• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

একনজরে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ

আরটিভি নিউজ

  ১৬ মার্চ ২০২১, ১৯:৩৯
একনজরে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ১৯৪০ সালে ২৪ মে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমদ চতুর্থ।

আজ মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন।

আরও পড়ুন : বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ আর নেই

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান পাশ করে বৃটেনের লন্ডনস্থ লিঙ্কন্স ইন থেকে ব্যারিস্টার-এ্যাট-ল' ডিগ্রি অর্জন করেন। লন্ডনে পড়াশুনা করে তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং হাইকোর্টে ওকালতি শুরু করেন। তিনি ব্লান্ড ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলনে।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বিএনপির ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। সাবেক সংসদ সদস্য ও অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১-এ ইয়াহিয়া খান কর্তৃক আহুত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন।

আরও পড়ুন : আরব দেশগুলোর অপচয় করা খাবার দিয়ে ১০০ কোটি মানুষকে খাওয়ানো সম্ভব

১৯৭৭-৭৯ সালে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮১ সালের মে মাসে জিয়াউর রহমান নিহত হন এবং এক বছরের ভেতর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৮৫ এর নির্বাচনে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের তথ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এক বছর পর ১৯৮৬ এ তাকে আবার উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৮৯ সালে তাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং এরশাদ তাকে উপ-রাষ্ট্রপতি করেন। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকার জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ সালে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পাঁচবার মওদুদ আহমেদ নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুন : জন্মের ২৫ বছর জানলেন যে তিনি মেয়ে নন

জিয়াউর রহমান ও এরশাদের শাসনামলে মওদুদ আহমেদ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। এরমধ্যে- শিল্প মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ ও রেলযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন মন্ত্রণালয়, অষ্টম জাতীয় সংসদে মওদুদ আহমেদ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

এফএ

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিএনপি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
একনজরে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে সিরিজের সূচি
একনজরে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের সূচি
একনজরে বাণিজ্যমেলার সময়সূচি
একনজরে পিএসএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি
X
Fresh