• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অধ্যাপক জিয়া রহমানের মৃত্যুতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের শোক প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক জিয়া রহমানের আকস্মিক মৃত্যুতে ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন। পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক শোক প্রকাশ করে বলেন, অধ্যাপক জিয়া রহমান ছিলেন একজন ছাত্রবান্ধব শিক্ষক ও নিবেদিতপ্রাণ গবেষক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং অপরাধ বিশেষজ্ঞ হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ এই শিক্ষক ছিলেন উদার, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ। তিনি কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়ামের অন্যতম সদস্য ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন, হল প্রাধ্যক্ষ, শিক্ষক সমিতি, একাডেমিক কাউন্সিলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সহানুভূতি জানাই।  উল্লেখ্য, অধ্যাপক জিয়া রহমান শনিবার (২৩ মার্চ) ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৩

ঢাবির অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমানের মৃত্যুতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রতিমন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। অধ্যাপক জিয়া রহমান শনিবার (২৩ মার্চ) ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় তিন দশকের চাকরিজীবনে শিক্ষক সমিতি ও বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন জিয়া রহমান। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে তিনি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন নির্বাচিত হন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ১৫:৩৭

পিএসসির সদস্য হলেন রাবি অধ্যাপক প্রদীপ কুমার 
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।  মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার উপসচিব কানিজ ফাতেমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।   বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সংবিধানের ১৩৮(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে-কে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (বিপিএসসি)-এর সদস্য পদে সানুগ্রহ নিয়োগ প্রদান করলেন। সংবিধানের ১৩৯ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের দিন থেকে আগামী পাঁচ বছর বা তার বয়স ৬৫ (পঁয়ষট্টি) বছর পূর্ণ হওয়া-এর মধ্যে যেটি আগে ঘটে, সে সময় পর্যন্ত এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন। উল্লেখ্য, ড. পাণ্ডে রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ২০০০ সালে একই বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন। ২০১৮ সালে তিনি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। ২০০৬ সালে তিনি নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিডিয়া স্টাডিজ কোর্স ও ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। দুই যুগের অধ্যবসায়কালে তিনি দুই শতাধিক স্নাতক, ৩৭ জন মাস্টার্স, ৩ জন পিএইচডি এবং ১ জন শিক্ষার্থীর এমফিল তত্ত্বাবধানে করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার ২৬টি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি), ইউনিসেফ বাংলাদেশ, সোশ্যাল মার্কেটিং কমিউনিকেশন (এসএমসি), দ্যা এশিয়া ফান্ডেশন, ইউনাইটেড ন্যাশনস ডেভেলপমেন্ট প্লাস্ট (ইউএনডিপি), আর্জেল নাইনটিন, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এবং ট্রান্সপারেন্স ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (আইএনডিপি) সহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে প্রযুক্তি উন্নয়ন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা গবেষণা পরামর্শক এবং ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে কাজ করেছেন।   
১৯ মার্চ ২০২৪, ২১:০৯

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক আবু তাহের
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও চবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।   মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে আগামী চার বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। আদেশে বলা হয়েছে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এর অনুমোদনক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১২ (২) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ড. মো আবু তাহেরকে ভাইস-চ্যান্সেলর পদে সাময়িকভাবে শর্ত সাপেক্ষে দায়িত্ব প্রদান করা হলো।  অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের জন্মস্থান চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়। সেখানকার কাঞ্চনা হাইস্কুল মাধ্যমিকের পর চট্টগ্রাম কলেজে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ কোরিয়ার ইনহা, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে উচ্চতর শিক্ষা এবং গবেষণা সম্পন্ন করেন তিনি। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি ১৯৮৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কমার্স কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০০৪ সালে ওই বিভাগে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। দেশ-বিদেশে তার শতাধিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার রচিত ব্যবসায় প্রশাসনবিষয়ক ১৫টি গ্রন্থ অনার্স এবং মাস্টার্স পর্যায়ে পাঠ্য হিসেবে পঠিত হচ্ছে।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৪

সহযোগী অধ্যাপক পদে নোবিপ্রবির ৯ শিক্ষকের পদোন্নতি
সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষক। এ ছাড়াও দীর্ঘদিন থেকে সেশনজটে ভোগা সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ২ জন প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর আরটিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক ফয়সাল হাসান ও ড. মো. তসলিম মাহমুদ, পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক মো. সোহেল রানা, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ড. প্রতিমা সরকার। বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ফাতেমাতুজ জহুরা ইভামনি, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড.মোহাম্মদ আব্দুল মমিন সিদ্দিকী, ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন সায়েন্সেসের শিক্ষক উম্মে হাবিবা, আইন বিভাগের শিক্ষক বাদশা মিয়া, এপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড ক্যামিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড. সুকান্ত ভৌমিক। এ ছাড়াও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ পেয়েছেন মহিবুল ইসলাম ও মাহবুবা ইসলাম শান্তা নামে দুই জন শিক্ষক।
১২ মার্চ ২০২৪, ২০:২৮

হাবিপ্রবি গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের নেতৃত্বে অধ্যাপক ড. ফাহিমা-শ্রীপতি
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষকদের অন্যতম সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানম এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন উদ্ভিদ শরীরতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার। রোববার (১০ মার্চ) উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এ সংগঠনটির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০২৪-২০২৬ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। নির্বাচন পরিচালনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মেহেদী ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন ও রুবাইয়্যাত আল ফেরদৌস নোমান। মোট ১৬২ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ১৫৮টি এবং অফলাইন ও অনলাইন উভয় মাধ্যমেই ভোট প্রদানের সুযোগ ছিল বলে জানায় নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মেহেদী ইসলাম বলেন, বহুল প্রতীক্ষিত এ নির্বাচনে আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এটাই আমাদের সব থেকে বড় অর্জন। আমরা নির্বাচনকে জয় পরাজয় বলবো না। এটা হবে আমাদের নেতৃবৃন্দের কমিটমেন্ট। আমি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নয় একজন সাধারণ শিক্ষক হিসেবে সকল প্রার্থীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি যেন তারা সঠিকভাবে পালন করে এটাই প্রত্যাশা করি। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রফেসর ড. মেহেদী ইসলাম। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানম, সহসভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডেইরি অ্যান্ড পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. আফরোজা খাতুন, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী ও অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের অধ্যাপক ড. উম্মে সালমা। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন উদ্ভিদ শরীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজউল ইসলাম ও জেনেটিক্স অ্যান্ড অ্যানিমেল ব্রিডিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রাশেদুল ইসলাম। নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী আমাদের শিক্ষকদের এই সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সাফল্যের লক্ষ্যে সকলের সহযোগিতায় কাজ করার চেষ্টা করবো। শিক্ষকদের মূল্যায়ন করে সকলকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো। নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার বলেন, আমাদের সংগঠন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষক সংগঠন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষনা এগিয়ে নেওয়া সহ শিক্ষকগনের যৌক্তিক দাবি পূরনের লক্ষ্যে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে আসছে। সামনেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।  কমিটির অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হলেন কোষাধাক্ষ পদে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. খালেদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ইলেকট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহাবুব হোসেন, প্রচার সম্পাদক পদে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আব্দুল মোমিন সেখ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সোহরাব হোসেন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন দুরুদ, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ওবায়দুল্লাহ সাদ্দাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে উদ্ভিদতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাসানুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক পদে ফসল শরীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম। এছাড়াও সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজার রহমান, অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ, অধ্যাপক ড. তারিকুল ইসলাম, ডা. সাব্বির হোসেন সবুজ, মীর তুহিন বিল্লাহ, ডা. নাজমী আরা রুমি, কে এইচ নাজমুল আহসান, মো. বেলাল হোসেন এবং ইয়াসমিন আরা। দশ নম্বর সদস্য পদে মো. রাশিদুল হক ও সৌরভ পাল চৌধুরী সমান সংখ্যক ভোট পাওয়ায় এখনও অমীমাংসিত রয়েছে। উল্লেখ্য যে, কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ১০ টি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন এবং অন্যান্য পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সভাপতি ও সহ-সভাপতি মোট ৪টি পদে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নি।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৬

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. বদরুজ্জামান ভূঁইয়াকে ববির উপাচার্য পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সোমবার (৪ মার্চ) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরুপা তালুকদার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির রুটিন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর এর অনুমোদনক্রমে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬-এর ১০ (১) ধারা অনুসারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়াকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদ হতে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে তার নিয়োগের যোগদানের তারিখ থেকে ৪ (চার) বছর দায়িত্ব পালন করবেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উপাচার্য পদে তিনি বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতাদি প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিলে ট্রেজারার হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। ইতোপূর্বে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।  এ ছাড়াও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া একজন জনপ্রিয় কলামিস্ট ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত।
০৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:২০

ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি : ফেনীতে সহকারী অধ্যাপক বহিষ্কার
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় ফেনীতে এক সহকারী অধ্যাপককে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, ছাগলনাইয়া উপজেলার আবদুল হক চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ মিজানুল হক নিজের ফেসবুক আইডিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘আমি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে মানবধর্মে যোগ দিবো’ এই শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দেন। ৫০ লাইনের ওই স্ট্যাটাসের শেষভাগে তিনি লিখেছিলেন, ‘ইসলাম ধর্ম একটি সন্ত্রাসী ধর্ম’ । অপর লাইনে লেখেন, ‘ধর্মের ভুল ধরলে শুধুমাত্র এদেশে চাপাতি নাও, দা নাও, ছুরি নাও, মানুষ হত্যা কর’। শেষ লাইনে তিনি লিখেছেন, ‘সকলে আদম-হাওয়া থেকে এসেছে, তবুও কেন এত বিভেদ’।  এ পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ফুঁসে ওঠে ওই কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত শিক্ষক কলেজে আসছেন এ খবর শুনে ওই কলেজের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ছাগলনাইয়া-বক্সমাহমুদ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।  এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণের শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে তার শাস্তির দাবি জানান তারা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী কলেজ শিক্ষার্থীরা জানান, ইসলাম ধর্ম অবমাননাকারী শিক্ষককে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেবেন না তারা। পরবর্তীতে কলেজের অধ্যক্ষ বিক্ষোভকারীদের কাছে গিয়ে কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত ওই  শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এতে বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুল হক বলেন, মুঠোফোনটি বাসায় রেখে গেলে কে বা কারা আমার আইডি থেকে আপত্তিকর একটি স্ট্যাটাস দিয়ে দেয়। আমার নজরে পড়লে আমি স্ট্যাটাসটি ডিলিট করে দিই। কলেজের অধ্যক্ষ ড. মহাম্মাদ মহাতাব উদ্দিন প্রামাণিক জানান, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তের আলোকে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুল হককে কলেজে অবাঞ্ছিত, কলেজ আঙিনায় প্রবেশ নিষেধসহ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলেজের সভাপতি ও ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, অভিযোগ জানার পর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় / ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে অধ্যাপক বহিষ্কার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল মতিনকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের একটি বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেটের তিন সদস্য অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দীন খান ও মোহাম্মদ আলী। উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে বিকেল চারটায় এই সভা শুরু হয়ে রাত পৌনে দশটায় শেষ হয়। সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, দু’টি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিন্ডিকেট। আমরা বিকেল ৪টা থেকে রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত দুইটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করেছি। এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহাবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করেন ওই বিভাগের এক ছাত্রী। এরপর অভিযুক্ত শিক্ষককে সকল ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি পরদিন যৌন নিপীড়ন সেলে পাঠানো হয়। একই দিন তদন্তও শুরু করে পাঁচ সদস্যের যৌন নিপীড়ন সেল। পরে নিপীড়ন সেলের করা সুপারিশ অধিকতর যাচাই করতে আরও একটি কমিটি গঠন করে হয়। সর্বশেষ শুক্রবার বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০০

ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন এক নারী শিক্ষার্থী। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই শিক্ষার্থী। এতে ওই শিক্ষার্থী অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিভিন্ন হয়রানির বিষয়টি তুলে ধরেন। লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষক নাদির জুনাইদ তাকে প্রায়ই অরুচিকর কথাবার্তা বলতেন। রাতে কল করে নানা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথাও বলতেন। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রস্তাবও দিতেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, শিক্ষক নাদির জুনাইদ তাকে প্রায়ই বাসায় ডাকতেন। তিনি বিষয়টি নানান চতুরতায় এড়িয়ে যান। তার হয়রানিতে ওই শিক্ষার্থী একপর্যায়ে মানসিক ট্রমায় ভুগতে থাকেন। রাতে ঘুমাতে পারতেন না তিনি। এ জন্য ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রায়ই ঘুমের ওষুধ সেবন করতেন। গত বছরের শুরুতে তিনি মানসিক কাউন্সিলিংও করেন। অধ্যাপক নাদির জুনাইদের হয়রানি থেকে বাঁচতে তৃতীয় বর্ষে থাকাকালে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, মাস্টার্স না করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়বেন বলেও অভিযোগপত্রে ‍উল্লেখ করেন ওই শিক্ষার্থী।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়