• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
‘সায়মা ওয়াজেদের দক্ষতায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে অগ্রগতি আসবে’
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের মতো একজন দক্ষ ব্যক্তিত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে দায়িত্ব পাওয়ায় চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই অঞ্চলে নিশ্চিত অগ্রগতি আসবে।  মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৫৪তম নির্বাহী বোর্ড সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বাংলাদেশির বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো এত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পেল। প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদের এই প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের সম্মান ও মর্যাদা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি অটিজম নিয়ে কাজ করে এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তিনি বলেন, সায়মা ওয়াজেদের এই দায়িত্বপ্রাপ্তিতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় গর্ব অনুভব করছে। একই সঙ্গে তার আগামী দিনগুলোর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকালে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সেখানে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কন্যা এই দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। অটিজম বিশেষজ্ঞ হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এর আগেও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় অটিজম বিশেষজ্ঞ এবং পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:০১

শ্রম আইন সংশোধনীর অগ্রগতি জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের শ্রম আইন সংশোধনীর অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার (২১ জানুয়ারি) দেশটির একজন ফার্স্ট সেক্রেটারি ও লেবার অ্যাটাশের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।  আইনমন্ত্রী বলেন, শ্রমিক অধিকার নিয়ে তারা নিজেদের বক্তব্য দিয়েছেন। আপনারা হয়তো খেয়াল রাখবেন, গত বছর থেকেই এই আলোচনা হচ্ছে। আইনটিতে কী অগ্রগতি হয়েছে, আরও অগ্রগতি সম্ভব কি না; বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করি আমরা। আরও পড়ুন : মায়ের বিরুদ্ধে যমজ সন্তানকে ‘চুবিয়ে’ মারার অভিযোগ   আনিসুল হক জানান, মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের থ্রেসহোল্ড সম্পর্কে এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিশেষ করে তারা আমাকে বলেছেন যে এই ব্যাপারে (শ্রম আইন) যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে অংশীদার হিসেবে কাজ করতে চায়। আর যুক্তরাষ্ট্রে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে তারা খুবই সচেতন এবং এটা তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ইস্যু। তখন আমি তাদের বলেছি, এটা বাংলাদেশ সরকার ও আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এরপর তিনি বলেন, এটা এতোই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, এবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজের হাতে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমি এটাও বলেছি যে, আগামী বুধবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের একটি টিমের সঙ্গে আলোচনায় বসবো।’ আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী মার্চে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডি বৈঠকে বসবে আমাদের অগ্রগতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়ার জন্য। এ ছাড়া তাদের দুয়েকটা জানার বিষয় আছে, সেই বৈঠকের পরে আমরা জানাব। আজ এ পর্যন্তই আলোচনা হয়েছে। আজকের বৈঠকে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে কোনো কথা হয়নি বলেও জানান আইনমন্ত্রী। তবে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়গুলো কী ছিল, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘থ্রেসহোল্ড নিয়ে তাদের বক্তব্য ছিল। এটা সবসময়ই ছিল। আমি বলেছি, থ্রেসহোল্ড আমরা ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। তারা এটাও বলেছেন, তিন হাজার বা তিন হাজারের বেশি শ্রমিক আছে, এমন কারখানা অনেক কম। এটা আগেও আমি শুনেছি। সেই বিষয়ে যখন প্রশ্ন এসেছে, স্টেকহোল্ডারদের (অংশীজন) সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।’ আরও পড়ুন : নতুন সরকারের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক জোরদার হবে : চীনা রাষ্ট্রদূত   তারা কত শতাংশ চাচ্ছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণত এটা ১০ শতাংশ। আমি পরিষ্কার করে দিয়েছি, আমাদের এমপ্লয়ার্স এবং ওয়ার্কাস ফেডারেশনগুলো সবসময় বলে আসছে, আস্তে আস্তে কমানোটাই তাদের জন্য ভালো হবে। বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকারের পরিবেশ অনুসারে এটা কমানো হবে। সেটিই আমাদের সিদ্ধান্ত। যে কারণে আমরা আস্তে আস্তে কমানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। উল্লেখ্য, একাদশ সংসদের শেষ অধিবেশনে তড়িঘড়ি করে শ্রম আইনের সংশোধনী বিলটি পাস করা হয়। গত ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল জাতীয় সংসদে তোলা হয়। বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তিনদিন সময় দিয়ে তা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। গত ২ নভেম্বর বিলটি সংসদে পাস হয়। বিলে সম্মতির জন্য গত ৮ নভেম্বর তা রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হয়। বিলটিতে সই না করে গত ২০ নভেম্বর তা সংসদে ফেরত পাঠান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ২২ নভেম্বর সংসদ সচিবালয় এ সংক্রান্ত বার্তাসহ একটি বুলেটিন প্রকাশ করে। তাতে রাষ্ট্রপতির বার্তা তুলে ধরা হয়। ওই বার্তায় বলা হয়, ‘এই বিলের দফা-৪৫ বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে বলে প্রতীয়মান হয়। কাজেই উক্ত দফা পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৮০(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিলটি পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরত পাঠানো হলো।’
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়