• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

কাল-পরশু মধ্যরাতে দেখা যাবে উল্কাবৃষ্টি

আরটিভি নিউজ ডেস্ক

  ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:৫৩
Geminidis meteor shower in the night sky from Ruski Island in the Sea of Japan in December 2017
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জাপান সাগরে রাস্কি দ্বীপ থেকে রাতের আকাশে তোলা জেমিনিডিস উল্কা বৃষ্টিপাতের দৃশ্য

রহস্যে ঘেরা সৌরজগত। এই জগত ঘিরে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কত কি দেখা যায়। আমরা পৃথিবীতে বসে তা দেখি। প্রায় প্রতি বছর পৃথিবী ঘিরেও আজব লীলা দেখা যায়। আগামীকাল রোববার ও সোমবারও আপনিও দেখতে পারবেন আজব এক বৃষ্টি। নাম উল্কাবৃষ্টি। আকাশের এক প্রান্ত থেকে ছিটকে অন্যপ্রান্তে পৌঁছবে উল্কা। একটা নয় অসংখ্য। ঘণ্টায় অন্তত ৬০টি। আর সেই অসম্ভব সুন্দর উল্কাবৃষ্টি শুরু হবে মধ্যরাতের পরেই। চলবে পরের দিনের ভোর পর্যন্ত। উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে আকাশের পূর্ব থেকে উত্তর-পূর্ব অংশে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই উল্কাবৃষ্টির নাম ‘জেমিনিড মেটিওর শাওয়ার’। বছরে যত রকমের উল্কাবৃষ্টি হয়, তার মধ্যে উজ্জ্বলতম এই জেমিনিড মেটিওর শাওয়ার।

ডিসেম্বরের ৪ তারিখ থেকে এই উল্কাবৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তর গোলার্ধে। সেই ‘বৃষ্টিপাত’-এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হবে আগামীকাল ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর। উত্তর গোলার্ধে তা দেখা যাবে রাত ২টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত। আর আমাদের দক্ষিণ গোলার্ধে তা দৃশ্যমান হবে মধ্যরাতের পর। রাত যত গড়াবে ততই তার দৃশ্যমানতা বাড়বে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে পৃথিবীর যে কোনো জায়গা থেকে দেখা যাবে জেমিনিডস উল্কার বৃষ্টিপাত।

আকাশের দিকে তাকিয়ে হয়তো গত কয়েক মাসে আপনি অন্য উল্কা বৃষ্টি দেখে থাকতে পারেন, কিন্তু ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর যে উল্কা বৃষ্টি হতে যাচ্ছে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন সেটা হবে ‘সব উল্কা বৃষ্টির রাজা’।

ব্রিটেনে গ্রেনিচের মানমন্দির, রয়াল অবজারভেটরির জ্যোতির্বিজ্ঞানী প্যাট্রিশিয়া স্কেলটন বলেন, ধূমকেতুর রেখে যাওয়া ধুলিকণায় ভরা আস্তরণের মধ্যে দিয়ে যখন পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে, তখন সাধারণত উল্কা বৃষ্টি ঘটে থাকে। উল্কা যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকে তখন তার গতি থাকে প্রতি সেকেন্ডে ৩৫ কিলোমিটার। সেটা প্রতি ঘণ্টায় ১ লাখ ৩০ হাজার কিলোমিটারের সামান্য কম!

উল্কা বৃষ্টির সময় দেখতে পাবেন রাতের আকাশ আলোকিত হয়ে উঠছে হলুদ আলোর ছটায়, কখনও কখনও দেখবেন সবুজ বা নীল আলোর ঝিলিক।

প্যাট্রিশিয়া বলেন, উল্কার কণাগুলো পুড়ে গিয়ে আকাশে এদিক ওদিক ছিটকে পড়ার কারণে এই আলোর রোশনাই আমরা দেখতে পাবো। সূত্র: বিবিসি ও আনন্দবাজার পত্রিকা।

জিএ/পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিজ্ঞান এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh