• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঢাবিতে ছাত্রলীগের ‘গেস্টরুমে’ অচেতন শিক্ষার্থী, তদন্ত কমিটি গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে ছাত্রলীগের ‘গেস্টরুম’ কর্মসূচি চলাকালে অতিরিক্ত গরমে এক শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়েছিলেন। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে বিজয় একাত্তর হলে এ ঘটনা ঘটে।  ভুক্তভোগী নিয়ামুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। ‘গেস্টরুম’ কর্মসূচিতে থাকা একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, নিয়ামুল ইসলামকে ‘গেস্টরুমে’ অনেকক্ষণ ধরে দাঁড় করিয়ে রাখেন ছাত্রলীগের ‘বড় ভাইয়েরা’। প্রচণ্ড গরমে শারীরিক অস্বস্তির কথা জানান নিয়ামুল। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাতে কর্ণপাত করেননি। একপর্যায়ে নিয়ামুল অচেতন হয়ে পড়ে যান। পরে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে গণরুমে নিয়ে যান। সহপাঠীরা নিয়ামুলের মাথায় পানি দেন। এ ঘটনা যেন জানাজানি না হয়, সে জন্য তাকে হাসপাতালে নিতে নিষেধ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে নিয়ামুল এখন সুস্থ আছেন। তিনি বলেন, ‘গরমের কারণে আমি ‘গেস্টরুমে’ মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলাম। তখন বন্ধুরা আমাকে ধরাধরি করে গণরুমে নিয়ে এসে মাথায় পানি দেয়। এখন আমি সুস্থ আছি।’ এ বিষয়ে বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কিছু ছেলেপেলে এক জায়গায় বসে আড্ডা দিচ্ছিল। তখন একটা ছেলে একটু মাথা ঘুরে পড়ে যায়। তখন বন্ধুরা তাকে ডাবের পানি খাইয়ে তার কক্ষে রেখে আসে। তাকে হাসপাতালেও নিতে হয়নি, কোথাও নেওয়া হয়নি, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিও ছিল না।’ এদিকে এ ঘটনা তদন্তে বুধবার তিন সদস্যের কমিটি করেছে বিজয় একাত্তর হল প্রশাসন। হলের আবাসিক শিক্ষক মোহাম্মদ শাহ মিরানকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আবাসিক শিক্ষক মোহা. জাহাঙ্গীর হোসেন ও আবু হোসেন মুহাম্মদ আহসান। এ বিষয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে জেনেছি। খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’  
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫৬

কুড়িগ্রামে একই পরিবারের ৭ জন অচেতন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকসহ তার পরিবারের সাত জন অচেতন হয়ে পড়লে শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় চিকিৎসার জন্য তাদের কুড়িগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।  অসুস্থ অন্যরা হলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মা মজিরন বেওয়া, স্ত্রী চায়না বেগম, কন্যা আখি ও তিন বোন শাহেদা, শাহেরা, ছকিনা বেগম। ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, বুধবার (৬ মার্চ) সকালে বাড়িতে খাবার খেয়ে চেয়ারম্যান ভূরুঙ্গামারীতে যান। সেখানে দুপুরের দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে কুড়িগ্রামে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে তাকে বাড়িতে আনা হয়। এ সময় বাড়ির সকলকে অসুস্থ অবস্থায় দেখা যায়। আজ সকাল থেকে সবার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। কেউ সারাদিন ঘুমে অচেতন আবার কেউ চোখ খুলে তাকাতে পারছেন না। চেয়ারম্যানও আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি কথা বলতে পারলেও চোখ খুলে তাকাতে পারছেন না। একা হাটতেও পারছেন না। সন্ধ্যায় অসুস্থ সবাইকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।   কেদার মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হাফিজুর মন্ডল জানান, খবর পেয়ে আমরা পরিস্থিতি দেখতে এসেছি। এখানে বাড়ির ভিতরে কেউ ১০ থেকে ১৫ মিনিট থাকলেই অসুস্থ্যবোধ করছেন। হয়তো কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে চেতনানাশক ছিটিয়েছেন। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এএসএম সায়েম জানান, খবর পাওয়া মাত্র তাদেরকে হাসপাতালে আনতে এম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসা দিলেই তারা সুস্থ হয়ে যাবেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে কেউ খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে থাকতে পারে অথবা ঘরে চেতনা নাশক ছিটাতে পারে।  কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বদেব রায় জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে চুরির উদ্দেশ্যে কেউ খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
০৮ মার্চ ২০২৪, ২২:১৭

অচেতন অবস্থায় ৪৫ জনকে ঢামেক পাঠানো হয়েছে : ফায়ার সার্ভিস
রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুনের ঘটনায় অচেতন অবস্থায় ৪৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়। এদিকে আগুনের ঘটনায় ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে লাগা আগুন ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় দীর্ঘ দুই ঘণ্টা পর রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরমধ্যে অচেতন অবস্থায় ৪৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রেস্টুরেন্টটিতে আগুনের এ ঘটনা ঘটে। পরে ৯টা ৫৬ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে কাজ করে আনসার পুলিশ ও র‌্যাব। এছাড়াও উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরাও।
০১ মার্চ ২০২৪, ০২:৩০

অতিথি পরিচয়ে বাসায় ঢুকে গল্প, অচেতন করে স্বর্ণালংকার লুট
ফেনী শহরের পশ্চিম ডাক্তারপাড়ায় ভাতিজির বান্ধবী পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢুকে সবাইকে অচেতন করে স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গজারিয়া পাড়ার হাসান সিকদারের মেয়ে তানিয়া আক্তার সাদিয়া (৩২), পিরোজপুর জেলার নতুন বাজার গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে বাপ্পি হাসান নাহিদ (২৬) এবং ঢাকার আদাবর আলিফ হাউজিংয়ের মৃত সেলিম মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৪৫)। এ সময় চক্রের কাছ থেকে এক ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৮ জানুয়ারি) পৌরসভার পশ্চিম ডাক্তারপাড়া রফিক ম্যানশনের তৃতীয় তলায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের বাসার গৃহপরিচারিকা বাসা পরিষ্কার করছিলেন। তখন দরজা খোলা পেয়ে কৌশলে তানিয়া আক্তার সাদিয়া নামে এক তরুণী বাসায় ঢুকে নিজেকে অতিথি হিসেবে পরিচয় দেন। পরে রফিকের স্ত্রীর সঙ্গে গল্পের ছলে স্বর্ণালংকারের কথা জিজ্ঞাসা করেন। একপর্যায়ে তাদের অচেতন করে আলমারি থেকে সাত ভরি আট আনা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ওইদিন বিকেলে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়ায় একটি বাড়িতে চুরি করতে গেলে এ চক্রের তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতারক তানিয়া আক্তার সাদিয়া ঘরে আসার পর নিজেকে আমার আমেরিকা প্রবাসী ভাতিজি বর্ষার বান্ধবী পরিচয় দেয় এবং তারা একসঙ্গে আমেরিকায় থাকেন বলে জানায়। তখন আমার স্ত্রী তাকে বসতে বলে। দুপুরে খাবার খেতে বাসায় এসে আমার স্ত্রীকে কিছুটা অসুস্থ দেখি। এ ছাড়া বাসার জিনিসপত্র এলোমেলো, আলমারি ও গয়নার বাক্স খোলা অবস্থায় দেখতে পাই। পরে আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রতারককে শনাক্ত করি। ফেনী মডেল থানার ওসি শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:২৬

হাত-পা বাঁধা অচেতন প্রাইভেটকারচালক উদ্ধার
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শেখ শাহিন (৪২) নামের এক প্রাইভেটকারচালককে উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে পাটকেলঘাটা থানার মীর্জাপুর বাজার-সংলগ্ন এলাকায় প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। শেখ শাহিন খুলনা শহরের আনসার আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে মির্জাপুর বাজার পোস্ট অফিসের পাশে একটি প্রাইভেটকারে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় একজনকে দেখতে পান স্থানীয়রা। এ সময় তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রথমে তাকে পাটকেলঘাটার পপুলার ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাটকেলঘাটা থানার উপপরিদর্শক আমির হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে প্রাইভেটকারটির মালিক সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পলাশপোল এলাকার সঞ্জয় দাশের (পিন্টু) বলে জানা গেছে। তিনি আরও বলেন, আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়