• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শাহরুখের যে নায়িকার মৃত্যু আজও এক অজানা রহস্য
নব্বই দশকের সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পোস্টার নিয়ে বসতেন হকাররা। সেখানে বিক্রি হতো ভিউকার্ড। উৎসব-পার্বণে মেলা বসত। সেসব মেলায় কিছু দোকান থাকত, যেখানে তারকাদের মুখাবয়ব-সমৃদ্ধ পোস্টার বিক্রি হতো। সেসব পোস্টার-ভিউকার্ডে একটা মুখ খুব দেখা যেত, তিনি বলিউড অভিনেত্রী দিব্যা ভারতী। ছেলেদের মানিব্যাগে, আয়নার পেছনে, সেলুনে কিংবা মেলায় অথবা ভিসিআরের ক্যাসেটের কভারে থাকত তার লাস্যময়ী ছবি। দিব্যা ভারতী এক দীর্ঘশ্বাসের নাম। অভিমানে ঝরে যাওয়া ফুলের নাম। তিন বছরের অভিনয়জীবনেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছিলেন। ১৯৭৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দিব্যা জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র তিন বছরের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার রেখে ১৯৯৩ সালের ৫ এপ্রিল ১৯ বছর বয়সে অকালেই চলে গিয়েছিলেন দিব্যা। দিব্যা ভারতীর মৃত্যু আজও এক অজানা রহস্য। শুধুই কি দুর্ঘটনা নাকি এর পেছনে ছিল কোনো ষড়যন্ত্র? উত্তর মেলেনি আজও। প্রসঙ্গত, দিব্যা ভারতীর মৃত্যুর সময় পাঁচ থেকে ছয়টি ছবি অসমাপ্ত ছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রযোজকদের নতুন নায়িকাদের নিয়ে নতুন করে শুটিং করে ছবি শেষ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে ‘লাডলা’, যা নতুন করে শুটিং করা হয় শ্রীদেবীকে নিয়ে। রয়েছে, ‘মোহরা’, ‘কর্তব্য’, ‘বিজয়পথ’, ‘দিলওয়ালে’ ও ‘আন্দোলন’। আরও কয়েকটি বড় ব্যানারের ছবির কাজও বন্ধ হয়ে যায়, যেগুলোয় অভিনয়শিল্পী চূড়ান্ত ছিল। বলিউড বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, মাত্র তিন বছরে যে অভিনেত্রী সাফল্যের এই উচ্চতায় উঠতে পারেন, বেঁচে থাকলে হয়তো আজকের দিনে তিনি মাধুরী অথবা শ্রীদেবীর মতোই হয়ে উঠতেন বলিউডের আরেক কিংবদন্তি নায়িকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিব্যার অকালমৃত্যু না হলে শ্রীদেবী, জুহি ও মাধুরী দীক্ষিতদের হিসাব-নিকাশটা অন্য রকম হতো।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৫:০৩

অজানা ভাইরাসে ২ বোনের মৃত্যু, বাবা-মাকে রাখা হলো আইসোলেশনে
রাজশাহীতে অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ বোনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের বাবা-মাকেও হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। শিশু দুজনের নাম মুনতাহা মারিশা ও মুফতাউল মাশিয়া। আগামী ২ মার্চ দুবছর বয়স হতো মুনতাহা মারিশার। আর ৩০ মে পাঁচ বছর হতো মুফতাউল মাশিয়ার বয়স। এ দুই শিশুর বাবার নাম মনজুর রহমান (৩৫)। তিনি রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। তার স্ত্রী পলি খাতুন (৩০) গৃহিণী। তাদের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে। তবে তারা রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারেই থাকতেন।  কলেজ প্রাঙ্গণে থাকা গাছের বরই কুড়িয়ে এনে দুশিশুকে খেতে দিয়েছিলেন কাজের বুয়া। না ধুয়েই এ বরই খেয়েছিল দুবোন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে মারা যায় বড় মেয়ে মাশিয়া। আর গত বুধবার একই লক্ষণ নিয়ে মারা যায় ছোট মেয়ে মারিশা। তাই শিশুদের বাবা-মাকে আর হাসপাতাল থেকে যেতে দেননি চিকিৎসকেরা। তাদের রামেক হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।  আর বিকেলে স্বজনদের মাধ্যমে মাশিয়ার মরদেহ বাড়িতে পাঠানো হয়। সন্ধ্যার পরে দুর্গাপুর উপজেলায় গ্রামের বাড়িতে মরদেহ দাফন করা হয়। গত বুধবার রাতে ছোট মেয়ে মারিশাকেও দাফন করা হয়েছে। শনিবার রাত ৮টার দিকে রামেক হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় মনজুর রহমান ও তার স্ত্রী পলি খাতুনের সঙ্গে। পাশাপাশি শয্যায় বসে ছিলেন তারা। পলি খাতুন জানান, গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে কোয়ার্টারের কাজের বুয়া কলেজ ক্যাম্পাসের গাছ থেকে বরই কুড়িয়ে এনে দুমেয়েকে খেতে দিয়েছিলেন। না ধুয়েই ওই বরই খেয়েছিল মারিশা আর মাশিয়া। সেদিন তারা ভালই ছিল। একসঙ্গে খেলেছে। পরদিন বুধবার বেলা ১১টার দিকে ছোট মেয়ে মারিশার জ্বর আসে। বার বার পানি খাচ্ছিল। দুপুরের পর শুরু হয় বমি। তখন মেয়েকে নিয়ে তারা একটি মাইক্রোবাসে করে রাজশাহীর সিএমএইচ হাসপাতালে আসছিলেন। মাইক্রোবাসেও মারিশা বুকের দুধ খায়। শহরে ঢোকার আগে কাটাখালী এলাকায় মায়ের বুকেই মারিশা মারা যায়। সিএমএইচে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা জানান, সে আর নেই। এরপর গ্রামের বাড়ি দুর্গাপুরে নিয়ে মরদেহ দাফন করা হয়। তিনি জানান, শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুর্গাপুরের বাড়িতে মাশিয়ারও জ্বর আসে। শুরু হয় বমি। দ্রুতই তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রাজশাহীতে সিএমএইচে আনা হয়। রাতে মাশিয়ারও পুরো শরীরে ছোপ ছোট কাল দাগ উঠতে শুরু করে। তা দেখে সিএমএইচের চিকিৎসকেরা মাশিয়াকে রামেক হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। রাত ৯টায় তাকে রামেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকেরা তাকে দ্রুতই আইসিইউতে ভর্তি নেন। পরদিন শনিবার বিকালে মাশিয়াও মারা যায়। পলি খাতুন আরও জানান, ছোট মেয়ে মাশিয়ার মৃত্যুর পর তার পুরো শরীরে ছোপ ছোপ কাল দাগ উঠতে দেখা যায়। আর মারিশার একই রকম কাল দাগ উঠতে শুরু করে মৃত্যুর আগের রাতে। এ রকম দাগ তিনি আগে কখনও দেখেননি। গরম তেল শরীরে পড়লে যে ধরনের দাগ হয়, তা অনেকটা সে রকমের। অসুস্থ হওয়ার পরে দুবোনই বার বার পানি খাচ্ছিল। রামেক হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, বাচ্চা দুজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। যদিও তাদের বাবা-মা জানিয়েছেন, তারা খেজুর রস খায়নি। তবে না ধুয়ে বরই খেয়েছিল। এটা নিপাহ ভাইরাস হতে পারে, আবার অন্য কোন ভাইরাসও হতে পারে। সেটা আসলেই কী তা জানতে হাসপাতালে মারা যাওয়া মারিশা আর তার বাবা-মায়ের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রোববার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তখন জানতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘এ বছর এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে কেউ নিপাহ ভাইরাসে মারা গিয়েছেন, এ রকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এটা সঠিক যে, বাচ্চা দুজন কোনো একটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছে। অসুস্থ হওয়ার আগে এটা বোঝা যায়নি। আবার অসুস্থ হওয়ার পরে চিকিৎসার জন্য খুব বেশি সময়ও পাওয়া যায়নি। তাই বাচ্চা দুজনের বাবা-মাকে বাসায় যেতে দেওয়া হয়নি। হাসপাতালে তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।’
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫২

হ‍ুমায়ূন আহমেদের অজানা কথা জানাচ্ছেন অভিনেতা ও ডা. এজাজ
শোনা যাচ্ছে শীতের বিদায়ী সুর। সেখানে বসন্তের আগমনীধ্বনির আভাস আসছে। চলছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৪। এবার বইমেলায় বের হয়েছে ডা. এজাজের বই ‘আমার হুমায়ূন স্যার’।  বইমেলা ২০২৪’-এ প্রায়ই উপস্থিত থাকছেন ডা. এজাজ। পাঠকদের অটোগ্রাফ দিচ্ছেন, কখনো আবার তাদের সঙ্গে হচ্ছেন সেলফিবন্দি। এরই ফাঁকে গণমাধ্যমের মুখোমুখিও হয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, হ‍ুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে এই স্মৃতিগ্রন্থ লেখার অভিজ্ঞতা। বইটি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানুষের মনের মধ্যে দুঃখ থাকলে মানুষ কী করে? দুঃখের কথা বলে একটু হালকা হয়। হুমায়ূন আহমেদ স্যারের নাটক, সিনেমা বা সাহিত্য নিয়ে কিছু বলবার মতো যোগ্যতা আমার নেই। যে যোগ্যতাটা আছে, তা হলো মানুষ হুমায়ূন আহমেদ নিয়ে কিছু বলার। ডা. এজাজ বলেন, হুমায়ূন আহমেদ নিজের অর্থে স্কুল করেছেন, নিজের অর্থে মেডিক্যাল সেন্টার করেছেন। দুস্থ বাচ্চাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। শীতের রাতে শীতার্ত মানুষকে হাজার হাজার কম্বল দিয়েছেন। অনেকেই সেসব জানে না। স্যারের এমন অনেক মানবিক গল্পের সাক্ষী আমি। এসব গল্প মানুষের কাছে বলা দরকার। হুমায়ূন আহমেদ যে কত বড় মাপের মানুষ, সেটা জানান দেয়ার জন্য এই বই লেখা। যদি বেঁচে থাকেন, এমন আরও গল্প লেখার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ডা. এজাজ। তিনি বলেন, মেলায় আমার বই আসায় হ‍ুমায়ূন আহমেদ স্যারকে খুব মনে পড়ছে। আমি তার সঙ্গে এখানে আসতাম তার বই কিনতে এবং আমার কষ্ট হয় যে তিনি আর পাশে নেই। পরবর্তীতেও লেখালেখি চালিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায়ের কথা বলতে গিয়ে ডা. এজাজুল ইসলাম জানান, এই স্মৃতিকথার দ্বিতীয় খণ্ড লেখার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। তার মতে, হ‍ুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কাটানো অসংখ্য স্মৃতিকে কেবল একটি বইয়ে লিপিবদ্ধ করা সম্ভব নয়।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়