দলের স্বার্থে ফখরুলের সংসদে যাওয়া উচিত ছিল: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির এমপিরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের সংসদে যোগ দেয়া শুভবুদ্ধির উদয়। দলের স্বার্থে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সংসদে যাওয়া উচিত ছিল।
আজ সোমবার সকালে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নতুন জীবন পেয়ে মানুষের কল্যাণে, দুর্ভোগ লাগবে নতুন উদ্যমে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রণালয়ের কাজ থেমে থাকেনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ এগিয়ে গেছে। কাজের গতি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার পুনর্বিন্যাস করেছেন। এটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার।
বিএনপির প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বিরোধী দল শক্ত অবস্থানে থেকে সরকারের সমালোচনা করলে সরকারের কাজ করতে সুবিধা হয়।
পি
মন্তব্য করুন
সবাইকে মিলেমিশে দলের জন্য কাজ করতে হবে : নেতাদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের মধ্যে কোনো ধরনের মতবিরোধ না রাখার নির্দেশনা দিয়ে দলীয় নেতাদের বলেছেন, সবাইকে মিলেমিশে দলের জন্য কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, সামনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ নির্বাচন ঘিরে যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে। আমরা দলের কোনো প্রার্থী দিচ্ছি না। অবাধ-সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। যার জনপ্রিয়তা বেশি সে জিতে আসবে।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দলটির কেন্দ্রীয়, জেলা-উপজেলা এবং সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতা সাক্ষাৎ করেছেন। এর মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আলাদা আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করেন তারা। এ সময় নেতারা বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়সহ নিজেদের নানা সুবিধা-অসুবিধার কথা নেত্রীর কাছে তুলে ধরেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের নেতাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
সাক্ষাত করেছেন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসহাক আলী খান পান্না, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, সাজ্জাদ সাকিব বাদশা, শেখ সোহেল রানা টিপু, এসএম জাকির হোসাইন, যুব মহিলা লীগ সভাপতি ডেইজী সরোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমীন সুলতানা লিলি প্রমুখ।
এছাড়া রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদত হোসেন বকুল, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, পীরগঞ্জ পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম, পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রাজা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম পিন্টু, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম রাব্বানী বিপ্লব, কক্সবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, পাবনার বেড়া পৌর মেয়র এসএম আসিফ শামস রঞ্জন প্রমুখ।
এছাড়া এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন হকার্স লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, কক্সবাজার, নরসিংদী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা, হবিগঞ্জসহ আরও কয়েকটি জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ।
ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বড় অংশ আসে ভারত থেকে। ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি আমাদের বাজার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বিএনপির নেতা শাল ফেলে দিয়ে ভারতীয় পণ্য বয়কটের নিদর্শন করা পাগলামি। বিএনপির এক নেতা গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতের সহযোগিতা চায়, আবার আরেক নেতা ভারতের পণ্য বয়কটের ডাক দেয়। আসলে বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেরা দিশেহারা হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কতটা দেউলিয়া, উগ্র মানসিকতা সম্পন্ন, কতটা রাজনৈতিক, কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে বয়কটের কথা বলতে পারে একটা দল। বয়কটের নামে তারা (বিএনপি) আমাদের বাজার ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একুশ বছর ভারতের সাথে বৈরী সম্পর্ক আমাদের ক্ষতি করেছে বেশি। সম্পর্ক ভালো থাকলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। তিস্তা, ফেনী নদীসহ যেগুলো এখনও সমাধান হয়নি...কিন্তু সম্পর্ক ভালো থাকায় ইতিবাচক অগ্রগতি আছে। সম্পর্ক ভালো থাকলে সমাধান সম্ভব।
রুহুল কবির রিজভীর গায়ের চাদর ছুড়ে ফেলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, একজন নেতা ভারতীয় পণ্য বয়কটের নিদর্শন তুলে ধরেছে। এটা কতটা অবাস্তব? এটা কী করে সম্ভব? আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটা বড় অংশ ভারত থেকে আসে। এর সুবিধাও আছে। এতে পরিবহন খরচ অনেক কম হয়।
কর্মসূচি ঘোষণা দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সমাবেশ করবো, মহানগর উত্তর, দক্ষিণ আয়োজন করবে। আমাদের একাত্তরের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য দাবি আরও জোরদার করবো। সে জন্য প্রোগ্রামটি বাইরে করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদসহ অনেকে।
২৫ মার্চ রাজধানীতে সমাবেশ করবে আ.লীগ
আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে রাজধানীতে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে সমাবেশটি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সমাবেশে একাত্তরের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য দাবি আরও জোরদার করব। সে জন্য প্রোগ্রামটি বাইরে করব।
এ সময় ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করা পাগলামি। আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি বড় অংশ আসে ভারত থেকে। ভারতীয় পণ্য বয়কটের নামে বিএনপি আমাদের বাজার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একুশ বছর ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক আমাদের ক্ষতি করেছে বেশি। সম্পর্ক ভালো থাকলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। তিস্তা, ফেনী নদীসহ যেগুলো এখনও সমাধান হয়নি...কিন্তু সম্পর্ক ভালো থাকায় ইতিবাচক অগ্রগতি আছে। সম্পর্ক ভালো থাকলে সমাধান সম্ভব।
রুহুল কবির রিজভীর গায়ের চাদর ছুড়ে ফেলা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, একজন নেতা ভারতীয় পণ্য বয়কটের নিদর্শন তুলে ধরেছে। এটা কতটা অবাস্তব? এটা কী করে সম্ভব? আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের একটা বড় অংশ ভারত থেকে আসে। এর সুবিধাও আছে। এতে পরিবহন খরচ অনেক কম হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, উপ-দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
বেশি কথা বললে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবো, বিএনপিকে কাদের
বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বেশি কথা বললে হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবো।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে গণহত্যা দিবস স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মতো মাথা গরম না করার পরামর্শ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বেশি কথা বললে খুঁজে খুঁজে বের করব, বিএনপির কে কে ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করে।
ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, জাতীয় সংসদের হুইপ সানজিদা খানম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ।
‘ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খেয়ে বয়কটের ডাক তামাশা’
ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খেয়ে বয়কটের নামে বিএনপি মানুষের সঙ্গে তামাশা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সামাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের পেঁয়াজ দিয়ে পেঁয়াজু খায়, ভারতের গরুর মাংস দিয়ে সেহরি খায়, ভারতের শাড়ি পরে স্ত্রীরা সাজে, কিন্তু বয়কটের ডাক দেয়। বিএনপি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারী জামায়াতের নেতাদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের গাড়িতে লাল-সবুজ পতাকা দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। শুধু তাই নয়, তারা ’৭৫ পরবর্তী গণহত্যার প্রমাণ মুছে দিয়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের ব্যাপারে খালেদা জিয়া সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গণহত্যার সব আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদলের প্রধান হয়ে জাতিসংঘে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছিল, সেই শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে যাতে বিশ্বের কোথায় এমন গণহত্যা না হয়, সেজন্য গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির প্রয়োজন। একই সঙ্গে আমরা গাজায় গণহত্যা বন্ধ চাই।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না : কাদের
স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এতদিন পরেও স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক করা হয়। স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারে না। কে ঘোষক এ বিতর্কের অবসান তখনই হবে, যখন আমরা সত্যের অনুসন্ধান করতে যাবো। স্বাধীনতা ঘোষণার ম্যান্ডেট ৭০ এর নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিলেন। আবুল কাশেম, এম এ হান্নান, অনেকেই ঘোষণা পাঠ করেছেন। সেখানে জেনারেল জিয়াও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে এত বছর পর আমাদের ভাবতে হচ্ছে এ দেশেরই মানুষ, এ দেশেরই অগণতান্ত্রিক সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নিয়ে। যারা আমাদের বিজয়, আমাদের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অন্তরায় সৃষ্টি করে যাচ্ছে। আজ আমাদের শপথ, বিএনপির নেতৃত্বে যে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি বিজয়কে সংহতকরণে বাধা বা অন্তরায় হয়ে আছে, এই অপশক্তিকে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরাজিত করব, প্রতিহত করব।
বিএনপির ভারতবিরোধিতা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারত বিরোধিতা আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এটা নতুন কিছু না। এ বিরোধিতা পাকিস্তান আমল থেকেই হয়ে আসছে। যখন কোনো ইস্যু থাকে না, তখনই ভারত বিরোধিতা ইস্যু সামনে আসে।
বিএনপির মন্ত্রীদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করত : প্রধানমন্ত্রী
বিএনপির মন্ত্রীদের বউদের ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করতে দেখেছি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপি নেতাদের ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির এক নেতা দেখলাম চাদর খুলে পুড়ল। আমি এখন বলব, বিএনপি নেতারা যদি বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান, সেদিন বিশ্বাস করব আপনারা সত্যি ভারতীয় শাড়ি বর্জন করলেন। ভারতীয় মসলা তারা খেতে পারবে কি না, এ উত্তর তাদের দিতে হবে। আপনারা এ পণ্য সত্যি বর্জন করছেন কি না, এ কথাটাই আমরা জানতে চাই।
তিনি এরপর যোগ করেন, যে নেতারা বলছেন ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে? ঈদের আগে দেখতাম, বিএনপির মন্ত্রীদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করত।
বিএনপি নেতাদের কখনও আক্কেল হবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতিহাস বিকৃত করে তারা এখন ভাঙ্গা রেকর্ডের মতো ভুলে যাচ্ছে। তাদের কখনও আক্কেল হবে না। এখন তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, তখন তারা কে কোথায় ছিল? যিনি বলে যান যে আওয়ামী লীগ নেতারা ২৫ মার্চ পালিয়ে গিয়েছিল, তার বাবা কে ছিল? স্বাধীনতার পর ৭৪ সালে যে দুর্ভিক্ষ হয়, তখন খাদ্যসচিব ছিল। এই খাদ্যসচিব বেইমানি করে ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে দুর্ভিক্ষ ঘটিয়েছিল। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর তখন পুরস্কার পেয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, মঈন খানের বাবার নাম হলো মোমিন খান। সে ছিল খাদ্যসচিব। জাহাজ ফিরিয়ে দিয়ে খাবার আসতে দেয়নি বাংলাদেশে, দুর্ভিক্ষ ঘটানো হয়েছিল। আমি ৮১ সালে দেশে আসি। সারা বাংলাদেশ ঘুরি। তখন প্রতিবছর দুর্ভিক্ষ লেগে থাকত। বাংলাদেশের মানুষের জীবনে পরিবর্তন তারা করতে পারেনি। কারণ, তারা আমাদের বিজয় নস্যাৎ করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে তারা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। এটাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। যার কারণে জাতির পিতাকে হত্যা করল। এরপর ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়, আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়। আজ রাজনৈতিক দল করে অনেক বড় বড় কথা বলে তারা।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্ম হলো কলকাতায়। ভারত-পাকিস্তান যখন বিভক্ত হয়, তখন তারা কিন্তু পূর্ব বাংলায় আসেনি, তারা করাচিতে গিয়েছিল। জিয়াউর রহমান সেখানে পড়াশোনা করে। সেখানেই আর্মিতে যোগ দেয়। সেখান থেকে সামরিক অফিসার হিসাবে পূর্ব বাংলায় এসেছিল দায়িত্ব পালন করতে। এটাই হলো বাস্তবতা। কিন্তু তার মনে তো পাকিস্তানটাই রয়ে গেছে। তার প্রমাণও আছে। স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলো, এই প্রমোশনগুলা একে একে কে দিয়েছে? এটাও তো আওয়ামী লীগ সরকার দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দিয়েছে। এই অকৃতজ্ঞরা সেটাও ভুলে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বিএনপির নেতারা বড় বড় কথা বলে, ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগের সবাই পালিয়ে গেছে। অথচ আওয়ামী লীগই সরকার গঠন করে যুদ্ধ পরিচালনা করে। শুধু যুদ্ধ পরিচালনা নয়, সশস্ত্র বাহিনীর গড়ে তোলা হয়। বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশকে ভাগ করা হয়। এক একটা সেক্টরের দায়িত্ব একেকজনকে দেওয়া হয়। জিয়াউর রহমান একটা বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিল জিয়াউর রহমান। এই কথা নিশ্চয়ই তাদের ভুলে গেলে চলবে না।
প্রধানমন্ত্রী এরপর বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন ঢাকায় গণহত্যা শুরু করে, তারা কিন্তু চট্টগ্রামেও হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল। যারা জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ব্যারিকেড দিচ্ছিল, তাদের ওপর গুলি চালিয়েছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। চট্টগ্রামের সেনাবাহিনীর দায়িত্বে ছিল জিয়াউর রহমান। সেই সময় যারা বেরিক্যাড দিয়েছে, জিয়াউর রহমানও তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, স্যুয়াজ জাহাজ এসেছে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র নিয়ে, সেই অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল জিয়াউর রহমান। ২৫ মার্চ এ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী যে আক্রমণ চালায় সেই আক্রমণকারীর একজন কিন্তু জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে কিছু আঁতেল আছে। বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাংলাদেশে একটা কাণ্ড আমরা দেখি, অতি বাম, অতি ডান। স্বাভাবিকভাবে গণতান্ত্রিক ধারাটা তারা পছন্দ করেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি। ৫৩ বছরের মধ্যে ২৯টা বছর ছিল এই জাতির দুর্ভাগ্যের বছর। দেশটা ছিল পরাধীন। এ দেশের মানুষ ছিল শোষিত-বঞ্চিত। সেই জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ভুদ্ধ করে, মুক্তিযুদ্ধ করে, স্বাধীনতার বিজয় এনে দেওয়া একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারীর জন্য সম্ভব। ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করার পর এ দেশে ইতিহাস বিকৃতির পালা দেখেছি।আজ যারা প্রশ্ন করেন আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল, আমি জিজ্ঞেস করি আপনারা কোথায় ছিলেন? সেটাও একটু বলেন! জবাব দিন!