সাদেক হোসেন খোকার শারীরিক অবস্থার অবনতি
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা গুরুতর অসুস্থ। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক এই মেয়র দীর্ঘদিন ধরে কিডনির ক্যানসারে ভুগছেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনের বরাত দিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বুধবার আরটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৪ সালের ১৪ মে সাদেক হোসেন খোকা চিকিৎসার জন্য দেশ ছাড়েন।
শায়রুল কবির খান আরও বলেন, সাদেক হোসেন খোকা নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে স্লোশেন ক্যাটারিং ক্যানসার ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনির ক্যানসারে ভুগছেন। তার অবস্থার অবনতি হয়েছে। সাদেক হোসেন খোকার জন্য তার পরিবার সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
পি
মন্তব্য করুন
বিএনপির একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোর ৬টায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী সব দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এদিন সকাল ৭টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয় থেকে দলের জাতীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে যাত্রা এবং সকাল ৮টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সুরা ফাতিহা পাঠ করবেন। সমাধি প্রাঙ্গণে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১১টায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ ও বিভিন্ন দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। সারাদেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌরসহ সকল ইউনিট মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং অন্যান্য কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।
পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে ভারতীয় কূটনীতিকদের নিয়ে বিএনপি’র ইফতার
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিলেও ভারতীয় কূটনীতিকদের নিয়ে ইফতার পার্টি করেছে বিএনপি। পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েও ভারত সংশ্লিষ্টতা বয়কট করতে পারেনি তারা। ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উপস্থিত ছিলেন না দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
অনেকদিন ধরে দেশের একটি জনগোষ্ঠী ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। আর তাতে সমর্থন বয়কটের ডাক দেয় বিএনপি। তাদের মতে, দেশকে স্যাটেলাইট রাষ্ট্রে পরিণত করেছে ভারত। সেই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে ২০ মার্চ ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেন রুহুল কবির রিজভী।
এর আগে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে’ পাশে থাকতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান, দলের নীতি নির্ধারক ‘স্থায়ী কমিটি’-র সদস্য আব্দুল মঈন খান। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে ভারতকে পাশে পাওয়া গিয়েছিল, ‘গণতন্ত্রের লড়াই’-য়েও ভারতের সেই ভূমিকা চান মঈন খান।
এদিকে (২৪ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপি’র ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। ইফতারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান তখন জানান, ইফতারে জাতিসংঘ, এনডিআই, আইআরআই এবং ৩৮টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন ল্যাফেইব, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দির সিম্পসন, জার্মান অ্যাম্বাসেডর আখিম ট্রোসটার, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ প্রমুখ। এছাড়াও ভারতের হাইকমিশনের আরও কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি’র ভারত বয়কট প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কদিন আগে ওদের নেতা ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবেন, আবার আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিবেন-এগুলো হিপোক্রেসি (ভণ্ডামি) ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়। বিএনপির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে বাজার অস্থিতিশীল করে পণ্যের মূল্য বাড়ানো।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ভারতের ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়, পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে তারা। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চেষ্টা করছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চিরাচরিত পাকিস্তানি কায়দায় ভারতের বিরোধিতা শুরু করেছে বিএনপি। তারা যখন কোনো রাজনৈতিক ইস্যু না পায়, তখনই এই একটা ইস্যু সামনে নিয়ে আসে। বঙ্গবন্ধুর আমলেও করেছে, এখন শেখ হাসিনার আমলেও তাই করছে।
আওয়ামী লীগ বারবার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে : ফখরুল
আওয়ামী লীগ বারবার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৭ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ বক্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলণ্ঠিত করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। এখন তারাই আবার জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। অথচ, স্বাধীনতার ঘোষণা জিয়াউর রহমান দিয়েছেন।
তিনি বলেন, জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যারা বিতর্ক সৃষ্টি করে তারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপির মানুষের জমি, ঘরবাড়ি, ব্যবসা দখল করে নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। দেশটাকে দুভাগে ভাগ করে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করছে তারা। এ দুভাগের মধ্যে একটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ, আরেকটা হচ্ছে বিরোধী দল। গোটা দেশকে গিলে ফেলে, লুট করে, টাকা পাচার করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
ফেসবুকে মনের কথা লিখলেও তুলে নিয়ে যায় : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার সারাদেশে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই। ফেসবুকে মনের কথা লিখলেও তুলে নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে শামিল হওয়ায় আমাদের ছাত্রদল-যুবদলের ছেলেদের নির্যাতন করা হয়েছে। তারা কোনো চিকিৎসা পায়নি। তাদের নির্যাতন করে জেলে ফেলে রাখা হয়েছে। এরপর জেলেও তাদের কোনো চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা খবর পেয়ে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।
কারাবাসের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি ছেলের সিরাজগঞ্জে বাড়ি, ফেসবুকে একটি পোস্টে লাইক দেওয়ার কারণে র্যাব তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রায় ১৪ দিন নির্যাতন করার পর আরেকটি মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়েছে। সে এখনও জামিন পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র, সুশান ও মানবাধিকার নেই। একটি জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আমরা সংগ্রাম করছি। একটি গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে যতটুকু সম্ভব নয় তার চেয়েও বেশি সংগ্রাম আমরা করছি। হাজার হাজার মানুষ রাজপথে আসছে, রাজপথে আমাদের ছেলেরা প্রাণ দিয়েছে।
জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙায় ফখরুলের প্রতিবাদ
নারায়ণগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা বর্তমানে এক প্রতিহিংসাপরায়ণ দখলদার সরকারের দ্বারা শাসিত দেশে বসবাস করছি। মানুষের জানমালের নিরাপত্তাসহ গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারটুকুও হরণ করা হয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমান ৭১ এর রণাঙ্গনের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডারই নন, তিনি ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। বর্তমান সরকার চরম প্রতিহিংসাপরায়ণ বলেই নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় শহীদ জিয়া হলের ওপরে থাকা জিয়াউর রহমানের ম্যুরালের অস্তিত্ব সহ্য করতে না পেরে দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে ভেঙে ফেলেছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী শুধু গণতন্ত্রকেই যে ধ্বংস করেছে তা নয়, জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ক্রমান্বয়ে দুর্বল করে তুলেছে। ম্যুরাল ভেঙে ফেলার মধ্য দিয়ে আমাদের রক্তার্জিত জাতীয় স্বাধীনতাকে অপমানিত করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী একটি অপশক্তি। দেশ পরিচালনায় সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে জনদৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার এখন জুলুম, নির্যাতন, প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের সর্বনাশা খেলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এ সময় জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঈন খানের বাসায় এবার জার্মান ও সুইস রাষ্ট্রদূত
যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের পর এবার রাজধানীর গুলশানে মঈন খানের বাসায় নৈশভোজ করলেন ঢাকাস্থ জার্মান রাষ্ট্রদূত আসিম টর্স্টার ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রেংগলি।
রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইফতার ও নৈশভোজের আমন্ত্রণে আসেন তারা। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, এসময় চীনের উপ–রাষ্ট্রদূত ইয়ান হুয়ালং ও দ্বিতীয় সচিব গু ঝিকিনও তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, শনিবার (৬ এপ্রিল) মঈন খানের বাসায় ইফতার ও নৈশভোজে অংশ নিয়েছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক।
কারাগারেই ঈদ বিএনপির যেসব নেতার
গ্রেনেড হামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর বছরের পর কারাগারে ঈদ করছেন। গত বছরের ২৮ অক্টোবরের আগে-পরে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের কয়েক হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। গত জাতীয় নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূলের অসংখ্য কর্মীও জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে এখনও দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় ১২ জন নেতা কারাগারে রয়েছেন।
বাবাকে ছাড়া ঈদ করা নিয়ে আক্ষেপের কথা জানিয়ে সম্প্রতি কারাগারে যাওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের মেয়ে জান্নাতুল ইলমী সূচনা বলেছেন, ৪৯০টিরও বেশি মামলায় কেরানীগঞ্জের কারাগারে আছেন বাবা। বছরের ছয় মাস জেল কিংবা ছয় মাস পলাতক থাকেন, ফলে কোনো উৎসব আয়োজনে বাবাকে পাওয়া যায় না। সন্তান হিসেবে বাবার দেখা মেলে না।
বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এখনও কারাগারে রয়েছেন। এবারের ঈদে এসব নেতাকর্মীদের পাশে পাবে না পরিবার।
তিনি জানান, এ মুহূর্তে কারাগারে আছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপারসন উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আসলাম চৌধুরী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, নির্বাহী সদস্য লুৎফুজ্জামান বাবর, নির্বাহী সদস্য ও যুবদল সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল হৃদয়, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ খোকন, উত্তরা থানার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আনোয়ার, সাবেক কমিশনার হারুন অর রশীদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আজিজুর রহমান মুসাব্বির, ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির, ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী জিয়াউদ্দিন বাসিত প্রমুখ।
বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এর আগে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে চারটি ঈদ কেটেছে বিএনপির চেয়ারপারসনখালেদা জিয়ার। এরপর ২০২০ সালের পর থেকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ঈদ করে আসছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মাঝে ২০২৩ সালের ২টি ঈদ কেটেছে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে। এবার তিনি ঈদ করবেন গুলশানের বাসভবনে।