বজ্রাঘাতে বেশিরভাগের মৃত্যু ধানক্ষেত, খোলা রাস্তা, খেলার মাঠে

সম্প্রতি বছরগুলোতে বজ্রপাত মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ভয়াবহ এই দুর্যোগে সারাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩৫০ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। চলতি বছর মার্চ ও এপ্রিল মাসেই মারা গেছে ৬২ জন। এর মধ্যে ২০ জনের বেশি মাঠে ধান কাটা বা ফসলি জমিতে কাজ করতে গিয়ে মারা যায়। অন্যদের মধ্যে বেশির ভাগ মারা যায়- ফাঁকা মাঠে খেলাধুলা করার সময়, গরু-ছাগল বাড়ি আনার সময়, স্কুল থেকে ফেরার সময়, আম কুড়ানো বা অন্যান্য কাজে বাইরে বের হলে।

স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সেভ দ্য সোসাইটি এন্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের (এসএসটিএএফ) গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রতিষ্ঠানটির হিসেব মতে, ২০১০ সালে সারাদেশে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় ১২৪ জনের। ২০১১ সালে ১৭৯ জন, ২০১২ সালে ৩০১ জন, ২০১৩ সালে ২৮৫ জন, ২০১৪ সালে ২১০ জন, ২০১৫ সালে ২৭৪ জন, ২০১৬ সালে ৩৫০ জন, ২০১৭ সালে ৩১৫ জন এবং চলতি বছর মার্চ ও এপ্রিলের ৩০ তারিখ পর্যন্ত সারাদেশে মারা যায় ৬২ জন।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : মহাকাশে চালু হচ্ছে বিলাসবহুল হোটেল!
--------------------------------------------------------

প্রতিষ্ঠানটির দাবি, মাঠে মাঠে বজ্র নিরোধক টাওয়ারই পারে কৃষকের জীবন বাঁচাতে। দেশের হাওর অঞ্চলগুলোতে বেশি বজ্রপাত হওয়ায় দ্রুতই ওইসব অঞ্চলে বজ্র নিরোধক টাওয়ার নির্মাণ জরুরি হয়ে উঠেছে।

সেভ দ্য সোসাইটি এন্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম’র বজ্রপাত সচেতনতা সেলের প্রধান আব্দুল আলীম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও শিল্পায়নের ফলে পৃথিবী উত্তপ্ত হয়েছে। এতে শুধু বাংলাদেশই নয় সারা বিশ্বেই বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়েছে। বজ্রপাত এমন একটি দুর্যোগ যাকে কোন ভাবেই মানুষের পক্ষে বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে বজ্রপাতকে আমরা মোকাবিলা করতে পারি।

তিনি বলেন, সরকারিভাবে দেশের প্রতিটা মাঠে বিশেষ করে হাওর অঞ্চলের মাঠগুলোতে বজ্র নিরোধক টাওয়ার নির্মাণ করলে মাঠ এলাকায় যত বজ্রপাত হবে সেগুলো টাওয়ার টেনে নেবে। এতে সাধারণ কৃষকের প্রাণহানি ঘটবে না।

আরও পড়ুন :

• চীনা মহাকাশ স্টেশন কোথায় আছড়ে পড়লো

এসজে