এরিক এরশাদের ঘোষণা: জাপা চেয়ারম্যান রওশন, কো-চেয়ারম্যান বিদিশা
বেগম রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং বিদিশা সিদ্দিকীকে দলের কো-চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছে এরশাদ পুত্র এরিক এরশাদ। বুধবার (১৪ জুলাই) বারিধারা প্রেসিডেন্ট পার্কে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় সংসদ সদস্য সাদ এরশাদ উপস্থিত ছিলেন।
এরিক এরশাদ বলেন, আমার বাবা যখন অসুস্থ তখন রাতে আমার বাবাকে জিম্মি করে আমার চাচা জি এম কাদের দলের দায়িত্বে চেয়ারম্যান পদ লিখিয়ে নিয়েছেন। জাতীয় পার্টি আজ ধ্বংসের মুখে। তিনি অবৈধভাবে চেয়ারম্যান পদটি নিয়েছেন, আমরা তাকে মানি না।
অনুষ্ঠানে সাদ এরশাদ বলেন, আমরা জঞ্জালমুক্ত থাকতে চাই। বিশেষ এই দিনে বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
কেএফ
মন্তব্য করুন
জাপার অন্তঃকোন্দলের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির অন্তঃকোন্দলের জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বনানী কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, দল হিসেবে জাতীয় পার্টি অনেক সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে। কিন্তু সরকার সেখানে ইন্ধন দেয়, এসব ঠিক নয়।
তিনি বলেন, বৈষম্যকে লালন করে দেশকে নানাভাবে বিভক্ত করার চেষ্টা চলছে। স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে ব্যবসা চলছে। সুবিধাভোগীরা লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করেছে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে মামলা হয়। যেভাবে আইনকানুন করে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল টিকবে না। সরকার ঠিক থাকলেও দল হিসেবে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না।
তিনি বলেন, ইতিহাস বিকৃত করা হচ্ছে, কিছু মানুষকে উপরে ওঠানো হচ্ছে, কিছু মানুষকে মুছে ফেলা হচ্ছে, এটা ঠিক নয়। এমনও দেখা যাচ্ছে, বয়স ৫০ হয়নি অথচ সে মুক্তিযোদ্ধা, এইগুলো কী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা?
জিএম কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যসহ কোনো কিছুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার। দেশকে ভুবিয়ে দিয়ে আপনারা বাঁচতে পারবেন না, মানুষের অভিশাপ লাগবে।
তিনি বলেন, বৈষম্য করে দেশকে বিভক্ত করা হয়েছে। আমরা বৈষম্যমুক্ত দেশ ও সমাজ চাই। আর এই বৈষম্যের কারণেই একটা সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে।
কেএনএফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জিএম কাদেরের
বান্দরবানে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
শনিবার (৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে জিএম কাদের বলেন, কেএনএফের সদস্যরা বান্দরবানে কয়েকদিন ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে। থানা-পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর চেকপোস্টে আক্রমণ চালিয়ে পাহাড়ি এলাকার মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। তারা ব্যাংক ডাকাতি, ম্যানেজারকে অপহরণ, গ্রাহকদের টাকা ও বাজারে লুটপাট করছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের এ নৃশংসতায় মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। আতঙ্কে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। মুখ থুবড়ে পড়েছে পাহাড়ের পর্যটন শিল্প।
এ সময় তিনি পার্বত্য অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য হতাশা প্রকাশ করে। দায়ী কারণগুলো নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
পাঁচ বছর আওয়ামী লীগকে ঘুমাতে দেব না : চুন্নু
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হয়, সেই কাজটা সংসদের মাধ্যমে আমি করছি। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখেন, পাঁচটা বছর আওয়ামী লীগকে ঘুমাতে দেব না।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সদস্য শফিউল আলম জনির দেওয়া উপজেলাবাসীর জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, হতে পারি আমরা সংখ্যায় কম। সংসদে বিরোধীদলের সদস্য সংখ্যা ৫০ বা ৬০ জন হলে কি হবে, যদি তারা কথা বলতে না পারে। বঙ্গবন্ধুর সময় বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো একজনই সংসদ কাঁপিয়ে রাখত। তাই বিরোধীদলের সংসদ সদস্যের সংখ্যাটা বড় বিষয় নয়, কথা বলাটা বড়। কথা বলতে পারলে দুই-চার-পাঁচজনই যথেষ্ট।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের নামে ৯০ হাজার কোটি টাকা জরিমানা দিয়েছে, কেন দিল, কেন বিদ্যুৎ নাই- এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে জবাব দিতে বাধ্য করেছি। তিনি আমার প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
করিমগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন করিমগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী মুসলেহ উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিন, সমাজসেবক রফিকুর রহমান রফিক, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য আমিরুল ইসলাম খান বাবলু, করিমগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র হাজী আব্দুল কাইয়ূম, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রিয়াদ শাহেদ রনি প্রমুখ।
সড়কে প্রতিদিনের অপমৃত্যু যেন স্বাভাবিক ঘটনা : জি এম কাদের
ফরিদপুর এবং ময়মনসিংহে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জনসহ মোট ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক শোকবার্তায় নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, ‘প্রতিদিনই সড়কে প্রাণ যাচ্ছে, কোনো প্রতিকার নেই। সড়কে প্রতিদিনের অপমৃত্যু যেন স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিদিন এমন দুর্ঘটনার সংবাদ মেনে নেওয়া যায় না। তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ প্রকাশ করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। সড়ক ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নিহতদের প্রতি পরিবারকে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।’
শিব নারায়ণ দাশকে জাতি আজীবন স্মরণে রাখবে : জি এম কাদের
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক শোকবার্তায় তিনি প্রয়াত শিব নারায়ণ দাশের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় জি এম কাদের বলেন, একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোতে শিব নারায়ণ দাশের অনন্য ভূমিকা অক্ষয় হয়ে থাকবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন শিব নারায়ণ দাশ জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
তিনি আরও বলেন, শিব নারায়ণ দাশের স্বপ্নের পতাকা আমাদের গৌরবের অর্জন। তাকে জাতি আজীবন স্মরণে রাখবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে একইভাবে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।