জরুরি সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছে হেফাজত
সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে হামলা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে সংবাদ সম্মেলন করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
আগামীকাল সোমবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টায় সংগঠনটির ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল শনিবার (২০ মার্চ) দিনগত রাতে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরী সেক্রেটারি মামুনুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন...
নির্বাচনে হেরে স্ত্রীকে তালাক দিলেন যুবদল নেতা
কেএফ
মন্তব্য করুন
‘ভারত বর্জনের ডাকে পাকিস্তান আমলের রাজনীতি চালুর চেষ্টা চলছে’
ভারত বর্জনের ডাক দিয়ে দেশে পাকিস্তান আমলের রাজনীতি চালুর অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
সোমবার (২৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মেনন বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। কিন্তু এখনও তারা এবং তাদের সংগঠন রাজনীতি করে চলেছে। সম্প্রতি তারা নতুন করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। বয়কট ইন্ডিয়া স্লোগান তুলেছে। এই স্লোগান দিয়ে তারা কার্যত পাকিস্তান আমলের রাজনীতিকেই বাংলাদেশে চালুর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, গণহত্যার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা রাষ্ট্রের। কিন্তু আমরা দেখেছি, বিএনপির শাসনামলে আমাদের শহীদদের সংখ্যা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর দীর্ঘ সময় পার গেছে, কিন্তু গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে খুব একটা ব্যবস্থা নিতে পারিনি। গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর দেশে দেশে যে গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে, আজ ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা হচ্ছে অথবা এর আগে যেখানে গণহত্যা হয়েছিল সেগুলোর বিচারের জন্য এই স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ।’
বিএনপি-জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তি উল্লেখ করে মেনন এরপর বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা এখনও দেশে রাজনীতি করছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সহযোগীদের ঘৃণ্য রাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে আমাদের।
ঈদের আগে মামুনুল হককে মুক্তি না দিলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
মাওলানা মামুনুল হককে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর খলিল আহমাদ কাসেমী।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে ‘পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ দাবি জানান।
খলিল আহমাদ কাসেমী বলেন, মামুনুল হককে ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এখনো তিনি কারাবন্দি। আমরা ঈদের আগেই তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, জামিন পাওয়া দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। মাওলানা মামুনুল হক দেশের একজন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন। তাকে জামিন না দিয়ে বছরের পর বছর জেলে আটকে রাখা দেশে বিচারহীনতার প্রমাণ বহন করে। বিচারহীনতার এ ধারাবাহিকতা আর চলতে দেওয়া যায় না। মামুনুল হককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। আমরা সরকার পতন আন্দোলন করি না। কিন্তু আমাদের বাধ্য করলে কোনো উপায় থাকবে না।
এ সময় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নামে করা সব মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান সংগঠনটির সিনিয়র নায়েবে আমীর খলিল আহমাদ কাসেমী।
ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা ড. আহমদ আব্দুল কাদের প্রমুখ।
‘খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত’
খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সরকারের সঙ্গে আমি যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট বীর বিক্রম ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অলি আহমদ বলেন, ‘আমি বেগম জিয়ার মুক্তি চাই। আমি একজন বীর বিক্রম তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার অনুরোধ খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আপনাদের সঙ্গে যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মতো এতো গুনে গুণান্বিত একজন নারী এবং সর্বজনীন গণতন্ত্রের রূপকার বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিনা দোষে কারাগারে রেখে যে অন্যায় করতেছেন, একদিন আল্লাহর কাছে কী জবাব দিবেন?’
অনুষ্ঠানে এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নূরুল আলম তালুকদার, ডক্টর নেয়ামূল বশির, ডক্টর আওরঙ্গজেব বেলাল, এড. কে কিউ স্যাকলায়েন, সাবেক ডিসি হামিদুর রহমান খান, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, আইন সম্পাদক এড. আবুল হাসেম, প্রচার সম্পাদক, এড. নিলু, ঢাকা মহানগর উত্তর এলডিপির সাধারণ সম্পাদক অবাক হোসেন রনি, দক্ষিণের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, পূর্বের সাধারণ সম্পাদক অসিম ঘোষ, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান, গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খালিদ বিন জসিম, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মাদ্রাজি, আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক এড. নূরে আলম, কৃষক দলের সভাপতি এবিএম সেলিম এবং সাংস্কৃতিক দলের মাসুদ উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পদ্মশ্রী নিলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। রবীন্দ্রসংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে এই সম্মাননা দিয়েছে ভারত সরকার।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন তিনি।
এদিন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়সহ বিশিষ্টজনেরা।
জানা গেছে, চলতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচজন গুণী ব্যক্তিত্বকে পদ্মবিভূষণ, ১৭ জনকে পদ্মভূষণ ও ১১০ জনকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। তাদের মধ্যে ৩০ জন নারী, ৮ জন বিদেশি এবং ৯ জন মরণোত্তর পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিও রয়েছেন।
গেল ২৫ জানুয়ারি ভারত সরকার ২০২৪ সালের পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করে। সোমবার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সম্মাননা সমাজের নানা ক্ষেত্রে অবদান রাখা ব্যক্তিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
২০১৬ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদক পান রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ২০১৭ সালে ‘বঙ্গভূষণ’ পদক পান তিনি। এ ছাড়াও বহু পুরস্কার পেয়েছেন এই গায়িকা।
‘পদ্মশ্রী’ ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কারগুলোর মধ্যে একটি। প্রতি বছর ‘পদ্মবিভূষণ’, ‘পদ্মভূষণ’ এবং ‘পদ্মশ্রী’ নামে তিনটি বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
সূত্র : এএনআই
তীব্র গরমে সালাতুল ইসতিসকা আদায়ের কর্মসূচি জামায়াতের
রাজধানীসহ সারাদেশেই চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর ফলে ইতোমধ্যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়ের কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টিতে দেশের আবহাওয়া অত্যন্ত উষ্ণ হয়ে পড়েছে। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। একদিকে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে প্রচণ্ড গরম, অন্যদিকে অনাবৃষ্টিতে মানুষ, পশু-পাখি ও জীব-জন্তুর জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। একমাত্র মহান রাব্বুল আলামিনই আমাদেরকে এহেন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ দিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশের মানুষ গরমে কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক-শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার শ্রমজীবী মানুষ কর্মক্ষেত্রে প্রচণ্ড গরমে কষ্ট পাচ্ছে। গত ২২ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একজন রিকশাওয়ালা অসহনীয় গরমে মারা গেছেন। দেশে বিরাজমান এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহ তাআলার অবারিত রহমত তথা বৃষ্টি কামনা করে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ করার জন্য ওলামায়ে কেরাম, জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসী সবার প্রতি আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আগামীকাল বুধবার ও বৃহস্পতিবার (২৪ ও ২৫ এপ্রিল) জামায়াতে ইসলামীর সকল সাংগঠনিক শাখার উদ্যোগে জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে সালাতুল ইসতিসকার আদায়ের কর্মসূচি সফল করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।