চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে গেলেন মির্জা ফখরুল
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের উদ্দেশে আজ ঢাকা ত্যাগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চিকিৎসার জন্য বুধবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের-০৮৮ ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি।
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান বিএনপির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ আহমদ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন বিএনপি মহাসচিব। এর আগেও সেখানে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি।
হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৩ জুন ব্যাংকক গিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। এর আগে ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল তিনি ব্যাংকক যান। বিএনপি মহাসচিবের হৃদরোগ ছাড়াও ঘাড়ে ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে জটিলতা রয়েছে।
এসজে/সি
মন্তব্য করুন
৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির প্রচারবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, ঢাকা মহানগর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ড. ফরহাদ হালিম ডোনার, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুদু, বিলকিস জাহান শিরিনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচিগুলো হচ্ছে, ২৬ মার্চ ভোরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৭টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে যাত্রা এবং সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সাভার থেকে ঢাকায় ফিরে শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ।
এ ছাড়া ২৫ মার্চ সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ এবং ২৭ মার্চ বেলা ১১টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা।
সারাদেশে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নে পর্যায়ের সব কমিটি এবং দলের অঙ্গসংগঠনগুলোকে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ ও জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে বিএনপি।
বিএনপি নেতা আমান কারামুক্ত
অবশেষে কারামুক্ত হলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান।
রোববার (২৪ মার্চ) রাত ৯টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানকে গত ২০ মার্চ অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
তবে বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান। আপিল আবেদনে তিনি খালাস চেয়েছিলেন। পাশাপাশি জামিন আবেদনও করেন তিনি। একই মামলায় আমানউল্লাহ আমানের স্ত্রী তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত সাবেরা আমান গত ৫ সেপ্টেম্বর জামিন পান।
স্মার্টফোনের মাধ্যমে জনগণের ওপর নজরদারি করছে সরকার : ফখরুল
স্মার্টফোনের মাধ্যমে সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের ওপর নজরদারি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেইসঙ্গে দেশে এখন ছদ্মবেশী গণতন্ত্র চলছে বলেও দাবি তার।
সোমবার (২৫ মার্চ) নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, জোর করে ক্ষমতা দখলকারী সরকার আজ মানুষের বুকে চেপে বসেছে। অথচ তাদের ক্ষমতায় বসার কোনো বৈধতা নেই। এরা ১৯৭৫ সালেও বাকশালের মাধ্যমে প্রতারণা করেছিল, আর এখন ছদ্মবেশী গণতন্ত্রের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
সত্য কথা বললেই এখন গ্রেপ্তার করা হয় দাবি করে এরপর তিনি বলেন, আজ সত্য কথা বললেই গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন করতে চেয়েছি, তা নিয়ে সংগ্রাম করেছি। খালেদা জিয়া সুষ্ঠু নির্বাচনের একটি পরামর্শ দিয়েছিলেন, যে নির্বাচন হবে একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে। কিন্তু এসব কিছুই বাস্তবায়ন না করে বাকশালের মত একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে। আর এজন্য দেশের যাবতীয় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্থানে দলীয় লোক বসানো হয়েছে।
জনগণ আজ রাষ্ট্রের মালিকানা হারিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে ভোটাধিকারের মাধ্যমে দেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়, সে অধিকার আজ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ১৯৭১ সালে একটি স্বপ্ন নিয়ে এ দেশটা স্বাধীন করা হয়েছিল, আর তা হলো রাষ্ট্রের মালিক হবে তারা (জনগণ)।এরপর যখন সংবিধান তৈরি করা হলো, সেখানে স্পষ্ট ভাবে লেখা ছিল দেশের মালিক হবে জনগণ। অথচ দুর্ভাগ্য এই যে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এদেশের মানুষ তার দেশের মালিকানা হারিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্মার্টফোনের মাধ্যমে সরকার দেশের প্রতিটি লোকের ওপর নজরদারি করছে। ফলে মানুষ যখনই কথা বলতে চায়, বিদ্রোহ করতে চায়, তখনই তাকে তুলে নেওয়া হয়। এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করা এতো সহজ নয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তাদের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, এখনো চালাচ্ছি। জনগণকেও আমাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, তাহলেই বিজয় আসবে।
‘পাশের দেশের স্বার্থ রক্ষায় স্বাধীনতাকে বিক্রি করছে সরকার’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে, পার্শ্ববর্তী দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে, নিজেদের দেশের স্বাধীনতাকে বিক্রি করে দিচ্ছে সরকার।
সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলে বলেন, এই অবৈধ সরকার আমাদের স্বাধীনতাকে দুর্বল করেছে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে গিয়ে, পার্শ্ববর্তী দেশের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে ,নিজেদের দেশের স্বাধীনতাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। লড়াই সংগ্রাম করে সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া মানুষের মুক্তির উপায় নেই।
তিনি বলেন, যখন একটি দেশ বাংলাদেশ নয়, একটি অবৈধ দখলদার সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে তাহলে কি করে সেই দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বন্ধুত্ব বজায় রাখতে পারে? তারা এ দেশের জনগণকে এই দেশের মানুষকে কোনো মূল্যই দেয় না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, গত ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা অস্ট্রেলিয়া বলেছে আমরা কোন দলের পক্ষে নয়, আমরা বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে, আমরা সুষ্ঠ নির্বাচনের পক্ষে এইটাই তো বড় কথা। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ সেটি বলে না তারা বলে আমরা এই সরকারের পক্ষে।
রিজভী বলেন, যখন অবৈধ সরকারকে পার্শ্ববর্তী দেশ যারা নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক দেশ দাবি করে তারা যখন প্রকাশ্যে সমর্থন করে তখন আমাদেরকে ভাবতে হবে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অনেক দুর্বল অবস্থার মধ্যে আছে, দুর্বল হয়ে গেছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুকসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোর ৬টায় নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী সব দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এদিন সকাল ৭টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয় থেকে দলের জাতীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে যাত্রা এবং সকাল ৮টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর জিয়াউর রহমানের সমাধিতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সুরা ফাতিহা পাঠ করবেন। সমাধি প্রাঙ্গণে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা ১১টায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে পোস্টার প্রকাশ ও বিভিন্ন দৈনিকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। সারাদেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌরসহ সকল ইউনিট মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং অন্যান্য কর্মসূচির আয়োজন করা হবে।
পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে ভারতীয় কূটনীতিকদের নিয়ে বিএনপি’র ইফতার
ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিলেও ভারতীয় কূটনীতিকদের নিয়ে ইফতার পার্টি করেছে বিএনপি। পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েও ভারত সংশ্লিষ্টতা বয়কট করতে পারেনি তারা। ইফতার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উপস্থিত ছিলেন না দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
অনেকদিন ধরে দেশের একটি জনগোষ্ঠী ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। আর তাতে সমর্থন বয়কটের ডাক দেয় বিএনপি। তাদের মতে, দেশকে স্যাটেলাইট রাষ্ট্রে পরিণত করেছে ভারত। সেই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে ২০ মার্চ ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেন রুহুল কবির রিজভী।
এর আগে ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে’ পাশে থাকতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান, দলের নীতি নির্ধারক ‘স্থায়ী কমিটি’-র সদস্য আব্দুল মঈন খান। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে ভারতকে পাশে পাওয়া গিয়েছিল, ‘গণতন্ত্রের লড়াই’-য়েও ভারতের সেই ভূমিকা চান মঈন খান।
এদিকে (২৪ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপি’র ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। ইফতারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান তখন জানান, ইফতারে জাতিসংঘ, এনডিআই, আইআরআই এবং ৩৮টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন ল্যাফেইব, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দির সিম্পসন, জার্মান অ্যাম্বাসেডর আখিম ট্রোসটার, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয় জর্জ প্রমুখ। এছাড়াও ভারতের হাইকমিশনের আরও কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি’র ভারত বয়কট প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কদিন আগে ওদের নেতা ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবেন, আবার আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিবেন-এগুলো হিপোক্রেসি (ভণ্ডামি) ছাড়া অন্য কোনো কিছু নয়। বিএনপির আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে বাজার অস্থিতিশীল করে পণ্যের মূল্য বাড়ানো।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ভারতের ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়, পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে তারা। বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য চেষ্টা করছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চিরাচরিত পাকিস্তানি কায়দায় ভারতের বিরোধিতা শুরু করেছে বিএনপি। তারা যখন কোনো রাজনৈতিক ইস্যু না পায়, তখনই এই একটা ইস্যু সামনে নিয়ে আসে। বঙ্গবন্ধুর আমলেও করেছে, এখন শেখ হাসিনার আমলেও তাই করছে।
সীমান্তে হতাহতের ঘটনা প্রমাণ করে সার্বভৌমত্ব চরম সংকটে : ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সীমান্তে দুই জনের হতাহতের ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে।
বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিবৃতিতে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নামে এক বাংলাদেশিকে হত্যা এবং লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে গুলি করার পর লিটন মিয়া নামে (১৯) এক বাংলাদেশি যুবককে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে।
তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ ধরনের প্রাণ বিনাশি রক্তাক্ত ঘটনা হৃদয় বিদারক ও আত্মমর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে। সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা ও আর একজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরও ডামি সরকার ও তাদের মন্ত্রীরা এখনও নিশ্চুপ। প্রতিবাদ বা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া দূরে থাক টু শব্দটিও পর্যন্ত তারা করেনি বরং মন্ত্রীরা নির্বিকারভাবে এ সমস্ত রক্তাক্ত ঘটনা মেনে নিচ্ছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ডামি সরকারের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতার জন্য এরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেও দ্বিধা করে না। শুধু সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাঙচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিবাদ করে না শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার ধরে রাখার জন্য দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন। তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে সব কিছু উজাড় করে দিলেও দেশের মানুষ এক বিন্দু ছাড় দেবে না। তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। একমাত্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে পারে।