• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ
প্রতি বছরের মত এবারও সমরাস্ত্র প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড (বিএমটিএফ) অংশগ্রহণ করেছে। বিএমটিএফের মোট ১৯টি ফ্যাক্টরির মধ্যে ১০টি ফ্যাক্টরির উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য প্রদর্শনীতে জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উম্মুক্ত রয়েছে।  বিএমটিএফের অংশগ্রহণকারী ১০টি ফ্যাক্টরি হল- ফুটওয়্যার ও লেদার ফ্যাক্টরি, আর্মি ফার্মা লিমিটেড, বিএমটিএফ লাইটস, পেপার প্যাকেজিং ফ্যাক্টরি, নম্বর প্লেট ও ইলেক্ট্রনিক এসেম্বলি শপ, বিএমটিএফ এ্যাপারেলস, স্টিল স্ট্রাকচার ম্যানুফ্যাকচারিং শপ, মেশিন শপ এবং সংযোজন শপ।  উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৪ র্মাচ সমরাস্ত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনের পর বিএমটিএফ এর স্টল পরিদর্শন করেন এবং তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রশংসা করেন।
২৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৩

‘তিলোত্তমা মুরাদনগর’ গড়তে সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ চাই : এমপি জাহাঙ্গীর
কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন পদে মুরাদনগরের কৃতি সন্তানরা কাজ করছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন মুরাদনগরের মেধাবী সন্তানরা। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী পাঁচ বছরে ‘তিলোত্তমা মুরাদনগর’ গড়ে তুলতে চাই। বুধবার (২৭ মার্চ) বুয়েট কেমিকৌশল বিভাগের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভা এবং ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকার। এতে মুরাদনগরের কৃতি সন্তান বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বুয়েটের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হাকিম খান। সঞ্চালনা করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রাজ্জাক। মুরাদনগরের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং বর্তমানে নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার উপর ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।  রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, মুরাদনগর উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক সন্তান বিসিএস ক্যাডার হিসেবে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নানা পদে দায়িত্ব পালন করছেন। মুরাদনগরের উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলোকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী আকারে বিভক্ত করে কাজ করতে হবে। সহজে বাস্তবায়নযোগ্য কাজগুলোর দিকে মনোযোগী হতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য ড. মো. হেলাল উদ্দিন এনডিসি সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বাস্তবায়নাধীন মুরাদনগরের প্রকল্পগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনের উপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নেয়া প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন এবং তা সঠিকভাবে ও মানসম্মত হচ্ছে কিনা তা তদারকি করা প্রয়োজন। এজন্য স্থানীয়দের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।  বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট ড. মহিদুস সামাদ খান বলেন, মুরাদনগরে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা স্থাপনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বাংলাদেশের তিনটি গ্যাসক্ষেত্র এই এলাকায় হওয়ায় শিল্প কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান এবং দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে রপ্তানি-নির্ভর শিল্পে সরকারি প্রণোদনার দিকে দৃষ্টি দেয়া এবং চীন, জাপানসহ বিভিন্ন বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।  ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) এমডি আব্দুল্লাহ নোমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের উপর জোর দিয়ে বলেন, মুরাদনগর উপজেলাকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পারলে তা শুধু স্থানীয় চাহিদাই মেটাবে না, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে হওয়ায় খাদ্যপণ্য রপ্তানিতেও ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।  মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর তার বক্তব্যে মুরাদনগরের আধুনিকায়নে তার বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, স্মার্ট উপজেলা কমপ্লেক্সের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে, যেখানে থাকবে ফ্রি ওয়াইফাই জোন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উন্নয়নের জন্য মুরাদনগরে হাই স্পিড ডাটা কানেক্টিভিটি, শেখ রাসেল আইটি ইউনিভার্সিটি স্থাপন, ইপিজেড স্থাপন, এগ্রো বেইজড প্রকল্পের সংখ্যা বাড়ানো, নারী কর্মসংস্থান, বেকারত্ব নিরসন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং বর্জ্য থেকে জ্বালানি তৈরিসহ নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মো. আব্দুল হাকিম খান বলেন, একটি জনপদকে কয়েক হাজার বছর এগিয়ে দিতে পারে একটি বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি মুরাদনগরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংসদ সদস্যের প্রতি আহ্বান জানান।  অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল হক, গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নাছিম খান, বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক (মহাব্যবস্থাপক-প্রকল্প) মো. বোরহান উদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম খান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. গোলাম ফারুক, বুয়েটের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, অধ্যাপক ড. শেখ আনোয়ারুল ফাত্তাহ, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক সাজিদ মুহাইমিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ, ঢাকাস্থ মুরাদনগর ছাত্রকল্যাণ পরিষদের শিক্ষার্থীবৃন্দ।  উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ মুরাদনগরের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন, ঐতিহ্যবাহী শ্রীকাইল কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিকীকরণ, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, মাদকমুক্ত সমাজ গঠন, বেকার সমস্যার সমাধান, যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, মুরাদনগরসংলগ্ন প্রস্তাবিত ঢাকা চট্টগ্রাম রেল প্রকল্প বাস্তবায়ন, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা স্থাপন, শিল্পায়ন ও আধুনিক কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হয়ে ‘তিলোত্তমা মুরাদনগর’ গড়ার লক্ষ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ২০:২২

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে যা বললেন জায়েদ খান
দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। আগামী ১৯ এপ্রিল নির্বাচনী মাঠে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন শিল্পীরা। এবারের নির্বাচনে কেউ সরে দাঁড়াচ্ছেন, আবার কেউ আগের প্যানেল থেকে সরে অন্য প্যানেল গড়ছেন। ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রের মুভিলর্ডখ্যাত মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও মিশা সওদাগর এক হয়ে নির্বাচন করছেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে আলোচিত নায়ক জায়েদ খান অংশ নিচ্ছেন কিনা টা নিয়ে এতদিন নানা কথা হয়েছে। অবশেষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে মুখ খুললেন এই নায়ক। তিনি জানান নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না তিনি।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১০

নোয়াখালীতে ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ
সারা দেশের ন্যায় আজ বৃহস্পতিবার থেকে নোয়াখালীতে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। নোয়াখালীতে এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৪৩ হাজার ৭৫১ জন পরীক্ষার্থী শিক্ষার্থী। এর মধ্যে এসএসসিতে ৩২ হাজার ৩৯৪ জন, দাখিলে ৯ হাজার ৫১৯ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ১ হাজার ৩৮ জন। মোট ৭৫টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয় এই পরীক্ষা। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালীল সদর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ৫ হাজার ৯০৩ জন, দাখিলে ১ হাজার ৪৫৯ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ৪৭৫ জন। সুবর্ণচর উপজেলায় এসএসসিতে ২ হাজার ৫৫৫ জন, দাখিলে ৮২৩ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ১৩১ জন। কবিরহাট উপজেলায় এসএসসিতে ২ হাজার ৫৪৩ জন, দাখিলে পরীক্ষার্থী ৬৯২ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ৬৬ জন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এসএসসিতে ২ হাজার ৮১৬জন, দাখিলে ১ হাজার ৩২ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ১৯৭ জন। সেনবাগে উপজেলায় এসএসসিতে ২ হাজার ৮২৮ জন, দাখিলে ১ হাজার ১৬ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ১৮৭ জন। চাটখিল উপজেলায় এসএসসিতে ২ হাজার ৬ জন এবং দাখিলে ৭২৫ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ২৭৪ জন। সোনাইমুড়ী উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৭৪৮ জন, দাখিলে ৯৮২ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ২০ জন। হাতিয়া উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৭১৭ জন, দাখিলে পরীক্ষার্থী ৯৪২ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে ৯৯ জন। বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৬ হাজার ৪৫৫ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী হাজার জন, দাখিলে ১ হাজার ৭৪৮ জন, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালে ৩৮৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। শিক্ষা কর্মকর্তা নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, আজ থেকে বাংলা বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হবে ১২ মার্চ।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩২

মনোনয়ন পেতে নতুন কৌশল, নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ
কেউ ছোট পর্দায় কাজ করছেন দীর্ঘদিন, আবার কেউ চলচ্চিত্রে লম্বা সময় অভিনয় করে পেয়েছেন কোটি ভক্তের ভালোবাসা। শোবিজের অনেক তারকাই বর্তমানে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ভক্তদের ভালোবাসাকে আর্শীবাদ হিসেবে নিয়ে রাজনীতির মাঠে নেতৃত্ব দিতে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন অনেক অভিনেত্রী। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ। প্রথম দিনই অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, তানভিন সুইটি, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, শাহনূর, শামিমা তুষ্টি ফরম সংগ্রহ করেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন মনোনয়ন পত্র কিনেছেন অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী ও নায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে তারা আশাবাদী বলেও জানিয়েছেন। মনোনয়ন ফরম  কিনে অপু বিশ্বাস বলেন, যেহেতু একজন অভিনেত্রী, আমি সবসময় জনগণের সঙ্গে ছিলাম। বরাবরই নারীদের উন্নয়ন করতে চাই। সেই জায়গা থেকেই যদি সুযোগ করে দেওয়া হয় তাহলে মানুষের জন্য কাজ করব। সবাই দোয়া করবেন, আশীর্বাদ করবেন যেন লক্ষ্য পূরণ করতে পারি। পাওয়া না পাওয়ার বিষয়টি আপেক্ষিক। তবে প্রত্যাশা করি, আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এদিকে প্রথম দিন মনোনয়ন পত্র কিনে অভিনেত্রী  শাহনূর সাংবাদিকদের বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। আমি নিজেও সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাছাড়া নির্বাচনী প্রচারণা থেকে শুরু করে নানা সময় বিএনপির অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনীত করলে তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে চাই। এ ছাড়া নারীদের জন্য কাজ করতে চান বলেও জানান তিনি। অভিনেত্রী  শাহনূরের এমন মন্তব্যের পর অনেকেই তার সমআলোচনা করেছেন। পাশাপাশি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য অভিনেত্রীদের এমন দৌড়ঝাঁপ অনেকেই ভিন্ন চোখে দেখছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলছেন তৃণমূল নেত্রীদের বাদ দিয়ে কি সরাকার তাদের মনোনয়ন দিবেন? আবার অনেকেই মনে করছেন কেবলই মনোনয়ন পেতেই  নির্বাচনী প্রচারণা সহ বেশ্ন কিছু দলীয় কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন অনেক তারকা।  এদিকে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য অভিনেত্রীদের মনোনয়ন পত্র কেনার হিড়িক দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আওয়ামী মহিলা লীগের সক্রিয় নেত্রীরা। শুধু ক্ষোভ নয়, স্বপ্নের সংসদ সদস্য পদ গ্ল্যামারের কাছে ধরাশয়ী হওয়ার শঙ্কায় রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। অশ্রুসিক্ত হয়ে যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি আসমান আক্তার রুনা গণমাধ্যমকে বলেন, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, সোহানা সাবারা কোথা থেকে এলো? দুর্দিনে তো তাদের কাউকে কখনও মাঠে দেখলাম না। রাজনীতিতে এসে জীবন-যৌবন নষ্ট করছি। জেল খেটেছি, নিজের পাঁচটা বাড়ি বিক্রি করেছি। নিজের স্বামীও আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। কী লাভ হলো এতসব ত্যাগ করে। এখন যদি এই নায়িকারা এসে মনোনয়ন নিয়ে যায়, তাহলে আমাদের মরণ হওয়া উচিত। রুনা বলেন, দুর্দিনে রাজপথে ছিলাম। সেই অধিকার নিয়ে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন ফরম কিনতে এসেছি। এসেই হতাশ হয়ে পড়লাম। নায়িকাদের ফরম কেনার অবস্থা দেখে হতাশ না হয়ে পারছি না। এই নায়িকারা কোথায় ছিল এতদিন? রাজপথে তো তাদের কাউকেই কখনও দেখিনি। তারা যদি আমাদের মতো কর্মীদের কিসমত মেরে খেতে আসে, তাহলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াব। নায়িকাদের এমন মনোনয়ন পত্র কেনার বিষয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ও সিনিয়র অভিনেত্রী  অরুণা বিশ্বাস আরটিভিকে বলেন, আসলে মনোনয়ন কেনা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমার বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্যতা বুঝেই  মনোনয়ন দিবেন।  রাজনীতির মাঠে সক্রিয় না থেকেও সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন গ্রহণ করে অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা ও মমতাজ বেগম এর আগে সংসদ সদস্য হয়েছেন। তবে এবারের নির্বাচনে দল থেকে নির্বাচন করেও শেষ পর্যন্ত জয়ী হতে পারেনি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ।  প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৪৮টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিপরীতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ১৫৪৯টি। গত তিন দিনে আওয়ামী লীগ এসব মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে। এতে দলটির আয় হয়েছে ৭ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এবার সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের প্রতিটি মনোনয়ন ফরমের মূল্য ধরা হয় ৫০ হাজার টাকা, একাদশ জাতীয় সংসদের ক্ষেত্রে এটা ছিল ৩০ হাজার টাকা।  
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়