ছাত্রলীগের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করে তিনি বলেন, যেখানে বঙ্গবন্ধু ১৮ কোটি বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা। সেখানে তার প্রতিকৃতি মুছে দেয়া হলো, ছাত্রলীগ কি এত দূর্বল নাকি? এটা তো তাদের সাংগঠনিক দায়িত্ব। এটা একটা প্রহসন। এখানে নাটক করা হচ্ছে। আমরা বারবার সভাপতি-সম্পাদককে আল্টিমেটাম দিলেও, তারা কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেয় নি। জানা যায়, কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনের দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি প্রতিকৃতি আঁকা ছিল। তবে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত নারী ধর্ষণের ঘটনার পর সে স্থানে ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিটি মুছে একটি গ্রাফিতি অঙ্কন করে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের নেতাকর্মীরা। এ অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন ৪৭ ব্যাচের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অমর্ত্য রায় ও ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী। গ্রাফিতি অঙ্কনের বিষয়টি স্বীকার করে ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন জোগাতে এবং নিপীড়কদের হুঁশিয়ার করতে নতুন গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। প্রায় তিন বছর পার হওয়ায় আগের ছবি অস্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া পাশের দেয়ালে শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বিশাল, স্পষ্ট এবং নান্দনিক চিত্রকর্ম দৃশ্যমান ছিল। চলমান ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনের প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে এ গ্রাফিতি আকাঁ হয়েছে। এ ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আন্তজার্তিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফীকে সভাপতি করে চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে রয়েছেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার শামীম আহমেদ ও চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এম এম ময়েজউদ্দীন। এছাড়া কমিটিতে সদস্য-সচিব হিসেবে রয়েছেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন-২) এ বি এম আজিজুর রহমান। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন, সে যে দাবিগুলো জানিয়েছে আমরাও প্রশাসনের কাছে একই দাবি জানিয়েছি। আমরাও অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার দাবি করেছি। প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে তারা ব্যবস্থা নিবেন। আমরা প্রশাসনের ব্যবস্থা দেখে পরবর্তী কর্মসূচিতে যাব।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩১

বিষের বোতল হাতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে বিষের বোতল হাতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছে কলেজ পড়ুয়া এক তরুণী।  মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার লালুয়া ইউপির মহল্লাপাড়া আবাসনে প্রেমিক রাব্বির বাসার সামনে অবস্থান নেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখানে ভিড় করেন স্থানীয়রা। পটুয়াখালী সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই তরুণী জানান, প্রায় ৩ বছর আগে একই কলেজের অনার্স পড়ুয়া কলাপাড়ার মহল্লাপাড়া গ্রামের রাব্বির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছর দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং একসঙ্গে বেশ কিছুদিন বসবাস করেন। পরে রাব্বি বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। কোনো উপায় না পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ওই তরুণী বিষের বোতল হাতে রাব্বির বাড়িতে অবস্থান নিলে তাকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করেন। এ ঘটনার পর থেকে রাব্বিকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও তার বাবা শাহিন প্যাদা বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ জানান, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ–খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।
১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৪৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়