• ঢাকা সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১
logo
মায়ের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল শিশু
চট্টগ্রামের রাউজানে মায়ের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছে মো. আলভী নামে এক শিশু।  রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে আলভীর মরদেহ রাউজান পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে পৌঁছালে স্বজনসহ স্থানীয়দের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে সেখানকার পরিবেশ।  আলভী রাউজান পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের হেদায়ত আলী মুন্সির বাড়ির ওমান প্রবাসী মো. তসলিম উদ্দিনের ছেলে।    জানা যায়, শনিবার দুপুরে আলভীকে নিয়ে ফটিকছড়ি উপজেলায় দাওয়াতে গিয়েছিলেন মা শরীফা আকতার। সেখানে সবাই যখন দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন তখন আলভী খেলছিল। এরপর নিখোঁজ হয়। পরে রোববার দুপুরে ওই এলাকার একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  স্থানীয়দের ধারণা, শিশু আলভী খেলতে খেলতে পুকুরে পড়ে গিয়েছিল। পরে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।   এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফটিকছড়ি থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন বলেন, ‘তথ্য পেয়ে মোবাইল টিম পাঠিয়েছিলাম। তারা ঘটনাস্থল পৌছার আগেই শিশুটির অভিভাবকরা শিশুর লাশ রাউজান নিয়ে গেছে। কারো কোনো অভিযোগ নেই।’ আরটিভি/এমকে 
১৫ ঘণ্টা আগে

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেড় শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই, শিশু নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দেড় শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই গেছে। এতে আয়েশা সিদ্দিকা (৫) নামে শিশু নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। এছাড়া আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে টেকনাফ নয়াপাড়া মুচনী ২৬ নম্বর ক্যাম্পের জি-২ ব্লকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত আয়েশা সিদ্দিকা ক্যাম্পের জি-২ ব্লকের ইব্রাহিমের মেয়ে। তবে আহত ও নিখোঁজদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করে ২৬ নম্বর ক্যাম্পের মাঝি বদরুল ইসলাম  জানান, রাত ১১টার দিকে ২৬ নম্বর ক্যাম্পের জি-২ ব্লকে আগুন লাগে। পরে রোহিঙ্গা নাগরিক ও ক্যাম্পের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। আগুনে একটি বসতঘরের ভেতরে পুড়ে শিশু আয়েশার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও তিনজন। টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অভিযানিক দলনেতা মুকুল কুমার নাথ বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগার খবর শুনে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে। কিন্তু তার আগেই স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে অন্তত শতাধিক বসতঘরসহ নানা স্থাপনা পুড়ে গেছে। আগুনের ধ্বংসস্তূপ থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আগুনের সূত্রপাতের কারণ জানার পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছে বলেও জানান তিনি।  দেড় শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে জানিয়ে ২৬ নম্বর ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. মোস্তাক আহমেদ বলেন, হতাহত ও নিখোঁজসহ আগুনে অন্তত দেড় শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে। বিস্তারিত আরও তথ্যের জন্য আমরা কাজ করছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে। ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ কাউসার সিকদার বলেন, প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জনৈক ব্যক্তির বসতঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। খোঁজ খবর নেয়ার পর আগুনের সূত্রপাতের কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা সম্ভব হবে। আরটিভি/কেএইচ
১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৭

কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। সাজার পাশাপাশি আসামিকে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিচারক। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) কুমিল্লা জেলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। আসামি মেহরাজ হোসেন তুষার সদর দক্ষিণ উপজেলার কুলিয়ারা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর এলাকার আলী আশরাফের ছেলে। বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. শরীফুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর চকলেটের লোভ দেখিয়ে চার শিশু নাবিলাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে পার্শ্ববর্তী একটি নির্মাণাধীন বাড়ির কার্নিশে সিমেন্টের ব্যাগে মুড়িয়ে ফেলে রাখে প্রতিবেশী যুবক মেহেরাজ। এই ঘটনায় নাবিলার দাদা আবদুল আজীজ বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ৬ বছর আদালতে মামলাটি বিচারাধীন থাকার পর বুধবার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আসামি মেহরাজকে মৃত্যদণ্ডাদেশ দেন।  কুমিল্লা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের (পিপি) বদিউল আলম সুজন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আরটিভি/এএএ 
১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪৭

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ১৪৬ শিশু ও নারী শহীদ: উপদেষ্টা শারমীন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিশু ১৩৫ ও ১১ জন নারী শহীদ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) ‘৬ষ্ঠ ন্যাশনাল ক্রিয়েটিভ চ্যালেঞ্জ’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ তথ্য জানান। উপদেষ্টা শারমীন বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিশু ১৩৫ ও ১১ জন নারী শহীদ হয়েছে। এ ছাড়াও এ আন্দোলনে ৫০০ জন অন্ধ এবং ২০ হাজার জন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, অনেক শিশু ও তরুণরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাদের জন্য কাউন্সিলিং সেন্টার করা দরকার। সেই সঙ্গে আহতদের পাশে দাঁড়াতে আইইউবি ও প্রতিটি মূলধারার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।   যতদিন দায়িত্ব আছে, ততদিন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আরটিভি/এফএ
১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:২৯

লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে প্রাণ হারালেন সাবেক শিশু তারকা
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারকারাও। প্যারিস হিলটন, জেনিফার গ্রে, ক্যারি এলওয়েসসহ বেশ কয়েকজন তারকার বাসভবন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আগুনে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন একজন সাবেক শিশু তারকা। তার নাম ররি সাইকস।  মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৩২ বছর। তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন ররির মা শেলি সাইকস। তিনি নিজের এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, আমি গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমার প্রিয় ছেলে @Rorysykes মালিবু অগ্নিকাণ্ডে গতকাল মারা গেছেন। আমি বিধ্বস্ত।  ররির মা আরও লিখেছেন, সে বহু সার্জারি এবং থেরাপির মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছিল এবং হাঁটতে শিখেছিল। দুর্ভোগের মধ্যেও ররি আফ্রিকা থেকে আন্টার্কটিকা পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করতে উৎসাহী ছিল। ১৯৯২ সালের ২৯ জুলাই যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন ররি। শিশু অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ায় চলে যান। পরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস শুরু করেন। ১৯৯৮ সালে শৈশবকালে ব্রিটিশ টিভি শো ‘কিডি ক্যাপারস’ এবং ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান শো ‘মর্নিংস উইথ কেরি-অ্যান’-এ উপস্থিত হয়ে দর্শকমহলে বেশ জনপ্রিয়তা পান। পাশাপাশি পেশাদার মোটিভেশনাল স্পিকার এবং দানবীর হিসেবেও সুপরিচিত ছিলেন তিনি। আরটিভি/এইচএসকে/এআর  
১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:৪৬

শহীদ রাব্বির শিশু কন্যার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সময় চলাকালে মাগুরায় নিহত শহীদ মেহেদী হাসান রাব্বির সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যা সন্তানের খোঁজখবর নিতে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দল।  সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মাগুরা পৌরসভার বরুণাতৈল গ্রামে শহীদ রাব্বির বাসায় গিয়ে তার কন্যা সন্তানের খোঁজ ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সহমর্মিতা এবং পাশে থাকার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।  এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপহার তুলে দেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর উপদেষ্টা ও বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহসম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল।  উপস্থিত ছিলেন- ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মো. মোকছেদুল মোমিন (মিথুন), সংগঠনটির সিনিয়র সদস্য মাসুদ রানা লিটন, সিনিয়র বিএনপি নেতা লুতফুল বারি মুকুল, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান মোহান, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল্লাহ আল মিসবাহ।  তারেক রহমানের পক্ষে প্রধান অতিথি প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল শহীদ রাব্বির কন্যা সন্তানের জন্য উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেন ও কন্যা শিশুর জন্য মাসিক ভাতার ঘোষণা দেন। শহিদ রাব্বির স্ত্রী তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।  আরও উপস্থিত ছিলেন- মাগুরা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক খান হাসান ইমাম সুজা, মো. আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক মো. কুতুব উদ্দিন, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. আব্দুর রহিম। আরটিভি/এমকে/এআর
০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩২

ভারতে এইচএমপিভি ভাইরাসের হানা, আক্রান্ত দুই শিশু
করোনাকাল পার হয়েছে পাঁচ বছর। এখনও বিশ্ববাসীর মনে দাগ কেটে আছে মহাদুর্যোগের সেই সময়কাল। এবার তেমনই আরেকটি মহাপ্রাদুর্ভাবের আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এইচএমপিভি নামে এক ভাইরাস। চীন, মালয়েশিয়ার পর এবার দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতেও হানা দিয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসটি। দেশটির বেঙ্গালুরুতে তিন ও আট মাস বয়সি দুই শিশু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। এতে বলা হয়, সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুতে প্রথমে আট মাস বয়সি এক শিশুর শরীরে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) ভাইরাসের হদিস মেলে। পরে তিন মাসের এক শিশুর শরীরেও একই ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের সাম্প্রতিককালে কোনো ভ্রমণের রেকর্ড নেই। দুই শিশুর শরীরে এইচএমপি ভাইরাসের যে স্ট্রেনের সংক্রমণ হয়েছে, সেটির সঙ্গে চীনের ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের স্ট্রেনের কোনো যোগ রয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।   এদিকে, তিন মাস বয়সি শিশুকে ইতোমধ্যে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং আট মাস বয়সি শিশুকে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।  অন্যদিকে, পর পর দু’টি সংক্রমণের খবর প্রকাশ্যে আসতেই কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীনেশ গুন্ডু রাও আজ দুপুরে একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। তবে রাজ্যবাসীকে অযথা উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন কর্নাটকের স্বাস্থ্যসচিব হর্ষ গুপ্তা। এইচএমপিভি ভাইরাস চীন থেকে যাতে করোনার মতো ভারতে ছড়িয়ে না পড়ে, তাই আগে থেকেই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে ভারত জানিয়ে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক অতুল গয়াল বলেন, শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত কোনো সমস্যা এখন থেকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। এ ধরনের জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রসঙ্গত, এইচএমপিভি একটি সংক্রামক রোগ এবং যেভাবে এটি ছড়ায়, তার সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে কোভিডের। বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোভিডের মতোই হাঁচি, কাশি, আক্রান্ত রোগীর কাছাকাছি অবস্থান, করমর্দন এবং স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এ রোগটি। এইচএমপিভি ভাইরাসের কোনো ওষুধ বা টিকা নেই। চীনের যেসব হাসপাতালে এইচএমপিভি রোগীরা ভর্তি হয়েছেন, তাদের চিকিৎসায় নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ ব্যবহার না করে প্রচলিত ওষুধই দেওয়া হচ্ছে। তবে, রোগটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং এর প্রতিরোধের সঙ্গে করোনা বা কোভিডের প্রতিরোধ ব্যবস্থার সাদৃশ্যও রয়েছে। রোগটি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা যেসব পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলো হলো— নিয়মিত দিনে কয়েকবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং কোনো কিছু স্পর্শ করার পর হাত ভালোভাবে ধোয়া এবং শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে বাড়িতে অবস্থান করা। আরটিভি/আইএম 
০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬:৫০

নাগেশ্বরীতে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার  
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে নজরুল ইসলাম নামে এক ব‍্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির মামা বাদী হয়ে রোববার (৫ জানুয়ারি) নাগেশ্বরী থানায় মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, শিশুটি নাগেশ্বরী পৌর এলাকার একটি মাদরাসার প্লে শ্রেণিতে পড়া লেখা করে। ওই শিশু অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের মেয়ের কাছে মাঝে মধ‍্যে প্রাইভেট পড়তো।  গত ৩০ ডিসেম্বর বিকেলের দিকে ওই বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে গেলে বাড়িতে কেউ না থাকায় শিশুটির মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক  ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করে তার মায়ের কাছে ধর্ষণের কথা জানায়। নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত‍্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত নজরুলকে গ্রেপ্তার করে কুড়িগ্রাম জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’ আরটিভি/এমকে/এআর
০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৪৫

বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী, ৭০ ভাগই শিশু
টানা কয়েক দিন ধরেই বেড়েছে শীত ও কুয়াশার তীব্রতা। প্রতিবারই শীত মৌসুমে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তবে শীতে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ বাড়ে বেশি। বছরের অন্যান্য সময় যে ডায়রিয়া বা কলেরা দেখা দেয়, তার থেকে শীতকালীন ডায়রিয়ার কিছুটা পার্থক্য আছে। শীতকালে শিশুদের ডায়রিয়ার মূল জীবাণু রোটাভাইরাস। এবার শীতে ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই শিশুরা। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র আইসিডিডিআর,বির চিকিৎসক ও গবেষকেরা বলছেন, রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। অনেক শিশুকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। বাড়িতে ভুলভাবে স্যালাইন খাওয়ানোর কারণে অনেক শিশু রক্তে মাত্রাতিরিক্ত সোডিয়াম নিয়ে বা ‘হাইপারনেট্রিমিয়া’র লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে আসছে। নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১৫টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে আইসিডিডিআরবি সূত্র জানিয়েছে। আইসিডিডিআর,বির নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল সার্ভিসেস বিভাগের হাসপাতাল শাখার সহকারী বিজ্ঞানী শোহেব বিন ইসলাম বলেন, হাসপাতালে প্রচুর শিশু আসছে রোটাভাইরাসজনিত ডায়রিয়া নিয়ে। গত বছরের চেয়ে রোগী প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি। কিছু শিশু বেশ খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে আসছে। মহাখালীর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০’র মতো শিশু। এমন অবস্থা যে হাসপাতালের সামনে তাঁবু গেড়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ডায়রিয়া আক্রান্তদের। প্রধান গেটের পরই বড় করে টানানো হয়েছে তাঁবু। যদিও এখনও সেখানে বেড করার প্রয়োজন পড়েনি। হাসপাতালের প্রধান ভবনের শুরুতেই নার্সরা এন্ট্রি নিচ্ছেন এবং চিকিৎসকরা রোগীদের দেখভাল করছেন। এই দুই বুথে ভিড় লেগেই আছে সারাদিন। এর ভেতরেই ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু ও বয়স্করা। আর আউটপেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ওপিডি) এ শিশুদের খাওয়ানো হচ্ছে স্যালাইন। মহাখালীর হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, ইমার্জেন্সি রুমের বেডে তিন বছরের শিশু মুসাকে নিয়ে শুয়ে আছেন তার বাবা মো. বিপ্লব হোসেন। তারা এসেছেন কেরানিগঞ্জ থেকে। দুই দিন ধরে ছেলের মাঝে মাঝে পাতলা পায়খানা হচ্ছিল। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) অনেক বেশি বেড়ে যায়, সঙ্গে জ্বরও আসে। এজন্য রাতেই তাকে নিয়ে আইসিডিডিআর,বির হাসপাতালে নিয়ে আসেন তিনি। পাশের আরেকটি বেডে ছেলে মো. ইউসুফ আলীকে কোলে নিয়ে বসে আছেন মা শারমিন আক্তার। তারা এসেছেন জামালপুর থেকে। ছেলে ইউসুফ আলীর বয়স ১১ মাস। প্রায় ছয় দিন ধরে পাতলা পায়খানা ইউসুফের। জামালপুরে ডাক্তার দেখানও হলেও লাভ হয়নি। তাই ঢাকায় নিয়ে এসেছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, তাকে স্যালাইন খাওয়াতে। হাসপাতালে আগত শিশুদের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডে নিয়ে গুরুতর না হলে কিছু সময় চিকিৎসা ও স্যালাইন খাইয়ে ও পরামর্শ মোতাবেক ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আইসিডিডিআর,বির দেওয়া তথ্যে দেখা যায়, ১ জানুয়ারি ডায়রিয়া নিয়ে ৮৫০ শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। কোনো কোনো দিন নয় শতাধিক রোগী ভর্তি হচ্ছে। ২৪ নভেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তি হওয়া রোগী হিসাব করলে দেখা যায়, দৈনিক ৮৫০ জন ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৭৯ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু। এদের বয়স পাঁচ বছরের কম। পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, দুই বছর বা তার কম বয়সী শিশুর সংখ্যা ৭৬ শতাংশের বেশি। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ৬৪৮ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে আসেন। শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৬৭ জন ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এর আগে, ২০২৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর এ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৮৯১ জন, ২৯ ডিসেম্বর ৮২৬ জন, ৩০ ডিসেম্বর ৯১৩ জন, ৩১ ডিসেম্বর ৮৮৪ জন। আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ কমিউনিকেশন ম্যানেজার এ কে এম তারিফুল ইসলাম খান বলেন, প্রতিবছর শীত এলেই ডায়রিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে। বিশেষ করে নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই চার মাস রোটাভাইরাসের প্রভাব বেশি থাকে। তিনি আরও বলেন, আইসিডিডিআর,বিতে ভর্তিপ্রতি ৫০তম রোগীর টয়লেট পরীক্ষা করে দেখা হয়-ডায়রিয়ার কারণ ভাইরাস নাকি ব্যাকটেরিয়াজনিত। পরীক্ষায় দেখা গেছে, বর্তমান সময়ে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ রোগীর ডায়রিয়া হচ্ছে রোটাভাইরাসের কারণে। বাকি ৫০ শতাংশ অন্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার কারণে হচ্ছে। শিশুস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের একটি অংশ বলছেন, রোটাভাইরাসের টিকা আছে। ভারত ও আফগানিস্তানে রোটাভাইরাসের টিকা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়।  বিশিষ্ট শিশুরোগবিশেষজ্ঞ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, বাংলাদেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিতে (ইপিআই) রোটাভাইরাসের টিকা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আইসিডিডিআর,বির বিজ্ঞানীরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে ওআরএসের ব্যাপারে মায়েদের ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। শিশুকে ঘরের বাইরের খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশুদ্ধ খাবার পানি খাওয়াতে হবে। শিশুকে খাওয়ানোর আগে হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে। শিশুর মল পরিষ্কার করার পরও হাত ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। আইসিডিডিআর,বির বিজ্ঞানী ডা. লুবাবা শাহরিন বলেন, অতিরিক্ত বমি করলে, কিছু খাওয়াতে না পারলে, আচরণগত পরিবর্তন দেখা দিলে, অনেক জ্বর থাকলে, পায়খানার সঙ্গে রক্ত গেলে হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। বমিরও একটা বিষয় আছে, ঘণ্টায় যদি তিনবারের বেশি বমি করে, তার মানে সে কিছুই পেটে রাখতে পারছে না। স্যালাইন দিচ্ছেন আর সে বের করে দিচ্ছে, তাহলে হাসপাতালে নিতে হবে। ভাইরাল ডায়রিয়ায় জ্বর থাকে। কিন্তু যদি অতিরিক্ত জ্বর থাকে, তাহলেও হাসপাতালে আনতে হবে। শিশুর মানসিক আচরণে পরিবর্তন হলে। শিশু যে রকম হাসিখুশি থাকে, খেলাধুলা করে, যাদের ডায়রিয়া হয় তাদেরও কিন্তু অ্যাক্টিভিটি স্বাভাবিকই থাকে। যদি দেখা যায় বাচ্চা একেবারে নেতিয়ে পড়েছে, ঘাড় সোজা করে রাখতে পারছে না, শিশুর মুখে খাবার দেওয়া যাচ্ছে না অথবা ভীষণ খিটখিটে হয়ে গেছে, অর্থাৎ কোনোভাবেই তাকে শান্ত করা যাচ্ছে না। এই পরিবর্তনগুলো অ্যালার্মিং সাইন। তাহলে শিশুকে হাসপাতালে আনতে হবে। বয়স ও ওজন অনুযায়ী স্যালাইন না খাওয়ালে শিশুদের জটিলতা দেখা দিতে পারে স্যালাইন ডায়রিয়ার জন্য অবশ্যই ওষুধ হিসেবেই খাওয়াতে হবে। সঠিক নিয়মেই বানাতে হবে। বাজারে যে ওরস্যালাইন পাওয়া যায় তার পেছনে নির্দেশনা লেখা থাকে, সে অনুযায়ী খাওয়াতে হবে। বেশিরভাগ স্যালাইনকেই আধা লিটার বোতলে মিশ্রণ করতে হয়। এরপর বয়স অনুযায়ী পরিমাণ মতো খাওয়াতে হয়। যেমন সাধারণত শিশুর বয়স যতো তত চা চামচ স্যালাইন খাওয়ানো বাচ্চার জন্য যথেষ্ট। যতবার তাদের স্টুল পাস বা পাতলা পায়খানা হওয়ার পরে ওজন অনুযায়ী এক চামচ করে (১০ কেজি হলে ১০ চামচ) স্যালাইন খাওয়াতে হবে। আরটিভি/এমএ/এস  
০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:১২

মায়ের সঙ্গে ৭ মাসের শিশু কারাগারে
মাদক মামলায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার মায়ের সঙ্গে ৭ মাসের দুগ্ধজাত শিশু সাওদাকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) শিশুসহ মাকে গাজীপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার খাদিজা কাশেম। অভিযুক্ত মা আছমা আক্তার (৩২) শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ (কালীবাড়ি) এলাকার আলমের স্ত্রী এবং ইয়াকুব আলীর মেয়ে। সাত মাসের শিশু সাওদা আছমার মেয়ে। শ্রীপুর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুর রহমান ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে মাদক ব্যবসায়ী আলমকে ধরতে গেলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে আলমের বসতঘর থেকে ৫০০ গ্রাম গাজাসহ তার স্ত্রী আছমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ঘরে সাত মাসের দুগ্ধজাত শিশু ছিল। শিশু সাওদাকে দেখাশোনা করার মত কেউ না থাকায় শিশুর যত্নে ঘাটতি না হওয়ার জন্য তাকেও তার মায়ের সঙ্গে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, ওই নারী ও তার স্বামী আলমের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। অভিযুক্ত আছমাকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার রাতে থানা হাজতে রাখা হয়। শিশুটির যেন কোনো অযত্ন না হয় তাই শিশুটিকেও তার মায়ের সঙ্গে রাখা হয়। শুক্রবার গাজীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা জজ আদালতের আইনজীবী এমদাদুল হক মাসুম বলেন, দুগ্ধজাত শিশু থাকলে মায়ের সঙ্গে তাকে কারাগারে দেওয়ার আইনগত বিধান রয়েছে। গাজীপুর জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার খাদিজা কাশেম বলেন, শুক্রবার দুপুরের দিকে গাজীপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত আছমার সঙ্গে তার শিশুটিকেও দিয়ে যায়। কারাগারে শিশুটিকে তার মায়ের সঙ্গেই রাখা হয়েছে। শীত নিবারণের জন্য পর্যাপ্ত শীতের কাপড়ও ও শিশু খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে। আরটিভি/এফএ
০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৪৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়