হাবীবুল্লাহ কাসেমী গ্রেপ্তার
রাজধানীর ভাটাড়া এলাকা থেকে হেফাজতে ইসলামের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা হাবীবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর অন্যতম সদস্য।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ভাটাড়া এলাকা থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের ওয়ারি বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিবি) আব্দুল আহাদ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
হাবীবুল্লাহ কাশেমী ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডব মামলার আসামি।
হেফাজতের সাম্প্রতিক সময়ের সহিংসতায় হাবীবুল্লাহ কাসেমী জড়িত ছিলেন বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তথ্য রয়েছে।
এফএ
মন্তব্য করুন
রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব চাইল ইসি
গেল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যয় করা অর্থের হিসাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর ৪৪গগগ (১) ও (৫) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন সমাপ্ত হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যয় বিবরণী নির্বাচন কমিশনে দাখিল করার বিধান রয়েছে।
গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যয় বিবরণী দাখিলের জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে তার সভাকক্ষে নির্বাচন কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত হয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে।
সভা শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ঘোষিত তপসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলে শেষ সময় ১৫ এপ্রিল। যাচাই-বাছাই ১৭ এপ্রিল এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে।
‘ভারত বর্জনের ডাকে পাকিস্তান আমলের রাজনীতি চালুর চেষ্টা চলছে’
ভারত বর্জনের ডাক দিয়ে দেশে পাকিস্তান আমলের রাজনীতি চালুর অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
সোমবার (২৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মেনন বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। কিন্তু এখনও তারা এবং তাদের সংগঠন রাজনীতি করে চলেছে। সম্প্রতি তারা নতুন করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। বয়কট ইন্ডিয়া স্লোগান তুলেছে। এই স্লোগান দিয়ে তারা কার্যত পাকিস্তান আমলের রাজনীতিকেই বাংলাদেশে চালুর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা রাষ্ট্রের। কিন্তু আমরা দেখেছি, বিএনপির শাসনামলে আমাদের শহীদদের সংখ্যা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর দীর্ঘ সময় পার গেছে, কিন্তু গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে খুব একটা ব্যবস্থা নিতে পারিনি। গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর দেশে দেশে যে গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে, আজ ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা হচ্ছে অথবা এর আগে যেখানে গণহত্যা হয়েছিল সেগুলোর বিচারের জন্য এই স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ।’
বিএনপি-জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি উল্লেখ করে মেনন এরপর বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা এখনও দেশে রাজনীতি করছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সহযোগীদের ঘৃণ্য রাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে আমাদের।
ঈদের আগে মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
মাওলানা মামুনুল হককে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর খলিল আহমাদ কাসেমী।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে ‘পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ দাবি জানান।
খলিল আহমাদ কাসেমী বলেন, মামুনুল হককে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এখনো তিনি কারাবন্দি। আমরা ঈদের আগেই তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, জামিন পাওয়া দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। মাওলানা মামুনুল হক দেশের একজন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন। তাকে জামিন না দিয়ে বছরের পর বছর জেলে আটকে রাখা দেশে বিচারহীনতার প্রমাণ বহন করে। বিচারহীনতার এ ধারাবাহিকতা আর চলতে দেওয়া যায় না। মামুনুল হককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। আমরা সরকার পতন আন্দোলন করি না। কিন্তু আমাদের বাধ্য করলে কোনো উপায় থাকবে না।
এ সময় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নামে করা সব মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান সংগঠনটির সিনিয়র নায়েবে আমীর খলিল আহমাদ কাসেমী।
ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা ড. আহমদ আব্দুল কাদের প্রমুখ।