বাবলুর জানাজার সময় ও স্থান জানালো জাপা
জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর নামাজে জানাজার সময় ও স্থানের বিষয়ে তথ্য জানিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। জানা গেছে, বাবলুর জানাজার নামাজ আজই বাদ এশা গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। পরে তার মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে দাফন করা হবে। এর আগে দুপুর ১ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে রাখা হবে তার মরদেহ।
কোভিড জটিলতায় মারা গেছেন তিনি। ঢাকার শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার (০২ অক্টোবর) সকালে তার মৃত্যু হয় বলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী জানিয়েছেন। জিয়াউদ্দিন বাবলুর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
গত মাসে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জিয়াউদ্দিন বাবলু। অবস্থার অবনতি ঘটার পর তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল।
জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ৭ তারিখে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি (বাবলু)। পরে তাকে স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেওয়া হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সেই সংক্রান্ত জটিলতা থেকে তিনি আর বেরোতে পারেননি।
সাবেক এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় তারা জিয়াউদ্দিন বাবলুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
১৯৫৪ সালে চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া বাবলু দ্বিতীয় দফায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সাবেক সংসদ সদস্য বাবলু এইচ এম এরশাদের সরকারে উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।
জাসদ-বাসদ নেতা বাবলু গত শতকের ৮০ এর দশকের শুরুতে ডাকসুর জিএস থাকা অবস্থায় সামরিক শাসক এরশাদের দলে যোগ দিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন।
তাকে প্রথমে উপদেষ্টা করেছিলেন সামরিক আইন প্রশাসক এরশাদ। পরে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। এরপর বাবলুকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং পরে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী করা হয়েছিল।
১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বাবলু। পরে ২০১৪ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য হন। এরশাদের জীবদ্দশায় ২০১৪ থেকে দুই বছর জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন বাবলু। ২০২০ সালে আবার সেই দায়িত্বে ফিরেছিলেন তিনি।
২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল জাতীয় পার্টির প্রায়ত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাগ্নি মেহেজাবুন্নেসা রহমান টুম্পাকে বিয়ে করেছিলেন বাবলু। তার প্রথম স্ত্রী অধ্যাপক ফরিদা আক্তার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে মারা যান। বাবলু-ফরিদা দম্পতির ১ মেয়ে ও ১ ছেলে রয়েছে।
কেএফ
মন্তব্য করুন