• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
টাকার হিসাব জানার অধিকার জনগণের আছে: ব্যারিস্টার সুমন
জনপ্রতিনিধিরা যত টাকা বরাদ্দ পান, তার হিসাব জানার অধিকার জনগণের আছে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশের প্রীতি ম্যাচে অংশ নেওয়ার আগে এ কথা বলেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের এ সংসদ সদস্য। তিনি বলেছেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি যে টাকা বরাদ্দ পাই, তা আমার বাবার টাকা না। ফলে জনগণের জানার অধিকার আছে। তাই জনগণকে তাদের টাকার হিসাব জানিয়ে নিজের দায়িত্ব পালন করতে চাই।   ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমি এমপি হওয়ার আগে ৪৯টি সেতু নির্মাণ করেছি। আর এমপি হওয়ার পর মাত্র আড়াই মাসে ১৫টি সেতু বানানোর কাজ শেষ করেছি। এর আগে আপনারা জানতেন না একজন এমপি কত টাকা বেতন পায়। আমি সেটা সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিয়ে বলেছি এক লাখ ৭২ হাজার টাকা বেতন পেয়েছি।’  তিনি বলেন, ‘গত আড়াই মাসে আমি ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছি। টিআর-কাবিখায় দুই কোটি এবং মসজিদ-মাদরাসার জন্য আরও দুই কোটি টাকার বরাদ্দ পেয়েছি। আমার ৪৪ বছর বয়সে শুনি নাই কোনো এমপি তার এলাকায় কত টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। যে যাই বলুক না কেন, জনগণের টাকার হিসাব আমি জনগণকে জানাতে চাই।’ একজন এমপি চাইলে তার এলাকায় অনেক উন্নয়ন করতে পারেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মাত্র আড়াই মাসে আমি আমার এলাকাকে যে স্থানে নিয়ে এসেছি, চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আগামী একবছর পর আমার এলাকায় এলে আপনারা এলাকার প্রেমে পড়ে যাবেন। আমি হয়তো অনেকের মনে জায়গা করে নিতে পারবো না। তবে আমার কাজকর্ম কোনোভাবেই ঠেকায় রাখতে পারবেন না।’ সুমন বলেন, ‘যার চুরি করার ইচ্ছা সে-ই তথ্য লুকায়। কিন্তু আমি সব প্রকাশ করি।’ এরপর ফুটবল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই ৩৯ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে শুধু ফুটবলকে ফিরিয়ে আনা ও যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে আজ বালিয়াকান্দিতে এসেছি। ফুটবলের সুদিন ফিরে না এলে বর্তমান প্রজন্মকে রাজনীতি দিয়ে বাঁচাতে পারবেন না। দেশে শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন করলে হবে না, এ জাতি ও মানুষেরও উন্নয়ন করতে হবে। অন্যথায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়া যাবে না। আমি আমার যোগ্যতা অনুযায়ী সারাদেশের দায়িত্ব ফুটবলের মাধ্যমে পালন করতে চাই।’ ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি ও মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশের মধ্যকার প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি দেখতে মাঠে জড়ো হন হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী। এসময় নীলফামারী-৩ আসনের এমপি সাদ্দাম হোসেন পাভেল, বহরপুর বিএনবিএস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। খেলায় ২-১ গোলে পরাজিত হয় ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি।  
২১ মিনিট আগে

মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই : ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সারাদেশে একটা ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে, এখানে মানুষের অধিকার বলতে কিছু নেই, গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই। এখানে সংগ্রাম করে চলেছি। আমরা বিশ্বাস করি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে কামিয়াব হবো। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া সালেহীয়া দারুসসুন্নাত ফাজিল মাদরাসা-সংলগ্ন কবরস্থানে বিএনপির সদ্য প্রয়াত জেলা সভাপতির কবর জিয়ারত শেষে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, পৃথিবীতে কোনো স্বৈরাচারী শক্তি বেশিদিন টিকতে পারেনি, হিটলার ও নমরুদ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। মানুষের পক্ষে না থাকলে বা তার কল্যাণে কাজ না করলে কখনোই টিকে থাকা যায় না।  নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রশাসন আপনাদের নির্যাতন করছে, আপনারা এখনও বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। বিভিন্ন মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হয়, তারপরও আপনারা মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছেন। মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকাই সবচেয়ে বড় বিজয়। কখনও পরাজিত মনোভাব নেবেন না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশকে দলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। যেখানে নিজেরাই অংশগ্রহণ করেছে, বিরোধী দলের কেউ অংশগ্রহণ করেনি। আওয়ামী লীগ অতিতেও যখন ক্ষমতায় ছিল তখন একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল। এখনও একই কায়দায় একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই এখন বড় বিষয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস প্রমুখ।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪০

মাংস বিক্রি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন খলিল
সম্প্রতি নানা আলোচনা-সমালোচনায় উঠে এসেছে মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমানের নাম। কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসেন তিনি। রোজার প্রথম দিন থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দেন তিনি। এতে তার দোকান ‘খলিল গোস্ত বিতানে’ ক্রেতাদের ঢল নামে। তাকে নিয়ে বিতর্কও অনেক। কেউ বলছেন, রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিতে দাম কমিয়ে আলোচনায় থাকতে চেয়েছেন খলিল। আবার সাম্প্রতিক সময়ে তার বিরুদ্ধে নিম্নমানের মাংস দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। ক্ষুব্ধ ক্রেতার সঙ্গে মারামারির ঘটনাও সামনে এসেছে। এবার মাংস বিক্রি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন খলিল। ‘যাদের জন্য এতকিছু করেছেন তারাই আজ পাশে নেই’ জানিয়ে আগামী ২০ রমজানের পর থেকে আর মাংস ব্যবসা করবেন না বলে জাতীয় একটি দৈনিককে জানিয়েছেন তিনি। মাংস ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বলেন, যে মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য এতকিছু করলাম, তারা এখন কেউ আমার পাশে নেই। বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম এতদিন আমার কাছে কাছে থাকলেও এখন আর নেই। সরকারও আর আমার সঙ্গে নেই। ফলে আমি আর মাংস ব্যবসাই করবো না। কথা দিচ্ছি, আগামী ২০ রমজানের পর আর খলিল মাংস বিতান থাকবে না। জীবনেও আর মাংস ব্যবসা করবো না। রোজার প্রথম দিন থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫৯৫ টাকায় বিক্রির ঘোষণা দেন তিনি। তবে ১০ রোজা না যেতেই প্রতি কেজি মাংসের দাম ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এই মাংস ব্যবসায়ী। তবে এবার সেখান থেকে সরে এসে আবারও ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রির ঘোষণা দেন খলিল। রোববার (২৪ মার্চ) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, গরুর মাংস বিক্রেতা খলিল, নয়ন ও উজ্জ্বল এতদিন লোকসান দিয়ে গরুর মাংস বিক্রি করেছেন। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে মাংসের দামও বেড়ে গেছে। তাদের পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে তারা কি করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১০:০৫

ম্যাজিস্ট্রেট দেখে ৫০০ টাকার তরমুজ ২০০ টাকায় বিক্রি 
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ভোক্তা অধিকার ম্যাজিস্ট্রেট দেখে ৫০০ টাকার তরমুজ ২০০ টাকায় বিক্রি করে দিলেন দোকানিরা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে কালিয়াকৈরে বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সরংক্ষণ গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম। এ সময় বাজারের নাইম নামে এক তরমুজ ব্যবসায়ীকে ১ হাজার, কাব্য টেলিকম প্রতাপকে অবৈধ মোবাইল সেট রাখার দায়ে ১ হাজার করে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। অপরদিকে উন্মুক্তভাবে পিয়াজু বিক্রি করার দায়ে পিয়াজু জব্দ করা হয়। পরে এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেট আসার কথা শুনে আশপাশের দোকানগুলো দ্রুত বন্ধ করে পালিয়ে যায়।  অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুর ভোক্তা অধিকার অফিস কম্পিউটার অপারেটর প্রদীপ্ত কুমার সরকারসহ থানা পুলিশ। অভিযান শেষে শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই অভিযান সবসময় অব্যাহত থাকবে।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:১২

অ্যাপ কর্মীদের অধিকার রক্ষায় সম্মত ইইউ
উবার, ডেলিভারুর মতো বিভিন্ন অ্যাপ-এ কাজ করা কর্মীদের মধ্যে কারা চাকরিজীবীদের মতো অধিকার অর্জন করবেন, তা ঠিক করতে প্রস্তাবিত আইনে সোমবার সম্মত হয়েছেন ইইউ সদস্য দেশগুলোর শ্রম ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রীরা৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে প্রায় দুই কোটি ৮০ লাখের মতো কর্মী গিগ অর্থনীতিতে কাজ করেন৷ বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং অ্যাপ, ফুড ডেলিভারি অ্যাপ, ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো গিগ অর্থনীতির অংশ৷ দ্য প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্ক ডাইরেক্টিভ-এ বলা হয়েছে, যে প্ল্যাটফর্ম তার কর্মীদের কাজের পারফরম্যান্সের উপর নজর রাখে এবং কর্মীদের কত টাকা দেওয়া হচ্ছে এবং তারা কত ঘণ্টা কাজ করছেন, সেইসব বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে, সেই প্ল্যাটফর্মের কর্মীদের কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে চাকরিজীবী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২১ সালে অ্যাপ কর্মীদের অধিকার রক্ষায় আইন তৈরি শুরু করে৷ গত ডিসেম্বরে তারা একটি খসড়ায় সম্মত হয়৷ এরপর সেটির অনুমোদন প্রক্রিয়া শুরু হয়৷ কিন্তু ফ্রান্সের নেতৃত্বে কয়েকটি দেশ এটি আটকে দেয়৷ সে কারণে ইইউ আলোচকেরা আবার আলোচনায় বসে আইনে কিছু পরিবর্তন আনেন৷ সমালোচকেরা বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে প্রস্তাবিত আইনটি অনেক দুর্বল হয়ে গেছে৷ সোমবার ব্রাসেলসে ইইউ মন্ত্রীদের বৈঠকে আইন নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ জার্মানি এতে সমর্থন দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে৷ আর ফ্রান্স বিরোধিতা করেছে৷ তবে যে দেশগুলো এটি সমর্থন করেছে সেসব দেশে ইইউর মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বেশি বাস করেন৷ তাই নিয়ম অনুযায়ী, আইনটি এখন পাসের জন্য ইইউ সংসদে পাঠানো হবে৷ সেখানে এটি সহজে পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ আইনটি পাস হলে সদস্যরাষ্ট্রগুলো, একজন কর্মীকে কী বিবেচনায় চাকরিজীবী বলে গণ্য করা হবে, তার জন্য নিজেদের মতো করে নির্ণায়ক ঠিক করবে৷ সোমবার মন্ত্রীরা আইনে সম্মত হওয়ার পর এক্স-এ বিষয়টি শেয়ার করেছে ইইউর বর্তমান সভাপতি দেশ বেলজিয়াম৷ এতে বলা হয়, আপনাদের ঘরে যারা খাবার ডেলিভারি করেন তাদের জন্য উন্নততর কর্ম পরিবেশ৷ ইউরোপীয় কাউন্সিল মনে করছে, আইনটি ইইউতে গিগ অর্থনীতিতে কাজ করা কর্মীদের ন্যূনতম সুরক্ষা নিশ্চিত করবে৷
১২ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৯

টাকা ফিরে পেতে অপেক্ষা বাড়ছে ইভ্যালি গ্রাহকদের
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে লগ্নিকৃত টাকা ফিরে পেতে অপেক্ষা বাড়ছে গ্রাহকদের। কারণ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে প্রতিষ্ঠানটির টাকা ফেরত কার্যক্রম।   চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্তাধিকারী মোঃ রাসেলের টাকা ফেরত কার্যক্রম শুরুর ঘোষণায় আশা ফিরে পেয়েছিলেন হাজারো গ্রাহক। প্রথম দফায় ১৫০ জন গ্রাহক নিজেদের টাকা ফেরতও পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দ্বিতীয় দফায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচাক এ. এইচ. এম সফিকুজ্জামানের উপস্থিতে ফেরত দেওয়া হয়েছে ১০০ জন গ্রাহকের পাওনা। এরপরই আসে দুঃসংবাদটি।    ভোক্তা অধিকারের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে আয়োজিত পাওনা টাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মহাপরিচাক জানিয়ে দেন, আজকেই হয়তো শেষবারের মতো ইভ্যালির অভিযোগ নিষ্পত্তি কিংবা টাকা ফেরত দেয়ার কার্যক্রম হচ্ছে। ইভ্যালির সব মামলা নিষ্পত্তি না করা পর্যন্ত হয়তো গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার এই কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলও। ভোক্তা অধিকারের ডিজি বলেন, গণমাধ্যমের নেতিবাচক খবর প্রকাশের জন্য রাসেলকে অনুষ্ঠানে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। যাদের অভিযোগ ২০ হাজার টাকার ভেতরে ধারাবাহিকভাবে তেমন ১০০ জনের টাকা আজ ফেরত দিচ্ছে ইভ্যালি।   এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরত কার্যক্রম শুরুর সময় মোহাম্মদ রাসেল জানিয়েছিলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে যারা অভিযোগ করেছেন, তারাও টাকা ফেরত পাবেন এবং যারা করেনি তারাও টাকা পাবে। কিন্তু ইভ্যালি থেকে অর্ডার করে পণ্য না পেয়ে যারা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন এমন গ্রাহকরাই দ্বিতীয়বারেরর মতো টাকা ফেরত পেয়েছেন মঙ্গলবার। অধিদপ্তরে প্রায় ৭ হাজার ৫০০টি অভিযোগ রয়েছে এখনও।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫১

‘আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাব’
আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শনিবার (২ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আমীর খসরু বলেন, বিএনপির আন্দোলন গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। এটা কোনো দলের বা ব্যক্তির একক আন্দোলন নয়। এ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাব। আন্দোলনের দাবি ছিল এ ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচনে যাবে না। সে আহ্বানে বিএনপিসহ বাংলাদেশের সমস্ত রাজনীতিবিদ সাড়া দিয়েছে। শুধু গুটি কয়েক ভিক্ষুক রাজনীতিবিদ ছাড়া। প্রায়ই সমস্ত রাজনৈতিক শক্তি একপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, পেশাজীবী ও সাংবাদিক ভাইরাও এক পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ, দেশের জাতীয়তাবাদের পক্ষের শক্তি দেশপ্রেমী নাগরিকগণ, সবার অংশগ্রহণে এক বিশাল আন্দোলনের সূচনা হয়েছে। এ আন্দোলন অব্যাহত আছে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে। জনগণের ভোট কেড়ে নেওয়া সন্ত্রাসী এ রেজিমের বিরুদ্ধে। কিছু সুবিধাবাদী লোক যারা জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। জনগণ অধিকার ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় আছে।   তিনি আরও বলেন, আমরা বলেছিলাম তথাকথিত নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ অংশগ্রহণ করবে না। বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এটা কোনো নির্বাচন নয়। নির্বাচনে তো দুই পক্ষ থাকবে। যেখানে দুই পক্ষ থাকবে না সেটা নির্বাচন হতে পারে না। আমীর খসরু বলেন, যারা ভোট দিতে গেছে, তাদের স্থানীয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভয় দেখিয়েছে যাওয়ার জন্য। সরকারি কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা ছিনিয়ে নেওয়ার ভয় দেখিয়েছে। সুবিধাবঞ্চিতদের কাছ থেকে সরকারি কার্ড পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এতকিছুর পরও বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনে যায়নি। এটা হচ্ছে আন্দোলনের সুফল। অনেকে বলছে, ক্ষমতা নিয়ে নিয়েছে। ক্ষমতা তো অনেকভাবে নেওয়া যায়। আমরা দেখেছি, বাংলাদেশসহ অনেক দেশে সামরিক বাহিনী ক্যু করে ক্ষমতা নিয়ে নেয়। আওয়ামী লীগ সে ক্যু করেছে। জনগণের তো এখানে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ক্ষমতা জোর করে দখল করা আর ক্ষমতায় যাওয়ার মধ্যে বিশাল ব্যবধান আছে। তিনি বলেন, আমাদেরকে জেলে নিয়ে সরকার মনে করেছিল বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে দেবে। কিন্তু সেটা তারা করতে পারেনি। তাদের মনোবল শক্ত আছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনোবল আগের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। এটাই রাজনীতি, রাজনীতির জয়। এটাই বিএনপির সফলতা।  তিনি আরও বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি অনেক শক্তিশালী অবস্থানে আছে। কর্মীরা কর্মসূচির অপেক্ষায় আছে। সামনে রমজান মাস আসছে। আমরা রোজা রাখব, নামাজ পড়ব। সঙ্গে সঙ্গে বিএনপির সব কর্মসূচিকে সফলভাবে পালন করতে হবে।   চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক ম্যা মা চিং, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম।
০২ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৮

‘আ.লীগের নেতৃত্বেই মানুষ ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পায়’
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের জনগণ ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পেয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শহিদ ছাত্রনেতা সেলিম ও দেলোয়ারের শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া এক বানীতে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন-সংগ্রামে সেলিম ও দেলোয়ারসহ যারা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, তাদের রক্তের ঋণ কখনও শোধ হবার নয়।  তিনি বলেন, দীর্ঘ সংগ্রাম ও অনেক তাজা প্রাণের বিনিময়ে অবশেষে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। আবারও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের জনগণ ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পায়। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের জীবনকে বিপন্ন করে বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা করেছেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর শূন্য হাতে তিনি একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন, যখন ব্যাংকে কোনো রিজার্ভ মানি ছিল না এবং কোনো কারেন্সি নোট ছিল না।  তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক-বাহিনী ২৭৮টি রেল ব্রিজ এবং ২৭০টি সড়ক সেতু ধ্বংস করে, দু’টি সমুদ্র বন্দরে মাইন পুঁতে এবং রাস্তা-ঘাটসহ সমস্ত স্থাপনা ধ্বংস করে রাখে। বঙ্গন্ধুর সাড়ে তিন বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশের অর্থনীতিতে রেকর্ড ৯ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় এবং জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি প্রদান করে। সরকারপ্রধান বলেন, জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গ্লানিকর যে ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট পাকিস্তানিদের এদেশীয় দোসরদের হাতে আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে তার পরিবারের প্রায় সকল সদস্যসহ প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। যার ফলে বাঙালিরা তাদের আত্মমর্যাদা হারিয়েছিল, হারিয়েছিল আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং সেই সঙ্গে তাদের সোনালী ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের সকল সম্ভাবনা।  তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর স্বৈরশাসকেরা সঙ্গিনের খোঁচায় এদেশের মানুষের ভাগ্য লিখতে শুরু করেছিল। আমরা দু’বোন বিদেশে থাকার কারণে আমাদেরকে তারা হত্যা করতে পারেনি। দীর্ঘ ছয় বছর আমাদের বিদেশের মাটিতে রিফিউজি হিসেবে অবস্থান করতে হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে এসেই এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য লড়াই-সংগ্রাম শুরু করি। দেশে স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেই। বাঙালিরা বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, স্বাধিকার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গ করেছে, ৩০ লাখ শহিদের রক্ত ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কত তাঁজা প্রাণ ঝরে পড়েছে হিসেব নেই। তিনি বলেন, ১৯৮৪ সালের এই দিনেও ছাত্রলীগ নেতা এইচ. এম. ইব্রাহিম সেলিম এবং কাজী দেলোয়ার হোসেনের রক্তে ঢাকার রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল। আমি তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেদিন শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের স্বৈরাচারবিরোধী মিছিলে অসংখ্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সংহতি প্রকাশ করে যোগ দিয়েছিলেন। মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিলটি শুরু হয়েছিল, যার সামনে এবং পিছনে ছিল পুলিশের ট্রাক। মিছিলটি যখন ফুলবাড়িয়ার নিকট পৌঁছায়, ঠিক তখনি স্বৈরাচার সরকারের নির্দেশে মিছিলের ওপর অতর্কিতে পিছন থেকে ট্রাক চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থলেই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শাহাদৎবরণ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন আবাসিক ছাত্র পটুয়াখালি জেলার বাউফলের সেলিম এবং পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়ার দেলোয়ার। এ ছাড়া ক্ষত-বিক্ষত ও আহত অবস্থায় পড়েছিলেন অসংখ্য ছাত্র এবং আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা। তাদের এ মহান আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের দুর্বার আন্দোলনকে আরও বেগবান করেছিল। সূত্র : বাসস
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪১

’৭৫ পরবর্তী কোনো সরকার সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কথা বলেনি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ২১ বছর সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪’র সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিশাল সমুদ্রসীমায় আমাদের কোনো অধিকার ছিল না। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যা করে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, ২১টা বছর তারা সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে কেউ কোনো কথা বলেনি।  তিনি বলেন, জাতির পিতা ভারতের সঙ্গে আমাদের স্থল সীমানার চুক্তি করে গিয়েছিলেন। সংবিধান সংশোধন করে চুক্তি বাস্তবায়ন করেন। তবে পরবর্তীতে সেটা কার্যকর করা হয়নি। এর ২১ বছর পর আমরা সরকারে এসে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ শুরু করি।  সরকারপ্রধান বলেন, সে সময় কাজগুলো খুব গোপনীয়তার সঙ্গে শুরু করতে হয়েছিল। আমাদের সমুদ্রসীমা যাতে নিশ্চিত হয় সেজন্য জাতিসংঘে আমরা সই করে আসি। তিনি বলেন, সমুদ্রসীমার সম্পদ আহরণ করে দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগানোর ওপর জোর দিয়েছে সরকার। আমাদের তরুণ সমাজ অত্যন্ত মেধাবী। তাদের পথ দেখালেই বীরদর্পে সামনে এগিয়ে যাবে। আমরা সেটাই চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশ থমকে গিয়েছিল। আমরা আবার সেখান থেকে শুরু করে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। আমরা চাই, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ। আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্ঞানসম্পন্ন নাগরিক গড়ে তুলতে চাই। আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াবো। মর্যাদা নিয়ে চলবো। সব পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নিয়ে রেখেছি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়োপযোগী করে আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, খনিজ সম্পদসহ সব আমাদের উত্তোলন করতে হবে। কাজে লাগাতে হবে। এজন্য যথাযথ বিনিয়োগও প্রয়োজন। এজন্য আলাপ আলোচনা করছি। আন্তর্জাতিক টেন্ডারও দিয়েছি। আমরা বিশাল সমুদ্রসীমার যথাযথ ব্যবহার করে দেশের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই। সরকারপ্রধান বলেন, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবো না। তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সামর্থ্য থাকতে হবে। ফোর্সেস গোল তৈরি করেছি। সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। এসময় তিনি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা আসুন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। আমাদের ভৌগলিক অবস্থানের কারণেই বিনিয়োগ করে আপনারাও লাভবান হবেন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪১

ভেজাল ওষুধ বিক্রির চেয়ে মাদকের কারবার ভালো : ভোক্তা অধিকার
মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ভয়ঙ্কর খেলায় মেতেছে দেশের একটি অসাধু চক্র। ভেজাল পণ্যের রমরমা কারবার থেকে বাদ যাচ্ছে না স্বাস্থ্য সেবার উপকরণও। নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ, ভুয়া চিকিৎসা সরঞ্জাম বা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে ভরে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন ফার্মেসি ও দোকানে। এমন সব নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রিকে মানুষ হত্যার মতো অপরাধ উল্লেখ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, ভেজাল ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিক্রির চেয়ে মাদকের কারবার ভালো। একইসঙ্গে হুশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেছেন, যারা নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রি করছেন, তাদের লাইসেন্স অচিরেই বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করা হবে। এদেশে ডায়াবেটিস রোগী বাড়ছেই। আক্রান্ত রোগীদের জন্য সবচেয়ে জরুরি নিয়মিত ডায়াবেটিসের মাত্রা পরীক্ষা করানো। ভোগান্তি এড়াতে অনেকে বিভিন্ন কোম্পানির ‘কুইক স্ট্রিপ’ কিনে ঘরে বসেই ডায়াবেটিসের মাত্রা পরীক্ষা করেন। এর ওপর ভরসা করেই চিকিৎসা, খাদ্যগ্রহণসহ দৈনন্দিন জীবনযাপন করেন। অথচ প্রয়োজনীয় এই পণ্যটির নকল হচ্ছে দেদার। নকল ডায়াবেটিকস স্ট্রিপসে সয়লাব বাজার। ফলে হাসপাতাল-ক্লিনিকে হরহামেশাই ডায়াবেটিকসের মাত্রা পরীক্ষার ভুলভাল রিপোর্ট নিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছে রোগীরা। এমন ঘটনা ৬ ফেব্রুয়ারি হাতেনাতে ধরেন ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।  যে স্ট্রিপগুলো বাজারে সবচেয়ে বেশি পরিচিত তার মধ্যে অন্যতম ‘আকু-চেক অ্যাকটিভ স্ট্রিপ’। অথচ এ স্ট্রিপটি চোরাইপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসে। এরপর রাজধানীর নয়াপল্টন, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন এলাকার প্রেস থেকে ব্যাচ নম্বর, বার কোডসহ মোড়ক তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে সেগুলো। আবার, বিদেশ থেকে অনুমোদন ছাড়া ডায়াবেটিস স্ট্রিপ দেশে এনে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির নকল মোড়কে বাজারে ছাড়ছে ফার্মা সল্যুশনস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটির পাশাপাশি অন্যরাও এমন কাজ করছে কি না, তার অনুসন্ধান চলছে।  এরই ধারাবাহিকতায় নকল ডায়াবেটিকস স্ট্রিপ বিক্রয় প্রতিরোধে আমদানিকারকসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের নিয়ে মতবিনিময় সভা করে ভোক্তা অধিদপ্তর। রোববার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইও অংশ নেয়।  সভায় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচলক ডায়াবেটিস মাপার নকল স্ট্রিপ বাজারজাত করার কারসাজির ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ডায়াবেটিসের নকল স্ট্রিপ বিক্রি নিয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে আমাদের একটি টিম তদন্ত শুরু করে। এতে দেখা যায় যে, ফার্মা সলিউশন নামের ওষুধ বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান এ স্ট্রিপ আমদানি করে বিক্রি করছে। আকু চেক অ্যাকটিভ নামের স্ট্রিপের মোড়কে ‘মেইড ইন জার্মানি’ লেখা। এটার উৎপাদক নাকি জার্মানির প্রতিষ্ঠান রোস।  সফিকুজ্জামান বলেন, সন্দেহ হবার পর লাজ-ফার্মা থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। লাজ-ফার্মাকে ডেকে আনা হয়। তারা জানায়, এটার আমদানিকারক ফার্মা সলিউশন। ঢাকায় ফার্মা সলিউশনের ৪-৫টা ডিপো রয়েছে। তেজকুনিপাড়ার ডিপোতে অভিযান চালানো হলো। কিন্তু তারা মুখে কুলুপ এটে বসলো।  আকু চেক স্ট্রিপ নিয়ে জার্মানির রোস কোম্পানির সঙ্গেও ভোক্তা অধিকারের যোগাযোগ হয়। প্রতিষ্ঠানটি নিশ্চিত করেছে, তারা এ ব্যাচধারী কোনো স্ট্রিপ উৎপাদনই করেন না। তাহলে দেশের বাজারে এগুলো কোথা থেকে এলো, গায়েবিভাবে এলো কি না, এমন প্রশ্ন রাখেন ভোক্তার অধিকারের ডিজি।  তিনি বলেন, সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে যেটা বেরিয়ে এলো, তা হলো এগুলো তারা লাগেজ পার্টির মাধ্যমে দেশে এনেছে। ভারত থেকে নকল এসব স্ট্রিপ কাপড়ের লাগেজের মধ্যে করে আসে। তারা শুধু স্ট্রিপ কৌটায় করে নিয়ে আসে। পরে নয়াপল্টনের প্রিন্ট ওয়ান নামের প্রেসে সব কারসাজি করা হয়। ফার্মাসি খাতে কারসাজি চরম হতাশাজনক উল্লেখ করে সফিকুজ্জামান বলেন, জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। আপনি জাল টাকা উৎপাদন করে যতটা না ক্ষতি করতে পারবেন, তার চেয়ে নকল ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরিতে বেশি ক্ষতি হবে। এর চেয়ে খারাপ কাজ আর কিছু হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপ বিক্রি মানুষ হত্যার মতো অপরাধ। নকল মেডিকেল সামগ্রী বা ওষুধ বিক্রির চেয়ে মাদকের ব্যবসা করা ভালো। চাল-ডালের দাম বাড়ানোর থেকেও অনেক ভয়াবহ অপরাধ এটি। ডায়াবেটিস স্ট্রিপের ভুল রিপোর্টের ফলে ভুল চিকিৎসা পেয়ে মানুষ যেকোনো সময় মারা যেতে পারে। সভায় উপস্থিত ছিলেন ফার্মা সলিউশনের প্রধান নির্বাহী পল্লব চক্রবর্তী ও প্রিন্ট ওয়ানের সত্ত্বাধিকারী লুৎফর রহমান। তারা আত্মপক্ষ সমর্থন করেন এবং ক্ষমাও চান। পল্লব চক্রবর্তী নকল ডায়াবেটিস স্ট্রিপের প্যাকেটের বিষয়ে দায় স্বীকার করেন। তবে এ ঘটনায় তার প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মীকে দায়ী করেন। বিভিন্ন যুক্তিও দেন।   লুৎফর রহমান বলেন, ফার্মা সলিউশনকে আমরা বিশ্বাস করে কাজ নিয়েছিলাম। তাদের লেনদেন প্রক্রিয়াও ভালো। আমরা বিশ্বাস করে তাদের কাজ নিয়েছি। দুই ধাপে ১০-১২ হাজার টাকার প্রিন্টিংয়ের বিল পেয়েছি। এরপরও আমাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে। তবে আমরা দায় এড়াতে পারি না।  মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক প্রীতি চক্রবর্তী। তিনি বলেন, এলসি জটিলতার কারণে নকল স্ট্রিপ দেশে আসছে। কিন্তু সেটি রোগীর জন্য ভোগান্তি, যা এফবিসিসিআই সমর্থন করে না। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের দায় এফবিসিসিআই নেবে না।  সভায় সবাই নকল স্ট্রিপ আমদানি, তৈরি ও বিক্রি প্রতিরোধের ওপর জোর দেন। অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির দাবি করেন উপস্থিত সবাই। তারা বলেন, বিদেশ থেকে লাগেজের মাধ্যমে যে পণ্যগুলো ঢুকছে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে এই বিষয়ে আরও মনোযোগী হতে হবে। মূল কাজটা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৪:২১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়