ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের আন্দোলন স্থগিত, একসঙ্গে চলার অঙ্গীকার
অবশেষে আন্দোলন থেকে সরে এসেছে ছাত্রলীগের কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া বিক্ষুব্ধরা। গতকাল রোববার রাতে আওয়ামী লীগের চার জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে কয়েক ঘণ্টার বৈঠক শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা।
রোববার রাত সাড়ে আটটা থেকে মধ্য রাত পযন্ত ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় চার নেতা পুনরায় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের নিয়ে বৈঠক করেন। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলা এ বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, দায়িত্বশীল নেতারা ছাত্রলীগের উভয় অংশের প্রতি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কড়া বার্তা দেন। এরপর কয়েক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছান। দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের কয়েকটি নির্দেশনা দেন। নির্দেশনাগুলো হলো, পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মধুর ক্যান্টিনে যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনায় যারা দোষী তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া, কমিটিতে স্থান পাওয়া যাদের বিরুদ্ধে বিতর্ক উঠেছে প্রমাণ স্বাপেক্ষে তার সত্যতা নিশ্চিত করে দলীয় পদ থেকে দ্রুত অব্যাহতি দিয়ে পদ শূন্য ঘোষণা করা এবং ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করে পদায়নের নির্দেশ, সংগঠনের সাংগঠনিক নেত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করার দাবি জানালে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা নেত্রীর সময় অনুযায়ী দেখা করার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। তার আগে ছাত্রলীগের উভয় অংশকে সংগঠনের ঐক্যের স্বার্থে একসাথে চলার কড়া নির্দেশ দেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার। অপরদিকে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ পদবঞ্চিত নেতাদের কয়েকজন প্রতিনিধি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসারকে সমন্বয়ক করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বৈঠকে অংশ নেয়া বিদ্রোহী গ্রুপের প্রতিনিধিদের একসঙ্গে গিয়ে অনশন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর তারা সকলে মিলে একসঙ্গে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে অনশনরতদের অনশন ভাঙান।
পি
মন্তব্য করুন