• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

আজ ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৯ মে ২০১৮, ১০:৪৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ জামাতা দেশের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০০৯ সালের ৯ মে তার মৃত্যু হয়।

উপমহাদেশের খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জের লালদীঘি ফতেপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এক বাণীতে বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষা, গবেষণা ও রাজনীতিতে ড. ওয়াজেদ মিয়ার অবদান বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান। এছাড়া আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘ, পদার্থবিজ্ঞান সমিতি, বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতি, বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতি, বঙ্গবন্ধু আদর্শ মূল্যায়ন ও গবেষণা সংসদ, রংপুর জেলা সমিতি, জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বিজ্ঞানে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্যার জগদীশচন্দ্র বসু সোসাইটি তাকে ‘স্যার জগদীশচন্দ্র বসু স্বর্ণপদকে’ভূষিত করে।

দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন আজ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে ওয়াজেদ মিয়ার ডাকনামে রাখা রাজধানীর ধানমণ্ডির সুধাসদনের বাসায় দিনব্যাপী কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এছাড়া ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্মরণসভা ও শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি প্রদান করা হবে। বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের পক্ষ থেকে পুরানা পল্টনের কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে।

এছাড়া দিনটি উপলক্ষে রংপুরে নিজগ্রামে উপজেলার ফতেপুরে পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও ড. ওয়াজেদ মিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ওয়াজেদ মিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফতেপুরে ‘জয় সদন’চত্বরে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ। বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ওয়াজেদ মিয়াকে মরণোত্তর সম্মাননা পদক এবং তার জীবনীর ওপর তিনটি গ্রুপে ‘রচনা প্রতিযোগিতায়’অংশ নেয়া বিজয়ী ও গুণীজনদের পদক প্রদান করা হবে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি জার্মানিতে ছিলেন। এরপর একটানা প্রায় সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরেন। কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা হোসেন পুতুল তার দুই সন্তান। মুক্তিযুদ্ধের আগে ছাত্রলীগ নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের ভিপি হিসেবে আইয়ুব খানবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন প্রয়াত এ পরমাণু বিজ্ঞানী। এ কারণে ১৯৬২ সালে গ্রেপ্তারও হন। যদিও এরপর আমৃত্যু রাজনীতির বাইরে ছিলেন তিনি।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পদার্থবিজ্ঞান, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও প্রকৌশলের ছাত্রদের জন্য দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। এছাড়া তার লেখা ৪৬৪ পৃষ্ঠার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ শিরোনামের গ্রন্থটি ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে এবং ৩২০ পৃষ্ঠার ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের চালচিত্র’ শিরোনামের গ্রন্থটি ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড প্রকাশ করে। বহুল রাজনৈতিক ঘটনা সংবলিত এই দুটি গ্রন্থ সুধী পাঠকদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিজ্ঞান এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh