চাঁদের ধূলিকণার মালিকানা ধরে রাখতে নাসার বিরুদ্ধে মামলা
যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসিতে বসবাসকরী লরা সিকো নামক এক নারী মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। চাঁদের দেশ বিজয়ী নীল আর্মস্ট্রংয়ের কাছ থেকে সরাসরি পাওয়া চাঁদের ধূলিকণার মালিকানা নিজের কাছে রাখতে এ মামলাটি করা হয়েছে। চাঁদের ধূলিকণাগুলো ছোট একটি শিশিতে করে বাদী লরার মাকে নভোচারী নীল আর্মস্ট্রং দিয়েছিল বলে দাবী করা হয়েছে। খবর হাফিংটন পোস্ট ও ইয়াহু নিউজ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নীল আর্মস্ট্রং বাদীদের পারিবারিক বন্ধু ছিলেন। লরা সিকোর মা লরা অ্যান মুরেকে নীল আর্মস্ট্রং নিজে একটি টিউবাকৃতির শিশিতে করে চিঠি লিখে চাঁদের এই ধূলিকণাগুলো পাঠিয়েছিলেন।
চাঁদের ধূলিকণাসহ এই শিশিটির মালিকানা ফিরে যাওয়ার কারণে মামলাটি করা হয়েছে। লরা সিকো ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান, আর্মস্ট্রংয়ের অটোগ্রাফ যুক্ত সেই চিঠিটি তিনি তার শয়নকক্ষে খুঁজে পান। পরে তিনি তার পিতামাতার পুরনো জিনিসপত্র থেকে চাঁদের ধূলিকণাসহ সেই শিশিটি খুঁজে পান।
যদিও নাসা শিশিটি এখনো বাজেয়াপ্ত করেনি, কিন্তু বাজেয়াপ্ত করার আগেই সিকো মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করে রেখেছে যাতে তিনি আগে থেকেই তার অধিকার বজায় রাখতে পারে।
কোনও ধরনের অপরাধ সংগঠিত হওয়ার আগেই মামলা করা একটু অদ্ভূত শোনালেও যুক্তরাজ্যে প্রো অ্যাকটিভ আইনে মামলা প্রায়ই দেখা যায়। এই আইনে বাদীরা মামলা করে থাকেন সম্ভাব্য কোন ভবিষ্যৎ বিপত্তির কথা মাথায় রেখে।
সিকোর আইনজীবী ক্রিস্টোফার ম্যাকহিউ বলেন, অটোগ্রাফ বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে আর্মস্ট্রংয়ের অটোগ্রাফের সত্যতা পাওয়া গেছে।
আদালত থেকে প্রাপ্ত নথি থেকে এ বিষয়টি জানা যায় যে, এই ধূলিকণাগুলো সত্যি সত্যি চাঁদের পৃষ্ঠদেশ থেকে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফরচুন ডট কমের মতে, চাঁদ থেকে আনা জিনিসপত্র ব্যক্তিগত সংগ্রহে রাখা যাবে না এ সংক্রান্ত কোনও আইন যুক্তরাষ্ট্রে নেই।
রিকোর আইনজীবী ম্যাকহিউ জানান, নাসা এর আগেও ব্যক্তিগত সংগ্রহে রাখা চাঁদ থেকে আনা জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে।
তবে নাসার লুনার অ্যালোকেশন হ্যান্ডবুকের মতে, চাঁদ থেকে আনা সকল জিনিসপত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সম্পত্তি এবং অনুমতি ব্যাতিরেকে এগুলো ব্যবহার করা যাবে না।
এ মামলা নিয়ে নাসার পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কেএইচ/ জেএইচ
মন্তব্য করুন