• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এফডিসিতে মারামারি, যা বললেন অঞ্জনা
এফডিসিতে ইউটিউবার ও তথাকথিত নামধারী সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি জানান। এফডিসিতে প্রবেশাধিকার আরও কঠোর করার আহ্বান জানিয়েছেন একসময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা। ফেসবুক পোস্টে অঞ্জনা বলেন, এফডিসিতে ইউটিউবার ও তথাকথিত নামধারী সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হোক। এফডিসিতে প্রবেশাধিকার আরও কঠিনতর করা হোক এই দাবি চলচ্চিত্রের শিল্পীদের। কারণ, যে কেউ সাংবাদিক পরিচয়ে প্রবেশ করে শিল্পীদের বিভিন্ন রকমের উদ্ভট প্রশ্ন করে ক্ষিপ্ত করে তোলেন, তখন শিল্পীরা আবেগে দুই একটা কথা বলে ফেলে সেটার সামনের বা পিছনের কথাগুলো বাদ দিয়ে কেটে ভাইরাল টপিক হিসেবে ফেসবুকে অথবা ইউটিউবে আপলোড করে দিয়ে শিল্পীকে জোকারে পরিণত করে। তিনি বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র বিনোদন সাংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ‘বাচসাস’ রয়েছে। সেখানে আমাদের অনেক প্রাণের সাংবাদিক ভাইয়েরা রয়েছে; যারা শিক্ষিত এবং মার্জিত তারা কখনোই একজন শিল্পীকে অবান্তর প্রশ্ন করে বিভ্রান্ত করেন না। অঞ্জনা বলেন, সাংবাদিকদের আরও অনেক সংগঠন রয়েছে যেখানে শিক্ষিত ও ভদ্র সাংবাদিক গন আছেন তারা সব সময় শিল্পী ও শিল্পের কল্যান প্রসারে কাজ করেন। টেলিভিশন মিডিয়ার সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা যাদেরকে আমি চিনি ও জানি, তারা সবাই যথেষ্ট ব্যক্তিত্বসম্পন্ন চলচিত্র শিল্পীদের পাশে তারা সবসময় ছিলেন আছেন ও থাকবেন আশা করি। এই নায়িকা বলেন, ছোট্ট একটি ভুল-বোঝাবুঝির মাধ্যমে শিল্পী ও সাংবাদিকদের মধ্যকার এতো বছরের সুমিষ্ট একটি সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট হোক সেটা আমরা কখনোই কাম্য নয়। শিল্পী ও সাংবাদিক একে অন্যের পরিপূরকঅ আসুন সকল মান-অভিমান ভুলে গিয়ে একে অন্যর ভালোর জন্য উত্তম কাজ করি।
৭ ঘণ্টা আগে

আজীবন সম্মাননা পেলেন চিত্রনায়িকা অঞ্জনা
রাজধানীর সীমান্ত সম্ভারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো সোনার বাংলা গ্রীন সিটি সাকসেস অ্যাওয়ার্ড-২০২৪। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) আয়োজনটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন উর রশিদ (বীর বিক্রম)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অর্থ সচিব পীরজাদা শহিদুল আলম ও অতিরিক্ত জনপ্রশাসন সচিব জনাব আল আমীন। অনুষ্ঠানে বাংলা চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় এক সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অঞ্জনাকে। এ সময় উপস্থিত দর্শকরা দাঁড়িয়ে সম্মান জানান এ গুণী অভিনেত্রীকে। জানা যায়, জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীর অভিনয় যাত্রা শুরু হয় ‘দস্যু বনহুর’ সিনেমার মাধ্যমে। ১৯৭৬ সালের এই সিনেমার পর টানা কাজ করে গেছেন তিনি। অঞ্জনা রহমান থেকে শুধু অঞ্জনা নামেই পরিচিতি পান ঢাকাই ছবির এই নায়িকা। ১৯৯২ সালের পর থেকে সিনেমায় অনিয়মিত হয়ে যান তিনি। ২০০৮ সালে মুক্তি পায় অঞ্জনার সর্বশেষ ছবি ‘ভুল’। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন এ গুণী অভিনেত্রী। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। ঢাকা সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজিত এ আয়োজনে আরও সম্মাননা পেয়েছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও চিত্রনায়িকা শাহনূর। অশ্রুসিক্ত চোখে অঞ্জনা বলেন, আজীবন সম্মাননা পাওয়া মানে বয়স শেষ হয়ে যাওয়া নয়। এ গুণী অভিনেত্রী আরও জানান, তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে নতুন চলচ্চিত্র আসবে। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি বলেন, প্রতিটি পদকই আনন্দের। পুরস্কার নেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ অভিনেত্রী আরও জানান, মানসিকভাবে অনেকটাই অসুস্থ তিনি।  এ দিন ব্যবসায়িক অবদানের জন্য সাকসেস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় ইউরো বাংলা বিল্ডার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও ফাতেমা আক্তার আখিকে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:১৫

অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিক আর নেই  
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিক। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭৯।  জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন অঞ্জনা। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন অঞ্জনা। সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।  ১৯৪৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভারতের কোচবিহারে জন্মগ্রহণ করেন অঞ্জনা। মাত্র ২০ বছর বয়সে ‘অনুষ্টুপ ছন্দ’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় পা রাখেন তিনি। তবে প্রথম সিনেমা মুক্তির আগেই অভিনেত্রী নিজের নাম বদলে হন অঞ্জনা।   ষাট থেকে আশির দশকের বাংলা সিনেমায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন অঞ্জনা ভৌমিক। ‘চৌরঙ্গী’, ‘থানা থেকে আসছি’, ‘নায়িকা সংবাদ’র মতো সিনেমায় তার অভিনয় এখনও মনে রেখেছেন দর্শক। উত্তর কুমারের সঙ্গে তার জুটি দর্শকের কাছে খুব প্রিয় ছিল। অঞ্জনা অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র— ‘নিশিবাসর’, ‘প্রথম বসন্ত’, ‘মহাশ্বেতা’, ‘নায়িকা সংবাদ’, ‘থানা থেকে আসছি’ ইত্যাদি।  ২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ‘বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার’ প্রদান করে অঞ্জনাকে। এ ছাড়া বহু পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। তবে একটা সময়ের পর আর অভিনয় জগতে ছিলেন না অঞ্জনা। রুপালি দুনিয়া থেকে দূরে চলে যান তিনি। প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত জীবনে অঞ্জনার দুই মেয়ে নীলাঞ্জনা ও চন্দনা। দুজনেই এক সময় অভিনয় করতেন। বর্তমানে টেলিভিশনের খ্যাতিমান প্রযোজক নীলাঞ্জনা। তার স্বামী টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত। অঞ্জনার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে টালিপাড়ায়।  সূত্র : আনন্দবাজার      
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়