• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাসা থেকে শেষ বিদায় সৈয়দ আশরাফের

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৫ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৫২

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম রাজধানীর বেইলি রোডস্থ তার সরকারি বাসভবন থেকে নিথর দেহে চির বিদায় নিয়েছেন। শনিবার রাত পোনে নয়টার দিকে তার মরদেহ নিয়ে বেরিয়ে যায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স। সেখান থেকে তার মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে রাখা হয়।

তার আগে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার কিছুক্ষণ পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তার মরদেহ নিয়ে বিমানটি অবতরণ করে। বিমানবন্দর থেকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে বাসভবনে আনা হয়।

সন্ধ্যা থেকে প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো দেখতে আত্মীয়-স্বজন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সাধারণ মানুষ বেইলি রোডে অবস্থান নেন। মরদেহ আসার পর কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। সেখানে ফুলেল শ্রদ্ধায় সিক্ত হন প্রিয় এই নেতা। রাত পোনে ৯টার দিকে বেইলি রোডের বাসা থেকে সিএমএইচে নেয়া হয় তার মরদেহ। সেখানে রাতে রাখা হবে তার নিথর দেহ।

আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর হেলিকপ্টার যোগে মরদেহ কিশোরগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে। দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাঁ মাঠে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে বাদ আছর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

গত ৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে ফুসফুসে ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়া আওয়ামী লীগ, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও জাতীয় পার্টির নেতারা শোক প্রকাশ করেছেন।

অসুস্থতার কারণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি সংসদ থেকে ছুটি নেন। দেশে না থেকেও একাদশ সংসদ নির্বাচনে সৈয়দ আশরাফ কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীকে জয়ী হন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ১লা জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মুজিবনগর অস্থায়ী সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। আশরাফুল ইসলাম ৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ জনপ্রশাসনমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। তিনি পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

পি

মন্তব্য করুন

daraz
  • আওয়ামী লীগ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
কাফরুলে বাসাবাড়িতে দেহ ব্যবসার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৭
একসঙ্গে বাসাভাড়া দুই মাদরাসাছাত্রীর, ছিল বিয়ের পরিকল্পনা
বাসাবাড়ি-অফিসে এডিস মশার লার্ভা পেলেই জেল-জরিমানা
শেষ বিদায়ে ভালোবাসায় সিক্ত জাতীয় পতাকার নকশাকার
X
Fresh