তারেকের বিরেুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসিতে আ.লীগের অভিযোগ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার নেওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগ।

রোববার রাতে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আবেদনটি জমা দেন।

হেলালুদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কর্নেল (অব.) ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি স্কাইপিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু আদালত বলেছেন, একজন পলাতক আসামি হিসেবে তারেকের বক্তব্য কোথাও প্রচার করা যাবে না। সে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদেও থাকতে পারবে না।

তার স্কাইপিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং বক্তব্য প্রদান নির্বাচনী আইনের লঙ্ঘন। এটা হতে পারে না। আশা করি, নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।

তিনি আরও বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের আমরা দেখেছি, সুপ্রিম কোর্টে সারাদিন নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছে। এটা আচরণবিধির লঙ্ঘন। এই লঙ্ঘন নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াস। এটা চলতে থাকলে নির্বাচন আরও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এ বিষয়ে দ্রুত শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনও যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। এই খবর গণমাধ্যমে এসেছে। একজন পলাতক আসামির বক্তব্য গণমাধ্যমে আসতে পারে না। গণমাধ্যমও সেই বক্তব্য প্রচার করতে পারবে না বলে আদালতের নির্দেশনা আছে। তারেক রহমান এই টেলিকনফারেন্স করে আদালতের আদেশ অমান্য করেছেন। তিনি আইন মানছেন না। নির্বাচন আচরণবিধিতে উল্লেখ আছে, দেশের প্রচলিত আইন মানতে হবে। তাই আচরণবিধিও লঙ্ঘন হয়েছে। তাই নির্বাচন কমিশনকে আমরা আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক দলের অপরাধ। তাদের এই টেলিকনফারেন্স করতে দেওয়া উচিত হয়নি। একই সঙ্গে সেই বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার করাও উচিত হয়নি। গণমাধ্যম যেন তার বক্তব্য প্রচার না করে সে অনুরোধ করবো।

তারেক রহমান এক-এগার সরকারের সময় থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন। বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির এই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা আদালতের চোখে পলাতক। বর্তমানে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন।

এসময় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি, রিয়াজুল কবীল কাউসার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন :

• খালেদাকে নিয়ে চলচ্চিত্র বানালে সেটা হরর মুভি হয়ে যাবে: হাছান
• তারেক সাজাপ্রাপ্ত হয়েও কিভাবে কার্যক্রমে অংশ নেন: খতিয়ে দেখতে ইসিকে অনুরোধ

আরসি/পি