• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

নরওয়েতে পৃথিবীর প্রথম এনার্জি-পজিটিভ হোটেল

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ০৯ মার্চ ২০১৮, ১৯:২৮

২০২১ সালে এসভার্ট নামে পৃথিবীর প্রথম এনার্জি-পজিটিভ হোটেল চালু হতে যাচ্ছে উত্তর নরওয়ের হেলগোল্যান্ড উপকূলে। খবর সিএনএন এর।

নরওয়ের আলম্লফজিয়েলেট পর্বতের পাশ ঘেষে এটি নির্মাণ করা হবে। এই এলাকাটি ভৌগলিকভাবে আর্কটিক সার্কেলের অন্তর্ভূক্ত। এনার্জি-পজিটিভ মানে যতটুকু শক্তি ব্যয় করা হবে তার চেয়ে বেশি শক্তি উৎপাদিত হবে।

নরওয়ের মূল ভূখন্ডের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম হিমবাহ এসভার্টিসেনের পাদদেশে এ হোটেলটি নির্মাণ করা হবে। হোটেলটি ডিজাইন করছে আন্তর্জাতিক স্থাপত্য ফার্ম স্নোহিটা। আর্কটিক অ্যাডভেঞ্চার অব নরওয়ে এবং রিয়েল এস্টেট কোম্পানি মাইরিস যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে। ভবিষ্যৎমুখী এ প্রকল্পটি জিওথার্মাল ও সোলার এনার্জি তৈরির মাধ্যমে হোটেলটির সব কাজ চলবে।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন: যে নৌকা কখনোই ডুববে না! (ভিডিও)
--------------------------------------------------------

স্নোহিটার এসভার্ট প্রজেক্ট ম্যানেজার জেনুল খান বলেন, আর্কটিকের প্রকৃতি একইসাথে ভঙ্গুর এবং বিশুদ্ধ। আমরা স্থানীয় এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এমনভাবে হোটেলটি নির্মাণ করবো যাতে এসভার্টিসেন হিমবাহটি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে।

এসভার্ট নামক এই হোটেলটির ছাদের ৫১ হাজার বর্গফুট জায়গা ধরে সোলার প্যানেল বসানো হবে। এ সোলার প্যানেল থেকে ‍উৎপাদিত শক্তি হোটেলটির দৈনন্দিন রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যতটুকু শক্তি দরকার তার থেকেও অনেক বেশি হবে।

হোটেলটি বানানো হবে স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত উপাদান দিয়ে। নরওয়ের বিখ্যাত রুবরু নামক ফিশিং ভিলেজের আদলে হোটেলটি বানানো হবে পরিবেশ বান্ধব কাঠ ও পাথর দিয়ে।

বৃত্তাকার রিং শেপের এই হোটেলটি বানাতে এরকম ব্যবস্থা নেয়া হবে যেটার মাধ্যমে শক্তি খরচ হবে প্রচলিত হোটেল নির্মাণের ৮৫ শতাংশেরও কম। ব্যাতিক্রম ধর্মী টেরাস নির্মাণের মাধ্যমে গ্রীষ্মকালে প্রাকৃতিকভাবে গরম কমানোর ব্যবস্থা থাকবে। আর জিওথারমাল দেয়াল নির্মাণের মাধ্যমে শীতে গরমের ব্যবস্থা করা হবে।

এই হোটেলটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপারটি হচ্ছে এর সবগুলো রুম থেকে ৩৬০ ডিগ্রী অ্যাংগেলে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যাবে। তারমানে প্রত্যেকটি কক্ষের বাসিন্দারা আর্কটিকের অসাধারণ দৃশ্যাবলী উপভোগ করতে পারবেন। একেক রুমের বাসিন্দারা একেকভাবে আর্কটিককে দেখার সুযোগ পাবেন। গ্রীষ্মকালে দর্শনার্থীরা এসভার্টিসান হিমবাহে কায়াকিং, হাইকিং ও সাইক্লিং করতে পারবেন। আর শীতকালে উপভোগ করতে পারবেন আর্কটিকের মনমাতানো নর্দার্ন লাইট।

আরও পড়ুন:

কেএইচ/ এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিজ্ঞান এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
চুরির দায় স্বীকার করে নরওয়ের শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ
X
Fresh